/ হোম / এক্সক্লুসিভ
টাঙ্গাইলে শিশু সন্তান হত্যা মামলায় মায়ের ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে শিশু সন্তান হত্যা মামলায় মায়ের ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে শিশু সন্তানকে হত্যা মামলায় মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রবিবার (১৫ ডিসেম্বর)দুপুরে বাসাইল আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত আরা এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া হীরা আক্তারকে (৩৫) । তিনি বাসাইল পূর্ব পাড়া গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার স্ত্রী।

গত শুক্রবার নিজের দুই বছর বয়সি ছেলে মোহাম্মদ আলীকে হত্যার অভিযোগে মা হীরা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এঘটনায় নিহত মোহাম্মদ আলীর বাবা ইব্রাহীম মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে হীরা আক্তারকে একমাত্র আসামি করে বাসাইল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ইব্রাহীম মিয়া রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩ টার দিকে ছেলে মোহাম্মদ আলীকে প্রসাব করানোর কথা বলে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ইব্রাহীমকে ডেকে তার স্ত্রী জানান মোহাম্মদ আলীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন ইব্রাহীম বের হয়ে ছেলেকে খুঁজতে শুরু করে। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ছেলেকে উদ্ধার করা হয়। পরে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে বাসাইল থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাসাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হীরা আক্তার ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কারা তাকে হত্যায় সহায়তা করেছে সে সম্পর্কে কোন তথ্য দেয়নি। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:০৯:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মিলছেনা র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন, রোগী ভোগান্তি চরমে - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মিলছেনা র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন, রোগী ভোগান্তি চরমে

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল হাসপাতালে মিলছেনা সরকারিভাবে দেওয়া বিনামূল্যের র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীসহ স্বজনরা। কেউ কেউ একটি বা দুটি বিনামূল্যের ভ্যাকসিনের ডোজ পেলেও গত দুইদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে এর সরবরাহ। রোগীরা ভোগান্তির শিকার হলেও সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্যে ওই ভ্যাকসিন বিক্রির ফায়দা নিচ্ছেন ওষুধ বিক্রেতা। রোগীর চাপ বাড়ায় দায়িত্বরতরা ভ্যাকসিনের সরবরাহ না থাকার অজুহাত দিয়ে ওষুধ বিক্রেতাদের মাধ্যমে বাড়তি সুবিধা নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।

রবিবার (১৫ ডিসেম্বর)এ চিত্র দেখা গেছে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের যক্ষ্মা ও কুষ্ঠ ক্লিনিক ভবনে স্থাপনকৃত র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন বিতরণ কক্ষে।

দেখা গেছে, এ ভবন চত্বরে শিশু,নারী ও পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী প্রায় দুই শতাধিক রোগী ও স্বজনদের। বিনামূল্যের ভ্যাকসিন না থাকায় হতাশ আগত রোগী ও স্বজনরা। কেউ কুকুর আবার কেউ বিড়ালে কামড় বা খামচির শিকার। সরকারি বিনামূল্যের ভ্যাকসিন না থাকার সুযোগ নিয়ে বেসরকারি কোম্পানীর ভ্যাকসিন ওই ভবন চত্বরেই বিক্রির কাজ করছেন ওষুধ বিক্রেতার কয়েকজন প্রতিনিধি। চারজনের এক একটি গ্রুপ মিলিয়ে একটি র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন ও চারটি সিরিঞ্জ প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য সাড়ে পাঁচশ টাকায়। যদিও ভ্যাকসিনের গায়ে সর্বোচ্চ মূল্য লেখা ৫’শ টাকা আর পাঁচ টাকা মূল্যের এক একটি সিরিঞ্জের দাম নেয়া হচ্ছে ১০ টাকা।

ভুক্তভোগী ফাতেমা জানান, গত ১১ ডিসেম্বর আমার দুই বছরের বাচ্চাকে বিড়ালে খামচি দেয়। ১২ ডিসেম্বর এখান থেকে বিনামূল্যে প্রথম ডোজটি দিয়েছি। এভাবে তিনটি ডোজ দেয়ার তারিখ লিখে দেন কর্তব্যরত নার্স। রবিবার আমার বাচ্চার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার দিন। এসে শুনি সরকারি ভ্যাকসিন নাই। বাধ্য হয়ে জনপ্রতি ১৩৫ টাকা ভাগ করে দিয়ে একটি ভ্যাকসিন কিনে আমরা চারজনের বাচ্চাকে দিয়েছি। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যের ভ্যাকসিন নেই এটা কি বিশ্বাসযোগ্য।

রুবী আক্তার নামের এক রোগীর স্বজন জানান, দুটি ডোজ বিনামূল্যে পেয়েছি। আজকে এসে শুনি ভ্যাকসিন নেই, তাই বাধ্য হয়ে এখানে থাকা এক ওষুধ বিক্রেতার কাছ থেকে কিনে বাচ্চাকে শেষ ভ্যাকসিনটি দিতে হলো। সরকারি ভ্যাকসিন হঠাৎ উধাও হলো, নাকি বাড়তি সুবিধা নিতে দায়িত্বরতরা না থাকার এই অজুহাত সাজিয়েছেন।

দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স আমিনুল ইসলাম জানান, বরাদ্দকৃত সরকারি ভ্যাকসিন শেষ হওয়ায় রোগীদের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে। ভবনের বাইরে যে ভ্যাকসিন বিক্রি করছে সে আমাদের কেউ নন। তাকে এই ভবন চত্বরে ভ্যাকসিন বিক্রির অনুমতি না দেয়াসহ কোন বাড়তি সুবিধা তারা নিচ্ছেননা বলে দাবি করেছেন তিনি। দালাল আর বহিরাগত ওষুধ বিক্রেতাদের বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, এরআগে কয়েক দফায় পুলিশের হাতে আটকও হয়েছে তারা।

অপর দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স রিজিয়া জানান,এ বছর রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী হওয়ায় সরবরাহকৃত ভ্যাকসিন সময়ের আগেই শেষ হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে ভ্যাকসিনের চাহিদা দেয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সরকারি ভ্যাকসিন পেয়ে যাবো।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও)ডা. মো. আলমগীর হোসেন বলেন,চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন বিতরণে সমস্যা হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে আমরা যে পরিমানের চাহিদা দিই, সেই পরিমানের ভ্যাকসিন আসেনা। সরকারি ভ্যাকসিন আসলেই এ সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের ভিতরে দালাল বা বাইরের ওষুধ বিক্রেতাদের বিক্রির সুযোগ নেই। এরপরও যদি কেউ কেউ বিক্রি করে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:১৫:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইল পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা দলের র‍্যালি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা দলের র‍্যালি

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি করেছে টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

বুধবার(১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে বিজয় র‍্যালিটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট খালেক মন্ডলের নেতৃত্বে বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন,জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন,জেলা বিএনপি’র বর্তমান সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সহ-সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু,জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, জেলা যুবদলের আহবায়ক রাশেদুজ্জামান রাশেদ, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক দুর্জয় হোড় শুভ প্রমূখ।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত ১৫ বৎসরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে দলীয় করনের মাধ্যমে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করেছে। আমরা বর্তমান সরকার কাছে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।

এই বিজয় র‍্যালি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল।

দিনটি উপলক্ষে জেলা বিএনপি দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৫৬:পিএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলের কা‌লিহাতী‌তে বিএনপি’র দুইগ্রু‌পের সংঘ‌র্ষে আহত ১ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের কা‌লিহাতী‌তে বিএনপি’র দুইগ্রু‌পের সংঘ‌র্ষে আহত ১

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কা‌লিহাতী‌তে আধিপত‌্য বিস্তার‌কে কেন্দ্র ক‌রে কেন্দ্রীয় বিএন‌পির দুই নেতার কর্মী সমর্থক‌দের ম‌ধ্যে সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘ‌টে‌ছে। সংঘ‌র্ষে পৌরসভা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম গুরুতর আহতবস্থায় হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি করা হ‌য়ে‌ছে।

র‌বিবার (৮ ডি‌সেম্বর) সন্ধ্যা সা‌ড়ে ৭টার দি‌কে উপজেলার শাহজাহান সিরাজ ক‌লে‌জের সাম‌নে এই ঘটনা ঘ‌টে।
আহত মুজা‌হিদুল ইসলাম কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-সংগঠনিক সম্পাদক বেন‌জির আহমেদ টিটুর কর্মী। কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য লুৎফর রহমান মতিনের কর্মী-সমর্থকরা এই হামলা ক‌রে‌ছে ব‌লে অ‌ভি‌যোগ উঠে‌ছে।

জানা গে‌ছে, ‌‌কেন্দ্রীয় বিএন‌পির নেতা  আহমেদ টিটুর লোকজন শাহজাহান সিরাজ ক‌লে‌জের একজন শিক্ষার্থী‌কে মারধর ক‌রে। প‌রে বিষয়‌টি স্থানীয় বিএন‌পি’র লোকজন মিমাংসা করে দেয়। এই ঘটনা‌কে কেন্দ্র ক‌রে বিএন‌পি নেতা টিটু ও ম‌তি‌নের লোকজন ক‌লেজ এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউন ক‌রে। প‌রে টিটুর গ্রু‌পের লোকজন ক‌লে‌জের অধ‌্যক্ষের ক‌ক্ষে মি‌টিং করার সময় বিএন‌পি নেতা ম‌তি‌নের লোকজন গি‌য়ে দেশীয় অস্ত্র দি‌য়ে হামলা ক‌রে। এতে পৌরসভা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামকে কু‌পি‌য়ে আহত করা হয়। পৌর যুবদ‌লের সা‌বেক সভাপ‌তি র‌ফিকুল ইসলাম র‌ফি‌কের নেতৃ‌ত্বে হামলা ক‌রে শান্ত না‌মের একজন বিএনপি কর্মী। এছাড়া তৌ‌হিদ না‌মের আরেক কর্মী‌কে লা‌ঠি‌ দি‌য়ে পিটা‌নো হয়। ‌প‌রে গু‌রুত্বর আহত মুজা‌হিদ‌কে টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি করা হয়।

এদি‌কে দেশ‌ীয় অস্ত্র নি‌য়ে হামলার করার অ‌ভিযুক্ত শান্তর বিরু‌দ্ধে ৫ আগষ্ট বৈষম‌্য বি‌রোধী ছাত্র আন্দোল‌নে শিক্ষার্থী‌দের উপর হামলা করার অ‌ভি‌যোগ র‌য়ে‌ছে। ওই হামলার ঘটনায় দা‌য়ের  হওয়া মামলার প্রধান আসামী করা হয় তা‌কে।

কা‌লিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ও‌সি) আবুল কালাম ভূইয়া জানান, তুচ্ছ ঘটনা‌কে কেন্দ্র ক‌রে বিএন‌পি’র দুই গ্রু‌পের ম‌ধ্যে সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘ‌টে‌ছে। এতে একজনকে কু‌পি‌য়ে আহত করা হ‌য়ে‌ছে। এই ব্যাপারে এখনও কোন অ‌ভি‌যোগ পাইনি। অ‌ভি‌যোগ পে‌লে আইনগত ব‌্যবস্থা গ্রহণ করা হ‌বে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:০৮:পিএম ৫ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেলা রিক্সা শ্রমিক অফিসে আগুন দিল বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেলা রিক্সা শ্রমিক অফিসে আগুন দিল বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা

একতার কণ্ঠঃ অতিরিক্ত ভর্তি ফি ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলা রিক্সা শ্রমিক অফিসে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজার সংলগ্ন শ্রমিক অফিসে এই ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ঘটনার শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ সময় অফিসে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল, আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।এই হামলা ও অগ্নিসংযোগে ৩ শ্রমিক নেতা আহত হয়েছেন।
তারা হলেন, গুরুতর অগ্নিদগ্ধ জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাবেক মেম্বার সালাম ও রুপচান।

রিকশা শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্বে ভর্তি ফি ১ হাজার টাকা ছিল, সেটি বৃদ্ধি করে বর্তমানে ১৫৬০ টাকা করা হয়েছে ।এছাড়া ১০ টাকা মাসিক চাঁদা করাসহ ২শত টাকা জরিমানা নিয়ে ভর্তি না হওয়া শ্রমিকদের মাত্র ৫ থেকে ৭ দিনের সময় দিতেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। যা নিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার সকালে শহরে সাধারণ শ্রমিকরা মাইক মেরে চাঁদা ও ভর্তি ফি না দেয়ার জন্য মাইকিং করতে থাকে। নেতৃবৃন্দ মাইক ম্যানকে আটক ও মারধর করে ছেড়ে দেন। মাইকম্যান এর কাছে মারধরের খবর জানতে পেরে সাধারণ শ্রমিকরা অফিস কার্যালয়ে হামলা,নেতৃবৃন্দকে মারধর ও অগ্নি সংযোগ করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন রিকশা শ্রমিক জানান, নেতৃবৃন্দ চাঁদা ও ভর্তি ফি নিলেও আমাদের কোন কাজে লাগেনা। নামমাত্র আহ্বায়ক কমিটি করে চাঁদার টাকা লুটপাট করছে। শ্রমিকদের শুধু মৃত্যু বোনাস, বিবাহ ভাতা আর নামমাত্র চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয়। সমিতিতে মোট কত টাকা চাঁদা আর ভর্তি ফি জমা আছে সেটিও আমরা জানি না। জানতে চাইলে নেতৃবৃন্দ দুর্ব্যবহার করে। এ সকল কারণে ক্ষুব্ধ সাধারণ শ্রমিক এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

গুরুতর আহত সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ জানান, কার্যালয়ে আমাকে বেঁধে রেখে অগ্নি সংযোগ ঘটায়। আগুন বাড়তে থাকায় আমি প্রায় আধা ঘন্টা পরে বাঁধন খুলে বের হই। আগুনে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান সদস্য সিহাব জানান,চাঁদা ও ভর্তি ফি দিবে না বলে মাইক মারছিল সাধারণ শ্রমিকরা। এ সময় তাদের মাইকটি আটক করা হয়। এ ক্ষোভে শ্রমিকরা নেতৃবৃন্দকে মারধর এবংঅগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে।

জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহবায়ক মোঃ হুসেন বেপারী সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এস এম হুমায়ুন কাণায়েল বলেন,আধাঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। কার্যালয়ে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল সহ কিছু আসবাব পত্র এবং কাগজপত্র পুড়ে গেছে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ একজনকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ভিক্টর ব্যানার্জি জানান,ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিদগ্ধ একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. নভেম্বর ২০২৪ ০৮:১২:পিএম ৫ মাস আগে
টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে বেপরোয়া গতির বিনিময় পরিবহনের বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষের ৪ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর পৌর শহরের মালাউড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা তারা হলেন- জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের আক্তার আলীর ছেলে রবিজল সেক (২৮), একই গ্রামের শাহাজল সেক (৪২), পিকআপ চালক একই উপজেলার হেকমত আলীর ছেলে সুজন মিয়া (২৫) ও হেলপার কাশেম আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন (২৮)।

নিহতরা সবজি ব্যবসায়ী। তারা সকলেই গত সোমবার(১৮ নভেম্বর )দিবাগত রাতে ঢাকায় সবজি বিক্রি করে পিকআপযোগে বাড়ি ফিরছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ধনবাড়ী থেকে ঢাকাগামী বিনিময় পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বিপরীত দিক থেকে আসা জামালপুরগামী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হন। আহত হয় একজন। পরে তাকেসহ আহতদের উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় মধুপুর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সত্যতা নিশ্চিত করে রাসেল আহমেদ জানান, মঙ্গলবার ভোরে মধুপুর পৌর শহরের মালাউড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দু’টি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৩৯:পিএম ৫ মাস আগে
টাঙ্গাইলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বাবলু সিকদার নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন তিনি।

এর আগে শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের গান্ধিনা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বাবলু সিকদার পার্শ্ববর্তী সখিপুর উপজেলা কালিয়ান গ্রামের মো. কামাল হোসেন ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত বাবলু সিকদারের মাটির ব্যবসা নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। ঘটনার দিন শনিবার বাবলু সিকদার কাজ শেষে বাজার থেকে ফিরে সন্ধ্যার পর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। মোবাইল ফোনে বাবলুকে বাড়ি থেকে ডেকে গান্ধিনা বাজারে নেওয়া হয়। পরে গান্ধিনা বাজারে ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকের সামনে মা এন্টারপ্রাইজ দোকানে ভেতরে ঢুকিয়ে কথা-কাটাকাটি একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা বাবলু সিকদারকে হাত-পাসহ শরীরে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে।

এ সময় বাবলুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে তাকে ঢাকা একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সোমবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বাবলু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করে।

নিহত বাবলুর চাচা মালেক জানান ‘শনিবার রাত ৮টার দিকে বাবলুর এক প্রতিবেশী তাঁকে ডেকে নিয়ে গান্দিনাপাড়া বাজারের রাহিনের সিমেন্টের দোকানের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা ওই এলাকার হারুন, সোহেলসহ আরও কয়েকজন বাবলুকে ধাক্কা দিয়ে দোকানের ভেতর ফেলে দেয়। পরে তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাবলুকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় হারুনকে প্রধান আসামি করে মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। মামলার বাদী হচ্ছেন আমার ভাই (নিহতের বাবা) কামাল হোসেন।’

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত শরিফুল ইসলাম ।

তিনি জানান, এ ঘটনায় সোমবার(১৮ নভেম্বর )নিহতের পিতা কামাল হোসেন বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় অভিযুক্ত হারুন মিয়াসহ ১৪ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. নভেম্বর ২০২৪ ০২:৪২:এএম ৫ মাস আগে
এত মানুষ জীবন দিয়েছে শুধু একটি নির্বাচনের জন্য নয়: সারজিস আলম - Ekotar Kantho

এত মানুষ জীবন দিয়েছে শুধু একটি নির্বাচনের জন্য নয়: সারজিস আলম

একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, দুই হাজার মানুষ পরিবারের কথা চিন্তা না করে, মা-বাবার কথা চিন্তা না করে, সহধর্মিণীর কথা চিন্তা না করে, সন্তানের কথা চিন্তা না করে জীবন দিয়েছে শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য না।

রবিবার (১৭ নভেম্বর)রাতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য যদি এমন কিছু হতো, তাহলে বিগত ১৬ বছরে এই শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য সব মানুষ একসঙ্গে রাজপথে নেমে যেত। এত মানুষ একসঙ্গে নেমেছে যখন খুনি শেখ হাসিনার করাপটেড প্রত্যেকটি সিস্টেম ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং মানুষ প্রত্যেকটি জায়গায় গিয়ে নিজের সাধারণ মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষ যখন সাধারণ একটি সেবা পেতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছিল, মানুষকে টাকা দিতে হতো, সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হতে হতো, তখন এই সামগ্রিক সিস্টেমগুলোর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমেছিল। তাহলে এই অভ্যুত্থানের একটি ন্যূনতম চাহিদা হচ্ছে ওই ধ্বংস হওয়া সিস্টেমগুলোর মিনিমাম একটি সংস্কার করা।

তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশের যেকোনো রাজনৈতিক দল যদি তাদের জায়গা থেকে মনে করে এই ধ্বংস হওয়া নির্বাচন ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থাগুলো রয়েছে, এগুলো ছয় মাসে সংস্কার করা সম্ভব, তাহলে আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি যে, তারা অবশ্যই এখনো তাদের যে বিবেক বোধের জায়গাটুকু, সেটুকু যতটুকু বহিঃপ্রকাশ প্রত্যাশা করি, ততটুকু তারা করছেন না। এটুকু তারা তাদের জায়গা থেকে করেনি বলেই ১৬ বছরে যে সমাধানটি রাজনৈতিকভাবে হওয়া দরকার ছিল, যে খুনি হাসিনার পতন রাজনৈতিকভাবে হওয়া দরকার ছিল, সেই খুনি হাসিনার পতন হয়েছে ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।

সারজিস বলেন, আমরা আমাদের এই জায়গা থেকে মনে করি, আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে তিন, চার বা পাঁচ বছরও ক্ষমতায় থাকার কথা বলছি না। কিন্তু কেউ যদি বলে ছয় মাস—এর মতো অযৌক্তিক কোনো কথা আর হতে পারে না। একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য শুধু কি একটি নির্বাচন কমিশন দরকার? এই নির্বাচনব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে একটি স্বচ্ছ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দরকার, যে তার দায়িত্বগুলো ঠিকমতো পালন করবে। সেই জায়গায় যদি কোনো অপকর্ম হয়, কেউ যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য একটি বিচারব্যবস্থা দরকার এবং এই সামগ্রিক বিষয়গুলোর জন্য… আমার দেশের মানুষ এখন দ্রব্যমূল্যর কারণে বাজারে গেলে ঠিকমতো কেনাকাটা করতে পারে না, সিন্ডিকেটগুলোর হাতবদল হয়েছে, সিন্ডিকেটের মধ্যে নিজেদের দলে দলে এখন নেগোসিয়েশন করে এই কালপ্রিটগুলোকে উত্থান না করে, মানুষের মধ্যে ঠিকমতো বাজার করার যে ক্ষমতা সেটি তৈরি না করে কীভাবে নির্বাচনের গল্প নেই।

আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, অবশ্যই ছয় মাস যেমন সম্পূর্ণ অযৌক্তিক একটি সময়, আবার তিন, চার বা পাঁচ বছরও দীর্ঘমেয়াদি সময়। আমরা চাই নির্দিষ্ট একটি যৌক্তিক সময়ে এই সিস্টেমগুলো একেকটি আস্থাযোগ্য সংস্কার হোক। এর পরবর্তীতে অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার ক্ষমতায় আসুক’, বলেন তিনি।

এসময় আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর দৌহিত্র মাহমুদুল হক সানু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. মাহিম সরকার, টাঙ্গাইলের সমন্বয়ক আল আমিন, মো. কামরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়ামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. নভেম্বর ২০২৪ ০৬:৫১:পিএম ৫ মাস আগে
আমরাও চাই শেখ হাসিনা আসেন, ঢুকে পড়েন: শামছুজ্জামান দুদু - Ekotar Kantho

আমরাও চাই শেখ হাসিনা আসেন, ঢুকে পড়েন: শামছুজ্জামান দুদু

একতার কণ্ঠঃ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, কেউ কেউ বলছেন শেখ হাসিনা হঠাৎ করে ঢুকে পড়বেন। আমরাও চাই আসেন, ঢুকে পড়েন। বিএনপির নেতাকর্মীরা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ভাইকে আপনি জেলে রেখেছেন তার কৈফিয়ত দিতে হবে।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে জেলা বিএনপির স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে শ্রদ্ধা এবং সম্মানের। তাকে চিনেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। তাকে চিনেছিলেন বলেই শহীদ জিয়াউর রহমান তার আদর্শ গ্রহণ করেছেন। আমাদের নেতা শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ঘোষক কৃষকদের কাছে গিয়ে কাঁদার মধ্যে কৃষকের কথা শুনতেন। যেমন শুনতে মওলানা ভাসানী।

তিনি বলেন, যারা দেশটাকে ১৬-১৭ বছর ধরে লুটেপুটে খেয়েছেন। মানুষের ওপর জুলুম করেছেন তাদের বিচারের আওতায় আনার দিন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি। আপনারা সংস্কার করেন। কিন্তু এমন সময় নিবেন না, যাতে মানুষ ধৈর্যহারা হয়। মানুষের ধৈর্য্য থাকতে থাকতে নির্বাচন দিন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি করা কী অপরাধ। আমাদের অনেক নেতাকর্মী এখনো জেলখানায়। ৬০ লাখ আসামী বিএনপির। দুই থেকে আড়াই লক্ষ মামলা। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করি। তাই আমরা অনুরোধ করবো যারা গণতন্ত্রের জন্য মামলার মুখোমুখি হয়েছে তাদের মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেবেন।

এসময় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, মওলানা ভাসানীকে তার হাতে গড়া আওয়ামী লীগ কখনো সম্মান বা শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেনি। বিএনপি গুনী মানুষের সম্মান দিতে জানে। মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে অন্তর্বর্তী সরকারের কোন উপদেষ্টা না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করে টুকু।

সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, জেলা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি হামিদুল হক মোহন, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীমসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. নভেম্বর ২০২৪ ০২:৩৩:এএম ৫ মাস আগে
ভাসানীর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে পার্ক বাজারে দোয়া ও গণভোজ অনুষ্ঠিত - Ekotar Kantho

ভাসানীর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে পার্ক বাজারে দোয়া ও গণভোজ অনুষ্ঠিত

একতার কণ্ঠঃ মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও গণভোজের আয়োজন করেছেন মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান চাঁদবাজার (পার্কবাজার) দোকান মালিক সাধারণ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

রবিবার (১৭ নভেম্বর)দুপুরে পার্ক বাজারে আয়োজিত এই দোয়া ও গণভোজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম ঝলক, কৃষক দলের সদস্য সচিব শামীমুর রহমান ভিপি শামীম, জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ হাবিবুল শাতিল, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর দৌহিত্র আজাদ খান ভাসানী।

অনুষ্ঠানে মাহমুদুল হাসান চাঁদবাজার (পার্কবাজার) দোকান মালিক ব্যবসায়ী মো. বাবলু মিয়ার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী মো মমিন প্রামানিক, মো. শরীফুল ইসলাম শোভা, সোহেল সরকার, জয় সাহা, উজ্জল পাল, শাহজাদা, নুরুল ইসলাম, রায়হান মিয়া, হাবিবুর রহমান হবু, মজনু মিয়া, রাব্বি, ফজলুল হক, মানিক মিয়া, এম.এ করিমসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন,আমীর হামজা রুবেল ।

অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন পাড় দিঘুলিয়া জামে মসজিদের পেশ ঈমাম মাওলানা নাসির উদ্দিন।

পরে বাজারের ব্যবসায়ীসহ আমন্ত্রিত সহস্রাধিক মানুষ গণভোগে অংশ গ্রহণ করে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২:এএম ৫ মাস আগে
নভেম্বরেই চালু হচ্ছে বহুল আলোচিত বেড়াডোমা ব্রীজ - Ekotar Kantho

নভেম্বরেই চালু হচ্ছে বহুল আলোচিত বেড়াডোমা ব্রীজ

একতার কণ্ঠঃ নভেম্বরেই চালু হচ্ছে বহুল আলোচিত বেড়াডোমা ব্রীজ বলে দাবি করেছেন নির্মাণকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। নির্মাণে চার বছর কেটে গেলেও ব্রীজ উদ্বোধনের সংবাদে সীমাহীন উৎসাহে রয়েছেন এর সুবিধাভোগীরা। নির্মাণের মাঝে দেবে যাওয়ার মত দূর্ঘটনার পরও কাঙ্খিত ব্রীজ নির্মাণের সমাপ্তিতে স্বপ্নের দিন গুণছেন পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষ।

ব্রীজটি নির্মাণের ফলে এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন সহজ হবে, তেমননি খুলবে ব্যবসায়িক দ্বার। এর সুফল ভোগ করবে জেলার পশ্চিমাঞ্চলের চার ইউনিয়নের পাঁচ লক্ষাধিক মানুষসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জনসাধারণ।

জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (টিপিআইআইপি) আওতায় এলজিইডির অর্থায়নে টাঙ্গাইল শহরের বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৪১.৭০ মিটার দীর্ঘ এই আর্চ সেতুটি নির্মাণ কাজের জন্য ব্রিকস্ অ্যান্ড ব্রিজেস লিমিটেড এন্ড দি নির্মিতি (জেভি) নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর চুক্তিপত্র হয়।

৩ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার ৮৪১ টাকা ব্যয়ে এই সেতুর কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর। বর্ধিত সময় অনুযায়ী কাজ সমাপ্তির তারিখ ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর। নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর চারটি বিলের মাধ্যমে ঠিকাদারকে দুই কোটি ৮০ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৬ টাকা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৬ জুন রাত সাড়ে ১০টায় দেবে যায় নির্মাণাধীন সেতুটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেন্টারিং খোলাসহ ঘষা মাজা আর সাজসজ্জার অপেক্ষায় রয়েছে বেড়াডোমা ব্রীজ।
বাসাখানপুর গ্রামের গৃহিনী রোজী জানান, ব্রীজ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছি আমরা। শহরে বাচ্চার স্কুলে যাতায়াতসহ মার্কেট ও বাজারে যাতায়াতের খরচ দ্বিগুণ গুনতে হচ্ছে। বেশি সময় ব্যয় হওয়াসহ চলাচলে রয়েছে নানা ধরণের সমস্যা। ব্রীজ নির্মাণের কাজটি শেষ হওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছি। দ্রুত উদ্বোধন হলেই আমাদের দূর্ভোগ কাটবে।

সিএনজি চালক মোস্তফা জানান, প্রায় চার বছর যাবৎ চরম কষ্টভোগ করছি আমরা। ব্রীজটি চালু হলে আমাদের সেই কষ্ট দূর হবে।

স্থানীয় হেদায়েত আলী খানসুর শোভা জানান, পশ্চিম টাঙ্গাইলবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের ফসল বেড়াডোমা ব্রীজ। ব্রীজে দ্রুত চলাচল শুরু হলে পশ্চিমের কাকুয়া, হুগড়া, বাঘিল ও দাইন্যা ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের দূর্ভোগ কাটবে। শহরতলীতে দ্রুত যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি ওই অঞ্চলের কৃষিপণ্য শহরের বাজারগুলোতে এনে বিক্রির সুযোগ পাবেন কৃষকরা। এতে ওই সকল কৃষক লাভবান হওয়াসহ শহরবাসীর সবজির চাহিদাপূরণ হবে। সবজিসহ কৃষিপণ্যের দাম কমবে বলেও মনে করেন তিনি।

ঠিকাদার প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম খান জামিল জানান, ব্রীজের কাঠামোগত নির্মাণ শেষ। সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে সেন্টারিং খোলাসহ ঘষা মাজা আর সাজসজ্জার কাজও শেষ হবে। আশা করছি, নভেম্বর মাসেই ব্রীজে চলাচল শুরু করা যাবে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ব্রীজের সাটার খোলা, ওয়ারিংসহ কিছু সাজ-সজ্জার কাজ বাকি রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, নভেম্বর মাসেই ব্রীজটি চালু করতে। সম্ভব না হলে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চালু করা হবে।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. নভেম্বর ২০২৪ ১২:১৩:এএম ৫ মাস আগে
তিন মাসে মানুষ আশানুরূপ ফল পায়নি: কাদের সিদ্দিকী - Ekotar Kantho

তিন মাসে মানুষ আশানুরূপ ফল পায়নি: কাদের সিদ্দিকী

একতার কণ্ঠঃ অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাসে মানুষ আশানুরূপ ফল পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘মানুষ খুব আশা করেছিল। কিন্তু গত তিন মাসে মানুষের আশানুরূপ ফল পায়নি। সাধারণ মানুষের যে উপার্জন তারা বাজারে যেতে পারছেন না। স্ত্রী-সন্তান পরিবার নিয়ে ভালোভাবে খেতে পারছেন না।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ একটা মারাত্মক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু অতীতকে বর্জন ও অস্বীকার করে কেউ যদি এই পরিবর্তন করতে চায়, তাহলে আহাম্মকের স্বর্গেই বাস করছে। দুই দিন পর তাদেরকেও এ রকম হতে হবে।

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মতো মানুষ উপমহাদেশে কম আছে মন্তব্য করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘যে মানুষটির (মওলানা ভাসানীর) জন্ম না হলে আমরা আজকে বাংলাদেশের নাগরিক হতাম না, যে মওলানা ভাসানীর জন্ম না হলে পাকিস্তান হতো না, পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ হতো না, বাংলাদেশ না হলে আজকে আমাদের এই অবস্থা হতো না। তার অনাদর দেখে খুব কষ্ট লাগে, খুব খারাপ লাগে। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ তাকে যেন বেহেশত নসিব করেন।’

এ সময় সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. নভেম্বর ২০২৪ ০৭:২০:পিএম ৫ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।