/ হোম / এক্সক্লুসিভ
টাঙ্গাইলে সাদপন্থিদের ইজতেমা শুরু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সাদপন্থিদের ইজতেমা শুরু

একতার কণ্ঠঃ সাদপন্থিদের টাঙ্গাইলে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা শুরু হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের বাসাখানপুর মিনি স্টেডিয়াম মাঠে এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পর মাওলানা সৈয়দ আনিসুজ্জামানের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী তাবলিগ জামাতের জেলা ইজতেমা শুরু হয়।

জুমার নামাজে ইমামতি করেন টাঙ্গাইলের মহেড়া পিটিসি মসজিদের মুফতি নিজাম উদ্দিন বকশি। জুমার নামাজ শেষে কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি মাওলানা আরিফুর রহমান বয়ান করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাসাখানপুর মিনি স্টেডিয়াম মাঠজুড়ে বিশাল প্যান্ডেল বানানো হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কয়েক হাজার মুসল্লি সেখানে অবস্থান করছেন। নিরাপত্তার জন্য সেখানে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

মুসল্লি রাসেল আহমেদ বলেন, এবারের ইজতেমাটা অনেক ভালো হবে। অনেক বড় জামাত হয়েছে। একসঙ্গে হাজারো মানুষ নামাজ আদায় করেছে। আমিও এই জায়গায় ভাগিদার হতে এসেছি। আমরা কোনো গ্রুপিং চাই না। সবাই মিলে দিনের কাজ করতে চাই।
আরেক মুসল্লি জাহিদ মিয়া বলেন, শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হয়েছে। এক দিন আগেই আমরা ময়দানে চলে এসেছি। ময়দানে এসে খুবই ভাগ্যবান মনে হচ্ছে নিজেকে।

ইজতেমা পরিচালনা কমিটির সদস্য শামীমুল ইসলাম জানান, ইজতেমায় তাবলিগের মূল শিক্ষা, দাওয়াত ও তওবার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা চলছে। জেলার ১২ উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা এসেছেন।

এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া থেকে নয়জনের একটি দল ইজতেমায় অংশ নিয়েছে। জুমার নামাজে প্রায় ১৫ হাজার মুসুল্লি অংশ নেন। আগামী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে।

এদিকে সাদপন্থিদের ইজতেমাকে পণ্ড করার জন্য শুক্রবার বিকেলে শহরের নিরালা মোড় এলাকায় যোবায়েরপন্থির অনুসারীরা সমবেত হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহাম্মেদ বলেন, জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে তাদের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। নিরাপত্তার জন্য কোনো পুলিশ সদস্যও মোতায়েন করা হয়নি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. নভেম্বর ২০২৪ ০৪:৩৩:এএম ৬ মাস আগে
বসতভিটায় হামাগুড়ি দিয়ে যাতায়াত; ২৮ বছর ধরে দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার - Ekotar Kantho

বসতভিটায় হামাগুড়ি দিয়ে যাতায়াত; ২৮ বছর ধরে দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে হামাগুড়ি দিয়ে নিজ বসতভিটায় পৌঁছাতে হচ্ছে অর্ধশত পরিবারের সদস্যদের। এমন অমানবিক কষ্ট দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত পোহাতে হচ্ছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আওতাধীন করটিয়া ইউনিয়নের নগর জলফৈ গ্রামের উপজেলা সংলগ্ন প্রায় অর্ধশত পরিবারের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখানকার মানুষের বাপ-দাদার বসতভিটেতে মন চাইলেই মাথা উচু করে যাতায়াত করার কোন উপায় নাই। বাড়িতে চলাচলের একমাত্র উপায় হচ্ছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পরিষদের বাউন্ডারি ওয়ালের নীচ দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে। দীর্ঘ ২৮ বছরেও এ সমস্যার সমাধান করতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন এবং ইউনিয়ন পরিষদ।

দীর্ঘদিনের এ দূর্ভোগ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আব্দুল বাতেন খান মনা বলেন, আমরা দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত এ ধরনের অমানবিক এবং মানবেতর জীবনযাপন করে আসছি। সদর উপজেলার বাউন্ডারির নীচের মাটি একটু সরিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে বাড়িতে যেতে হচ্ছেএখানে বসবাসরত নারী পুরুষ সকলের।

তিনি আরও বলেন, এখানে আমরা প্রায় ৫০ টি পরিবার রয়েছি। এখানে আমাদের বাপ-দাদার ভিটেমাটি। বাড়িতে যাতায়াত করার একটি ছোট রাস্তাও না থাকাতে আমাদের সীমাহীন কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। বিশেষ করে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের জন্য উপজেলার বাউন্ডারি জন্য নিচু হয়ে পাড়াপাড় হওয়া কষ্ট সাধ্য হয়ে যায়। আমরা দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

এ বিষয়ে আরেক ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য অরিন খান বলেন, আমাদের এই দূর্ভোগ দেখার কেউ নাই। বিগত বছর গুলোতে কয়েক দফা টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে রাস্তাটির সমস্যা লাঘবের জন্য লিখিত আবেদন দিয়েও কোন কাজ হয়নি। বিগত দিনে উনারা বহুবার আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সমাধান করে দিবেন রাস্তার কাজের একটু অগ্রগতিও হয়েছে কিন্তু কোন এক অজানা কারনে বারবার কাজ থেমে যায়। আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান মজনুকে বার বার অবহিত করার পরেও কোন প্রতিকার পাইনি। আমাদের এই দূর্ভোগ দেখার কেউ নাই। এখানে বসবাসরত পরিবারগুলোর কোনো সদস্য মারা গেলেও মৃত দেহটিও উপজেলার বাউন্ডারির নীচ দিয়ে হামাগুড়ি দিয়েই বের করতে হয়। এর চাইতে বেদনাদায়ক আর কি হতে পারে বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসনের কাছে রাস্তা নির্মানের জন্য উপজেলা কর্তৃক বরাদ্দকৃত জায়গা পুনরায় পরিমাপ করে বুঝিয়ে দিয়ে আমাদের রাস্তা নির্মানে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু বলেন, আমার পক্ষ থেকে আমি রাস্তা দেয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। এখনো যদি আমাকে এ বিষয়ে প্রয়োজন হয় আমি অবশ্যই ভুক্তভোগীদের পাশে থাকবো।

এদিকে সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন শরীফ বলেন, আমি এখন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালন করছি। যতটুকু শুনতে পারলাম বিষয়টি দু:ক্ষজনক। সদর উপজেলায় নতুন ইউএনও খুব শীগ্রই বসবেন। আশা করি, উনি এর সমাধান করবেন। আমার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ন্যায়সঙ্গতভাবে কিছু করার থাকলে আমি অবশ্যই করবো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. নভেম্বর ২০২৪ ০২:৪৭:এএম ৬ মাস আগে
প্রাচীন স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন সলিমাবাদ তেবাড়িয়া জামে মসজিদ - Ekotar Kantho

প্রাচীন স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন সলিমাবাদ তেবাড়িয়া জামে মসজিদ

একতার কন্ঠঃ মসজিদে দান করলেই পূরণ হয় মনের বাসনা এবং পাশের পুকুরে গিয়ে বলে এলেই ভেসে ওঠে পিতলের থালা-বাসন। এছাড়াও রাতের আঁধারে এতে নামাজ পড়তে আসে জ্বীন’রা! এমন সব আলোচিত ধারণা প্রচলিত আছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামে অবস্থিত প্রায় ৪০০ শত বছরের পুরাতন মসজিদকে ঘিরে।

মোঘল আমলে নির্মিত এই মসজিদ ঘিরে রয়েছে নানা রহস্য, যমুনা নদীর ভাঙ্গনে পুরো এলাকা বিলীন হলেও অক্ষত রয়েছে এই অলৌকিক আল্লাহ’র ঘর। নদীর স্রোত আর ঢেউয়ের প্রখরতায় মসজিদটি দোলতে থাকে কিন্তুু ভেঙে যায় না বলে দাবি স্থানীয়দের।

মসজিদটির নির্মাণ লগ্ন থেকে একটি দৃষ্টি নন্দন বড় গম্বুজ সহ চার পাশে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১২ টি মিনার ও উত্তর-দক্ষিন দিকে দুইটি দৃষ্টি নন্দন ঘর রয়েছে। যেখানে বিশ্বাসী জনসাধারণ দাঁড়িয়ে মানত করেন হাঁস-মুরগী ও গরু-ছাগল থেকে শুরু করে স্বর্ণ সহ নগদ টাকার বিনিময়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ তেবাড়িয়া জামে মসজিদ প্রবাহমান যমুনা নদীর কোলঘেষে আনুমানিক ১৬০১ খ্রীষ্টাব্দে ২৫৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে মৃধা বংশোদ্ভূত আব্দুল মালেক খাঁ মৃধা এই মসজিদ নির্মাণ করেন।

যখন এটি নির্মিত হয় তখন মূল ভবনের পাশে একটি বিশাল আকারের জাম গাছে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পণ্যবাহী নৌযান বেধে রাখা হত। তৎকালীন নদী থেকে মসজিদ একটু উচু স্থানে নির্মাণ করা হয়েছিলো, যেখানে সিঁড়ি চড়ে মসজিদে প্রবেশ করা হতো। মসজিদটি নির্মাণ করার পর আব্দুল মালেক খাঁ মৃধা মিম্বারে দাড়িয়ে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে অছিয়ত করে বলেন, ওনার মৃত্যু যে স্থানে হবে তাকে যেন ওইখানে কবর দেওয়া হয় পরবর্তীতে উনি মিম্বার থেকে নেমে যাওয়ার পর পরই তিনি ইন্তেকাল করেন।

পরবর্তীতে মৃধা বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আতিকুর রহমান তালুকদার মসজিদের পশ্চিম দিকের এলাকা থেকে মোট ৩৭ শতাংশ জমি নিজস্ব অর্থায়নে এবং অত্র এলাকার মৃত মোহাম্মদ আতোয়ার খান ১০ শতাংশ ও মৃত আকাজত খা’র ৬ কন্যাদ্বয় ৬ বিঘা জমি মসজিদের নামে দান করেন। উক্ত জমির উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে অর্জিত অর্থ মসজিদের কোষাগারে জমা করা হয়। আরও দেড় বিঘা জমি মোসলেম তালুকদার মসজিদের নামে দান করেছিলেন, যা বিগত কয়েক বছর আগে যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

কথিত আছে, তৎকালীন সময়ে মসজিদের ভিতরে একজন নেককার পরহেজগার ব্যক্তি অবস্থান করতেন উনাকে সবাই পাগল ভাবতেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উনি একজন আল্লাহর ওলি ছিলেন। মসজিদটি যখন প্রবাহমান যমুনা নদীর গ্রাসে বিলীন হতে ছিল তখন উক্ত ব্যক্তি নদীর উপর দিয়ে হেটে মসজিদের পশ্চিম দিকে অনেক দূর পর্যন্ত চলে যান পরবর্তীতে উনাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপর থেকে যমুনা নদী মসজিদ থেকে অনেক দূর পর্যন্ত পশ্চিম দিকে সরে যায়। পরবর্তীতে মসজিদটিতে পর্যায়ক্রমে মুসুল্লিদের নামাজের জন্য সন্মুখভাগে দুইটি ছাদ নির্মাণ করা হয়। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া পূর্বের মিনারটি বর্তমানে মসজিদের উত্তর-পশ্চিম পাশে প্রায় ১০০ ফিট উঁচু করে নির্মাণাধীন আছে। বর্তমানে মসজিদটিতে প্রায় ২,২০০ জন মুসল্লী এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারেন । মসজিদ নির্মাণের পর থেকে মৃধা বংশোদ্ভূত সদস্যরা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। বর্তমানে মুতাওয়াল্লীর দায়িত্তে আছেন মৃধা বংশোদ্ভূত বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. হাফিজ খান তালুকদার এবং সভাপতি হিসেবে আছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আতিকুর রহমান তালুকদার ।

সলিমাবাদ ইউনিয়নের কৃতি সন্তান সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজায়েত হোসেন জানায়,জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরবর্তী পল্লী অঞ্চলে মোগল স্থাপওে নির্মিত মসজিদটি ওয়াকফো বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত। সঠিক ব্যবস্থাপনায় মুসুল্লিদের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিকায়ন সময়ের দাবি।

তেবাড়িয়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. শরিফ খান তালুকদার বলেন, বর্তমানে মসজিদের আরো বেশ কিছু নির্মাণ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যাহা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আতিকুর রহমান মন্টু জানায় দানকৃত জমির পরিমাণ ২৫৩ শতাংশ রয়েছে। জমি দাতার নাম মালেক খান মৃধা। দানকৃত জমি কিছুটা দখলে কম আছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. নভেম্বর ২০২৪ ০১:৫০:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষক নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষক নিহত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে আব্দুল আলীম (৫০) নামে এক কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক নিহত হয়েছেন। এতে আরও কয়েকজন আহত হন।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনাসেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপু্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষক আব্দুল আলীম ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের রাজাপুর চর এলাকার আব্দুল কদ্দুসের ছেলে। বর্তমান ভূঞাপুর পৌরসভার ঘান্টান্দী নতুনপাড়ার বাসিন্দা। তিনি ভূঞাপুর পৌর শহরের প্রভাতী কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক।

কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ও শফিউর রহমান জানান, সকালে টাঙ্গাইল শহরের তার নিজ বাসা থেকে ভূঞাপুরে কর্মস্থলে আসার জন্য টাঙ্গাইল থেকে সিএনজিযোগে রওনা হন তিনি। পথিমধ্যে রসুলপুর এলাকায় পৌঁছলে ঢাকাগামী একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যায়।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ বক্সের (এএসআই) আলমগীর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

উল্লেখ্য, শিক্ষক আব্দুল আলীমের গ্রামের বাড়ী জেলার ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের রাজাপুর চরাঞ্চলেও হলেও তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে স্বপরিবার নিয়ে ভূঞাপুর পৌর শহরের ঘান্টান্দী নতুনপাড়া বসবাস করে আসছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. নভেম্বর ২০২৪ ১২:২৬:এএম ৬ মাস আগে
আমাদের সবার উচিত পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা:পরিবেশ উপদেষ্টা - Ekotar Kantho

আমাদের সবার উচিত পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা:পরিবেশ উপদেষ্টা

একতার কণ্ঠঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রাকৃতিক বনে কিসের সামাজিক বনায়ন, প্রাকৃতিক বনে বন থাকবে। আপনি যদি সামাজিক বনায়ন করেন, তাহলে চুক্তি স্বাক্ষর করেন উপকারভোগীদের সঙ্গে। এরপর সামাজিক বনায়নের গাছগুলো কেটে উপকারভোগীদের মধ্যে টাকা পয়সা বিতরণ করে দেন। বনবিভাগের প্রাথমিক দায়িত্ব টাকা পয়সা বিতরণ করা না। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে প্রাকৃতিক বনকে রক্ষা করা। প্রাকৃতিক বনে আর কোনও সামাজিক বনায়ন হবে না।

বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌর শহরে ব্যুরো বাংলাদেশ মিলনায়তনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিদ্যুৎ অপচয় রোধে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দিনের বেলায় সব লাইট বন্ধ করে দিয়েছি। এই বিদ্যুৎ কোথা থেকে উৎপাদন হয়, কীভাবে হয় তা জানতে হবে। আমরা কেন দিনের বেলায় বিদ্যুৎ অপচয় করব। প্রাকৃতিক আলো থাকার পরেও কেন দিনের বেলায় লাইট জ্বালিয়ে প্রোগ্রাম করব।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী উদ্ধার করা যাচ্ছে না। নদীর নিচে তিন থেকে চার স্তরের পলিথিন পড়ে আছে। এ কারণে সেখানে ড্রেজিং করা সম্ভব না। তাই আমাদের সবার উচিত পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা।

তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষা করা সবাই দায়িত্ব, কারো একার নয়। ক্ষতিকর প্লাষ্টিক বর্জনের পাশাপাশি প্লাস্ট্রিকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। নতুন করে কেউ যেন প্লাস্টিক তৈরি ব্যবস্থাপনায় না যায় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্লাস্ট্রিকের জীবাশ্ম পুড়িয়ে রোধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইটভাটার মাটি কোথা থেকে আসে তার সঠিক তথ্য জানানো এবং পোড়ানো ইট নতুন করে পোড়ানো যাবে না। এক্ষেত্রে অনিয়মকারীদের নিবন্ধন বাতিল করা হবে।

ব্যুরো বাংলাদেশের এইচআরডি অ্যান্ড আইসিটি ডিরেক্টর অপারেশনস ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ফারমিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, আসপাড়া পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন এম এ রশীদ, রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন, সবুজ পৃথিবীর নির্বাহী পরিচালক সহিদ মাহমুদ প্রমুখ।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. নভেম্বর ২০২৪ ০৩:৫০:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে মাদক মামলায় স্বামী-স্ত্রীর কারাদণ্ড - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মাদক মামলায় স্বামী-স্ত্রীর কারাদণ্ড

একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলে মাদক মামলায় স্বামী উজ্জ্বল হোসেন ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

উজ্জ্বল হোসেনকে সাত বছরে কারাদণ্ড এবং সেলিনা আক্তারকে পাঁচ বছরে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।এছাড়া উভয়কে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ মো. নাজিমুদৌলা এই রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আগবেথৈর গ্রামের নাজিমুদ্দিনের ছেলে মো. উজ্জ্বল হোসেন (৩৭) ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার (২৭)।

টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান জানান, টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আগবেথৈর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা বিক্রির সময় উজ্জ্বল ও তার স্ত্রী সেলিনাকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় উজ্জলের দেহ তল্লাশি করে ২০০ এবং সেলিনার কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ হয়। পরদিন টাঙ্গাইল সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হামজা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে ৭ মার্চ উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার মোল্লা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার এ রায় দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে উজ্জ্বল হোসেন কারাগারে থাকলেও স্ত্রী সেলিনা জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. নভেম্বর ২০২৪ ১২:৫৩:এএম ৬ মাস আগে
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন - Ekotar Kantho

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট।

সোমবার(৫ নভেম্বর )বিকেলে শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে এ খেলার আয়োজন করা হয়।

শুরুতেই বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে খেলার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক মো: মাহফুজ রেজার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: ইকবাল মাহমুদ প্রমুখ।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিনবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী খেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং দল ও কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং দল অংশগ্রহণ করেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা খেলাটি উপভোগ করেন।

উল্লেখ্য, এ টুর্নামেন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে, যা তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও ক্রীড়াসম্মত দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. নভেম্বর ২০২৪ ০১:১৪:এএম ৬ মাস আগে
যৌন হয়রানির অভিযোগ, শিক্ষকের আত্মহত্যা - Ekotar Kantho

যৌন হয়রানির অভিযোগ, শিক্ষকের আত্মহত্যা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে দাড়িপাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূরুল ইসলামের (৫৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) তার নিজ বাড়ির রান্না ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নূরুলের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২৭ আগস্ট দাড়িপাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী দাড়িপাকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নূরুলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেয় তারা।

এরপর থেকেই ওই শিক্ষক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। জেলা শিক্ষা কার্যালয় ইতোমধ্যেই প্রাথমিকভাবে অভিযোগের একটি তদন্ত শেষ করেছে। ওই তদন্তের বিরুদ্ধে আপিল করলে বিষয়টি নিয়ে দ্বিতীয়বার তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার ছিল দ্বিতীয় তদন্তের প্রথম দিন।
নূরুল দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলেও আজ উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল।

ওই শিক্ষকের মেয়ে নিপার দাবি, স্থানীয় মোস্তফা কামাল ও খায়রুল ইসলামসহ কয়েকজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা আমার বাবার কাছে টাকা চাইছে, নানানভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। প্রাইমারির ছাত্রীরা মানববন্ধন করতে না চাওয়ায় তারা হাইস্কুলের ছাত্রী এনে পরিকল্পিতভাবে আমার বাবার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এসব মিথ্যা অপবাদ ও হুমকি-ধামকির কারণেই বাবা আত্মহত্যা করেছেন।’

ওই শিক্ষকের স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, খাইরুল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে শিক্ষকসমাজে তাঁকে কলুষিত করেছেন। তাঁর স্বামী তাঁকে বলেছিলেন, ‘এই মুখ আমি কাউরে দেখাব না।’

বিষয়ে খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন তিনি মারা গেছেন। ওনার বিরুদ্ধে এখন আমার কোনো অভিযোগ নেই। তিনি যে আত্মহত্যা করবেন, তা আমার জানা ছিল না। আমি তাঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’

মোস্তফা কামাল জানান, ‌’নূরুল ইসলামের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। আমি এসব কেনো করাতে যাব? কেউ যদি আমার নাম উল্লেখ করে, তা হবে আমার বিরুদ্ধে অযথা ষড়যন্ত্র।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন খান বলেন, ‘ঘটনার পর ওই শিক্ষকের বিষয়ে একটি প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে। মঙ্গলবার দ্বিতীয়বার তদন্তের জন্য তার বিদ্যালয়ে থাকার কথা ছিল।

কিন্তু সকালেই খবর পেলাম তিনি মারা গেছেন। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।’

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের কেউ যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে, আমরা সেই বিষয়ে খোঁজ নেব।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. নভেম্বর ২০২৪ ০১:৪১:এএম ৬ মাস আগে
নাগরপুরে পান চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে জহিরুল - Ekotar Kantho

নাগরপুরে পান চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে জহিরুল

একতার কণ্ঠঃ: আমাদের দেশের মাটি ও আবহাওয়া পান চাষ করার উপযোগী। অন্যদিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন বাণিজ্যিকভাবে পানের চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এই প্রথম পান চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মো.জহিরুল ইসলাম (৩৫)। সে নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের মৃত সরব আলীর ছেলে।

জহিরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায় , প্রায় সাত বছর পূর্বে রাজশাহীতে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সেখানে পান চাষ দেখে অনুপ্রাণিত হন তিনি। পরে আত্মীয়র সহযোগিতায় রাজশাহী থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকায় চার হাজার পানের চারা কিনে এনে ২৫ শতাংশ জমিতে পানের বরজ তৈরি করেন। পর পর দুবার বেশির ভাগ চারা নষ্ট হয়ে যায় এবং ফলন ভালো না হওয়ায় বেশ আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েন। যার কারণে কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েন। তবে হাল ছাড়েননি। রাজশাহীতে কয়েকবার গিয়ে নিজে মাঠে থেকে পান চাষ, যত্ন ও পানগাছ রক্ষার বিষয়ে পানের চাষ করেন এমন কৃষকদের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেন তিনি। পরে বন্ধুদের সহযোগিতায় আবারো শুরু করেন পান চাষ। অবশেষে সফলতা পান তিনি। খরচ দ্বিগুণ হলেও বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় লাভের আশা করছেন তিনি। এরই মধ্যে তার বরজের পান পাতা বড় হয়েছে। বিক্রিও শুরু করেছেন।

তিনি বলেন, ২৫ শতাংশ জমিতে পান চাষে তার মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। প্রতিসপ্তাহে প্রায় ৩ হাজার টাকার পান বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৬৭ হাজার টাকার পান বিক্রি করেছেন। পান চাষের নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে পানগাছের লতা বাড়তি হলে আবার সে লতাগুলো মাটিতে ঢেকে দিতে হয় এখন সেই প্রস্ততি চলছে। সব ঠিকঠাক থাকলে এ বাগান থেকে প্রতিবছর দেড় লাখ টাকার পান বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। জহিরুল ইসলামের অভিযোগ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সে কোন প্রকার পরামর্শ বা সহযোগিতা পায়না।

যদি সরকারের পক্ষ থেকে এই পান চাষের জন্য কৃষি উপকরণ, কৃষি সহায়তা ঔষধ, সার, কীটনাশক পায় তবে পানের উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী।

চাষ পদ্ধতি নিয়ে জহিরুল ইসলাম জানান, পান চাষের উপযুক্ত সময় বাংলা বৈশাখ মাস। তাই বৈশাখের শুরুতেই উঁচু জমিতে সারিবদ্ধ ভাবে পানের চারা রোপন করা হয়। জমি থেকে পানি সহজেই বের হওয়ার জন্য করা হয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা। প্রখর রোদের তাপ থেকে চারা বাঁচাতে বাঁশ ও খড়ের সাহায্যে মাচা দেওয়া হয়। ৬ থেকে ৭ ফুট ওপরে ছাউনি দেওয়া হয়। সপ্তাহে অন্তঃত দু’বার কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। পান গাছের প্রধান খাবার খৈল। যা বর্ষাকালে প্রয়োগ করা হয়। ফাল্গুন চৈত্রে খৈল প্রয়োগ করতে হয় না।

নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরান হোসাইন শাকিল জানান, নাগরপুর উপজেলায় পান চাষে জহিরুল ইসলাম একজন সফল উদ্যোক্তা। পান চাষে জহিরুল ইসলামকে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সকল ধরনের কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। পান যেহেতু অর্থকরী ফসল তাই কৃষি অফিস থেকে জহিরুল ইসলামসহ যারা পান চাষে এগিয়ে আসবে তাদের সার্বিক সহযোগীতা প্রদানে সচেষ্ট থাকবো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. নভেম্বর ২০২৪ ০৩:৩৫:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ২ নারীসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ২ নারীসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ: বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশন এলাকা থেকে সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোরে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা মূল্যের বিক্রি নিষিদ্ধ ফেনসিডিলসহ দুই বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি-উত্তর)।

এছাড়া, টাঙ্গাইল শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কলেজপাড়ায় রবিবার (৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে ১৮৭ গ্রাম হেরোইনসহ দুই নারী বিক্রেতাকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৪) সিপিসি-৩

জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) একটি দল বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে সেতুপূর্ব রেল স্টেশন এলাকায় সোমবার ভোর ৪টার দিকে অভিযান চালায়। অভিযানে একটি কাভার্ডভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা মূল্যের ৩৫০ বোতল বিক্রি নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেনসিডিলসহ দুই বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে। এসময় গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই মাদক ব্যবসায়ী দৌড়ে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ফরহাদ মোল্লার ছেলে মো. চঞ্চল মোল্লা (২৭) ও একই উপজেলার অশ্বীনি কান্ত রায়ের ছেলে খিতিশ চন্দ্র রায়(৩৭)। দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন- লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার রহিম (৪২) ও রংপুর জেলার শামীম (৪৫)।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) অফিসার ইনচার্জ(ওসি )এবিএমএস দোহা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেনের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কের সেতুপূর্ব রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় কাভার্ডভ্যানে মাদকদ্রব্য পরিবহণকালে ৩৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ উল্লিখিত দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও জানান,অন্য দুজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানায় মাদকদ্রব্য। নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে, টাঙ্গাইল শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কলেজপাড়ায় রবিবার (৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে ১৮৭ গ্রাম হেরোইনসহ দুই বিক্রেতাকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৪)। র‌্যাব-১৪ সোমবার দুপুরে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আটক হেরোইন বিক্রেতারা হচ্ছেন- টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার দুল্লা গ্রামের মো. ফরহাদ মিয়ার স্ত্রী শাহিদা আক্তার (৩৬) ও একই এলাকার মো. লিটন মিয়ার স্ত্রী রিতা বেগম ওরফে বানু (৩৮)।

র‌্যাব-১৪ এর সিপিসি-৩ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই চৌধুরি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একদল র‌্যাব শহরের দক্ষিণ কলেজপাড়ার জনৈক রফিক ওসির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৮৭ গ্রাম হেরোইনসহ উল্লিখিত দুই নারী বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরও জানান, অভিযানকালে তাদের কাছে থাকা নগদ দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা, তিনটি অ্যান্ড্রয়েড ও চারটি বাটন মোবাইল ফোনও জব্দ করে। গ্রেপ্তারকৃতদের টাঙ্গাইল সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. নভেম্বর ২০২৪ ০১:৪৬:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ৪ দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুর রহমানের  - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ৪ দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুর রহমানের 

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আব্দুর রহমান (১৫) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র চারদিন যাবত নিখোঁজ রয়েছে। এতে করে চিন্তায় রয়েছে আব্দুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা।

জানা যায়, আব্দুর রহমান উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের হাসড়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের আবুল হোসেন (মুন্সির) ছেলে এবং পার্শ্ববর্তী দারুল ইসলাম মোহাম্মদীয়া বল্লা ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় নিখোঁজ আব্দুর রহমানের বড় ভাই ইব্রাহিম শনিবার(২ নভেম্বর )রাতে কালিহাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

নিখোঁজ আব্দুর রহমানের বড় ভাই ইব্রাহিম জানান, গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে মাদ্রাসা থেকে অন্য ছাত্রদের সাথে হাটতে বের হয় আব্দুর রহমান। মাগরিবের নামাজের পর মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকায় মাদ্রাসা হোস্টেল সুপার ইসলাম হোসেন ফোন করে জানান আব্দুর রহমানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ হওয়ার খবর জানতে পেরে আমরা বিভিন্ন স্বজনদের কাছে খোঁজ নিয়েও কোথাও তার সন্ধান পায়নি।

দারুল ইসলাম মোহাম্মদীয়া বল্লা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সাত্তার ইবনে ইমাম বলেন, প্রতিদিনের মতো আসরের নামাজের পরে ফ্রি সময় দেওয়া হয় আবাসিকের ছাত্রদের। শুক্রবারেও আসরের নামাজের পরে সকল ছাত্ররা বাহিরে ঘুরে এলেও আব্দুর রহমান ফিরে আসেনি।

এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম জানান, পুলিশ নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুর রহমানকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. নভেম্বর ২০২৪ ০১:৪৪:এএম ৬ মাস আগে
মানবাধিকার সুরক্ষায় পুলিশের বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে: ডিআইজি আশফাকুল - Ekotar Kantho

মানবাধিকার সুরক্ষায় পুলিশের বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে: ডিআইজি আশফাকুল

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ডিআইজি মোহাম্মদ আশফাকুল আলম বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে এবং সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধি অর্জনে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ বাহিনীর সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো মোকাবেলায় প্রস্তুতি থাকা অত্যন্ত জরুরি।

তিনি বলেন, একটি গণমুখী জবাবদিহিমূলক দক্ষ ও নিরপেক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ। মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়েও পুলিশের বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। একজন পুলিশ কর্মকর্তার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের উচিত প্রতিটি ব্যক্তির মানবাধিকারকে সম্মান করা।

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বিভাগীয় ক্যাডেট এসআইদের ২১তম প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সোমবার(৪ নভেম্বর )সকাল ৮টায় ট্রেনিং সেন্টারের প্যারেড গ্রাউন্ডে এই প্রশিক্ষণ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিটিসির কমান্ড্যান্ট ডিআইজি মোহাম্মদ আশফাকুল আলম।

সকাল ৮টায় ২৫৭ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিভাগীয় ক্যাডেট (এসআই) ৬টি দলে বিভক্ত হয়ে ২১ তম সমাপনী কুচকাওয়াজ উপলক্ষে মার্চপাস্ট শুরু করেন।

এই মার্চপাস্টের অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি। মার্চপাস্ট শেষে মাঠ বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় পিএসআই (নিরস্ত্র) উদয়ন বিকাশ বড়ুয়া, পিএসআই (নিরস্ত্র) মো. মাইনুল ইসলাম ও পিএসআই (নিরস্ত্র) অমৃত লাল দাসকে পুরস্কৃত করা হয়।

প্রধান অতিথি কমান্ড্যান্ট ডিআইজি মোহাম্মদ আশফাকুল আলম তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এর আগে প্রধান অতিথি খোলা জিপে চড়ে প্যারেড পরিদর্শন করেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় আরও বলেন, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনে ব্রতী হতে হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. নভেম্বর ২০২৪ ১২:৫৮:এএম ৬ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।