একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ট্রাকচাপায় রুপম খান (১৮) ও নিশাত খান (১৮) নামের দুই কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন।
রোববার (২০ মার্চ) বিকেলে মির্জাপুর-বালিয়া আঞ্চলিক সড়কের ঘুঘী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চালক আজিজুল হককে আটক করে পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করেছে।
রুপম খান উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের সাফর্তা গ্রামের রমিনুর রহমান খানের ছেলে ও নিশাত খান একই গ্রামের খোকন খানের ছেলে। তারা মির্জাপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ জানায়, বিকেলে রুপম তার বন্ধু নিশাতকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে মির্জাপুরের দিকে রওনা দেন। পথে মির্জাপুর-বালিয়া আঞ্চলিক সড়কের ওই স্থানে পৌঁছার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুত গতির ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে রুপম খান নিহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নিশাত খানকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত আটটার দিকে তিনি মারা যান।
মির্জাপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আলম চাঁদ বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সন্ত্রাসীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার(১২ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ও কৃষিবিদ দুলাল মিয়া বলেন, টাংগাইলের মির্জাপুর উপজেলার সিংজুরী গ্রামের আশুতোষ সরকার, গৌড় চন্দ্র সরকার এবং নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় ভাতগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম ও ইউপি মেম্বার নাজিম উদ্দিন সহকারে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র গড়ে উঠেছে যা,দেশব্যাপী সাংগঠনিক আকারে বিরাজমান।এই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছে সিংজুরী গ্রামে দুলাল সিকদার, সানোয়ার হোসেন, রতন বিশ্বাস, রফিক মিয়া, বাচ্চু মিয়া, বাদশা মিয়া, লাভলী বেগম, বাছিরণ বেগম, শিপ্রা বিশ্বাস, সন্তোষ সরকার, সন্তোষ সরকার বিএসসি, মনীন্দ্রনাথ সরকার,দীনেশ সরকার, শদু মিয়া, পরীক্ষিত সরকার, করুনা সরকার, শামছুল আলম, চাঁন মিয়া খানসামা, বাবুল খানসামা, আব্দুর রহমান প্রমুখ।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন,এই সকল সন্ত্রাসীরা নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী একজন আরেকজনের সহিত আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ, কিছু সংখ্যক আত্মীয়তার সূত্র ধরে অন্য গ্রাম থেকে সিংজুরী গ্রামে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। সমাজ ও নৈতিকতা বিরোধী কাজের জন্য ইতোপূর্বে এদের অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক গ্রাম্য সালিস হয়েছে, অনেকের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে।
এমনকি এদের অনেকে অবৈধ ড্রেজার ব্যবসার সাথে জড়িত। এই সব ব্যক্তিগণ একাধিক অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে স্থানীয় নিরীহ কৃষক ও মুদি দোকানদার মেছের আলীর জমি বেআইনীভাবে স্থানীয় রতন বিশ্বাস কে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বাধ্য করতে মেছের আলীসহ আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে। ক্রয়সূত্রে রেজিস্ট্রি দলিলমূলে বিগত ২৭ বছর যাবত ভোগদখলরত অবস্থায় মেছের আলী বাদী হয়ে ২০২১ সালে ৪ মার্চ ও ৩১ মার্চ ভূমি বিষয়ে ১৪৪ ধারা ও ঘোষণামূলক মোকদ্দমা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক দখলাবস্থা বজায় রাখার আদেশ হয় এবং ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল মির্জাপুর থানা কর্তৃক শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নোটিশ জারী করা হয়। মেছের আলীর দায়েরকৃত ১১৫/২১ নং ঘোষণামূলক মোকদ্দমায় বাদীপক্ষে মেছের আলীর দীর্ঘকাল ব্যাপী ভোগদখল বিদ্যমান মর্মে ২০২১ সালের ২৮ অক্টোম্বর তারিখে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক স্থিতিবস্থা আদেশ হয়। সন্ত্রাসীরা রতন বিশ্বাস কে বাদী করিয়ে ২০২১ সালের ২৪ মার্চ হুমকির একটা মিথ্যা মামলা দায়ের করায়, উক্ত মামলায় গত ১৪/০২/২০২২ ইং তারিখে মেছের আলী সহ চারজন অব্যাহতি পেয়েছে।
বিজ্ঞ আদালতের আদেশ এবং মির্জাপুর থানার নোটিশ অমান্য করে ২০২১ সালে ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র, অবৈধ সমাবেশ, হুমকি, দোকান ভাংচুর ও দোকানবন্ধ, একঘরে করণ, ঈদের নামাজ ও কোরবানী নিষিদ্ধকরণ, চুরি, ডাকাতি, চাদাদাবী, হামলা, মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও মানববন্ধনের নামে মিথ্যাচার,সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, শতভাগ মিথ্যা তথ্য সংবাদপত্রে প্রকাশিত করা সহ বহুমুখী অপরাধ করে আসছে। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, তাদের অপকৌশল কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। পাঁচবারের সকল তদন্তে মেছের আলীর দাবি ও অভিযোগের সত্যতা মিলে, নামজারী ও তদন্ত প্রতিবেদনসহ ভূমি বিষয়ক কর্মকর্তার চারটি প্রতিবেদন ও চারটি মামলায় বিজ্ঞ আদালতের আদেশ মেছের আলীর পক্ষে। থানার দুটি তদেেন্ত আসামীরা তাদের অপকর্মের স্বীকারোক্তি প্রদান করে আপোস মীমাংসার অজুহাতে আসামীরা ষড়যন্ত্র করে ধারাবাহিক অপরাধ করেছে।
তিনি আরো বলেন,সন্ত্রাসীদের অপকর্ম, মিথ্যাচার ও প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে গত ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে টাংগাইল প্রেসক্লাবে ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে আমি বিবৃতি প্রদান করি যার সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলন ও প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীরা হুমকি দেয় যে তারা মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে পরবর্তী উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করবে। প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে ২ মে, ২০২১ থেকে বন্ধ মুদি দোকানের ডিসেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করেও নিরুপায় হয়ে সিংজুরী নতুন ব্রিজ সংলগ্ন ভূমিতে মেছের আলী দোকান চালু করে, গত ০৩ জানুয়ারী রাতে সন্ত্রাসীরা উক্ত দোকানে থাকা সামগ্রী ভাংচুর করে। গত ৫ জানুয়ারী র্যাব, মহাপরিচালক বরাবর মেছের আলী আবেদন করেন।
মেছের আলীর জমিতে যাতে কোনো কৃষি শ্রমিক, ট্রাক্টর প্রবেশ করতে না পারে সেমর্মে আসামীরা এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। আমিসহ মেছের আলী ও তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন কে হয়রানী করার জন্য আসামীরা নিয়মিত ষড়যন্ত্র করছে, হুমকি প্রদান করছে, ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। মির্জাপুর থানায় আপোস মীমাংসার মাধ্যমে রতন বিশ্বাস কে জমির দখল বুঝিয়ে দেবে, অন্যথায় হয়রানীমূলক মামলা দেওয়া হবে মর্মে সন্ত্রাসীদের পক্ষ হতে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
মির্জাপুর থানায় মেছের আলী কর্তৃক দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে আসামীদের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানা কর্তৃক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন মর্মে গত ২৩ ফেব্রয়ারি দ্বিতীয় বারের মতো মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
নিরুপায় ও অসহায় হয়ে মেছের আলী এসবের প্রতিকার চেয়ে গত ২৮ ফেব্রয়ারি দ্বিতীয়বার মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও মহাপরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর বাংলাদেশ বরাবর আবেদন করেছেন। এছাড়াও সরকারের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থা প্রধান বরাবর মেছের আলী একাধিক আবেদন করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, এই সন্ত্রাসীরা বিশেষ অপকৌশল হিসেবে হিন্দু ইজম, হিন্দু আধিপত্য ও সংখ্যা লঘু আইনের প্রচার ঘটিয়ে সিংজুরী নাট মন্দিরে নিয়মিত মিটিং করে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পারিপার্শ্বিক সব তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বহুমুখী অপরাধ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগী মেছের আলী, তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও ছেলে শুকুর আলী।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের জামুর্কী পালপাড়া গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার( ৯ ফেব্রয়ারি) সন্ধ্যায় ওই হামলার ঘটনাটি ঘটে। হামলায় শিশুসহ চারজন আহত হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জামুর্কী ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের শংকর পালের সাথে প্রতিবেশী মৃত সুনীল পালের ছেলে তন্ময় পালের(২২) বাড়ীর সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে।
ওই বিরোধের জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় শংকর পাল বাড়িতে না থাকায় তন্ময় তার মা অনিতা পাল (৪৭) ও একই এলাকার গনেশ পালের ছেলে সুভাষ পালসহ আরো ৪ থেকে ৫জন অজ্ঞাত লোক এসে বাড়িতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে লক্ষাধিক টাকা ও স্বর্নালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ সময় শিশুসহ ৪ জন আহত হয়।
আহতরা হলেন, শংকর পালের স্ত্রী জোসনা পাল (৪৫), ছেলে দুর্জয় পাল (১৮), মেয়ে স্বপ্না পাল (২৩) ও নাতনী অধরা পাল (৫)।
গুরুত্বর আহত জোসনা পালকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মির্জাপুর কুমুদিনি হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বাকী আহতরা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
হামলার শিকার আহত দুর্জয় পাল জানান, বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ থাকায় প্রতিবেশীর আত্নীয় প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের উপর হামলা করে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। হামলার পর আমাদের পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গেছে। বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লুৎফর রহমান বলেন , ঘটনাটি পারিবারিক, বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় ভাবে বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আলম চাঁদ জানান, ঘটনার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় দৈনিক নয়া দিগন্তের কর্মকর্তা মাসুদ রানা নিহত হয়েছেন। রবিবার(৩০ জানুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তার মোটরসাইকেলকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন।
নিহত মাসুদ রানা দৈনিক নয়া দিগন্তে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (মার্কেটিং) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর। তার মা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাসুদ রানা তার বগুড়াস্থ বাড়ি থেকে নিজের মোটরসাইকেল যোগে ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কদিম ধল্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওভারপাসে তার মোটরসাইকেলকে একটি বাস ধাক্কা দেয় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ধাক্কা দেয়া গাড়িটি তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
একতার কন্ঠঃটাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় বুধবার(২৬ জানুয়ারি) পৃথক দুর্ঘটনায় এক মাদ্রাসা ছাত্র ও এক নারী নিহত হয়েছেন।
মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের টাকিয়া কদমা গ্রামের আলী হোসেন ইদ্রিসের ছেলে লামিম (১২) মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে ফিরছিল। এ সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার বাওয়ার রোড এলাকায় দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক জানান, এ ঘটনায় লামিমের নানা উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের ওসমান মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ ওই মামলায় ট্রাকচালক খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া আইনি প্রক্রিয়া শেষে লামিমের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলার কড়াইল গ্রামের ছায়েদ আলীর স্ত্রী মেহের ভানু (৭২) দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু রেল সংযোগ সড়কের উপজেলার ডোকলাহাটী এলাকা পার হচ্ছিলেন। এ সময় পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, মেহের ভানু শ্রবণপ্রতিবন্ধী ছিলেন।
মির্জাপুরের মহেড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার শাহিন মিয়া জানান, তিনি ছুটিতে আছেন। তবে বিষয়টি তিনি শুনেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় ৮৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৩৪১ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান,আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৫২জন, দেলদুয়ার উপজেলায় জন ১, সখীপুর ৪ জন, মির্জাপুরে ৭জন, কালিহাতী ৬ জন, ঘাটাইল ১২ জন ও গোপালপুর উপজেলায় ৩ জন নিয়ে মোট ৮৫ জন। জেলায় শনাক্তের হার শতকরা ২৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
তিনি আরো জানান, এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তে রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩০১ জন। আক্রান্তের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ১৬ হাজার ৬৮৮ জন। জেলায় সর্বমোট মারা গেছে ২৬০ জন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি।
অপরদিকে, টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের তিনজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় গত সোমবার থেকে দুইদিন ধরে নারী ও শিশু আদালতের সকল বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আলী আহমেদ জানান, আদালতের তিনজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার গত দুইদিন সকল বিচারিক কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন এক লাখ চার হাজার ৫৯ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় প্রার্টির (লাঙল প্রতীক) জহিরুল ইসলাম জহির পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৭৩ ভোট। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে মোটরগাড়ি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম নুরু পেয়েছেন দুই হাজার ৪৩৬ ভোট, হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব চৌধুরী পেয়েছেন এক হাজার ৪৫ ভোট এবং ডাব প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রূপা রায় চৌধুরী পেয়েছেন ৪২৮ ভোট।
ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী এ ফলাফলের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে উপনির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। মির্জাপুর পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ৫০১ এবং নারী ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৭ জন।
গত বছর ১৬ নভেম্বর এ আসনে চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহন এবং সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একাব্বর হোসেন মারা যান। এরপর নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণা করে।
এদিকে রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পর বিকেলে সাড়ে ৪টায় কারচুপির অভিযোগ এনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মো. গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
একতার কণ্ঠঃ জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচনে রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোট শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পর বিকেলে সাড়ে ৪টায় কারচুপির অভিযোগ এনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মো. গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
তার প্রতীক হাতুড়ি।
ভোট শেষে তিনি জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকরা বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার (গোলাম নওজব) এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোটারদের ভোট দিতে বাধ্য করেছেন। এ কারণে তিনি ভোট বর্জন করলেন।
এদিকে সকাল থেকেই সব কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম। এ আসনে তিনি ছাড়াও আরো চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত খান আহমেদ শুভ, জাতীয় পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম জহির (প্রতীক: লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইমরুল ইসলাম নুরু (প্রতীক: মোটরগাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী শ্রীমতি রূপা রায় চৌধুরী (প্রতীক: ডাব)।
গত বছর ১৬ নভেম্বর এ আসনে চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহন এবং সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একাব্বর হোসেন মারা যান। এরপর নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণা করে।
মির্জাপুর একটি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসন। এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ৫০১ এবং নারী ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৮ জন। মোট ১২১টি কেন্দ্রের ৭৫৬ কক্ষে ভোট হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে উপনির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি তেমন লক্ষ্য করা যায়নি।অনেক কেন্দ্রের বাইরে চেয়ার-টেবিলে বসে ভোটারদের ভোট নম্বরে টোকেন দিতে দেখা যায়নি। এছাড়া নৌকার প্রার্থীর এজেন্ট ও নেতাকর্মীদের দেখা গেলেও নির্বাচনে অংশ নেয়া জাপাসহ চারজন প্রার্থীর নেতাকর্মী এবং এজেন্টদের দেখা যায়নি।ফলে কোন উৎসবের আমেজ ছিল না টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ উপনির্বাচনে।
এমনই চিত্র দেখা গেছে মির্জাপুর পৌরসভার পুষ্টকামরী আলহাজ মো. শফি উদ্দিন মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। সকাল আটটা থেকে দুপুর দুই পর্যন্ত ৩১১৪জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৯শ ভোটার ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োজ করেছেন। তবে ওই কেন্দ্রে এক ঘন্টায় ভোট পড়েছে ২০টি।
দেখা গেছে, পৌরসভার পুষ্টকামরী আলহাজ মো. শফি উদ্দিন মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভিতর নির্বাচন সংশিষ্ট কর্মকর্তা, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা এবং নৌকা প্রার্র্র্থীর নেতাকর্মীরা ছাড়া দুই একজন ভোটার ছাড়া তেমন কাউকে দেখা যায়নি। ভোট কক্ষগুলোর ভিতরেও নৌকার এজেন্ট ও কর্মীদের ছাড়া অন্য প্রার্থীর এজেন্ট বা লোকজন দেখা যায়নি। সেখানে ভোট দিতে আসা ভোটাররা অভিযোগ করেন, ভোটে ছাপ দেয়ার আগেই ভিতর থেকে ভোট দিয়ে দিচ্ছে। প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ সদস্য বলেন, সকালের দিকে একজন যুবক ভোট দিতে কেন্দ্রে আসছিল। কিন্তু তার ভোটটি সে দিতে পারেনি। অন্য একজন ভোট দিয়ে দিয়েছে। ওই যুবকটি দলীয় লোকজনের সাথে তর্কাতর্কি করেছিল। নৌকা প্রার্থীর কর্মীরা জানান, এই কেন্দ্রের সব ভোটারের বাড়িতে ভোটের আগের দিন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের ভোটার নম্বরের স্লিপ দিয়ে আসা হয়েছে। যে কারণে বাইরে তেমন মানুষের সরগরম নেই। ফলে চেয়ার টেবিল বসিয়ে ভোটার নম্বর দেয়ার প্রয়োজন নেই।
পৌরসভার পুষ্টকামরী আলহাজ মো. শফি উদ্দিন মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩১১৪জন। সকাল থেকেই ভোটার সংখ্যা কম ছিল। সংসদ নির্বাচনে ভোটের উৎসব নেই। কেন্দ্রের বাইরেও তেমন লোকজন নেই। দুই একজন করে ভোটার এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে।
এদিকে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে জাতীয় পার্টির(লাঙ্গল) প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল হক জহির নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন ইভিএম মেশিনে ভোটারদের জোরপূর্বক নির্দিষ্ট মার্কায় টিপ (চাপ) দিতে বলা হচ্ছে। বেশ কিছু কেন্দ্রে তারা ভোট জোর করে নিচ্ছে। ১২১টি কেন্দ্রে লাঙ্গলের এজেন্ট দেয়া হয়েছে। অনেক কেন্দ্র থেকে এজেন্টেদের বের করে দেয়া হয়েছে। আবার বেশ কিছু কেন্দ্রে এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের মৌখিতভাবে জানানো হয়েছে। সেই সাথে আমার দলের হাই কমান্ডকেও জানানো হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তিতে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। তিনি আরো বলেন, সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম রয়েছে। এছাড়া ভোটার নম্বর ছাড়া কাউকে ভোট দেয়া হচ্ছে না যদিও ইভিএমে আইডি কার্ডের নম্বর উঠালেই ভোটারের ছবিসহ তথ্য আসে। তারপরও তারা ভোট দিতে পারছে না। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা জানানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্যা এলাকায় সোমবার(১০ জানুয়ারী) দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে মো. লুৎফুর রহমান(৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃত মো. লুৎফুর রহমান মির্জাপুরের চিতেশ্বরী গ্রামের মো. মাইনুল হকের ছেলে। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানীতে চাকুরিরত।
র্যাব-১২ জানায়, ওষুধ কোম্পানীতে চাকুরির সুবাদে মো. লুৎফুর রহমান জনৈক মহিলার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। প্রেমের এক পর্যায়ে তিনি ওই নারীকে ফুসলিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং তা গোপনে মোবাইলে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে রাখে। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয় এবং ধর্ষণ করে। মো. লুৎফুর রহমান ওই নারীকে নানা সময়ে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্থানে ডেকে নেয়। এতে ওই নারী মানসিকভাবে চাপের মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে ওই নারী টাঙ্গাইল র্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ করেন।
র্যাব-১২ আরও জানায়, অভিযোগ পেয়ে সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে র্যাবের একটি টিম তদন্তে নামে। তারা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাকুল্যা থেকে মো. লুৎফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তার কাছে থাকা ভিডিও ও ছবি জব্দ করা হয়। মো. লুফুর রহমান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে ওই নারীকে ধর্ষণ ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় পর্ণোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় বাস ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও তিন জন। তাৎক্ষণিক নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বাশতৈল ইউনিয়নের তেলিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বাশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সেলিম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সখিপুর থেকে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস তেলিপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলেই দুই জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন জন। তাদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ৭জন।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা ফল ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।
জানা যায়, জেলার মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মাহবুব আলম মল্লিক, গোড়াই ইউনিয়নে হুমায়ুন কবীর, মহেড়া ইউনিয়নে বিভাস সরকার নুপুর, আনাইতারা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জামুর্কী ইউনিয়নে দিএ মতিন, বানাইল ইউনিয়নে আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাশতৈল ইউনিয়নে হেলাল দেওয়ান, ভাতগ্রাম ইউনিয়নে আজহারুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে শহীদুল ইসলাম হেষ্টিং জয়লাভ করেন।
এদিকে, বাসাইল উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আতাউল গনি হাবিব, হাবলা ইউনিয়নে খোরশেদ আলম, কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আল মামুন, ফুলকী ইউনিয়নে শামছুল আলম বিজু জয়লাভ করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ঘাটাইল, বাসাইল ও মির্জাপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়াও সংরক্ষিত ১৪৬ জন এবং সাধারণে ৪৯০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩টি ইউনিয়নে ১৩৪টি কেন্দ্রে ৮৮৭টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে এক লাখ ৬৩ হাজার ৫৩৪ জন পুরুষ ও এক লাখ ৬২ হাজার ২২৬ জন নারী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।