একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ। তিনি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের একমাত্র ছেলে ও দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিবিসিআই’র পরিচালক। ফজলুর রহমান খান ফারুক আওয়ামীলীগের পক্ষে এই আসনে ১৯৭১ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হন।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাহিদুল নবী চৌধুরীর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। এ সময় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এইচ এম কামরুল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি মির্জাপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়েও মনোনয়নপত্র জমা দেন।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের খান আহমেদ শুভ ছাড়াও জাতীয় পার্টির জহিরুল ইসলাম জহির, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রুপা রায় চৌধুরী, বাংলাদেশ বৈরাবরি পার্টি থেকে পীর সৈয়দ আলমগীর হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম ও আরজু মিয়া মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে খান আহমেদ শুভ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট প্রার্থনা করছেন। চায়ের দোকান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্লাব, হাটবাজারে নির্বাচন বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচিত হতে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ভোট প্রার্থনা করছেন। সরকার দলীয় প্রার্থী বর্তমান সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরছেন ভোটারদের মাঝে।
স্থানীয় ভোটার রাশেদ হাসান বলেন, যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবে ও যাকে বিপদে পাশে পাওয়া যাবে এমন ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। অপর ভোটার সফল বনিক বলেন, মির্জাপুরের অদূরে রাজধানী। যিনি মির্জাপুরকে রাজধানীর আদলে সাজাতে পারবেন, তাকে দলমত নির্বিশেষে ভোট দেবেন।
খান আহমেদ শুভ বলেন, ‘জনগণের সেবা ও দেশের উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। দেশের চলমান উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী নৌকাকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। আওয়ামীলীগ থেকে তাকে মনোনীত করায় খান আহমেদ শুভ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ নভেম্বর এই আসনের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ৩০ নভেম্বর এই আসন শূণ্য ঘোষণা করে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৫ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ ডিসেম্বর। আগামী ১৬ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হবে।