একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে শুরু হয়েছে সরকারি অনুদান পাওয়া চলচ্চিত্রের ‘গলুই’ এর শুটিং। বৃহস্পতিবার(২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মহেরা জমিরদারবাড়িতে একঝাঁক থিয়েটারকর্মী নিয়ে শুটিং শুরু হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ছবিটির পরিচালক এস এ হক অলিক।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গলুই’ এর ক্যামেরা ওপেন হলো, প্রথম দিনে একঝাক থিয়েটারকর্মী ও সিনিয়র কয়েকজন অভিনেতা শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ও বিস্তীর্ণ এক জনপদের মানুষের জীবন উপজীব্য করে নির্মিত হচ্ছে ‘গলুই’ সিনেমা। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করবেন শাকিব খান। তার বিপরীতে রয়েছেন পূজা চেরি। কিন্তু শুটিং শুরুর প্রথম দিন তারা অংশ গ্রহণ করেননি।
পূজা আগামীকাল শুক্রবার এবং শাকিব খান ২৮ তারিখে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক।
পরিচালক জানান, নৌকার সঙ্গে জীবন, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক, পরিবার, রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা মিলিয়ে একটা জীবন ধারা। এরমধ্যে রয়েছে প্রেম, টানাপোড়েন, বন্ধন। পুরো সিনেমায় থাকবে এটাই। সেজন্যই ছবির নাম ‘গলুই’। শুটিং শুরু হলেও শাকিব-পূজা প্রথম কয়েক দিন থাকছেন না। থাকবেন ২৮ তারিখ থেকে।
পরিচালক আরও জানান যমুনার চরে শুটিং শুরু হলেও পরে অনেকটা দুর্গম এলাকায় শুটিং হবে। যে অঞ্চলে আগে কখনই কোনো সিনেমার শুটিং হয়নি। একেবারে ‘র’ লোকেশনে আমরা শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সিনেমাটির একটা বড় অংশ জুড়ে থাকবে নৌকা বাইচ। টানা শুটিংয়ের মাধ্যমে কাজ শেষের ইচ্ছে আছে।
সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন খোরশেদ আলম খসরু। মিউজিক করছেন কুমার বিশ্বজিৎ, হাবিব, শাহ আলম সরকার, ইমন সাহা প্রমুখ।
পরিচালক এস এ হক অলিক বলেন, অনেকটা দুর্গম এলাকায় শুটিং হবে। ওই অঞ্চলে আগে কখনই কোনো সিনেমার শুটিং হয়নি। একেবারে ‘র’ লোকেশনে আমরা শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সিনেমাটির একটা বড় অংশ জুড়ে থাকবে নৌকা বাইচ।
সিনেমাতে নায়ককে এমন লুকে হাজির করা হবে যা তার ক্যারিয়ারে আগে কখনই দেখা যায়নি। সবমিলিয়ে চেষ্টা করছি অসাধারণ কিছু দর্শকদের উপহার দেয়ার বলে জানান তিনি।
সরকারি অনুদানের সিনেমা হলেও আয়োজনে কোনো কমতি রাখছেন না প্রযোজক খসরু। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় গ্রামাঞ্চলে উৎসব বিরাজ করেন, সেসব কিছু তুলে আনা হবে গলুইতে – বলেন এস এ হক অলিক।
তিনি বলেন, ‘গলুই’ মানে নৌকার গলুই। নৌকার সঙ্গে জীবন, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক, পরিবার, রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা মিলিয়ে একটা জীবন ধারা। এরমধ্যে প্রেম, টানাপোড়েন, বন্ধন – পুরো সিনেমার মধ্যে থাকবে। সেজন্যই এর নাম ‘গলুই’।
এস এ হক অলিক বলেন, নৌকার একপ্রান্তে থাকে মাঝির আসন, অন্যপ্রান্তের নিশানা যদি ঠিক না থাকে – তাহলে নৌকা কিন্তু এদিক সেদিক করবে। জীবনটাও কিন্তু তাই। পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে একজন যদি একটু এদিক সেদিক হয়, তাহলে সংসারটা কিন্তু ঠিকঠাক চলে না। এদিক সেদিক হয়ে যায়। গলুইয়ের দার্শনিক জায়গাটা কিন্তু এটা।
সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন খোরশেদ আলম খসরু। তিনি জানিয়েছেন, গলুই হবে ভিন্নধারার বাণিজ্যিক সিনেমা।
একতার কণ্ঠঃ বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মসজিদ মার্কেটের সামনে বৃহস্পতিবার(১৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে ২৬ গ্রাম হেরোইনসহ মো. বদরুল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
অভিযানে গ্রেফতারকৃত মো. বদরুল(৩০) চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা সদরের ঘটাপাড়া এলাকার মো. এনামুল হকের ছেলে।
র্যাব-১২ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের(জি) বিএন নেতৃত্বে একদল র্যাব অভিযান চালায়। অভিযানে প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ২৬ গ্রাম হোরোইন সহ মো. বদরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত বদরুলের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে লৌহজং নদীতে গোসল করতে গিয়ে সেতু থেকে লাফ দিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র শান্ত খানের(১৬) মৃত্যু হয়েছে। শান্ত মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের নতুন কহেলা গ্রামের শফিনুর রহমান খানের ছেলে। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুুরি দল নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। সে ধামরাই উপজেলার রাজাপুর কহেলা বাহারাম মল্লিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্ত খান তার চার সহপাঠি একই এলাকার আলিফ, আনাম, বিবেক ও নাদিমের সাথে পাশ্ববর্তী চর রাজাপুর এলাকায় একটি সেতুর নিকট গোসল করতে যায়। এক পর্যায়ে সকল বন্ধুরা মিলে সেতু থেকে লাফিয়ে পানিতে পড়ে গোসল করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে শান্ত খান সেতু থেকে লাফিয়ে পানিতে পড়ে। এ সময় সে হাত দিয়ে কিছু একটা ইশারা করে পানিতে তলিয়ে যায়।
এমন দৃশ্য দেখে অন্য বন্ধুরা সেতু থেকে লাফ না দিয়ে নদীর স্রোতের ভাটিতে তাকে খুজতে থাকে। পরে স্বজনদের জানালে তারা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি অবগত করেন। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুুরিদল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেলে শান্তর মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় নদীর দুই পারে শত শত মানুষের ভিড় জমে।
একতার কণ্ঠঃ প্রশস্ত হচ্ছে টাঙ্গাইল-কালামপুর সড়ক। এ জন্য ‘টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার-লাউহাটি-সাটুরিয়া-কাওয়ালীপাড়া-কালামপুর বাসস্ট্যান্ড সড়ক আঞ্চলিক মহাসড়কের যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে, এক হাজার ৪৩৫ কোটি ৮৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে টাঙ্গাইল, দেলদুয়ার, নাগরপুর, ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার সাথে মানিকগঞ্জ ও ঢাকার মধ্যে স্বল্পতম সময়ে নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। এছাড়া প্রকল্প এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধিত হবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে টাঙ্গাইল, দেলদুয়ার, নাগপুর, ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার সাথে মানিকগঞ্জ ও ঢাকার মধ্যে স্বল্পতম সময়ে নিরবিচ্ছিন্ন ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর।
প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, দেলদুয়ার-লাউহাটি-সাটুরিয়া (বালিয়াটি) সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা মহাসড়ক। যেটি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা থেকে শুরু হয়ে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি নামক স্থানে সমাপ্ত হয়েছে। জেলা মহাসড়কটির ঢাকা-টাঙ্গাইল জাতীয় মহাসড়ক এবং ঢাকা আরিচা জাতীয় মহাসড়কের মধ্যে ন্যূনতম সময়ে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করেছে। উল্লিখিত মহাসড়কটিকে আঞ্চলিক মহাসড়কের যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় নির্মাণ করা হলে নাগপুরসহ টাঙ্গাইল অঞ্চলের মানুষ প্রায় ৪০ কিলোমিটার কম দূরত্ব অতিক্রম করে সহজে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবে।
এছাড়া টাঙ্গাইল জেলার সঙ্গে মানিকগঞ্জ জেলার মধ্যে ন্যূনতম সময়ে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা সম্ভব হবে। ২৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ দেলদুয়ার-লাউহাটি-সাটুরিয়া জেলা মহাসড়কটির সঙ্গে মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন গোলড়া-সাটুরিয়া জেলা মহাসড়কের ২ দশমিক ২৬ কিলোমিটার কাওয়ালিপাড়া-সাটুরিয়া জেলা মহাসড়কের ৪ দশমিক ২৪ কিলোমিটার, কালামপুর বাসস্ট্যান্ড-কাওয়ালিপাড়া-বালিয়া-ওয়ার্শি-মিজৃাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ১০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, নতুন সড়ক নির্মাণ, বাঁকসরলীকরণ ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার ও টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগাধীন টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার জেলা মহাসড়ক ১১ কিলোমিটারসহ মোট ৫টি মহাসড়কের ৬১ দশমিক ৫২ কিলোমিটার অংশকে একীভূত করে কালামপুর থেকে কাওয়ালীপাড়া, সাটুরিয়া, লাউহাটি, দেলদুয়ার হয়ে টাঙ্গাইল পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক মানে উন্নীতকরণ করা হলে নিরাপদ ও উন্নত সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
প্রস্তাবিত প্রকল্পে টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার-লাউহাটি-সাটুরিয়া-কাওয়ালীপাড়া-কালামপুর বাসস্ট্যান্ড সড়কটিকে আঞ্চলিক মহাসড়কের যথাযথমানে উন্নীত করার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে ৬১ দশমিক ৫২ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তশরণ ও মজবুতিকরণ, দূর্ঘটনা প্রবণ ঝুকিপূর্ণ স্থানে সড়ক বাঁক সরলীকরণ, বাজার এলাকায় রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণ, ঝুকিপূর্ণ, ক্ষতিগ্রস্ত ও সরু সেতু কালভার্টের স্থলে ৪৪৬ মিটার ৩১টি কালভার্ট এবং ৩৮১ দশমিক ১৪ মিটার ৫টি সেতু পুনঃনির্মাণ করা হবে। এছাড়া পানি নির্গমনের জন্য ড্রেন ও সড়ক বাধ রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় রক্ষাপ্রদ কাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জের বিশাল জনপদে যোগাযোগের জন্য এটিই হবে মূল সড়ক এবং এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মূলত এই সড়কটিকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হবে। প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার অধিকাংশ মানুষ পেশায় কৃষক এবং ব্যবসায়ী। তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এবং অন্যান্য দ্রব্যাদিও দ্রুত ও সহজে পরিবহনের জন্য প্রস্তাবিত সড়কটি ব্যবহৃত হবে।
প্রকল্পের আওতায় মূল কার্যক্রমগুলো হচ্ছে, পেভমেন্ট প্রশস্তশরণ ও মজবুতিকরণ, ওভারলে সার্ফেসিং, সার্ফেসিং, গ্রেড সেপারেটেড ইন্টারসেকশন নির্মাণ, ইউ লুপ, আন্ডারপাস, আরসিসি রিজিড পেভমেন্ট, সসার ড্রেন এবং আরসিসি রিটেননিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে।
এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন আল রশীদ বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে টাঙ্গাইল, দেলদুয়ার, নাগরপুর, ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার সাথে মানিকগঞ্জ ও ঢাকার মধ্যে স্বল্পতম সময়ে নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। এছাড়া প্রকল্প এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধিত হবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে পানি ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলের কাঁচা-পাকা রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকে পাহাড়িয়া এলাকায় আত্মীয়ের বাড়ি ও উঁচু সড়কের পাশে আশ্রয় নিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। অধিকাংশ এলাকায় পানীয় জল ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় মাত্র ৪০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দিয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, জেলার ভূঞাপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন, কালিহাতী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের ৭টি, নাগরপুর উপজেলার ৯টি, বাসাইল পৌরসভা সহ সবকটি(৬টি) ইউনিয়ন, মির্জাপুর ৪টি ও দেলদুয়ার উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে খাল, বিল, নদী ও বাড়ির আঙিনা পানিতে থই থই করছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধের উত্তর-পূর্বাংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাছ বেথইর এলাকায় বাঁধের ১০০মিটারে ভাঙনের কবলে পড়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। ওই এলাকা দিয়ে পানি প্রবেশ করলে টাঙ্গাইল শহরে পানি ঢুকে পড়বে। এছাড়া যমুনায় ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর ও নাগরপুর অংশে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বন্যার পানিতে টাঙ্গাইল-পটলবাজার, টাঙ্গাইল-কাকুয়া, এলেঙ্গা-মগড়া, ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী বাজার থেকে ভালকুটিয়া পর্যন্ত পাকা সড়ক, বাসাইল পৌরসভার একটি ব্রিজ ও কাঞ্চনপুরের গ্রোথ সেণ্টার-কাজিরাপাড়া সড়কে কালভার্ট প্রবল স্রোতে ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এসব এলাকার কাঁচা-পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওইসব এলাকায় এখনও লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এবার ৮৯ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়। এরমধ্যে ৭৯০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
এদিকে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও ধলেশ্বরী, ঝিনাই সহ অভ্যন্তরীণ সব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৭ সেণ্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৮ সেণ্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৯২ সেণ্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা জানান, জেলার ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর ও নাগরপুর এ চারটি উপজেলার বন্যা দুর্গতদের জন্য ৪০ মে.টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের জন্য প্রতিটি উপজেলায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তালিকা পেলে যথাস্থানে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাশার জানান, চলতি বন্যার পানি এক সপ্তাহের মধ্যে নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত ৭৯০ হেক্টর জমির রোপাআমনের ৫০-৬০ ভাগ ধান রক্ষা পেতে পারে। তিনি জানান, পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে নাভি জাতের আমন রোপনের জন্য তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রণোদনার পাশাপাশি আগাম রবিশস্য চাষে সহায়তা দিয়ে তারা ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, বন্যায় পানি বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জেলার ৮০ কিলোমিটার নদী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তুলনামূলকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পানি কমে গেলে স্থায়ীভাবে নদী তীর সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে টাঙ্গাইলের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার(২৬ আগস্ট) সকালে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৭ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া জেলার ধলেশ্বরীতে ৪ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৩ সেণ্টিমিটার এবং ঝিনাই নদীর পানি ৯ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে এ তথ্য জানাগেছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) জানায়, গত দুই দিন যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকার পর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের করণে জেলার অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। ফলে জেলার চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল ও অভ্যন্তরীণ নদী তীরবর্তী এলাকার ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, কালিহাতী, বাসাইল, ভূঞাপুর, মির্জাপুর, বাসাইল ও নাগরপুর উপজেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। কোথাও কোথাও নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
টাঙ্গাইল পাউবো ও কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে পানি বাড়লেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে পানি বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীসহ জেলার সব নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নদীর পানি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের ছিটমামুদপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার(২৬ আগস্ট) ভোরে ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের কামড়ে আশিক(২১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত আশিক ছিটমামুদপুর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে।
নিহতের চাচা শওকত হোসেন জানান, বুধবার রাতের খাবার শেষে আশিক প্রতিদিনের ন্যায় নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমন্ত অবস্থায় গভীর রাতে তাকে সাপে কামড় দেয়। পরে রাতেই তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক জানান, সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যুর বিষয়ে থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আইনী প্রক্রিয়া শেষে আশিকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ স্ত্রী ডিভোর্সের পর দুধ দিয়ে গোসল করলেন আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন অমিত রাজ নামে এক আওয়ামী যুবলীগ নেতা। দাম্পত্য কলহের জের ধরে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়। ডিভোর্সের পর যুবলীগ নেতার দাদী মোনোয়ারা বেগম অমিত রাজকে দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে দেন। স্ত্রীকে ডিভোর্সের পর দুধ দিয়ে গোসল করার ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের পাশাপাশি নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার(২১ আগস্ট) টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামে। অমিত রাজ ওই গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে ও ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সক্রিয় সদস্য।
অমিত রাজ মুঠোফোনে জানান, তার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে তিন মাস আগে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেছিলেন। কিছুদিন পর তার পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী ফিরে এসে তার পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন। শনিবার(২১ আগস্ট) ডিবি কার্যালয়ে বসে দেনমোহরের ৩ লাখ টাকার পরিশোধের বিনিময়ে তাদের ডিভোর্স হয়। এরপর তিনি তিন বছরের ছেলেকে বুঝে নিয়ে বাড়ি ফিরে এসে দুধ দিয়ে গোসল করেন।
তিনি আরও জানান, প্রেম করার পর প্রেমিকাকে বিয়ে করেও সুখী হতে না পারার ব্যর্থতায় তিনি ডিভোর্স করেছেন।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে সামিয়া আক্তার (৪) ও সিফাত মিয়া (৫) নামে দুই চাচাতো ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।বুধবার (১১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত সামিয়া থলপাড়া গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের মেয়ে ও সিফাত একই গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই-বোন।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে বাড়ির পাশেই খেলা করছিল শিশু সামিয়া ও সিফাত। খেলতে খেলতে বাড়ির পাশে পাকা রাস্তায় চলে গেলে পাশেই পুকুরে পড়ে যায় তারা। কিছুক্ষণ পর বাড়ির লোকজন তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কোথাও না পেয়ে পুকুরে খুঁজতে নামেন তাদের পরিবার সহ বেশ কয়েক জন গ্রামবাসী। পরে জাল ফেলে বেলা ১১টার দিকে তাদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়া কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
একতার কণ্ঠঃ রাত পোহালেই ঈদ। কর্মস্থল ছুটি হওয়ায় নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এতে করে মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষের চাপে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় উত্তরবঙ্গমুখী লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ভোর রাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আশেকপুর বাইপাস পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সকালে মহাসড়কের ঘারিন্দা, রাবনা, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পৌলি ও এলেঙ্গা এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। মাঝে মাঝে ঢাকামুখী লেনে গাড়ি চললেও উত্তরবঙ্গমুখী গাড়ি আটকে রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে। গণপরিবহন চললেও অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছেন। এ ছাড়াও ঘরমুখো মানুষদের তেমন স্বাস্থ্যবিধি মানতেও দেখা যায়নি।
যানজটের কারণে চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ভোগান্তি চরমে । এছাড়াও গরু নিয়ে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করা ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বেকায়দায়। সড়কেই কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
এলেঙ্গা গ্যাস পাম্পে কথা হয় শ্যামলী পরিবহনের চালক মিজানুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের চার কিলোমিটার আসতে আমাকে আড়াই ঘণ্টা যাবত বসে থাকতে হচ্ছে।
ট্রাক চালক হায়দার আলী বলেন, সোমবার(১৯ জুলাই) সন্ধা সাড়ে ৭ টায় গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে রওনাহয়েছেন। টাঙ্গাইলের পৌলি পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার আসতে ১২ ঘণ্টা লেগেছে তার।
মাইক্রোবাস চালক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এলেঙ্গাতে পৌনে দুই ঘণ্টা যাবত আটকে আছি। শুনতেছি সেতু পর্যন্ত জ্যাম। খাওয়া নাই, ঘুম নাই— সব মিলে খুব কষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইয়াসির আরাফাত ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা ওসি শফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদেরসাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
জেলা পুলিশ বিভাগ সূত্র জানায়, ঈদে যানজট নিরসনে মহাসড়কে ৬০৩ জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়া দুই শতাধিক হাইওয়ে পুলিশও রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল ও মির্জাপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের ‘পৌরসভা প্রশাসন অবহিতকরণ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ মঙ্গলবার(২৯ জুন) বিকালে সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আয়োজিত প্রশিক্ষণে কোর্স সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম।
এর আগে সোমবার(২৮ জুন) টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, এনআইএলজি’র মহাপরিচালক(অতিরিক্ত সচিব) সালেহ আহমেদ মোজাফফর।
এ সময় টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণে টাঙ্গাইল ও মির্জাপুর পৌরসভার ৩৬ জন কাউন্সিলর অংশগ্রহন করেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। যা শতকরা ৪৩ দশমিক ২৮শতাংশ । এ ছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউপি চেয়্যারম্যন মৃত্যু বরণ করেছেন ।টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য মতে, আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৮২ জন, কালিহাতীতে ৩৪ জন, মির্জাপুরে ৯ জন, দেলদুয়ারে ৪ জন, ধনবাড়িতে ১৪ জন ও ভূঞাপুরে ২ জন রয়েছেন।
এ নিয়ে শুক্রবার( ১৮ জুন) সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৫৯৭০ জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ৪৩৮৬ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৪৮ জন। মোট কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৫১৬৪ জন।এ পর্যন্ত সর্বমোট মৃত্যু ৯৬ জন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোঃ শাহাবুদ্দিন জানান, গত একমাসে জেলায় করোনা ভাইরাসের প্রকপ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহ যাবৎ ৩০ ভাগের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আমরা কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। আগামী রবিবার( ২০ জুন) মিটিং এর মাধ্যমে লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, ঘাটাইল উপজেলার নাটশালা নিবাসী ৬ নং দিঘলকান্দী ইউনিয়নের দুইবারের সফল বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শুক্রবার বেলা আনুমানিক ১১টার সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।