/ হোম / এক্সক্লুসিভ
টাঙ্গাইলে এলংজানি নদী থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার  - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে এলংজানি নদী থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার 

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের এলংজানি নদী থেকে রবি দাস(৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে পোড়াবাড়ি ইউনিয়নের খারজানা গ্রামের নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সন্তোষ কাগমারী ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, প্রাথমিক সুরতহালে রবিদাসের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

নিহত যুবকের নাম জীবন রবি দাস। সে জেলার ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের মৃত রংলাল রবি দাসের ছেলে। সে পেশায় মুচি ছিল বলে জানা গেছে।

পোড়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদাত হোসেন জানান, সোমবার রাতে পোড়াবাড়ী খেয়া ঘাটের সামনে দিয়ে মরদেহটি ভেসে যেতে দেখে স্থানীয়রা তাকে খবর দেয়। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে মরদেহটি ভেসে পাশের সিলিমপুর ইউনিয়নের বরুহা ব্রিজের কাছে চলে যায়। পরে মরদেহটি ইউনিয়নের খারজানা গ্রামের কাছে আনা হয়।

তিনি আরও জানান, পরে সন্তোষ কাগমারী ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দিলে তাঁরা এসে মরদেহটি নদী থেকে উদ্ধার করে।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহম্মেদ জানান, স্থানীয় ভাবে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে তার নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে, মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।

তিনি আরও জানান, থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. অক্টোবর ২০২৫ ১১:০৬:পিএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে নদীতে নিখোঁজ তিন বোনের পরিবারের খোঁজ নিলেন টুকু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নদীতে নিখোঁজ তিন বোনের পরিবারের খোঁজ নিলেন টুকু

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় চারাবাড়ীতে শনিবার ধলেশ্বরী নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ তিন বোনের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ ও সান্ত্বনা দিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫(সদর ) আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

রবিবার (৫ অক্টোবর) সকালে তিনি চারাবাড়ির ধলেশ্বরী নদীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং তিনজনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সান্তনা দেন।

এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লাভলু মিয়া লাবুসহ উপজেলা ও স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও সুলতান সালাউদ্দিন টুকু টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের দ্বিতীয় দিনের মত ধলেশ্বরী নদীতে উদ্ধার অভিযান পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার অপর খালাতো বোনের বিয়ের দাওয়াত খেতে আসে নিখোঁজ ওই তিন কিশোরী। পরে শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে তারা পরিবারকে দোকানে যাওয়ার কথা বলে ধলেশ্বরী নদীতে গোসল করতে নামে। গোসলের এক পর্যায়ে তারা নদীর স্রোতে ডুবে যায়।

তারা হলেন,মনিরা (১১) উপজেলার মাহমুদ নগরের মনিরুল ইসলামের মেয়ে। নিখোঁজ অপর দুই শিশু হলো- একই এলাকার বোরহানের মেয়ে আছিয়া (১২) ও মাফিয়া (০৯)। তারা সম্পর্কে খালাতো বোন।

পরে শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধায় টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল মনিরার মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করেন।

নিখোঁজ আপন দুই বোন আছিয়া আক্তার (১২) ও মাফিয়া আক্তার (১০) কে উদ্ধারের জন্য ডুবুরি দল দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. অক্টোবর ২০২৫ ০১:৫০:এএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অনিক হাসান (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী আবীর (১৫) নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কালিহাতী পৌর এলাকার টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চাটিপাড়া সেতু সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত অনিক টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের ছোট বিন্যাফৈর গ্রামের অটোচালক নিশান মিয়ার ছেলে। আহত আবীরের বাড়িও একই এলাকায়। অনিক সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল।

নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনিক কালিহাতী পৌরসভার সিলিমপুর এলাকায় চাচাতো বোনের শ্বশুরবাড়িতে দাওয়াত খেতে আসেন। বৃহস্পতিবার সকালে কালিহাতী পেট্রোল পাম্প থেকে তেল নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে সিলিমপুর যাওয়ার পথে টাঙ্গাইল- ময়মনসিংহ মহাসড়কের চাটিপাড়া সেতু এলাকায় পৌঁছলে পেছন থেকে আসা অজ্ঞাত একটি বাস তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে অনিক মহাসড়কে পড়ে গেলে বাসের চাকা তার শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায় এবং এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের এসআই মাহবুব হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার এবং মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৫৪:পিএম ২ মাস আগে
টাঙ্গাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে হেযবুত তওহীদের গোলটেবিল বৈঠক  - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে হেযবুত তওহীদের গোলটেবিল বৈঠক 

আরমান কবীরঃ প্রচলিত রাষ্ট্রব্যবস্থার কারণে সৃষ্ট সামাজিক অস্থিরতা ও জাতীয় সঙ্কট নিরসনে তওহীদ ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে টাঙ্গাইল জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের নিরালা মোড়ে অবস্থিত পিয়াসী হোটেল এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের দ্বিতীয় তলায় হেযবুত তওহীদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

এই গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ ‘রাষ্ট্রীয় সংকট সমাধানে তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রস্তাবনা’উপস্থাপন করেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক রিয়াদুল হাসান।

টাঙ্গাইল জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি ডা. নাজম আল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক উম্মে তিজন মাখসুদা পন্নী, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সভাপতি এনামুল হক বাপ্পা, জেলার সাধারণ সম্পাদক মামুন পারভেজ, হেযবুত তাওহীদের টাঙ্গাইলের দপ্তর সম্পাদক রাসেদুল ইসলাম।

প্রধান আলোচক বলেন,, দেশের সামাজিক অবক্ষয়, মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও অশান্তির মূল কারণ বর্তমান ভ্রান্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা। এ সংকটের একমাত্র সমাধান হতে পারে কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক তওহীদী রাষ্ট্রব্যবস্থা, যা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে এবং শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলবে।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর বিভক্তি দূর না হলে জনগণের কল্যাণ সম্ভব নয়। তাই দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধভাবে তওহীদী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান সংগঠনের নেতারা।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টাঙ্গাইল জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান টিটু।

এই বৈঠকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ জেলার কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিপুল সংখ্যক গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:০১:এএম ২ মাস আগে
দুই দাবিতে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তালা - Ekotar Kantho

দুই দাবিতে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তালা

আরমান কবীরঃ দুই দফা দাবি আদায়ে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার(২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রেজিস্ট্রারকে তার কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে তালা দেওয়া হয়। পরে উপাচার্যের কাছে দাবি উপস্থাপন করে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রারের বিচারের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন এবং বুধবার সকালের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ গঠনের রূপরেখা ঘোষণা করা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের বলেন, গণ-আন্দোলনের সময় ‘স্বৈরাচারের সহযোগী’ হিসেবে ভূমিকা রাখা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে তারা দুইবার রেজিস্ট্রারের দপ্তরে আবেদন জমা দিয়েছেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাদের অভিযোগ, উল্টো কিছু শিক্ষক অভিযুক্তদের আশ্রয় দিচ্ছেন। চার দিন আগে অভিযুক্তদের বিচার ও সাময়িক বরখাস্তের জন্য কমিটি গঠনে তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়সীমা পার হওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা এই কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছেন।

এবিষয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ বলেন, আমরা পরপর দুইবার রেজিস্ট্রার অফিসে স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিচারের জন্য আবেদন জমা দিয়েছিলাম। তারপরও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। এমনকি কিছু শিক্ষক তাদেরকে শেল্টারও দিচ্ছেন। আমরা চার দিন আগে রেজিস্ট্রারকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিচারের জন্য কমিটি গঠনের ৩দিন সময় বেঁধে দিয়ে আসার পরও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এইজন্য আমাদের এই কর্মসূচি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজিম আখন্দ সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি অংশ রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ করলেও অন্য একটি অংশ প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত করার পক্ষে নয়।

উপাচার্য আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল, ছাত্রশিবির সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারের রুমের দরজার তালা খুলে দিয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৩৩:এএম ২ মাস আগে
টাঙ্গাইলে অটোরিক্সা চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে যুবক নিহত  - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে অটোরিক্সা চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে যুবক নিহত 

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চুরির অভিযোগে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার(১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়নের পা-ধুয়া চালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মো. জহিরুল ইসলাম (৩১)। তিনি জেলার গোপালপুর পৌরসভা রামদেব বাড়ি এলাকার আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে। নিহতের পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।

পুলিশ জহিরুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সখীপুর উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত ছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে শ্রীপুর রাজনীতির মোড় গ্রামের বাবুল মিয়ার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরি করে পালানোর চেষ্টা করেন জহিরুল। অটোরিকশা নিয়ে পা-ধুয়া চালা গ্রামে গেলে উত্তেজিত জনতা ধাওয়া করে তাঁকে ধরে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মৃত্যুবরণ করে।

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা জানান ‘এলাকাবাসীর সংঘবদ্ধ পিটুনিতে নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:১৩:এএম ২ মাস আগে
টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার(১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর উপজেলার কুইজবাড়ী গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীর নাম লিলি আক্তার (৪৫)। তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আনিছুর রহমানের (উত্তম) স্ত্রী। এ দম্পতির এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, লিলি আক্তারের মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

আনিসুর রহমানের ভাতিজা মেহেদী হাসান বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সদর উপজেলার কুইজবাড়ী বাজারের কাছে লিলি আক্তার তাঁদের মালিকানাধীন লিওন বেকারিতে যান। তিনি বেকারির কারিগরদের সঙ্গে কথা বলার সময় কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রবেশ করে। তারা লিলি আক্তারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে চলে যায়। সন্ত্রাসীদের মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল।

পরে স্থানীয় লোকজন আহত লিলি আক্তারকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আনিসুর রহমানের বড় ভাইয়ের স্ত্রী হাসিনুর বেগম বলেন, লিলি আক্তার প্রতিদিন রাতে বেকারিতে কাজ তদারকির জন্য যেতেন। মঙ্গলবার বেকারিতে যাওয়ার পরেই তাঁর ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা করে।

নিহতের স্বামী আনিছুর রহমান জানান, তিনি হামলাকারীদের চিনতে পারেননি এবং তাদের পরিচয় সম্পর্কে কিছুই নিশ্চিত নন।

তিনি দাবি করেন, তারা মূলত তাকে খুঁজছিলেন। কিন্তু তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে হত্যা করেন।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহমেদ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরার চেষ্টা চলছে।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিহতের স্বজনদের ভিড়

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৬:৪৮:পিএম ২ মাস আগে
টাঙ্গাইলে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক, ভয়াবহ ঝুঁকিতে জেলার যুবসমাজ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক, ভয়াবহ ঝুঁকিতে জেলার যুবসমাজ

আরমান কবীরঃ দেশের মধ্যাঞ্চলে টাঙ্গাইল জেলার অবস্থান হওয়ায় এবং সড়ক, নদীপথ ও রেলপথের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক থাকায় মাদক চোরা চালানের নিরাপদ রুট হিসেবে মাদক ব্যবসায়ীরা বেছে নিয়েছে এই জেলাকে। ফলে জেলায় প্রতিনিয়ত নদী, রেল ও সড়ক পথে আসছে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য। এই জেলায় জালের মতো ছড়িয়ে আছে নদী। এইসব নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে মাদকের হট-স্পট।

জেলার নাগরপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নদী সংশ্লিষ্ট এলাকা এবং শহরের কান্দাপাড়া যৌনপল্লী, রাবনা বাইপাস ও আশেকুর বাইপাসকে বেছে নিয়েছে মাদক কারবারিরা। সুযোগ বুঝে মাদক পাচারের জন্য সড়ক পথকে ব্যবহার করছে এইসব মাদক ব্যবসায়ীরা। মাদক পাচারের রুট হিসেবে এই জেলাকে ব্যবহারের কারণে জেলায় বেড়েছে ব্যাপক মাদকের সরবরাহ। বিশেষ করে উঠতি বয়সের কিশোর-যুবকদের টার্গেট করা হচ্ছে মাদক বিক্রির জন্য। শহরে এখন হাত বাড়ালেই মিলছে গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল ও হিরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য।

জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলাগুলো থেকে মাদক ঢুকছে টাঙ্গাইলের প্রবেশদ্বার খ্যাত এলেঙ্গা, টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস ও আশেকুর এলাকায়। এরপর এই স্থান গুলো থেকেই ঢাকা, গাজীপুরসহ টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিনব পদ্ধতিতে মাদক ছড়িয়ে পরছে । শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় রাতের আধারে অলিগলিতে বিক্রয় হচ্ছে সর্বনাশা এইসব মাদক। আবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন পয়েন্টে মাদক পৌঁছে যাচ্ছে হাতেহাতে। এমনকি বিশেষ ক্ষেত্রে বাড়িতেও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে মাদক।

বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের কান্দাপাড়া, বেড়াডোমা, কাগমারা, সাহাপাড়া, শান্তিকুঞ্জ মোড়, মাঝিপাড়া, হাজেরাঘাট, দক্ষিণ কলেজপাড়া (মহিষ খোলা), ধুলেরচর, বইল্লা এলাকায় প্রকাশ্যে মাদকের কেনা-বেচা চলে বলে জানা গেছে। এইসব এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি।

জানা গেছে, মাদকদ্রব্য পরিবহনে নিরাপদ রুট হিসাবে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলা হয়ে নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র, চর সলিমাবাদ, আটাপাড়া, শাহাজানি চরাঞ্চল, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি, কাকুয়া, হুগড়া, ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল, গোবিন্দাসী, অর্জুনা, গাবসারা, কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি যমুনা নদীর চরাঞ্চল মাদক পাচারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদক নির্মূলে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও র‍‍্যাব পৃথকভাবে কাজ করছে। গত সাত মাসে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ ২’শত ৮ কেজি গাঁজা, ৫৭ হাজার ২’শত ৬৫ পিস ইয়াবা, ৭২৫.১০ গ্রাম হেরোইন, ১০৮৫.৩৬ লিটার দেশি-বিদেশি মদ ও ৫৯৫ বোতল ফেনসিডিল জাতীয় মাদক উদ্ধার করেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।

এসব মাদকের বেশিরভাগ বড় বড় চালান উদ্ধার ও মাদক কারবারিদের আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। উদ্ধার অভিযানে গত সাত মাসে ৪৭৩ জন মাদক কারবারির নামে ৩৩৮ টি মামলা রজ্জু করেছে জেলা পুলিশ ।

অপরদিকে, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত সাত মাসে ৩৮ কেজি গাঁজা, ৫ হাজার ৭’শত ৭৪ পিস ইয়াবা, ৮৫.৫ গ্রাম হেরোইন, ৪১.২৫ লিটার মদ, ১০ বোতল ফেনসিডিল, টাপেন্টাডল ৩ হাজার ৪ শত ৮৮ টি ট্যাবলেট, ১০ হাজার লিটার ওয়াশ জাতীয় মাদক উদ্ধার করেছে।অভিযানে মাদক কারবারিদের থেকে নগদ ১৪ লক্ষ ৩১ হাজার টাকাসহ উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৭ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা। উদ্ধার অভিযানে গত সাত মাসে ১৯৭ জন মাদক কারবারির নামে ১৯৬ টি মামলা রজ্জু করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

এদিকে র‍‍্যাব ১৪, সিপিসি- ৩ সূত্রে জানা গেছে, গত সাত মাসে ৮২ কেজি গাঁজা, ৪৭৪৯ পিস ইয়াবা, ১৬৭ গ্রাম হেরোইন, ৯৮ লিটার দেশি মদ ও ৪৩১ বোতল ফেনসিডিল জাতীয় মাদক উদ্ধার করেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। উদ্ধার অভিযানে এই সাত মাসে ৭ জন মাদক কারবারির নামে ৩ টি মামলা রজ্জু করতে সহায়তা করেছে র‍‍্যাব।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই ত্রিমুখী অভিযানে বড় বড় মাদকের চালান উদ্ধার ও মাদক কারবারিদের আটকের পরেও থামছেনা জেলায় মাদকের ভয়াল থাবা। আইনের ফাঁকফোকড়ে আবারো বেরিয়ে আসছে মাদক কারবারিরা। আবার নতুন উদ্যেমে ভিন্নতর কৌশলে শুরু করছে মাদক ব্যবসা।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, টাঙ্গাইলবাসীর জন-জীবনের নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি মাদক নির্মূলে প্রতিনিয়ত কাজ করছে জেলা পুলিশ। সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদ-মন্দিরে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে।

তিনি আরও জানান, মাদক ব্যবসায়িদের চিহ্নিত করে সমাজ থেকে বিতাড়িত করতে হবে । আবার তাদেরকে সুযোগও দিতে হবে সুপথে ফেরার। মাদক ব্যবসায়ির তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করতে হবে। সন্তান কার সাথে মিশে তা খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের। পুলিশের একার পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। পুলিশের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে মাদক নির্মূলে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই মাদক নির্মূল হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:৪২:এএম ২ মাস আগে
Ekotar Kantho

বিএনপি প্রতিষ্ঠায় দু’টি ঐতিহাসিক ঘটনা – প্রফেসর ড.জি.এম. শফি

একতার কণ্ঠঃ ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পালিত হচ্ছে বিএনপি’র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।গত বছর ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি চমৎকার মাল্টি কালার পোস্টার করা হয়, সেখানে দলের প্রতিষ্ঠাতা, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের একটি ছবি দেওয়া হয়, মূল বিষয়টি হলো সেই পোস্টার লেখা হয় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সততাই আমাদের প্রেরণা। এতোবছর পরেও কিন্তু শহীদ জিয়ার সততাকেই সামনে নিয়ে আশা হয়েছে। সত্যি কথা জিয়াউর রহমানের সততা বিশ্বব্যাপী সর্বজন স্বীকৃত। আজ বিএনপি প্রতিষ্ঠার সময়কালে দুটি ঘটনা নিয়ে আলোচনা করবো।

১৯৭৮ সালের পহেলা জানুয়ার জাতীয়তাবাদী অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন হবে ৩২ নম্বর পুরানা পল্টনে। শরীক দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ অফিসে এসে আগেই উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সিনিয়র নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া, বিচারপতি আব্দুস সাত্তার,গোলাম হাফিজ, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মতিন চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আকবর হোসেন,ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, ডাক্তার আব্দুল মতিন ও ফিরোজ নুন। কেন্দ্রীয় অফিসে জিয়া আসলেন বুশশার্ট প্যান্ট ও চোখে সানগ্লাস পরা অবস্থায়, অবশ্য মাথায় সাদা ক্যাপ ছিল। কার্পেট বিছানো ফ্লোরে পূর্বেই আগত সবার সাথে বসে পড়লেন এবং মোনাজাতে অংশগ্রহণ করলেন।মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ভাসানী ন্যাপ, বিচারপতি আব্দুল সাত্তার সাহেব, অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আকবর হোসেনের ইউপিপি, লেবার পার্টির মাওলানা আব্দুল মতিন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শাহ আজিজ ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির এস এম সোলাইমান নেতৃত্বে গঠিত হলো জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল)। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে জাগদল এর চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত করা হলো এবং ১৯৭৮ সাল ২৩ জুনের নির্বাচনের তাকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মনোনীত করা হলো।অন্যদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেওয়া হয় অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ওসমানী সাহেব কে। মোনাজাত পর্ব শেষ হলে প্রেসিডেন্ট জিয়া আগত সকল নেতৃবৃন্দর সাথে করমর্দন করেন, কুশল বিনিময় করেন,আলোচনা করেন। ২৩ জনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কর্মপন্থা নিয়ে বিশদ আলোচনা চলছিল, তখন পাশে বায়তুল মোকাররম থেকে জোহরের নামাজের আযানের শব্দ শোনা গেল, জিয়া বাইতুল মোকাররমের নামাজ পড়তে যাবেন তাই সবার সাথে হাত মিলিয়ে বিদায় নিলেন । জেনারেল জিয়া চললেন মোকাররম মসজিদের দিকে। পল্টনের প্রতিটি রাস্তা, প্রতিটি বাসাবাড়ির জানালা, বারান্দা অফিসগুলোর ছাদ থেকে তাকে দেখার জন্য, অভিবাদন জানানোর জন্য দাঁড়িয়েছিল সকল শ্রেণীর মানুষ । এদেশ সকল মানুষের তিনি কাছে কতটুকু প্রিয় ছিলেন এটা তাই প্রমাণ করে। মানুষের ভালবাসা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াকে দেশের জন্য কাজ করে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

আরেকটি আলোচিত ঘটনা উল্লেখ করছি।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর। রাজধানী ঢাকার রমনা রেস্তোরার পাশে প্যান্ডেল টাঙ্গিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আসলেন এই অনুষ্ঠানে, অনুষ্ঠান মঞ্চে অন্যান ব্যক্তিত্ব আগে থেকে এসে উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চের সামনে আছেন রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। শহীদ জিয়া বক্তৃতা করলেন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলটির প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করলেন। দলটির চেয়ারম্যান হলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ১১ জন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যের নাম ঐদিন ঘোষণা করলেন।

১)প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান- চেয়ারম্যান, ২)
বিচারপতি আব্দুল সাত্তার ভাইস- চেয়ারম্যান, ৩)ডাক্তার বদরুদ্দোজা চৌধুরী- মহাসচিব, ৪) শাহ আজিজুর রহমান – সদস্য ৫)ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার- সদস্য, ৬) ডাক্তার ইউসুফ আলী- সদস্য( চট্টগ্রাম), ৭)শেখ রাজ্জাক আলী-সদস্য ( খুলনা) ৮)প্রফেসর একরামুল হক -সদস্য( রাজশাহী, সাবেক ডাকসু ভিপি)৯) সৈয়দ মহিবুল হাসান – সদস্য(সিলেট) ,১০) আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী -সদস্য( বরিশাল বর্তমানে পটুয়াখালী),১১)ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা-সদস্য। কর্নেল আলাউদ্দিনকে স্ট্যান্ডিং কমিটি সচিব হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

সাংবাদিকরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে আলোচনা করলেন, প্রশ্ন উত্থাপন করলেন। এর মধ্যে একটি প্রশ্ন ছিল আপনি সৎ ব্যক্তি, পার্টি চালানোর টাকা কোথায় পাবেন? প্রেসিডেন্ট জিয়া উত্তরে বললেন money is no problem if you work in the interest of the people the country. এভাবেই জন্ম হলো বিএনপি’র।

ইতিপূর্বে ১৯৭৮ সালের ২৮ আগস্ট মাসে জাগদল বিলুপ্ত করা হয়। চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী নতুন দলটির নাম প্রস্তাব করেছিলেন জাস্টিস পার্টি হিসেবে। কিন্তু দলটির তেমন দুধসুই হয়নি বিদায় এবং জাতীয়তাবাদী শব্দটি যুক্ত না থাকায় গ্রহণ করা হয়নি। অবশেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিজেই নবগঠিত দলটির নামকরণ করেন “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

লেখক – প্রফেসর ড.জি.এম. শফিউর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও সহ-সভাপতি, ইউট্যাব, কেন্দ্রীয় কমিটি

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:২১:এএম ২ মাস আগে
টাঙ্গাইলে নিখোঁজের ১ দিন পর ডোবা থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার  - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নিখোঁজের ১ দিন পর ডোবা থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার 

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নিখোঁজের একদিন পর আব্দুল্লাহ (৫) নামে এক শিশুর মরদেহ বাড়ীর পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর)সকালে উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের নবগ্রাম উত্তর পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল্লাহ নবগ্রাম উত্তরপাড়ার হাবিবুর রহমানের একমাত্র ছেলে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে নানীকে খুঁজতে গিয়ে শিশুটি নিখোঁজ হয় বলে জানা গেছে।

জানা যায়, শিশু আব্দুল্লাহকে নানা আজাদের কাছে গ্রামে রেখে জীবিকার অন্বেষণে তার পিতা হাবিবুর রহমান সস্ত্রীক ঢাকায় থাকেন। আজাদের স্ত্রী রোজ সকালে হাঁসের খাবার শামুক আনতে বাড়ীর পাশে ডোবায় যায়। মাঝে মাঝে আব্দুল্লাহ নানীর সাথে ডোবার পাড়ে গিয়ে বসে থাকে। মঙ্গলবার নানী তার নাতীনকে রেখে একাই শামুক খুঁজতে বের হয়। সকালে নানীকে না পেয়ে আব্দুল্লাহ সবার অগোচরে ডোবার পাড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

এদিকে দিনভর স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর শিশুটির সন্ধান না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবিসহ হারানো বিজ্ঞপ্তি দেন। পরদিন সকালে বাড়ীর পাশে একটি ডোবায় শিশুর লাশ ভাসতে দেখে পরিবারের লোকজন লাশটি উদ্ধার করে সনাক্ত করেন।

গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মামুন ভূঞা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:৩৯:এএম ২ মাস আগে
তারেক রহমান দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন: আযম খান - Ekotar Kantho

তারেক রহমান দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন: আযম খান

আরমান কবীরঃ বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, ‘আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান খুব তাড়াতাড়িই দেশে ফিরবেন। তার আসার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি বাংলাদেশের আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যেদিন দেশনায়ক তারেক রহমান বাংলাদেশে আসবেন। সেদিন সারা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ যে যেখানে আছে, সেখান থেকেই টেলিভিশনের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং রেডিওসহ সব মিডিয়ার মাধ্যমে সবাই তারেক রহমানকে স্বাগত জানাবেন, এটা আমি বিশ্বাস করি।

দেশের আইন-শৃঙ্খালা পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যারা চায় না, যারা নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়। এর পেছনে তাদের হাত রয়েছে।

আমি মনে করি, আমরা সব রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনমুখী হই, তাহলে সবার সহযোগিতায় নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে।’

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইলে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এই দিনে শহিদ জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন গণতন্ত্রের জন্য। তিনি বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দেশের সমৃদ্ধির জন্য, দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। তাই আজকের এই দিনে বলতে চাই নির্বাচন গণতন্ত্রের সব চেয়ে বড় স্তম্ভ। মানবাধিকারের সব চেয়ে বড় স্তম্ভ। মানুষের সব চেয়ে বড় স্তম্ভ। তাই নির্বাচনের বিকল্প শুধুই নির্বাচন।’

পরে তিনি উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরনবী, আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আকতারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সোহরাব হোসেন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:৪৯:এএম ২ মাস আগে
টাঙ্গাইলের ঐতিহ্য রক্ষা ও শ্যামা বাবুর খাল উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের ঐতিহ্য রক্ষা ও শ্যামা বাবুর খাল উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন

আরমান কবীরঃ: টাঙ্গাইলের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য রক্ষা এবং শ্যামা বাবুর খাল উদ্ধার ও দখলমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে টাঙ্গাইল নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির ব্যানারে ঘন্টা ব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে টাঙ্গাইল শহরের মাঝখান দিয়ে এককালে প্রবাহিত শ্যামা বাবুর খাল উদ্ধার, ভাসানী হল ও ব্রাহ্ম সমাজের মন্দিরসহ হারিয়ে যাওয়া ও দখল হওয়া সকল ঐতিহ্য রক্ষার দাবি জানানো হয়।

এ ছাড়াও মানববন্ধন থেকে—সকল প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতি, অবৈধ দখলদার ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন—টাঙ্গাইল নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন, কবি ও সাংবাদিক অ্যাডভোকেট খান মোহাম্মদ খালেদ, টাঙ্গাইল কালচারাল রিফর্মেশন ফোরামের সভাপতি আবুল কালাম মোস্তফা লাবু, নাগরিক অধিকার সুরক্ষার সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ রাজ্য, সদস্য ফরহাদ হোসেন, এবং পরিবেশবিদ ফজলে সানি প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:২৫:এএম ২ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।