একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, দেশের হাজার বছরের ইতিহাসকে সামনে রেখে বাংলাদেশের সংবিধান তৈরি হওয়া উচিত। দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর আজও আবার সেই পরাজিত শক্তি পেছন দরজা দিয়ে আমাদের পিঠে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস টাঙ্গাইল জেলা শাখার আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং নৈরাজ্যবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা মামুনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ রাতের অন্ধকারে সংখ্যালঘুদের ওপর কালনাগিনী হয়ে ছোবল মারতো। দিনের বেলায় তারাই আবার ওঝা হয়ে ঝারতে আসতো। এই নাটক করেছে আওয়ামী লীগ। এই নাটকের কলা-কুশিলবরা এখন বাংলাদেশের দৃশ্য নাই। এর জন্য এখন নাটকও নাই। এখন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা ভালো আছেন। তাদের মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় আর হামলা হয় না। হিন্দুধর্মাবলীদের কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে কেউ হামলা চালায় না। কারণ আক্রমণকারী আওয়ামী লীগাররা এখন পালিয়ে আছে।
তিনি বলেন, ওরা যদি আবার ঢুকতে পারে শুরু করবে সংখ্যালঘুদের দিয়ে। সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘর জ্বালাবে, হিন্দুদের মূর্তি ভাঙবে এগুলো করে সাম্প্রদায়িক কামিল হটাবার চেষ্টা করবে। তাই সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ এই মুনাফিক শক্তিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর পূর্ণবাসিত হতে দেওয়া যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে নজির বাংলাদেশে চলছে এটাকে অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের ৯০ ভাগ মুসলিমদের চেতনা, তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে যদি সম্মান জানাতে না পারেন এদেশে কোন দিনও সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অবস্থান ভাল রাখা যাবে না। সম্প্রীতির সকল জায়গাগুলোতে সম্মিলিতভাবে আমরা সংরক্ষণ করব। আগামীর বাংলাদেশ হবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ, ইনসাফের বাংলাদেশ, বৈষম্যহীন এক বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই বিজয় অর্জন করা যতটা কঠিন, বিজয়কে রক্ষা করা তার চেয়েও বেশি কঠিন। আমরা যদি সাময়িক বিষয়ের তৃপ্তিতে, আমরা যদি তৃপ্তির ঢেকর তুলি, এই বিজয় যে কোন সময় ছিনতাই হয়ে যেতে পারে। যে কোন মুহূর্তে এই বিজয় আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে। পরাজিত শক্তি বসে নেই। কথিত স্বৈরাচার এখনো বাংলাদেশের মানুষের বুকের উপর ছোবল মারার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল বিভাজনের রাজনীতি। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার বিভাজনের রাজনীতি পরাজিত হয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিল। এই ঐক্য ছিল বাংলাদেশের আগস্ট বিপ্লবের শক্তি এই ঐক্যের মাধ্যমে এদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদকে পরাজিতা করতে সক্ষম হয়েছে। আপনারা পৃথিবীর ইতিহাসে নিকৃষ্টতম স্বৈরাচারীর যাতাকল থেকে মুক্ত করেছেন। আমাদের সংগ্রাম আরও বাকি রয়েছে। ফ্যাসিবাদের অবশিষ্ট শক্তিকে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত না করা পর্যন্ত এদেশে কেউ নিরাপদ নয়। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই ঐক্য আমাদের ধরে রাখতে হবে। ঐক্য ধরে রাখতে না পারলে বিএনপি-জামায়াত -হেফাজত ইসলাম আমরা কেউ এ দেশে নিরাপদে থাকতে পারবো না। শেখ হাসিনা শুধু একা নয়, তার পিছনে লুকিয়ে আছে ওই শক্তি যারা বাংলাদেশকে স্বাধীন ভাবে দেখতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে আপা আপা সংবাদ পাঠান, চট করে ঢুকে পড়ার পাঁয়তারার ধান্দা করতেছেন। আপা যেখানে আছেন ভালো আছেন। ওখানে থাকেন আমরা ধরে আনব সময় মতো। এর আগে ঢোকবার চেষ্টা করবেন না এদেশের মানুষের কবলে পড়লে কত ধানে কত চাল হিসাবটা বুঝতে পাবেন।
শেখ হাসিনার সর্ম্পকে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিলো প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এতো মানুষ মরে নাই। ৭১’ থেকে ৭৫’ এর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত এসব মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যে মানুষের জন্য তার মায়া নেই। এই দেশটাকে তিনি স্বাধীন রাখতে চায়নি। চোখে কোন অশ্রু নাই। সব চোখের অশ্রু শুধু ১৫ আগস্টের জন্য। এই বৈষম্য ভালো না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জে যে ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার প্রকৃত দোষীদেরকে গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পূর্ণবাসন করবার জন্য যারা যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা ক্বওমী ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য মুফতি আশরাফুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ এনামুল হাসানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশের ৫১তম রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি) ‘ট্রাক’ প্রতীকে নিবন্ধন পাওয়ায় টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ভূগোল হাট বাজারে নাগরপুর গণ অধিকার পরিষদ অঙ্গ, ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তারা বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদ দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে সাড়া ফেলেছে। ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত হলে গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে গণ অধিকার পরিষদ সরকার গঠন করবে।
টাঙ্গাইল জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম-সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার কবির আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও যুব অধিকার পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান নাছিরের সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদ (ঢাকা বিভাগ) সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তোফাজ্জল হোসেন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. ওয়াহেদুজ্জামান সুমন, টাঙ্গাইল জেলা যুব অধিকার পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কবির হোসেন নয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. ফাহাদুল ইসলাম, নাগরপুর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আল-আমিন, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. সিপন রানাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পৃথক স্থান থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘাটাইল উপজেলার কাইতকাই এলাকায় একটি বাড়ির পাশের ধানখেত থেকে কিশোর শামীম (১৪) ও কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকা থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত শামীম উপজেলার ভানিকাত্রা গ্রামের ভ্যানচালক করিমের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘাটাইল উপজেলার কাইতকাই এলাকায় ধানখেতের পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। শামীম ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট-সংলগ্ন ঝড়কা বাজারের একটি মুরগির দোকানে কাজ করত। মাঝে মধ্যে মানুষের বাড়ির গাছগুলোর ফলমূল চুরি করত সে। যে বাড়ির পাশে তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে সেই বাড়িতে কেউ ছিল না। তার মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এদিকে একই সময়ে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তার মৃত্যু ট্রেনে কাটা পড়ে নাকি অন্যকিছু হয়েছে সেটা জানা যায়নি।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে কেউ হত্যার পর সেখানে ফেলে গেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল ফারুক জানান, রেললাইনের পাশে পড়েছিল ওই বৃদ্ধের মরদেহ। যেহেতু মরদেহটি রেললাইনের পাশে পড়েছিল সেহেতু বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পরে তারা মরদেহটি উদ্ধার করেন।
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, পুলিশ বাহিনীকে বলে দিতে চাই, আপনারা হুঁশিয়ার হয়ে যান, যদি মনে করেন যে কিছু হবেনা তাহলে ধারণা ভুল। শেখ হাসিনার মতো আপনাদেরকেও দেশ ছাড়া করবো যদি শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট হয়ে থাকেন। আর যারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন এবং ভাবছেন এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি এখন আরেক ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতায় বসাবো, তারা ভুল করছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে গণঅভ্যুত্থান প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম এসময় আরও বলেন, আপনারা যোগ্য হয়ে রাজনীতিতে আসবেন। যাতে করে কেউ আপনাকে কটু কথা না বলতে পারে। রাজনীতিতে এমন লোক আসবে যারা সঠিক কথা বলবে। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।
তরুণ সমাজকে সুশিক্ষিত ও দক্ষ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই ছাত্রনেতা বলেন, শিক্ষার্থীদের অসংখ্য কাজ থাকতে পারে কিন্তু আমাদের প্রধান কাজ পড়াশোনা করে নিজেকে সুশিক্ষিত ও দক্ষ হিসেবে তৈরি করা। যখন ক্লাস চলবে তখন ক্লাসে যাবেন, আবার খেলার সময় খেলার মাঠে থাকবেন। আপনারা কারও লাঠিয়াল বাহিনী হবেন না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা নিজের মেধা, শিক্ষা, দক্ষতায় স্বাবলম্বী হয়ে উঠবেন, কোনো ‘ভাইয়ের’ ওপর ভর করে নয়। এই ছাত্র-জনতার হাতে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ দেখতে চাই। যারা আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তারা আজ থেকে ২০ বছর পরে একেকজন সংসদের এমপি, মন্ত্রী হবেন, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও হবেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম আইনি, মোবাশ্বিরুজ্জামান হাসান, মিতু আক্তার, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, এলমা খন্দকার এ্যানী, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রাকিবুল হাসান প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে, প্রেতাত্মারা কিন্তু এখনো ঘোরাফেরা করছে। তারা বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তারা জনগণের প্রিয় দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে সর্ম্পৃক্ত রয়েছে। আমি পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, এই ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না। শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা তাদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং তাদের রুখে দিবে। এতো অত্যাচার ও নির্যাতনের মধ্যেও বিএনপি টিকে আছে। আজ আবার যদি জনগনের সাহার্য্য ও সমর্থন বিএনপি’র প্রতি অব্যাহত থাকে তাহলে আমরা সেই সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবো।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা সূতী ভি.এম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাবেক উপমন্ত্রী এড. আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তির দাবিতে উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভারচুয়ালি বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, আমাদের সহকর্মী আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশে সকলের নিকট দাবি রাখছি যে, আব্দুস সালাম পিন্টুসহ বিএনপি’র যত নেতাকর্মী যাদের নামে মিথ্যা মামলা ও আটক রাখা হয়েছে তাদের সকলের মুক্তি দাবি করছি। আমাদের দলের পক্ষ থেকে কতগুলো প্রস্তাবনা রেখেছি জাতির সামনে। বিগত প্রায় ১৭ বছরের জনগণের আন্দোলনের ফলে, জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে গত ৫ আগস্ট। জনগনের বিজয়ের মাধ্যমে স্বৈরাচার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরাচার দেশ থেকে বিদায় হয়েছে। এখন আমাদেরকে দেশ গড়তে হবে। আমরা দেশ ও দেশের মানুষের সামনে দেশের রাজনীতির কিছু মৌলিক বিষয় পরিবর্তনের ৩১ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছি। এগুলো আপনারা দেখেছেন। এরই মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এরই ভিতর আমরা উল্লেখ্য করেছি। আপনাদের আন্দোলনের মাধ্যমে যে স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় করেছি আমরা এই বিদায়ের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক যে বিজয় তার একটি অংশ অর্জন করেছি। কিন্তু আমাদের যে মূল লক্ষ্য জনগনের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার। যে আন্দোলন বিগত ১৭ বছর ধরে একথা আমরা বলে আসছি। জনগনের সামনে যে কারনে, যেজন্য, যে লক্ষ্য হাসিলের জন্য আমাদের বহু নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন ও শহীদ হয়েছেন।
বিএনপি’র বাহিরে অন্যান্য দলের বহু নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। যারা রাজনীতি করেন না, কিন্তু দেশকে ভালবাসেন। এমন বহু সাধারণ মানুষ বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন পেশার মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন। এই যে আত্মত্যাগের কারণ কি? কারণ জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠা। জনগন তাদের কথা বলবে। জনগনের কথা অনুযায়ী কাজ হবে। এমন একটি ব্যবস্থা, যেটিকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ভাষায় বলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বা ভোট ব্যবস্থা বা জনগনের ভোট। শেখ হাসিনার ভোট নয়, স্বৈরাচার এরশাদের ভোট নয়। যে ভোট যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে সাথে নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করেছে। যে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য বিএনপি জনগনকে সাথে নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম ও আন্দোলন করেছে। আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। সেই সাথে আমাদের অর্জন করতে হবে জনগনের অর্থনৈতিক মুক্তি। আমাদেরকে সেই সকল সম্ভাবনার দ্বারগুলোকে খুলে দিতে হবে। এই সম্ভাবনার দ্বারগুলো খুলে দিলে আমরা জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে সক্ষম হব।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান এড. আহমেদ আযম খান, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবালসহ জেলা, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি’র বিভিন্ন সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
দুপুর গড়াতেই সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সূতী ভি.এম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। লাখো কণ্ঠে একটাই দাবি উঠে মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, সালাম পিন্টুর মুক্তি চাই। এর পূর্বে সমাবেশে বিপ্লবী গান পরিবেশন করেন কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জাসাস) শিল্পী বৃন্দ। এসময় বিপ্লবী সংগীত পরিবেশন করেন ইথেন বাবু ও মৌসুমীসহ অন্যান্য শিল্পীরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চলচ্চিত্র শিল্পী শিবা শানু।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম পিন্টু পঞ্চম, ষষ্ঠ ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিগত ২০০১ সালে ৪ দলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বিগত ২০০৮ সাল থেকে তিনি ষড়যন্ত্র মূলকভাবে জেলহাজতে বন্দী আছেন।
একতার কণ্ঠঃ গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি এই স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিনামূল্যে ফলজ, বনজ ও ঔষুধী প্রজাতির ৫ হাজার গাছের চারা বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ হল রুমের সামনে গাছের চারা বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন আলোকিত কালিহাতীর সভাপতি মো. আব্দুল আলীম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার ফারহানা মামুন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. শহীদুজ্জামান মাহমুদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেহাব উদ্দিন, আলোকিত কালিহাতীর সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগধারা পত্রিকার সম্পাদক সরকার হাবিব, আলোকিত কালিহাতীর সহ-সভাপতি রশিদ আহমদ আব্বাসী, এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি আহমেদ রাসেল, এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি খাইরুল আলম মিল্টন, বাংলা টিভির উপজেলা প্রতিনিধি দাশ পবিত্র, আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি মেহেদী হাসান চৌধুরী, কালিহাতী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান মতিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, এশিয়ান টিভির ঘাটাইল ও মধুপুর প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ, ঘাটাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, কালিহাতী রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য নাহিদ খান প্রমূখ।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর আলোকিত কালিহাতীর উদ্যােগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি, বর্ন্যাতদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ, শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি গ্রহন করে থাকে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিকআপ ভ্যানের চালক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার সল্লা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কিছু সময়ের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়।
নিহত পিকআপ ভ্যান চালক আব্দুল জলিল রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর গ্রামের শফিউল শেখের ছেলে ।
যমুনা সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল হামিদ জানান, সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সোহাগ পরিবহনের একটি বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপ ভ্যানের চালক নিহত হন
তিনি আরও জানান, মরদেহ থানায় রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বরাবর পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি।
পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১ আগস্ট ২০২১ তারিখে এই পদে আমাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছিল। বর্তমানে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আমি মাভাবিপ্রবির ট্রেজারার পদ থেকে আজ পদত্যাগ করলাম।
এর আগে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ট্রেজারার মো. সিরাজুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠজন, প্রশাসনিক দায়িত্বে থেকে বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে আওয়ামী সরকারের পতনের রাতেই শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করেন মাভাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। এরপর একে একে পদত্যাগ করেন প্রক্টর, পরিবহন পরিচালক, গ্রন্থাগার পরিচালক, হল প্রভোস্টসহ প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা অনেকেই।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শুভুল্যা ও গোড়াই ইউনিয়নের দেওহাটা এলাকাতে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শুভুল্যা নামক স্থানে রাস্তা পারাপারের সময় অজ্ঞাত (৬৫) এক ব্যক্তি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায়।
এদিকে, সকাল পৌনে ১১টার দিকে একই মহাসড়কের গোড়াই ইউনিয়নের দেওহাটা নামক স্থানে রাস্তা পারাপারের সময় সোনামুদ্দিন (৭০) নামে এক ব্যক্তি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান। সোনামুদ্দিনের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কোটবহুরিয়া গ্রামে।
এ ব্যাপারে গোড়াই হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার(ইউএনও )বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন শেষে যাওয়ার পথে ছাত্রীদের ইভটিজিং ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫-৬ জন শিক্ষার্থী গুরুত্বর আহত হয়। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে ট্রাক শ্রমিকরা।
হামলায় গুরত্বর আহত শিক্ষার্থী আসমাউল হাসান সহ কয়কজনকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা ভূঁইয়াপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।
পরে বিকেলে শিক্ষার্থীদের উপর শ্রমিদের হামলার ঘটনায় দুই শ্রমিককে এক বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি )আহসান উল্লাহ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদের রবিবার হঠাৎ বদলির আদেশ হয়। ইউএনও’র এই বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। পরে শিক্ষার্থীরা ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। এরপর তারা সড়ক থেকে সরে গিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচী শেষ করে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফেরার পথে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের উপর হামলা করে পরিবহন শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিকরা দুই জন ছাত্রীকে ইভটিজিং ও লাঞ্চিত এবং ছাত্রদের মারধর করে। এতে হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট ও জোটভুক্ত “বাকশিস,বাশিস,বামাশিস,বাকাশিস সহ অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোট ও বাকশিস টাঙ্গাইল জেলা শাখার আয়োজনে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ কলেজ মিলনায়তনে উক্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোট ও বাকশিস টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক এ,কে,এম আব্দুল আউয়াল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোঃ জাকির হোসেন, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সহ সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগণ।
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাদশা মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয় তাকে। এর আগে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মির্জাপুর থানার পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বাদশা মিয়া ওই ইউনিয়নের ডোকলাহাটী গ্রামের হাকিম মিয়ার ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি।
পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের সোহাগপাড়া এলাকায় গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় কলেজ ছাত্র ইমন (১৮)। এরপর দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি। পরে নিহতের ভাই সুমন গত ২২ আগস্ট ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ১০০ নম্বর আসামি বাদশা মিয়া।
নিহত ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন মণ্ডল বাড়ি এলাকার জুলহাস মিয়ার ছেলে। তিনি অলোয়া মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়েছিল।
এ মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ছাড়াও সাবেক সাত সংসদ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মির্জাপুরের পাঁচজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও ১৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিবার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।