একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিউর রহমান গাউসের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।
রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পশুপতি বিশ্বাসের এজলাসে এই রিমান্ড আবেদন করা হয়।
পরে বিজ্ঞ আদালত আগামী ১০ নভেম্বর রিমান্ডের শুনানি দিন ধার্য করে সি/ ডব্লিউ মূলে হাজি মতিউর রহমান গাউসকে টাঙ্গাইল জেল হাজতে প্রেরণ করে।
টাঙ্গাইলের কোট ইন্সপেক্টর লোকমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর পূর্বে গাউসকে গত ৪ আগস্ট বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের সামনে বৈষম্যে বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি হিসেবে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউসকে বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় নিজ বাসায় থেকে আটক করে সেনাবাহিনী। হাজী মতিয়ার রহমান গাউস বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকার আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে।
নাশকতামূলক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৮টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টিম বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় হাজী মতিয়ার রহমান গাউসের বাড়ি ঘেরাও করে সেনাবাহিনী। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেনা ক্যাম্পে আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে রাত ১০টার দিকে বাসাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে বাসাইল থানা থেকে তাঁকে টাঙ্গাইল সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়
বাসাইল সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর শেখ ইসতিয়াক উদ্দিন বলেন, ‘নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা থাকার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে বাসাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে সেনাবাহিনীর বাসাইল থানায় হস্তান্তর করে। পরে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সন্তোষ বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করায় ৬ ব্যবসায়িকে ১৬ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা ও ৪৪ কেজি পলিথিন জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার (৩ নভেম্বর)দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ও মোহাইমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক তুহিন আলম, সদর উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর ও খাদ্য পরিদর্শক সাহেদা বেগমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার জানান, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার ও মূল্য তালিকা না থাকায় ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে মনোরঞ্জন ও মো. আলমগীরকে ৫ হাজার টাকা করে, মো. আলিম, দীপক ও মো. রানাকে ২ হাজার টাকা করে এবং দীপককে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তাঅধিকার ও পরিবেশ আইনে এদের জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান,অন্য ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে একটি কাঁঠালগাছ থেকে আনোয়ার হোসেন (৪২) নামের এক মাছ বিক্রেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার(২ নভেম্বর) ভোররাতে উপজেলার আড়াইপাড়া গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন।
নিহত আনোয়ার হোসেন আড়াইপাড়া গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার আব্দুল বাছেদ খানের ছেলে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. হবি মিয়া বলেন, আনোয়ার বিভিন্ন হাট-বাজারে মাছ বিক্রি করতেন। শনিবার ভোররাতে আড়াইপাড়া গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার বনের পাশে একটি কাঁঠাল গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়। তাঁর আত্মহত্যার কারণ বলতে পারছি না।
তিনি আরো বলেন,প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, পারিবারিক কলহের কারণে এমনটি করে থাকতে পারে।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন।
সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন,আনোয়ারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হয়েছে।’
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খানকে (মুক্তি) আটক করেছে পুলিশ। আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর)বিকেলে তাঁকে আটক করা হয়।
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সহিদুর রহমান খানকে টাঙ্গাইল সদর থানায় নেওয়া হয়।
পরে এবছর ১ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের সন্তোষে ভিপি নূরের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের কৃত মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় মেয়র মুক্তিকে। টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহম্মদ বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সহিদুর রহমান খান টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে এবং একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খানের ভাই।
আদালত সূত্র জানায়, ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সহিদুর রহমান গত ২২ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত থেকে জামিন পান। পরে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। আজ মামলার ধার্য তারিখে তিনি অ্যাম্বুলেন্সে আদালতে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, হাজিরা শেষে দুপুর ১২টার দিকে হুইলচেয়ারে করে আদালত কক্ষ থেকে তাঁকে বের করা হয়। এ সময় আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়। পুলিশ আগেই সহিদুরকে বহন করে আনা অ্যাম্বুলেন্সটি আদালত ভবনের সামনে থেকে সরিয়ে দেয়। পরে সহিদুর আবার আদালতকক্ষে ফিরে যান। বেলা সোয়া তিনটার দিকে তিনি আবার হুইলচেয়ারে আদালতকক্ষ থেকে বের হন। আদালত চত্বর থেকে বাইরে আসার পর সদর থানা-পুলিশের একটি দল ঘিরে ধরে পুলিশের আনামাইক্রোবাসে উঠতে বলে। সহিদুর গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে পুলিশ তাঁকে আটকের কথা জানায়। কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে জিজ্ঞাসা করলে ওসি তানভীর তাঁকে বলেন, ‘আমাদের সাথে চলেন, সব জানানো হবে।’
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, মামলাটির শুধু তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। অন্য সব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো: সাইফুল ইসলাম সানতু জানান, সাবেক মেয়র সহিদুর রহমানের নামে বিভিন্ন ধরনে মামলা রয়েছে।সে কারনেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।আইনি প্রক্রিয়া শেষে আপনাদের সকল কিছু জানানো হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় তৈরিতে ‘গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি’ স্থাপন নামে এক ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করেছে শহরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার’।
‘পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, এদের রক্ষায় এগিয়ে আসুন’ প্রতিপাদ্যে বৃহস্পতিবার(৩১ অক্টোবর) দিনব্যাপী ওই সংগঠনের ব্যানারে টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছে অর্ধশতাধিক মাটির হাঁড়ি স্থাপন করা হয়।
বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের’ প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পাঠাগারের সদস্য শামীম আল মামুন, মনসুর হেলাল, সাজ্জাদ হোসেন, জাহিদ হাসান, রাকিব হোসেন, শহীদ ইসলাম এবং স্থানীয় শামীম-শাহীন নামক বিজ্ঞান একাডেমীর শিক্ষার্থীরা হাড়ি স্থাপনে অংশগ্রহণ করেন।
পাঠাগারের স্থায়ী সদস্য জাহিদ হাসান জানান, পাখিরা আমাদের পরিবেশের অপরিহার্য অংশ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখিদের নিরাপদ ঘর ও বসবাস নিশ্চিত করা সকলের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। পাখিরা প্রকৃতির অপরিহার্য সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্যের একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। সবাই মিলে পাখির ঘর গড়ে তুলি, প্রকৃতির সুন্দর মায়ায় আপলোকিত হই- এটাই তাদের প্রত্যাশা।
বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামান জানান, তারা বইপাঠ কার্যক্রমের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের সুরক্ষায় প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে থাকেন। এবছর থেকে পাখিদের জন্য গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এসব মাটির হাঁড়ি ঝড়-বৃষ্টি ও শীত থেকে সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও প্রজননে পাখিদের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ উদ্যোগ ধীরে ধীরে জেলা-উপজেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এ উদ্যোগ অন্যান্য পাখিপ্রেমীদের উৎসাহিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ‘এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি’ স্লোগানে বিগত ২০১০ সালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণুপাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দিনব্যাপী টাঙ্গাইলে পাখির নিরাপত্তা আশ্রয় তৈরিতে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি স্থাপন কর্মসূচি পালন করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক।চলতি বছরে অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগাম সবজি চাষের দিকে ঝুঁকছেন তারা।
ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারে চলে যাবে এবং শীতকালীন সবজি বিক্রি করে অধিক লাভবান হওয়ার আশা করছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, প্রতিবছর এ জেলায় উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা পূরণ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা পূরণ করে থাকে।
জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলায় সব ধরনের শীত কালীন সবজি চাষ হয়ে থাকে। যমুনা, ধলেশ্বরী ও লৌহজং নদী বিধৌত এই জেলার ভুমি বিন্যাস উর্বর হাওয়ায় বিশেষ করে জেলার চরাঞ্চল ও সমতল উপজেলায় প্রচুর শীত কালীন শাক-সবজি চাষ হয়ে থাকে।
এ ছাড়া জেলার পাহাড়ি তিনটি উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে শীতের সবজি চাষ হয়ে থাকে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এ বছর জেলার ১১ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সবজির ভালো ফলনের জন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
চলতি বছর বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে সবজি চাষে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। নষ্ট হয়ে যায় বীজ ও চারা। এর বিরূপ প্রভাব পড়ে জেলার বাজারগুলোতে। হঠাৎ বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম বেড়ে যায়। বর্ষা মৌসুম কেটে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুরু করেছেন শীতকালীন সবজি চাষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চাষ করা সবজির মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, পাতাকপি, মুলা, টমেটো, শিম, লাউ, পালংশাক, লালশাক সহ হরেক রকমের সবজি। কৃষকদের মধ্যে কেউ জমি তৈরি করছেন, কেউ জমিতে বীজ বা চারা রোপণ করছেন। কেউ আবার জমিতে গজিয়ে ওঠা সবজির চারা গাছের পরিচর্যা করছেন। সব মিলিয়ে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলার ক্ষেতের পর ক্ষেত যেদিকে চোখ যায় শুধু শীতের সবজি চাষাবাদের দৃশ্য। সবজি ক্ষেত নিংড়ানো, আগাছা পরিষ্কার ও পানি দিতে ব্যস্ত কৃষক ও কৃষাণিরা। অনাগত ফসলের দিকে তাকিয়ে তাদের মুখে তৃপ্তির হাসি।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের গালার চরের রহিম বাদশা বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে আমাদের এলাকায় প্রতি বছরই বাড়ছে শীতকালীন সবজি চাষের জমির পরিমাণ। এই অঞ্চলে এক সময় ধানের চাষ হতো। এখন সে জায়গায় নতুন নতুন বসতি হওয়াতে চাষের জমিগুলো সংকুচিত হয়ে পড়েছে। সেই ধান চাষের পরিবর্তে এখন এ এলাকায় হচ্ছে সবজির আবাদ।
সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের বাগুনটাল গ্রামের কৃষক মজিদ মন্ডল বলেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে শীতকালীন সবজি আবাদ করে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এ কারণে আমি প্রতি বছরই সবজি চাষ করি। তাতে বাজারে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদাও থাকে, আবার লাভবান হওয়া যায়।
জেলার ঘাটাইল উপজেলার কৃষক আলাউদ্দিন বলেন, আমাদের এই আগাম সবজি বাজারে উঠার পরই কমে যাবে সবজির দাম। একই সঙ্গে বাজারে সবজির সংকটও কেটে যাবে। আশা করছি, এ বছর সবজি চাষে লাভবান হবো।
টাঙ্গাইলের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তা ফারজানা খান জানান ,এ জেলা সবধরনের সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। প্রতি বছর জেলায় বিপুল পরিমাণ সবজির চাষ হয়। তাতে জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।এদিকে সব ধরনের সবজির দামও ভালো পাওয়া যায়। সে জন্যই এ বছর কৃষকরা বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে শীতকালীন সবজি আবাদে।
টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. দুলাল উদ্দিন জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও টাঙ্গাইলে সবজির বাম্পার ফলন হবে। এর ফলে বাজারে সবজির সংকট কেটে যাবে, একই সঙ্গে দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে চলে আসবে বলে মনে করছেন তিনি।
শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক। ছবি সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের রাবনা এলাকা থেকে তোলা
একতার কন্ঠঃ বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্যা ইনফোর্সমেন্ট অব হিউম্যান রাইটস এর উদ্যোগে “মানব পাচার মামলার বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধিকতা দূরীকরণের উপায়” বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউএসএইড এর অর্থায়নে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর সার্বিক সহযোগিতায় সোমবার ( ২৮ অক্টোবর )বিকেলে শহরের এসএসএস রেস্ট হাউজের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (জেলা জজ) কাউসার আহমেদ।
সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন,মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, আইনজীবী ও সাংবাদিক আতাউর রহমান আজাদ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ,জেলা বার সমিতির সভাপতি এ কে এম শামীমুল আক্তার, সাধারণ সম্পাদক শাহানশাহ সিদ্দিকী মিন্টু, টাঙ্গাইল ল কলেজের অধ্যক্ষ খান মোহাম্মদ খালেদ, জেলা শ্রম ও কর্মসংস্থান অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন পযার্য়ের সরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবী ও সাংবাদিকরা।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্যতা, বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের অভাব আর উন্নত জীবনের হাতছানি -এ সব কারনেই নারী-পুরুষ ও শিশু পাচার ক্রমশ বেড়ে চলেছে। প্রেম, বিয়ে কিংবা বিদেশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এধরণের ঘটনা গুলো ঘটে। সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র নারীদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। পাচারের কাজে শুরু থেকে শেষ পর্ষন্ত বিভিন্ন পযার্য়ে একাধিক ব্যক্তি এই কাজের সাথে জড়িত থাকে। জেলায় বর্তমানে ১৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে অবৈধ পথে মানুষকে বিদেশে চাকুরীর জন্য যাওয়ার প্রবনতা ঠেকাতে হবে। সেই সাথে আইন শৃঙ্খলার আরো উন্নতি ঘটিয়ে নিশ্চিত জীবন যাপনের সুযোগ তৈরি করতে হবে। এছাড়া মানব পাচার মামলায় ভিকটিমরা কিভাবে সঠিক ও ন্যায় বিচার পাবে এবং এ মামলা গুলোতে যে সকল প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় তা থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায় সে বিষয়গুলোর উপর আলোচনা করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সিএনজিকে পাশ কাটাতে গিয়ে পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক আকাশ (২৪) নামে এক কাঠ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপজেলার মুলিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী তানজিনা রাস্তার ছিটকে খাদে পড়ে আহত হলেও অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন।
নিহত মোটরসাইকেল চালক আকাশ কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের আউলিয়াবাদ মধ্যেপাড়া গ্রামের হারুনের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিজ বাড়ি থেকে আকাশ স্ত্রীকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে টাঙ্গাইলের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কালিহাতীর মুলিয়া এলাকায় পৌঁছলে মোটরসাইকেলটি একটি সিএনজি পাশ কাটাতে গিয়ে পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই আকাশের মৃত্যু হয়।
নিহত আকাশের স্ত্রী তানজিনা ছিটকে পাশের খাদে পড়ে আহত হলেও অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালিহাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন । সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়িতে চলে গেছেন বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রাহাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, টাঙ্গাইল- ময়মনসিংহ মহাসড়কের কালিহাতীর মুলিয়া এলাকায় পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক আকাশ ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। নিহতের মরদেহ আইনিগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের (৩৫) অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর সময় তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল বলে দাবি করেছেন তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে পাশের গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মেদি এলাকার খালপাড় গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
জাহাঙ্গীরের চাচা আমিনুল ইসলাম জানান, গত রমজানে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে মামাতো বোন শিফা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ের কথা চলছিল। এরমধ্যে শিফা অন্য এক ছেলের সঙ্গে চলে যান। বাবা সালাহউদ্দিন মেয়েকে খুঁজে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরমধ্যে শিফা বাড়িতে একবার বিষপান করেন। এরপরও তিনমাস আগে জাহাঙ্গীর শিফাকে বিয়ে করেন এবং শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। বৃহস্পতিবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে জাহাঙ্গীরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে জাহাঙ্গীরের পরিবারের লোকজন নিয়ে সালাউদ্দিনের বাড়িতে যান। তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং তার মৃত্যু অস্বাভাবিক বলে পরিবারের দাবি। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন জাহাঙ্গীরের পরিবার।
মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডিএম শফিকুল ইসলাম ফরিদ বলেন, জাহাঙ্গীর আলম সুদর্শন ও ভালো ছেলে। অল্প বয়সে তার মৃত্যুর বিষয়টি শুনে কষ্ট পেয়েছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, বিষয়টি জেনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সদস্যদের মধ্যে যারা শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দেখিয়ে সদস্য হয়েছেন তাদের আগামী ৭ দিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় কেউ যদি জাল সনদ দেখিয়ে সদস্য হয়েছেন এমন প্রমাণিত হয় তাহলে তার/ তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার(২৫ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারার সংশোধন কল্পে আয়োজিত এক বিশেষ সাধারন সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
প্রেসক্লাবের বিশেষ সাধারণ সভায় এই সময়সীমা বেঁধে দেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক খান মোহাম্মদ খালেদ।
তিনি বলেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বিধান নূন্যতম গ্র্যাজুয়েট না হলে সদস্য হওয়া যাবেনা। তারপরেও অনেকে গ্র্যাজুয়েট না হয়েও সদস্যপদ চান বা সদস্যপদ লাভ করেছেন। অনেকে জাল সার্টিফিকেটে সদস্য হয়েছেন। এর চাইতে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারেনা।
তিনি আরো বলেন, জাল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে যারা সদস্য হয়েছেন তারা নিজের নৈতিকতা বিসর্জন দিয়েছেন। যারা প্রেসক্লাবকে ভুল বুঝিয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দিয়ে সদস্যপদ নিয়েছেন যার যার সম্মান নিয়ে আগামী ৭দিনের মধ্যে সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৭৪ জন। এর মধ্যে দুইজন মৃত্যু বরণ করেছেন।বাকি ৭২ জন সদস্যের মধ্যে অন্তত ১১ জন রয়েছেন যারা শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দেখিয়ে সদস্য হয়েছেন।
এসব সদস্যরা দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিশেষ প্রতিনিধি ,জেলা প্রতিনিধি হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। এসব জাল সনদধারীদের সদস্যপদ বাতিলের জন্যে নানা সময়ে দাবি উঠলেও অজ্ঞাত কারনে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য,গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের নির্যাতিত ও বঞ্চিত সাংবাদিকসহ জেলায় কর্মরত বিক্ষুদ্ধ সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এ সময় সাংবাদিকরা গঠনতন্ত্র পরিবর্তন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রেসক্লাব এবং প্রেসক্লাবকে সাংবাদিক বান্ধব করতে গঠনতন্ত্রের পরিবর্তনসহ ব্যাপক সংস্কারের দাবিতে নানা কর্মসুচি পালন ও আল্টিমেটাম দেয়।
এরই প্রেক্ষিতে প্রেসক্লাবের জৈষ্ঠ্য সাংবাদিকরা গঠনতন্ত্র সংস্কারসহ নানা উদ্যোগ গ্রহন করেন। পরে প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদ বিশেষ সাধারন সভা আহবান করা হয়।
এর আগে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান খান আজাদকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, প্রেসক্লাব সদস্য ও দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি কামনাশীষ শেখর এবং প্রেসক্লাবের সদস্য ও ডেইলি স্টারের সাংবাদিক মির্জা শাকিল।
গঠনতন্ত্র সংশোধনের মধ্যদিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ ৬ নেতার সদস্যপদ পদ বাতিল করা হয়।
এছাড়াও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী স্থানীয় পত্রিকার দুই সম্পাদকের সদস্যপদ বাতিল হওয়ার ফলে তাদের মনোনীত আরো দুইজনের সদস্যপদও বাতিল হয়ে যায়।
প্রেসক্লাবের সদস্যপদ বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদ্যপ্রয়াত ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি খান আহমেদ শুভ ও কার্যকরী সদস্য সুজয় দেব এবং শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনি।
এছাড়াও, দৈনিক দেশবাসী পত্রিকার কোটায় সদস্যপদ পাওয়া নিলুফা ইয়াসমিন স্নিগ্ধা, দৈনিক টাঙ্গাইল সময় পত্রিকার মোজাম্মেল হক ও সাপ্তাহিক মৌ বাজার পত্রিকার আশিকুর রহমান পলাশ।
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীনের সঞ্চালনায় এই বিশেষ সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ।
সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক বিমান বিহারী দাস, খান মোহাম্মদ খালেদ, আতাউর রহমান আজাদ, শামসাদুল আখতার শামীম, মাহমুদ কামাল, আবু রায়হান খান, কামনাশীষ শেখর, মির্জা শাকিল, মহব্বত হোসেন, সোহেল তালুকদার প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ অবশেষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হয়েছে। গঠনতন্ত্র সংশোধনের মধ্যদিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ ৬ নেতার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর)সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে আয়োজিত এক বিশেষ সাধারন সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারার সংশোধন করা হয়।
এছাড়াও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী স্থানীয় পত্রিকার দুই সম্পাদকের সদস্যপদ বাতিল হওয়ার ফলে তাদের মনোনীত আরো দুইজনের সদস্যপদও বাতিল হয়ে যায়।
এদিকে, সাপ্তাহিক মৌবাজার পত্রিকার সম্পাদক সাত্তার উকিল প্রায় তিন বছর আগে মুত্যুবরণ করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ পত্রিকার কোঠায় সদস্যপদ লাভ করা আরো একজনের সদস্যপদ বাতিল হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রেসক্লাবের সদস্যপদ বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদ্যপ্রয়াত ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি খান আহমেদ শুভ ও কার্যকরী সদস্য সুজয় দেব এবং শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনি।
এছাড়াও, দৈনিক দেশবাসী পত্রিকার কোটায় সদস্যপদ পাওয়া নিলুফা ইয়াসমিন স্নিগ্ধা, দৈনিক টাঙ্গাইল সময় পত্রিকার মোজাম্মেল হক ও সাপ্তাহিক মৌ বাজার পত্রিকার আশিকুর রহমান পলাশ।
এই সংশোধনের ফলে প্রেসক্লাব রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ও পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠনে পরিনত হবে বলে ধারনা করছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও সচেতনমহল।
জানা গেছে, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের গত ১৬ বছর ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবকে কার্যত জেলা আওয়ামী লীগের বিকল্প কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ওই সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও তিন এমপিসহ শীর্ষ ৬ নেতা সদস্যপদ লাভ করেন। সে সময় জেলার টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বানিজ্য, মনোনয়ন বানিজ্য, দলীয় পদ বানিজ্যসহ সকল ধরনের অপকর্মের আস্তানায় পরিনত হয় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব।
গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন এসব অপকর্মের প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের নির্যাতিত ও বঞ্চিত সাংবাদিকসহ জেলায় কর্মরত বিক্ষুদ্ধ সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এ সময় সাংবাদিকরা গঠনতন্ত্র পরিবর্তন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রেসক্লাব এবং প্রেসক্লাবকে সাংবাদিক বান্ধব করতে গঠনতন্ত্রের পরিবর্তনসহ ব্যাপক সংস্কারের দাবিতে নানা কর্মসুচি পালন ও আল্টিমেটাম দেয়।
এরই প্রেক্ষিতে প্রেসক্লাবের জৈষ্ঠ্য সাংবাদিকরা গঠনতন্ত্র সংস্কারসহ নানা উদ্যোগ গ্রহন করেন। পরে প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদ বিশেষ সাধারন সভা আহবান করে।
এর আগে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান খান আজাদকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, প্রেসক্লাব সদস্য ও দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি কামনাশীষ শেখর এবং প্রেসক্লাবের সদস্য ও ডেইলি স্টারের সাংবাদিক মির্জা শাকিল।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীনের সঞ্চালনায় এই বিশেষ সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন- টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ।
সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক বিমান বিহরী দাস, খান মোহাম্মদ খালেদ, আতাউর রহমান আজাদ, শামসাদুল আখতার শামীম, মাহমুদ কামাল, আবু রায়হান খান, কামনাশীষ শেখর, মির্জা শাকিল, মহব্বত হোসেন, সোহেল তালুকদার প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি রোধ, পণ্যের অবৈধ মজুদ প্রতিরোধ এবং বাজারে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতকরণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অধিনে গঠিত জেলা পর্যায়ে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে পৌর শহরের সবচেয়ে বড় পাইকার বাজার পার্ক বাজারের পাইকারি ও খুচরা দোকানে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা আক্তার।
অভিযানে কয়েকটি দোকানের অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি এবং পণ্য বিক্রির মূল্য তালিকা টানানোর অপরাধে আর্থিক জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও কয়েকটি দোকানের মালিকদের মৌখিক ভাবে সতর্ক করা হয়।
অভিযানে সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. রাকিবুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মো. মোহাইমিনুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও বিশেষ টাস্ক ফোর্সের সদস্য সচিব শাহীনুর আলমসহ ছাত্র প্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।