আরমান কবীরঃ বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি করায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় দোকানে `তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ‘ভালোবাসা বিরোধী’ বিক্ষোভ করেছেন তারা।
শুক্রবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর থানা কাছে কলেজ রোডে ‘মামা গিফট কর্নারে’ এই ভাঙচুর ও বিক্রির জন্য রাখা ফুল রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দোকানদার।
এসময় বিক্ষুদ্ধরা ‘ভালোবাসা দিবস, ভালোবাসা দিবস- চলবে না, চলবে না’, ‘প্রেমিক-প্রেমিকার গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
ফুলের দোকানদার আলম
জানান, “দীর্ঘদিন ধরে দোকানে ফুল বিক্রি করি। এর মধ্যে শুক্রবার বিকালে কিছু লোকজন এসেই দোকানে হঠাৎ আক্রমণ ও ভাঙচুর করে ফুলগুলো রাস্তায় ফেলে দেয়।
“ভালবাসা দিবসে কেন ফুল বিক্রি করছি সেটাই অপরাধ। আরেকটি দোকান ভেঙেছে তাও কিছু বলিনি। আগেরদিন তারা নিষেধ করে গিয়েছিল।”
এদিকে স্থানীয় নিরিবিলি ফুড কর্নারের ম্যানেজার আসাদ খান বলেন, “ ১৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) হুজুররা এসে ফাস্টফুড বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। তখন তারা ফাস্টফুডে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন স্লোগানে দিয়েছিল। ফলে বাধ্য হয়ে শুক্রবার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।”
এদিকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে শনিবার ভূঞাপুরে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ‘বসন্তবরণ অনুষ্ঠান’ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূঞাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, “ভালোবাসা দিবসের বিভিন্ন ঘটনার কারণে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বসন্তবরণের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তীতে বসন্তবরণ অনুষ্ঠান করা হবে।”
তবে ভূঞাপুর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, “ফুল দোকানের ঘটনার বিষয়টি জানা নেই। এছাড়া ভাঙচুরের বিষয়েও কোনো অভিযোগ পাইনি বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যান।
শুক্রবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর থানা কাছে কলেজ রোডে ‘মামা গিফট কর্নারে ভাঙচুর করা হয়।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নারী সমন্বয়ক ফাতেমা রহমান বীথি উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে ভিক্টোরিয়া ফুড জোনের সামনে সমন্বয়ক বীথিসহ তার সঙ্গে থাকা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে চার বখাটে যুবক।
প্রতিবাদ করলে উল্টো ওই নারী সমন্বয়কের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। এ সময় আশে পাশে থাকা লোকজন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করলেও তাকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসেনি বলে জানা গেছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করা গেছে। তাঁদের একজন অমিয় ও অন্যজন মুন্না। বাকি দুজনের পরিচয় এখনও মেলেনি।
ফাতেমা রহমান বীথি টাঙ্গাইল আইন কলেজের শিক্ষার্থী এবং জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থগিত হওয়া কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ছাত্র ফেডারেশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সিসিটিভির ভিডিওতে দেখা গেছে, মোটরসাইকেলের ওপর বসা দুই যুবক সমন্বয়ক বীথির সঙ্গে তর্কাতর্কি করছে। এ সময় ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হয়ে গেলে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে ফাতেমা রহমান বীথি বলেন, ‘শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ওই বখাটেরা অনুসরণ করছিল। পরে সেখান থেকে ভিক্টোরিয়া ফুড জোনে আসার পর তারা উত্ত্যক্ত করে। এ সময় তারা বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করেছে। পরে প্রতিবাদ করলে তারা খারাপ আচরণ করে। একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ওই বখাটেদের শাস্তি দাবি করছি।’
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, ঘটনার পর ফাতেমা রহমান বীথি আমাকে ফোনে জানালে আমি ছুটিতে থাকায় সাব-ইন্সপেক্টর (এস আই) নজরুলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদারকে(৬০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার নারান্দিয়ার নিজ বাসভবন তাকে গ্রেপ্তার করে কালিহাতী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে উপজেলার নারান্দিয়ায় নিজ বাসভবন থেকে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কালিহাতী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়।
এবিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মাসুদ তালুকদারকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতিসহ তিনজনকে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তারা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, গোপালপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির ও গোপালপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী কবির হোসেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তাঁদের টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরা তিনজন ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যান। গত ৬ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে ঢাকার একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ জানুয়ারি তিনদিনের রিমান্ডে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
আদালত পরিদর্শক লুৎফর রহমান জানান, সোমবার তাদের টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে গোপালপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে ওই মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পশুপতি বিশ্বাস তাদের তিনজনকেই দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরে টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমানকে হাজির করে স্কুল ছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল চন্দ্র চন্দ দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর টাঙ্গাইল শহরে ছাত্র-জনতা বিজয় মিছিল বের করে। ওই মিছিলে গুলিবর্ষনের ঘটনা ঘটে। এতে স্কুল ছাত্র মারুফ নিহত হয়। নিহত মারুফের মা মোর্শেদা বাদি হয়ে দুইশতাধিক নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। সোহানুর রহমান সেই মামলার অন্যতম আসামি। এদিকে গোপালপুর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির ও ছাত্রলীগ কর্মী কবির হোসেনকে টাঙ্গাইল শহরে গত ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।আ’লীগ-ছাত্রলীগের তিন নেতা কারাগারে
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল শহর শাখার সহ-সভাপতি ইকবাল হায়াতসহ আরও দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
অপর দুইজন হলেন, টাঙ্গাইল পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মুন্না গোয়ালা (৫২) ও কাতুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং টাঙ্গাইল সদর থানা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস খান (৫৫)। রবিবার রাতে তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহমেদ জানান, সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলকারীরের উপর হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ছাত্রলীগে নেতা ইকবাল হায়াতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক লুৎফর রহমান জানান, ইকবাল হায়াতের রিমান্ড শুনানি হয়নি। আদালত গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকেইকা রাগারে পাঠিয়েছেন।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া বাইপাসের পাশ থেকে অভিজিত কুমার (২৬) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে বাসাইল থানা পুলিশ।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের গুল্যা এলাকা থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত অভিজিত কুমার সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার পাঁচগাছি গ্রামের রিপন চন্দ্র সরকারের ছেলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে যুবকের মরদেহ দেখতে পাই। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রথমে যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হলেও পরে তার প্যান্টের প্যাকেটে থাকা জন্ম সনদ, সার্টিফিকেট দেখে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা যাইনি। পরে তার প্যান্টের প্যাকেট থেকে কাগজ দেখে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের শহর শাখার সহ-সভাপতি ইকবাল হায়াতকে(৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে পৌর শহরের বটতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত হায়াত, পৌর এলাকার ১৬ নং ওয়ার্ডের আকুর-টাকুর পাড়া এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে বলে জানা গেছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে অভিযান চালিয়ে শহরের বটতলা এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল শহর শাখার সহ-সভাপতি ইকবাল হায়াতকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ইকবালকে গত বছরের ১৩ নভেম্বর দায়ের করা (মামলা নং ১৮) দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি)দুপুরে ইকবাল হায়াতকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ট্রাক্টরের সাথে সংঘর্ষে অটোচালক বাপ্পি(২৫) নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলা কাউলজানী ইউনিয়নের কলিয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বাপ্পি উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের সুন্যা গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকাল ১০টার দিকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে বাপ্পি বাসাইলের দিকে যাচ্ছিলেন। কলিয়া এলাকায় পৌঁছালে মাটির বহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার চালক বাপ্পি গুরুতর আহত হলে তাকে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জালাল উদ্দিন জানান, নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা জড়িত নয় বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে।
শনিবার(৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তেন জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়করা সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন তারা।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক আল আমিন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনায় আমরা জড়িত নই। কিছু নামধারী সমন্বয়ক এ কাজ করতে পারে। যারা এ সব কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রশাসনের সাথে কথা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে শনিবার থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু হবে। আমরা এ অভিযানের সফলতা কামনা করছি।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম, নবাব আলী, আল আমিন সিয়ামসহ অন্যান্য সমস্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভেকু দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খানের বাড়িতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এবং পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের বাড়িতেও লুটপাট চালানো হয়।
আরমান কবীরঃ: বিএনপির নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, বিএনপি দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে। বিএনপি কোনো চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয়না। জনগনের অধিকার আদায়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনকে যারা বিতর্কিত করতে চায় তাদের সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকবে হবে। বিএনপি জনগনের দল। জনগণের জানমালের ক্ষতি হয়- এমন কোন কাজে যারা নিয়োজিত থাকবেন তারা সাবধানে পথ চলবেন। জনগনের জানমালের ক্ষতি হবে এমন কোন কর্মকান্ড বিএনপি সহ্য করবেনা।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের শহীদ জগলু রোড়ে মির্জা আবু রায়হান জগলুর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে তিনি জেলা বিএনপি, যুবদল, মহিলা দল সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে একটি র্যালি নিয়ে শহরের জগলু রোডে ছাত্রদল নেতা শহীদ মির্জা আবু রায়হান জগলুর স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও যুব দলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিগত স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদী সরকার পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের পায়ের নিচে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পিষ্ট করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ দেশনায়ক তারেক রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে মূল ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যাতে তারা এই দেশে কোনভাবেই আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। যারা নির্বিচারে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে তাদের বিচার এই দেশের মাটিতে অবশ্যই হতে হবে। তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশের পথ সুগম হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এদেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে, শহিদ হয়েছে। গণমানুষের সেই ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এখনও চলছে।
তিনি আরো বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। যে বাংলাদেশে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে। সকলে ভাই-ভাই হিসেবে আগামি দিনে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে সকল বৈষম্যমুক্ত গণতান্ত্রিক একটি দেশ গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট
ফরহাদ ইকবাল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক শানু, কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী যুবদলের নির্বাহী সদস্য সৈয়দ শহিদুল আলম টিটু প্রমুখ।
প্রকাশ, ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদের আমলে বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের নির্বিচারে গুলিবর্ষণে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা মির্জা আবু রায়হান জগলু নিহত হন।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত “জিতবে এবার নৌকা’ ” গান বাজিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভেকু দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে টাঙ্গাইল পৌর শহরের মেইন রোডে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে এই ভাঙচুর চালানো হয়। এই ভাঙচুর চলাকালীন পুরো সময় বিভিন্ন ধরনের গান বাজিয়ে ও নেচে গেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন উপস্থিত ছাত্র-জনতা।
বিক্ষুব্ধরা মাটিকাটার যন্ত্র (ভেকু) দিয়ে শুরু করেন কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ। এর কিছু সময় পর শহরের থানা পাড়ায় অবস্থিত জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত ফজলুর রহমান খান ফারুকের বাসাও ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার বাড়ি জ্বলছিল। এ সময়ও ছাত্র-জনতা গান বাজিয়ে আনন্দ উল্লাস করে।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে একই এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং টাঙ্গাইলের সাবেক পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বাড়ি ভাঙচুরের পর সেখানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের ভাসানী হলের সামনে স্থাপিত শেখ কামালের মুরাল ভেকু দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
ছাত্র-জনতার অভিযোগ, ‘টাঙ্গাইলে যারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল, তাদের আস্তানা আমরা বাংলার মাটিতে রাখবো না। জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অফিসও আমরা ভেঙে ফেলবো।’
জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি জানান, ‘আমরা টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের কোনো অফিস রাখব না। এখন আওয়ামী লীগ অফিস ভেঙেছি। আওয়ামী লীগের যত নেতা আছে, তাদের বাসাও ভেঙে ফেলা হবে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, ‘ভাঙচুরের বিষয়ে শুনেছি, তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে সেখানে যেতে পারিনি।
আরমান কবীরঃ কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে। অসংখ্য মানুষকে গুম, খুন করেছে। ২০০৯ সালে ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাকে আওয়ামী লীগ হত্যা করে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। ২০১৪ সালের ৫ মে শাপলা চত্ত্বরে অসংখ্য আলেমকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়েছে। যে দলের নেতৃত্বে এদেশের মানুষের উপর উপর গণহত্যা চালানো হয় সেই সন্ত্রাসী দলের এই দেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
বুধবার( ৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা গণ অধিকার পরিষদের আয়োজন গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। করেন।
শাকিল উজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অসংখ্য লুটপাট হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে এরা ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। এই সকল লুটপাটের বিচার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার এসিল্যান্ড অবৈধভাবে আস্তর বালুকে বিট বালু বলে বিক্রি করেছে। ১০ কোটি টাকার বালু ৫০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছে। এসিল্যান্ড কিভাবে ১০ কোটি টাকার বালু ৫০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে। এটা তদন্ত হওয়া দরকার। কার কাছে এসিল্যান্ড কম দামে এই বালু বিক্রি করছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির দুর্নীতি ও মাদক নিয়ন্ত্রক বিষয়ক সহ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রাসেল, জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক শামীমুর রহমান সাগর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, শফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ফাহাদুল ইসলাম ফাহাদ ও সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম সিয়াম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তামান্না ইসলাম তরী প্রমুখ।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে পূর্ব পাশের বায়োস্কোপ চত্বরে “নাগরিক জীবনে পূর্ণিমার প্রভাব” এই থিমকে সামনে রেখে পূর্ণিমা উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার )রাত ৮ থেকে ১২ টা পর্যন্ত বায়োস্কোপ চত্বরে এই পূর্ণিমা উৎসব চলবে।
পূর্ণিমা উৎসবে থাকবে কবিতা আবৃতি, লোকগান, যন্ত্র সঙ্গত, “শহরের নাগরিক জীবনে পূর্ণিমার প্রভাব” নিয়ে মুক্ত আলোচনা।
অনুষ্ঠানে গান গাইবেন লিজু বাউলা, মাহবুবুর রহমান সুমন,জেসি আক্তার, নাসির ফকিরা, শাকিল , শিল্পী ঘোষ ,পলাশ প্রমূখ।
কবিতা আবৃতি করবেন, কবি আবু মাসুম,এডভোকেট জিনিয়া বক্স, সৈয়দ সাইফুল্লাহ, কুশল ভৌমিক, তাবাসসুম আরেফিন ছন্দা প্রমূখ।
“নাগরিক জীবনে পূর্ণিমার প্রভাব” নিয়ে আলোচনা করবেন-আবুল কালাম মোস্তফা লাবু।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন, এনটিভির স্টাফ করসপন্ডেন্ট মহব্বত হোসেন।
অনুষ্ঠানটি সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পরিচালক রিয়াজুল মওলা রিজু,প্রকৌশলী জাহিদ রানা, সাংবাদিক আরমান কবীর, বাপ্পি খান।
অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী সকলের জন্য পূর্ণিমা তিথিতে সেবার আয়োজন থাকবে।