/ হোম / এক্সক্লুসিভ
টাঙ্গাইলে‌ বাধার মুখে পরী মনি’র উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান‌ স্থগিত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে‌ বাধার মুখে পরী মনি’র উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান‌ স্থগিত

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলায় “অথেনটিক প্রোডাক্ট হারল্যানে স্টোর” উদ্বোধনের জন্য চিত্রনায়িকা পরীমণির আগমনের কথা ছিল। এই খবর তার ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। তবেস্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। হেফাজতে ইসলামসহ বেশকিছু স্থানীয় সংগঠন পরীমণির আগমন ঠেকানোর জন্য প্রচারণা শুরু করেন। একপর্যায়ে চাপের মুখে শোরুমের মালিক মীর মাসুদ রানা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করতে বাধ্য হন।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গার টিন মার্কেটের শোরুমটির উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

স্থানীয়রা জানান, গত ১৫ দিন ধরে শোরুম কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে জানাচ্ছিলেন যে, পরীমণি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তবে গত ২-৩ দিন ধরে হেফাজতে ইসলামসহ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা পরীমণির আগমন ঠেকাতে নানা কর্মসূচির ঘোষণা দেন এবং আন্দোলনসহ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এতে চাপের মুখে শোরুম কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেন।

শোরুমের মালিক মীর মাসুদ রানা জানান,“পরীমণি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল, কিন্তু হেফাজতে ইসলাম আন্দোলন শুরু করেছিল। তারা জানান, পরীমণি আসলে সমস্যার হবে। মসজিদে-মসজিদে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের এক নেতা ফোন করে বিষয়টি জানায়। পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়। আমি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সম্মানে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলা শাখার যুব-বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সুলাইমান হাবিব তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে শোরুম উদ্বোধনের জন্য পরীমণি আসার কথা ছিল, তবে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় আমি শোরুমের মালিক মাসুদ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। আমরা তার এই উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞ।”

কালিহাতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, “হুজুররা কিছু সমস্যার সৃষ্টি করেছিল, পরে কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হুসেইন বলেন, “স্টোর কর্তৃপক্ষ আমার কাছে অনুমতি নিতে এসেছিল। আমি তাদের কিছু শর্ত দিয়েছিলাম, যেন কোনো ধরনের যানজট বা জনদুর্ভোগ না হয়। তারা রাজি হয়েছিল, তবে অনুষ্ঠানের শেষ অবস্থা সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই। এসিল্যান্ড এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।”

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. জানুয়ারী ২০২৫ ১২:৫৭:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে পর্নোগ্রাফি মামলায় স্কুল ছাত্রী আটক - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পর্নোগ্রাফি মামলায় স্কুল ছাত্রী আটক

আরমান কবীরঃ: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শিক্ষিকা ও ছাত্রীসহ বিভিন্নজনের ছবি ব্যবহার করে পর্নো ভিডিও বানিয়ে বিভিন্ন ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে পোষ্ট করে টাকা দাবীর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক স্কুল ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে আটক ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।

এরআগে রবিবার(১৯ জানুয়ারি )রাতে উপজেলার পূর্ব ভূঞাপুর বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। তার বাড়ি উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে । সে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী।

এদিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে আটকের খবরে থানায় হাজির হয় কয়েকজন ভুক্তভোগী। এসময় তারা ওই ছাত্রীসহ তার অভিভাবকদেরও শাস্তি দাবী করেন।

পুলিশ জানায়, উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা, ছাত্রী ও ব্যক্তিদের ছবি ব্যবহার করে পর্নো ভিডিও তৈরি করে একাধিক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ বানিয়ে সেখানে পোষ্ট করা হয়। পরে পোষ্ট করা ভিডিওর সাথে মোবাইল নম্বর দিয়ে লাখ লাখ টাকা চাওয়া হয়। ‘দিলরুবা’ ও ‘রাকিবুল ইসলাম’ নামের আইডি থেকে এলাকার অনেকের আইডি যুক্ত করে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করে। পরে সেই গ্রুপে পর্নো ভিডিও পোষ্ট করা হয়। পরে ফেসবুক, গুগল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আইডিগুলোর মালিক বা ব্যবহারকারী সনাক্ত করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ভূঞাপুর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীর ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জব্দ করা ফোনে এসব পোষ্ট ও ভিডিও’র ছড়ানোর সত্যতা পাওয়া যায়।

পর্নো আইনে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে অন্য কোন ব্যক্তির সামাজিক বা ব্যক্তি মর্যাদা হানি করিলে বা ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় বা অন্য কোন সুবিধা আদায় বা কোন ব্যক্তির জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে ধারণকৃত কোন পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে মানসিক নির্যাতন করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

আটক ঐ স্কুল ছাত্রী জানায়, আমার ছবি ব্যবহার করে পর্নো ভিডিও বানানো হয়েছে। সেই ভিডিও দিয়ে আমার পরিবারের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। ঘটনার জড়িত মির্জাপুরের সিমান্ত ও গোপালপুরের সিফাতকে পুলিশ ডেকে এনেছিল। তারা স্বীকারও করেছে কিন্তু তারপরও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এধরনের সাথে কাজের সাথে আমি জড়িত না সেটার প্রমাণ আমার কাছে আছে।

আটক ঐ স্কুল ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের ছবি দিয়ে নগ্ন ভিডিও বানিয়ে টাকা দাবী করা হয়েছিল। যে নম্বরগুলোতে টাকা চাওয়া হয়েছিল তাদের পুলিশ ধরেছিল। তারা স্বীকারও করেছে এই ঘটনা। সে সময় মেয়ের মোবাইল চেক করে কোন কিছু পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফেরত দিলেও রবিবার রাতে মেয়েকে থানায় নিয়ে যায়। পরে সোমবার পর্নোগ্রাফি মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এটার সাথে মেয়ে জড়িত না।

ভূঞাপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, জি-মেইল দিয়ে একাধিক ফেসবুক আইডি খোলা হয়েছে ওই ছাত্রীর মোবাইল দিয়ে। লোকলজ্জার ভয়ে অনেকেই কিছু বলতে চান না। এই ঘটনায় ভুক্তভোগি একজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়। এতে গুগল, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়। পরে তদন্তে আইডি’র ব্যবহারকারীর পরিচয় সনাক্ত হওয়ার পরই ওই ছাত্রীকে আটক করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২১. জানুয়ারী ২০২৫ ০২:১২:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে শীতার্তদের মাঝে ফরহাদ ইকবালের শীতবস্ত্র বিতরণ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে শীতার্তদের মাঝে ফরহাদ ইকবালের শীতবস্ত্র বিতরণ

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল‌ সদর উপজেলার মগড়া‌ ইউনিয়নের সুবিধা বঞ্চিত শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।

রবিবার (১৯ জানুয়ারী ) দুপুরে মগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।এসময় ইউনিয়নের ৪ শতাধিক শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাদিউজ্জামান সোহেল, মামুন সরকার, তাতীদল সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান, মহিলাদল নেত্রী এডভোকেট রক্সি মেহেদী, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদা আক্তার স্বপ্না, বিএনপি নেতা রুহুল আমিন, বাবু, ছাত্রদল নেতা আরেফিন রানা, হেলাল প্রমূখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মগড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক এসএম আনিছুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. জানুয়ারী ২০২৫ ০৩:২১:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চোর সন্দেহে ছানোয়ার হোসেন (৩৭) নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে শহরের কোদালিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতের যুবককে নাম সাইফুল্লাহ সিরাজ(২৭)ওরফে সোহাগ। সে টাঙ্গাইল পৌরসভার কোদালিয়া এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে। সাইফুল্লাহ সিরাজের গ্রামের বাড়ি জেলার নাগরপুর উপজেলায়। সিরাজ কোদালিয়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ।

এর পুর্বে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিহত ছানোয়ার হোসেনের পিতা হাসমত আলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দিনে-দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মতো জায়গায় চুরির অভিযোগে একজন যুবকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শহরের ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, নিহতের পিতা হাসমত আলী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অজ্ঞাত ৮/ ১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে সাইফুল্লাহ সিরাজ(২৭)ওরফে সোহাগকে সনাক্তকরণের পর শনিবার রাতে শহরের কোদালিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরো জানান, রবিবার(১৯ জানুয়ারি )সকালে সাইফুল্লাহ সিরাজের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে টাঙ্গাইল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবার(১৬ জানুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার মেডিসিন ওয়ার্ড (মহিলা) থেকে ৮/ ১০ জন যুবক নিহত ছানোয়ার হোসেনকে জোর করে ধরে এনে চোর বলে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ সময় ছানোয়ার হোসেন জীবন বাঁচাতে যুবকদের হাতে পায়ে ধরে রক্ষা পায়নি। এমনকি ছানোয়ার হোসেনকে বাঁচাতে হাসপাতালের কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে ছানোয়ার হোসেন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে যুবকরা পালিয়ে যায়।নিহত ছানোয়ার হোসেন জেলার মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের ভট্টবাড়ী গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে‌ । সে শহরের আকুর-টাকুর পাড়ায় জনৈক পায়েলের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. জানুয়ারী ২০২৫ ১২:৩১:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চোর সন্দেহে যুবককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চোর সন্দেহে যুবককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ছানোয়ার হোসেন(৩৭) নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।

নিহত ছানোয়ার হোসেন জেলার মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের ভট্টবাড়ী গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার মেডিসিন ওয়ার্ড (মহিলা) থেকে ৪/ ৫ জন যুবক নিহত ছানোয়ার হোসেনকে জোর করে ধরে এনে চোর বলে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ সময় ছানোয়ার হোসেন জীবন বাঁচাতে যুবকদের হাতে পায়ে ধরে রক্ষা পায়নি। এমনকি ছানোয়ার হোসেনকে বাঁচাতে হাসপাতালের কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে ছানোয়ার হোসেন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে যুবকরা পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানায়, এ ভাবে দিনে-দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মতো জায়গায় চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। অবিলম্বে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় এক যুবককে চোর সন্দেহে কয়েকজন দুর্বৃত্ত পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

তিনি আরও জানান,পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. জানুয়ারী ২০২৫ ০৬:৩৯:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে সমন্বিত বন্যা সহনশীল কর্মসূচি পর্যায়-৩ এর উদ্বোধন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সমন্বিত বন্যা সহনশীল কর্মসূচি পর্যায়-৩ এর উদ্বোধন

আরমান কবীরঃ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের উদ্যোগে সমন্বিত বন্যা সহনশীল কর্মসূচি (আইএফআরসি) পর্যায়-৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)দুপুরে আইএফআরসি’র কারিগরি সহায়তায় মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সের কোরিয়া গভারমেন্টের অর্থায়নে এনজিও ফোরাম টাঙ্গাইলের হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সঞ্জয় কুমার মহন্ত।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা শিক্ষা কমকর্তা (মাধ্যমিক) রেবেকা সুলতানা, জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপ-পরিচালক ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাবিনা ইয়াসমিন, আইএফআরসি’র ম্যানেজার বিপ্লব ক্রান্তি মন্ডল, ইউনিট লেভেল কর্মকর্তা মঈনুদ্দিন, আইএফআরসি বিডিআরসিএস’র পিএমইআর অফিসার মো. মোমিনুল হক, একাউন্টস এন্ড এডমিন মো. হুমায়ন কবির, আইএফআরসি পর্যায় -৩ এর প্রোগ্রাম অফিসার মো. মতলেবুর রহমান, যুব প্রধান আল আমিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলার কৃষি, প্রানী সম্পদ ও শিক্ষাসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, উপকারভোগী ও বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিবৃন্দ, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং যুব সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. জানুয়ারী ২০২৫ ১১:১৩:পিএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসব শুরু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসব শুরু

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে শুরু হয়েছে লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসব।বুধবার(১৫ জানুয়ারি )সকাল ১১টায় শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে কালচারাল রিফরমেশন ফোরাম, টাঙ্গাইলের আয়োজনে তিন দিন ব্যাপী লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রানা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসব কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম মোস্তফা লাবু।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন
বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব গোলাম আম্বিয়া নুরী, জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দর্শকের উপস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ লাঠিখেলা,ও মেয়েদের হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

এ পিঠা মেলায় ৪২ টি স্টলে স্থান পেয়েছে দুধের পিঠা, ভাপা, নকশি, চিতই, পাঠিসাপটা, জামাই বরণ পিঠা, ডাল ও তালের পিঠা সহ বিভিন্ন রকমের পিঠার সমারাহ।

মেলায় দর্শনার্থীরা জানায়, কুয়াশার সকালে কিংবা সন্ধ্যায় হিমেল বাতাসে মুখরোচক পিঠার স্বাদ নেওয়া ভোজন বিলাসী বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ।

চলচ্চিত্র পরিচালক ও মেলায় অংশগ্রহণকারী বাইস্কোপ পিঠাঘরের স্বত্বাধিকারী রিয়াজুল রিজু জানান, নবীন ও প্রবীণের সমন্বয় এই পিঠার উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে এজন্য আমি আনন্দিত।
নতুন প্রজন্মের সঙ্গে দেশীয় পিঠার পরিচয় করিয়ে দিতে আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান তিনি। প্রতি বছর যেন এ রকম লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয় এমনটা প্রত্যাশা তার।

মেলায় ঘুরতে আসা টাঙ্গাইল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক প্রকৌশলী জাহিদ রানা জানান, দীর্ঘদিন পর টাঙ্গাইলে একটি ব্যতিক্রমধর্মী লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসবের আয়োজনে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আমি প্রতিটি পিঠার স্টল ঘুরে দেখেছি। স্টলে বিভিন্ন রকমের পিঠার ডালি সাজিয়ে রেখেছে দোকানিরা। খুব ভালো লাগলো। নতুন নতুন অনেক পিঠার সাথে পরিচিত হলাম। সেগুলোর স্বাদ নিলাম। পিঠাগুলো খুব মজার ছিল।

লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসব কমিটির সদস্য সচিব অনীক রহমান বুলবুল জানান, ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসবে থাকবে, লাঠি খেলা, ছেলেদের ও মেয়েদের হাডুডু খেলা, সং যাত্রা, যাদু প্রদর্শন, যাত্রাপালা,পুথি পাঠ, লোকজ গান, গোল্লাছুট, ওপেন টু বাইস্কোপ, বাইস্কোপ, কুতকুত, খেলা সহ, হামদ, নাথে রাসুল, কীর্তন, শ্যামা সংগীত সহ দেশোজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই পিঠা উৎসবের মূল আকর্ষণ হল মেলায় ঢেঁকিতে প্রকাশ্যে চিড়াকোটা ও মুড়ি ভাজা হবে। পিঠা কিভাবে তৈরি হয় সেটা দর্শক ও শিশুদের দেখানো হবে।

লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসব কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম মোস্তফা লাবু জানান, দীর্ঘ সময় ধরে এই বাংলাদেশে লোকজ সংস্কৃতি বিলুপ্তি প্রায়। যান্ত্রিক যুগে মোবাইলের কারণে শিশুরা লোকজ ও সাংস্কৃতিক থেকে একেবারে দূরে সরে গেছে। লোকজ সংস্কৃতি কি, শিশুরা তা জানে না। সম্প্রতি অভিভাবকের কাছে জানতে পারলাম, শিশু তার বাবাকে প্রশ্ন করেছে মুড়ি কোন গাছে হয়। মুড়ি যে গাছে ধরে হয় না,শিশুর এমন প্রশ্ন দোষের না। কারণ শিশুরা মাঠে-ঘাটে খেলাধুলার বাস্তবতা থেকে অনেকটাই দূরে। সেই অনুভব থেকে আমরা এ রকম লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসবের আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ লোকজ ও সাংস্কৃতি আগত ও বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।

তিনি আরো জানান, মেলায় বাঙালি কৃষ্টি ও লোকজ ঐতিহ্যের স্মারক বাহারি পিঠা প্রদর্শন, ক্রয়, বিক্রয় ও ভোজনুৎসবের পাশাপাশি উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. জানুয়ারী ২০২৫ ১০:১১:পিএম ৩ মাস আগে
সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত - Ekotar Kantho

সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার( ১৪ জানুয়ারি )দিনব্যাপি কলেজ ক্যাম্পাসে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের শীতকালীন পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্বাগত বক্তব্য ও বেলুন উড়িয়ে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন-কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর এস.এম. আসাদুজ্জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর খন্দকার আরিফ মাহমুদ, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক প্রফেসর মো. শফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মো. আলী আশরাফ খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় করেন, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নূর-এ আলম সুমন ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. শফিকুল ইসলাম।

কলেজের ১৫টি অনার্স বিভাগসহ রোভার স্কাউট, বিএনসিসি ও রেড ক্রিসেন্টসহ ১৮টি স্টলে জামাই পিঠা,রস পাকন,মুলাসুন্দরী পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, ভাপা পুলিসহ নানা নাম ও রংবেরংয়ের পিঠা প্রদর্শন করা হয়।

উদ্বোধন শেষে পিঠা উৎসবের স্টল পরিদর্শন করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর এস.এম. আসাদুজ্জামানসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা।

এই পিঠা উৎসবকে ঘিরে কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলন মেলায় পরিনত হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. জানুয়ারী ২০২৫ ০২:৩৬:এএম ৩ মাস আগে
নিহত সেনা কর্মকর্তা তানজিমের বাবা-মায়ের কাছে ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর - Ekotar Kantho

নিহত সেনা কর্মকর্তা তানজিমের বাবা-মায়ের কাছে ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর

একতার কণ্ঠঃ দুর্বৃত্তদের আঘাতে নিহত টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনের বাবা-মায়ের কাছে পূর্বাচলে অবস্থিত জলসিড়ি আবাসনের একটি ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সেনাসদরে ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের চকরিয়ায় যৌথবাহিনীর ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযান পরিচালনাকালে দুর্বৃত্তদের আঘাতে নিহত হন লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার (২৩)। তার নিহতের ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তি দেয় আইএসপিআর।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়া উপজেলার অন্তর্গত ডুলহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে ডাকাতির খবর পেয়ে চকরিয়া আর্মি ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল দ্রুত সেখানে যায়।

ভোর রাত ৪টার দিকে মাইজপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করার সময় ৭/৮ সদস্যের একটি ডাকাত দল সেনা টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন ডাকাত দলের কয়েকজনকে তাড়া করেন। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনের ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হন এবং এতে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নির্জনকে উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে তিন ডাকাতকে আটকসহ একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ৬ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও, ডাকাত সন্দেহে আরও তিন জনকে আটক করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশমাতৃকার সেবায় এ তরুণ সেনা কর্মকর্তার আত্মত্যাগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এবং সেই সাথে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সব সদস্যের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের করের বেতকা এলাকার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সারোয়ার জাহান ও মাতা নাযমা বেগমের দুই সন্তানের মধ্যে নির্জন একমাত্র ছেলে।

নির্জন পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন এবং ২০২২ সালের ৮ জুন বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে ৮২তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে আর্মি সার্ভিস কোর শাখায় কমিশন লাভ করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. জানুয়ারী ২০২৫ ১১:১৫:পিএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে মাদক সেবন ও অশ্লীল নৃত্যের অভিযোগে ৭৬ বছরের পুরনো মেলা বন্ধ ঘোষণা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মাদক সেবন ও অশ্লীল নৃত্যের অভিযোগে ৭৬ বছরের পুরনো মেলা বন্ধ ঘোষণা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৭৬ বছরের পুরনো ফাইলা পাগলার মেলা বন্ধ ঘোষণা করেছে যৌথ বাহিনী। রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের দাড়িয়াপুরে অবস্থিত ফাইলা পাগলার মাজার প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ অভিযান শেষে মেলা বন্ধের এ ঘোষণা দেন।

অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনী, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এ টি এম ফজলে রাব্বি প্রিন্স, সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ১৯৪৯ সালে উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামে প্রথম ফাইলা পাগলার মেলা শুরু হয়। প্রতিবছরের হিজরি রজব মাসের প্রথম দিন থেকে মেলা শুরু হয়ে মাসব্যাপী চলে এর কার্যক্রম। পূর্ণিমার রাতে হয় বড়মেলা। তবে মানতকারী, ভক্ত-দর্শনার্থীদের আনাগোনা থাকে সারা মাস। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার লোক ব্যান্ডপার্টিসহ মানত করা মোরগ, খাসি, গরুসহ নানা পণ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হয়। মাজারের চারপাশের প্রায় এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লোকজন মোরগ, গরু-খাসি জবাই করে মানত পূরণ করে।

এদিকে, মাজারঘেঁষেই পাগল ভক্তদের বসার আস্তানা। সেখানে প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন করা হয়। এই সুযোগে দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্ত ও যুবকরা অনেকটা প্রকাশ্যেই মাদক সেবন করে। এ ছাড়া মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিরাতে অশ্লীল নৃত্যের আয়োজন করা হয় বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।

বিষয়টি নিয়ে সচেতন নাগরিক সমাজ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেয়। পরে রবিবার বিকালে যৌথ বাহিনী মেলা বন্ধে অভিযান চালায়। এ সময় ব্যবসায়ী ও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মেলাস্থল ত্যাগ করতে ১৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়। পরে দোকানপাট সরিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদের দুই ঘণ্টা সময় দেয় যৌথ বাহিনী। পরে মেলায় আসা লোকজন দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এ সময় মেলায় বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে আসা ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। পরে তারা মালামাল সরাতে দুই দিন সময় চান।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনী বলেন, ‘মেলার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ছিল। আমরা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছি। এ কারণে মেলাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

তবে মাজার কমিটির সভাপতি কবির হাসান অভিযোগ করে বলেন, ‘একটি মহল মেলাটি বন্ধ করার জন্য পাঁয়তারা করছে। মাজারের পাশ থেকে পাগল ভক্তদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবুও মেলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেলাটি বন্ধ করায় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে ফাইলা পাগলার মাজারে পরপর দুটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে মাজারের খাদেমসহ আট জন নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন। এ হামলার পর কয়েক বছর মেলায় লোকজন কম হচ্ছিল। ধীরে ধীরে সেই ভয় কেটে যাওয়ার পর থেকে লোকজন মেলায় বেশি আসছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৩. জানুয়ারী ২০২৫ ০৪:৪৮:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ফাহমিদা লস্করের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

রবিবার (১২ জানুয়ারি)দুপুরে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যানারে ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা মাসুদ, মাসুদ রানা, হাবিব হোসেন, ব্যবসায়ী আয়নাল হোসেন, হাবিব হোসেন, নুরজাহান বেগম, সোমা আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগীরা পরিপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবা ও ওষুধ পত্র পাচ্ছে না। এ ছাড়া প্যাথোলজি বিভাগ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় রোগীরা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

তারা আরও অভিযোগ করে বলেন,অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে আউটসোর্সিং পদে তার ইচ্ছেমত লোক নিয়োগসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছেন ডা: ফাহমিদা লস্কর।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২. জানুয়ারী ২০২৫ ০৯:৫৪:পিএম ৩ মাস আগে
সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে টাঙ্গাইলে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে-শাকিল উজ্জামান - Ekotar Kantho

সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে টাঙ্গাইলে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে-শাকিল উজ্জামান

একতার কণ্ঠঃ কেন্দ্রীয় গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক ও উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদ স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে রাজপথ থেকে গড়ে উঠা একটি সংগঠন। স্বৈরাচারী হাসিনার রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে গণমানুষের নায্য অধিকার আদায়ে দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছে।

শুক্রবার(১০ জানুয়ারি )বিকেলে শহরের নিরালা মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে টাঙ্গাইল জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধিত সভায় সারা দেশে গণঅধিকার পরিষদের একমাস ব্যাপী সদস্য সংগ্রহের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী টাঙ্গাইল জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি চলছে। সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে টাঙ্গাইলে মানুষের ভালো সারা পাওয়া যাচ্ছে। মানুষের সারা দেখে বুঝা যাচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ আজ গণমানুষের ভালোবাসার সংগঠনে পরিণত হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের প্রতীক ট্রাক মার্কার গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদ সারাদেশে যে কোন অন্যায় অবিচার শোষণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে গণঅধিকার পরিষদ জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে। সেই লক্ষ্যে গণঅধিকার পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মনিরুজ্জামান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীমুর রহমান সাগর,সহ-সভাপতি রুবেল খান, আনিসুল হক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম তরুণ, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ফাহাদুল ইসলাম ফাহাদ ও সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী,সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক তামান্না ইসলাম তরী প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. জানুয়ারী ২০২৫ ০৭:৩৬:পিএম ৩ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।