একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল পশ্চিমপাড়ার নিজ ঘর থেকে সখিনা বেগম (৪০) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে বাঁশতৈল ফাঁড়ি পুলিশ।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আট বছর আগে ওই নারী তালাকপ্রাপ্ত হয়ে দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করতেন।মেয়ে দু’জনের বিয়ে হওয়াতে প্রবাসী ছেলের বউ নিয়েই ওই বড়িতে থাকতেন তিনি।
মৃত সখিনার মা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে নাই। ওরে মারা হইছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
স্থানীরা জানায়, ছেলের বউ বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সখিনা বাড়িতে একা ছিলেন। এই সুযোগ নিয়ে হয়তো কেউ এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান,খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল
জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্র পাওয়ার অপরাধে ইয়াছিন সিকদার নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা চলাকালে উপজেলার বাঁশতৈল মনসুর আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান তাকে এই সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্ত ইয়াছিন সিকদার উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচগাও গ্রামের কালু সিকদারে ছেলে।
জানা গেছে, ইয়াছিন সিকদারের ছেলে তামিম সিকদার চলতি বছর অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় ওই কেন্দ্র থেকে অংশ নিচ্ছেন। পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টার মধ্যে প্রশ্নপত্র ইয়াসিন সিকদারের মোবাইল ফোনে চলে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি ইউএনও জানতে পারেন। পরে বাঁশতৈল বাজারের নাজিম প্লাজা থেকে ইয়াসিন সিকদারকে মোবাইল ফোনসহ আটক করা হয়। এ সময় তার মোবাইল ফোনে চলমান পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নপত্র দেখতে পান ইউএনও।
এ প্রসঙ্গে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাাম্যমান আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান জানান, ইয়াছিন সিকদারকে পাবলিক পরীক্ষা সমুহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ১১(খ), (গ) ধারা অনুযায়ী ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপরে জামায়াতে ইসলামীর ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকার সৈয়দপুর মঈননগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় ৪০টি জিহাদী বই, চাঁদা জমা-খরচের রেজিস্ট্রার ও একটি টালিখাতা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জামায়াতে ইসলামী গোড়াই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি আরিফ হোসেন (৩৯), গোড়াই হরিপাড়া গ্রামের হাসান আলী মোল্লার ছেলে মো. মুনিরুজ্জামান (৪৬), আজগানা ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন খান (৫১), বগুড়ার ধুনট উপজেলার চিথুলিয়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মো. নুরুজ্জামান (৩৮) ও জয়পুরহাট জেলা সদরের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. মমিনুল (৩০)।
পুলিশ জানায়, সরকারের পতন ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করার লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী সমমনা সংগঠনের ৫০/৬০ জন নেতাকর্মী সৈয়দপুর মঈননগর এলাকার আরিফ হোসেনের বাড়িতে সমবেত হয়ে সভা করছেন। এমন খবরের ভিত্তিতে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিমের নেতৃত্বে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি আরো জানান।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তানিয়া নামে এক কলেজছাত্রীর নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে ছাড়ায় সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছেন।বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ভাতগ্রাম ইউনিয়নের সিংজুরী গ্রামে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
তানিয়া সিংজুরী গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে এবং মির্জাপুর মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী ছিল।
পারিবারিক সূত্র জানায়, একই ইউনিয়নের বুড়িহাটি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সুজন (২৪) প্রেমের ফাঁদে ফেলে তানিয়ার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। গোপনে তা ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তানিয়ার কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া কলেজে যাওয়া আসার পথে আরও টাকার জন্য তাকে মারধর করাসহ নানাভাবে ভয় ও হয়রানি করত তানিয়াকে। গত পনের দিন আগে ওই ভিডিওটি ‘লোকাল সাফি’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়লে তানিয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এক পর্যায়ে বুধবার বিকালে তিনি সুইসাইড় নোট লেখে তাদের বসত ঘরে গলায় উড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এদিকে তানিয়ার আত্মহত্যার খবর জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত সুজন গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তানিয়ার বাবা হারুন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, গত পনের দিন আগে তার মেয়ে কলেজ থেকে ফেরার পথে সিংজুরী ব্রিজের কাছে তানিয়াকে আটকিয়ে মারপিট করে সুজন। পরে খবর পেয়ে আমরা সুজনকে আটকে রাখি। ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম বাদশা এসে সুজনকে সর্তক করে তার বাবা-মার কাছে দিয়ে দেন। কিন্ত তারপরও সুজন তানিয়াকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে।
জাহাঙ্গীর আলম বাদশা মেম্বারের সঙ্গে কথা হলে তিনি এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
তানিয়ার বড় ভাই ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আবু তালেব অভিযোগ করে বলেন, ভিডিও ছাড়ার আগে হিলারি নামে তার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ফুফাতো বোনের কাছে সুজন হুমকি দিয়ে এসএমএস পাঠায়। তাতে সে লেখে ‘তানি এখন বেশি বুঝল, ওর মরণ আছে’। এরপর ‘লোকাল সাফি’ আইডি থেকে ওই ডিডিও ছেড়ে দিলে তানিয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ গিয়ে তানিয়ার মরদেহ থানায় নিয়ে আসে।
সুইসাইড় নোট: ‘আমারে তুমরা সবাই মাফ কইরা দিও, আমার জন্য তুমাগো অনেক মান সম্মান নষ্ট হইছে, আমি চাই না তুমাগো আরো মান সম্মান নষ্ট হক। তোমরা জানো না ঐতি কি কি করছে আমার সাথে। আমের জোর কইরা ধর্ষণ করছে। তারপর আমার ছবি তুইলা সেই ছবি দিয়া আমার কাছে থাইক দেড় লাখ টাকার জিনিস নিছে।’
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, তানিয়া নামে ওই কলেজ ছাত্রী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। একটি সুইসাইড় নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আত্মহত্যার কারণ উদঘাটন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর রেল স্টেশন এলাকায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক অজ্ঞাত যুবকের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে দুটি ট্রেনের ক্রসিংয়ের সময় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন মির্জাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান।
রেল কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় মির্জাপুর রেল স্টেশনে টাঙ্গাইল কমিউটার ও ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি ও ক্রসিং হয়। এ সময় টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার সময় স্টেশন এলাকায়ই এক যুবক ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাকলাইন জানান, সংবাদ পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মির্জাপুর রেল স্টেশন থেকে নিহতের লাশটি উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
তিনি আরো জানান, লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তুচ্ছ ঘটনায় হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করায় ডিএম সালমান (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে
নিহত সালমান উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের কুড়াতলী গ্রামের শামসুল দেওয়ানের ছেলে। সে গল্লী জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
স্বজনরা জানান, সালমানের বন্ধু চুকুরিয়া গ্রামের আলামীন একই এলাকার শফিকের দোকানে তাকে সঙ্গে নিয়ে বিকাশের মাধ্যমে কিছু টাকা লেনদেন করে। আলামীন পরে টাকা দেয়ার কথা থাকলেও সে টাকা না দিয়ে গা ঢাকা দেয়। বুধবার (৩১ আগস্ট) সকালে শফিক সালমানের কাছে টাকা দাবি করে। এতে সালমান টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ওইদিন বিকেলে শফিক সালমানকে ডেকে এলাকার মাতব্বর সেকেন্দার সিকদারের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সেকেন্দার, সাইফুল, লতিফ, শফিক সালমানকে কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। রাতের কোনো একসময় সালমান ওই এলাকার মামুন তালুকদার নামে এক ব্যক্তিকে মোবাইল ফোনে কল করে তাকে উদ্ধার করতে বলে। মামুন রাতেই তাকে উদ্ধার করে তার কাছে রাখে।’
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে সালমান বাড়ি ফিরে ইঁদুরের বিষ পান করে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে আবার মামুনের সঙ্গে দেখা হলে সে বিষ পান করেছে বলে জানায়। পরে তাকে প্রথমে উপজেলার জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে সালমানের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
সালমানের মামাতো ভাই জামুর্কী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জ্বল হোসেন খান বলেন, ‘সদা হাস্যোজ্জ্বল ও বিনয়ী সালমানকে যারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে, তাদের উপযুক্ত বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দাবি করছি।’
মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাইদ বলেন, কুমুদিনী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে সালমানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরিবার অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গ্রাম্য সালিশের জেরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী শিফাতকে(১৩) হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে মির্জাপুর থানা পুলিশ।
বুধবার(৩১ আগস্ট) দুপুরে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এ বিষয়ে মাসুদ করিম আরো জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত দুজন ছাড়াও আরও কয়েকজন অংশ নিয়েছিল বলে জানা গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি জানান, নিহত শিফাতের বাবা ওই রাতেই পূর্ব শত্রুতার বিষয়টি উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিবেশী তালেবকে আটক করে পুলিশ।
পরে তার দেওয়া তথ্য অনুসারে একই উপজেলার কাটরা গ্রামের মেহতাবকে (১৮) আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মেহতাব ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছেন। অপরদিকে তালেব সিদ্দিকীকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
প্রকাশ, কয়েক সপ্তাহ আগে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মির্জাপুরের ভাদগ্রাম ইউনিয়নের গোরাইল গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে সিফাতকে মারধর করে হাত ভেঙে দেয় একই গ্রামের তালেব সিদ্দিকী (৬৫) ও তার নাতি হিরণ (২৫)। এ ঘটনায় গ্রাম্য সালিশে তালেব সিদ্দিকীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও তার নাতি হিরণকে ১০টি জুতার বাড়ি মারা হয়।
এরপর গত সোমবার (২৯ আগস্ট)দিনগত রাতে ত্রিমোহিনী মাঝিপাড়া এলাকার একটি ক্ষেতে সিফাতের মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
নিহত শিফাতের বাবা ওই রাতেই পূর্ব শত্রুতার বিষয়টি উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
নিহত সিফাত উপজেলার ভাদগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল দক্ষিনপাড়ার শহিদ মিয়ার ছেলে ও মির্জাপুর সদরের আফাজ উদ্দিন দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সিফাত মিয়া (১৩) নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (২৯ আগস্ট) দিনগত রাত ১২টার দিকে মির্জাপুর পৌর এলাকার ত্রিমোহন মাঝিপাড়া এলাকার একটি ধনচা খেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের এক প্রতিবেশীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সিফাত উপজেলার ভাদগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল দক্ষিনপাড়ার শহিদ মিয়ার ছেলে ও মির্জাপুর সদরের আফাজ উদ্দিন দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
মঙ্গলবার(৩০ আগস্ট)সকালে পুলিশ লাশটি ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানান, সোমবার(২৯ আগস্ট) বিকেলে সিফাত একই গ্রামের বাসিন্দা তার বন্ধু নুরুল আমিনকে নিয়ে মির্জাপুর রেলক্রসিং এলাকায় চটপটি খাচ্ছিলো।
এ সময় দুটি ছেলে এসে কানে কানে সিফাতকে কিছু বলে ডেকে নিয়ে যায়।
এদিকে সন্ধা হলেও সিফাত বাড়ি না ফেরায় তার বাবা মুঠোফোনে বার বার ফোন দেন। কিন্তু রিসিভ না করায় তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে সিফাতের বন্ধু নুরুল আমিনকে ফোন দিলে সে জানায়, সন্ধ্যায় রেলক্রসিং এলাকা থেকে সিফাতের দুই বন্ধু তাকে ডেকে নিয়ে গেছে। গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় অনেক খোঁজাখুজির পর রাত বারোটার দিকে ত্রিমোহন মাঝিপাড়ার একটি ধনচা খেতে তার মরদেহ পরে থাকতে দেখেন। পরে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
সিফাতকে তার পরনের বেল্ট খুলে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া তার মুখে আঘাতের চিহ্ন ও পায়ূপথে একটি ধনচা ঢুকানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সোমবার রাতেই সিফাতের বাবা শহিদ মিয়া মির্জাপুর থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শহিদ মিয়া জানান, গত এক মাস আগে তুচ্ছ ঘটনায় পাশের বাড়ির তালে সিদ্দিকী ও তার নাতি হিরন (২৭) মিলে সিফাতকে বেধরক মারপিট করে তার হাত ভেঙে দেয়। এ ঘটনায় গ্রাম্য শালিসে তালে সিদ্দিকী ও তার নাতিকে দশ হাজার টাকা জরিমানা ও দশটি জুতার বাড়ি মারা হয়। সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সিফাতের প্রতিবেশী তালে সিদ্দিকীকে আটক করেছে।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। সিফাত হত্যাকরীদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুই অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার ( ২৮ আগস্ট) রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চরপাড়া বাইপাস এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- পুষ্টকামুরী সওদাগরপাড়া গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে জুয়েল মিয়া ও পুষ্টকামুরী পূর্বপাড়া গ্রামের ওয়াসি উদ্দিনের ছেলে আতিক।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত দুইজনই পেশায় অটোচালক ছিলেন। তারা একটি নষ্ট অটো মেরামত করে বাড়ি ফেরার পথে পুষ্টকামুরী চরপাড়া বাইপাস পার হওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি বাস তাদের অটোরিকশাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে আতিক ও মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়ার পথে জুয়েলের মৃত্যু হয়।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোল্লা টুটুল জানান, ঘটনাস্থল থেকে বাসটি আটক করার গেলেও চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছেন। নিহতের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরের নিহতদের লাশ দাফনের প্রাক্কালে তাদের পরিবারে শোকের মাতম বইছিলো। দুজনই বিবাহিত ছিলেন। তাদের স্ত্রী সন্তানদের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নিহতদের বাড়িতে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মারিয়া আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার(১৮ আগস্ট) রাতে মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের গোড়াকী গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মারিয়াকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বড় ভাই মারুফ হোসেন।
পুলিশ ও মারিয়ার পরিবার জানান, গত ৭ মাস আগে তরফপুর ইউনিয়নের ডৌহাতলী গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার মেয়ে মারিয়া আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের গোড়াকী গ্রামের বাবর আলী ওরফে বাবু খানের সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছেলে শাকিল খানের সঙ্গে বিয়ে হয়।
বিয়ের কয়েক দিন পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ শুরু হয়। এ নিয়ে শাকিল মাঝে মধ্যে মারিয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। বিয়ের দুই মাস পর শাকিল সিঙ্গাপুর চলে যান। বিদেশ থেকেও শাকিল তার স্ত্রী মারিয়াকে মুঠোফোনে গালিগালাজ করতো।
বৃহস্পতিবার রাতে মারিয়া লাশ তার বসত ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
মারিয়ার বড় ভাই মারুফ হোসেন জানান, রাতে খবর পেয়ে আমরা বোনের বাড়ি গিয়ে দেখি ঘরের দরজা খোলা। মারিয়া ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল কিন্তু পা খাটের মধ্যে ভাঁজ হয়ে আছে।ওরা আমার বোনকে হত্যার পর ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি বোনের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে শাকিল খানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
লতিফপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. আমিন উদ্দিন জানান, শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে মারিয়ার ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে স্বামীর সঙ্গে মারিয়ার কি হয়েছে তা তিনি বলতে পারবেন না।
লতিফপুর ইউপির চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন রনি জানান, পুলিশ মারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. আরিফ তালুকদার জানান, সুরতহাল শেষে মারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ধর্ষণে এক স্কুলছাত্রী (১২) সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। এ ঘটনায় তার দুলাভাই সবুজ মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃত সবুজ মিয়া ঘাটাইল উপজেলার গর্জনা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে।
জানা গেছে, আটককৃত সুবজ প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ে করেন। প্রায় সাত মাস আগে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন তিনি। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ করে সবুজ। পরে ভয় দেখিয়ে এভাবে তাকে আরো চার থেকে পাঁচ বার ধর্ষণ করে। এতে ভুক্তভোগী শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হলেও বাড়ির লোকজন টের পাননি।
এদিকে ভুক্তভোগী শিশুটি অসুস্থ হলে, পরিবারের সদস্যরা অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে দুলাভাই সবুজ তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। পরে পরিবারের লোকজন কৌশলে সবুজকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে আনেন। এর আগে ভুক্তভোগীর বাবা সবুজের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে রাতে পুলিশ শ্বশুরবাড়ি থেকে সবুজকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে সবুজকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শ্যালিকাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। বুধবার সকালে ভুক্তভোগী শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
তিনি আরো জানান,একই সঙ্গে সবুজকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সাংবাদিকদের মাঝে করোনাকালীন সময়ে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে প্রণোদনার(দ্বিতীয় পর্যায়) চেক বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ওই চেক সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক(সার্বিক) আমনুল ইসলামের সভাপতিত্বে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, সহকারী কমিশনার দ্বীপ ভৌমিক প্রমুখ।
এ সময় টাঙ্গাইল সদর ও মির্জাপুর উপজেলার ২২ জন সাংবাদিককে করোনাকালীন প্রণোদনার ১০ হাজার টাকা মূল্যমানের চেক প্রদান করা হয়।