একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি কারাগারে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার(২৪ আগস্ট) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক খন্দকার সাদিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সহিদুর সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার ভাই ও টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ আতাউর রহমান খানের ছেলে। আট মাস ধরে তিনি কারাগারে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত বুধবার (১৮ আগস্ট) বুকে ব্যথা অনুভব করায় সহিদুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর পরীক্ষা–নিরীক্ষায় হৃদ্যন্ত্রে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। তবে থাইরয়েড ও কিডনিতে কিছু সমস্যা পাওয়া যায়। তাঁর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী গতকাল সোমবার করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা নেওয়া হয়। পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ হন তিনি।
টাঙ্গাইল আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, চিকিৎসার জন্য সহিদুরের আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার ও গতকাল সোমবার দুই দফা টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অন্তর্বর্তী জামিন আবেদন করেন। তাঁরা সহিদুরের চিকিৎসার জন্য যেকোনো শর্তে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ দুই দিনই তাঁর আবেদন নামঞ্জুর করেন।
প্রকাশ, ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর গত বছরের ২ ডিসেম্বর সহিদুর টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। তার পর থেকেই তিনি টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে। এ পর্যন্ত ১৩ বার আদালতে জামিন আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন।