/ হোম / আমাদের টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে যমুনা ও ঝিনাই নদীর পা‌নি বিপৎসীমা অতিক্রম - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে যমুনা ও ঝিনাই নদীর পা‌নি বিপৎসীমা অতিক্রম

একতার কণ্ঠঃ টানা বৃ‌ষ্টির সঙ্গে পাহা‌ড়ি ঢলে টাঙ্গাইলে যমুনা ও ঝিনাই নদীর পা‌নি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবা‌হিত হচ্ছে। নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার তিন উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষ পা‌নিব‌ন্দি হয়েছেন।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে জেলা পা‌নি উন্নয়ন ‌বোর্ডের তথ‌্য অনুযায়ী, যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য থেকে আরও জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার, ফটিকজানি নদীর পানি নলচাপা ব্রীজ পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর পানি কাউলজানী পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার, মির্জাপুর পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার, এবং মধুপুর পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

এরফলে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের নিচু এলাকার ফসলি জমির পাট, তিলসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ভুঞাপুর ও কালিহাতী এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন আরও তীব্র হয়েছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা সব সময় শুকনো মৌসুমে কাজ করে থাকি, তবে এ সময়ে যে সব উপজেলায় পানি বেড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে সে এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হবে বলে জানান তিনি।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, উজানের পানি নেমে আসায় ভাটিতে পানি বাড়ছে। ভূঞাপুরের অর্জুনা ইউনিয়নের কিছু ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী নিকরাইল ও গাবসারা ইউনিয়ন আজকালের মধ্যে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যার্তদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রস্তুত আছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. জুলাই ২০২৪ ০২:৫৮:এএম ৩ মাস আগে
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল ক্যাম্পাস - Ekotar Kantho

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল ক্যাম্পাস

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) কোটা বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ ও আন্দোলনে নেমেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা বাতিলের স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ আশে-পাশে এলাকা। এ সময় একই দাবিতে শনিবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধের হুমকি দেওয়া হয়।

সরকারি চাকরিতে কোটা-পদ্ধতি বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহন করেন।

শুক্রবার( ৫ জুলাই )সকাল ১০ টায় তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে এই  মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটক হয়ে প্রথম ফটকে  অবস্থান নেয়।

পরে প্রথম ফটকের সামনে দলে দলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করে। এ সময় তারা সারা বাংলায় খবর দে-কোটা প্রথার কবর দে, আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই এর মতো বিভিন্ন আগুনঝরা স্লোগানে স্লোগানে এলাকা মুখরিত করে তোলে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিএমবি বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা কখনও সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন করতে চাই না, আমরা পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু আমাদের কিছু করার নাই। কারণ যে পরিমাণ কোটা, তাতে দেশের মেধাবীরা চাকুরি না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে, দেশে সরকারি চাকুরিতে করার আগ্রহও হারাবে।

সমাবেশে  অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ বলেন, বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা ইতোপূর্বেও সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এ বৈষম্য দূর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।

টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং  বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন,  এই আন্দোলন কোনো সরকার বিরোধী আন্দোলন না, এই আন্দোলন আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের আন্দোলন। যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলন। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চাই।

সমাবেশে বক্তারা দাবি না মানলে শনিবার(৬ জুলাই) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন পরিচালনা করার হুশিয়ারি দেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. জুলাই ২০২৪ ০১:২২:এএম ৩ মাস আগে
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের কর্মবিরতি পালন - Ekotar Kantho

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের কর্মবিরতি পালন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষকরা অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত ‘প্রত্যয়’ পেনশন স্কিম সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অর্ন্তভুক্তি এবং শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের আহ্বানে বুধবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম একাডেমিক ভবনের সামনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেন।

কর্মবিরতি চলাকালে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ শাহীন উদ্দিন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মো. ইকবাল মাহমুদ, এনভায়রনমেণ্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেণ্ট বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মো. মাহবুবুল হক প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. জুলাই ২০২৪ ০২:৫৯:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে নবজাতক উদ্ধার নিয়ে  রহস্যের সৃষ্টি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নবজাতক উদ্ধার নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে এক প্রবাসীর বাড়ির পাশ থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা- নবজাতকটি এ বাড়িতেই ভূমিষ্ঠ হয়েছে। কেউ কেউ নবজাতক পুত্রসন্তানটি ক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) সকালে উপজেলার কাশিল মধ্যপাড়া এলাকার প্রবাসী ছাত্তার মিয়ার বাড়ির গোসলখানা ও টয়লেটের পাশ থেকে সদ্যভূমিষ্ঠ নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।

বর্তমানে নবজাতকটি ছাত্তার মিয়ার স্ত্রী নিলুফা বেগমের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তবে পুলিশ এসে নবজাতকটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। নবজাতকটির সঙ্গে হাসপাতালে নিলুফা বেগম, তার ছেলে আকাশ ও আকাশের স্ত্রী নার্স লিমা আক্তারও রয়েছেন।

জানা যায়, প্রবাসী ছাত্তার মিয়ার বাড়ির গোসলখানা ও টয়লেটের সামনে ভোরে নবজাতকটি দেখতে পায় তার স্ত্রী নিলুফা বেগম। পরে তিনি বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানান। এক পর্যায়ে তারা সদ্যভূমিষ্ঠ নবজাতকটি উদ্ধার করেন। খবরটি মূহুর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজন এসে ভীড় জমান। সেসময় অনেকে নবজাতক পুত্রসন্তানটিকে দুই লাখ টাকায় কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর নিলুফা বেগম শিশুকে বিক্রি করতে রাজি হয়নি। নিলুফা বেগম শিশুকে লালন-পালন করবেন বলে জানান।

স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী ছাত্তার মিয়ার বাড়িটি রাস্তা থেকে অনেক ভেতরে। একাধিক বাড়ির ওপর দিয়ে তার বাড়িতে যেতে হয়। ওই বাড়িতে নবজাতকটি কিভাবে এলো। নিলুফা বেগমের ছেলে আকাশ মিয়ার স্ত্রী নার্স হওয়ায় অনেকে ধারণা করছেন- নবজাতকটিকে ওই বাড়িতেই ভূমিষ্ঠ (ডেলিভারি) করা হয়েছে। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় রক্ত থাকায় এই সন্দেহটা তাদের আরও বেড়ে গেছে। তবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানান স্থানীয়রা।

নবজাতকটিকে দেখতে আসা পরীবানু নামের এক নারী বলেন, ওই মহিলা মা হওয়ার যোগ্য না। মা হওয়ার যোগ্য থাকলে তিনি ফুটফুটে শিশুটিকে এভাবে ফেলে যেতে পারতেন না। হয়তো ওই মহিলা অবৈধভাবে সন্তান জন্ম দেওয়ায় ফেলে গেছেন। শিশুটির পরিচয় বের করে ওর মাকে শাস্তির আওতায় আনা দরকার।

বাড়ির মালিক প্রবাসী ছাত্তার মিয়ার স্ত্রী নিলুফা বেগম বলেন, রাত ৩ টার দিকে আমি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘুম থেকে ওঠে টয়লেটে গেলে শিশুটি মা বলে ডাক দেয়। একে একে কয়েকবার মা বলে ডাক দিয়েছে। পরে আমি বাড়িতে থাকা ছেলে ও ছেলের বউকে ডেকে আনি। এছাড়া আরও কয়েকজনকে বিষয়টি জানানো হয়। এক পর্যায়ে টয়লেটের পাশ থেকে নবজাতকটিকে পাওয়া যায়। সেসময় শিশুটির শরীর ও কানে পিঁপড়া ছিল। ভালোভাবে শরীর ধূয়ে ও পরিষ্কার করা হয়। আমার দুই সন্তান রয়েছে। এই পুত্র সন্তানটিকেও আমার নিজ সন্তানের মতো করে লালন-পালন করতে চাই।

কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রমজান মিয়া বলেন, নবজাতকটি কে বা কারা রেখে গেছে তা জানা যায়নি। যার বাড়িতে শিশুটি পাওয়া গেছে তিনিই শিশুটিকে লালন-পালন করবেন বলে আগ্রহ দেখাচ্ছে। পরে পুলিশ এসে নবজাতকটির চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছে।

বাসাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার বলেন, শিশুকে একটি বাড়ির পাশে পাওয়া গেছে। ওই বাড়ির টিউবওয়েল ও টয়লেটের সামনে রক্ত রয়েছে। নবজাতকটির চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তারা এলে শিশুটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)শাহরুখ খান বলেন, নবজাতকটিকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে। নবজাতকটির চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয় নবজাতকটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. জুলাই ২০২৪ ০২:৫৪:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে থেমে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কায় নারীসহ নিহত ২ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে থেমে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কায় নারীসহ নিহত ২

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার ও এক নারী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (৩ জুলাই) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার গােড়াই শিল্প অঞ্চলের মিলগেইট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মির্জাপুরের গােড়াই হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার রামডাঙা গ্রামের মৃত দুলাল হাসেনের স্ত্রী ফরিনা বেগম (৫৫) ও বাসের সুপারভাইজার একই জেলার বাবুরহাট গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মুগনী (৩৫)।

পুলিশ জানান, নীলফামারী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা অনিতা পরিবহনের একটি বাস বুধবার সকালে মহাসড়কের গােড়াই মিলগেইট এলাকায় পৌঁছালে সেখানে পল্লীবিদ্যুতের খুঁটি বােঝাই পূর্ব থেকেই থেমে থাকা একটি ট্রাকের সাথে থাক্কা লাগে।

এতে বাসের সামনের গ্লাস ভেঙে পল্লীবিদ্যুতের খুঁটি বাসের ভিতর ঢুকে গেলে ওই দুই জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ঘটনায় আরও দুই যাত্রী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মির্জাপুরের গােড়াই হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুজ্জামান জানান, বাস ও ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. জুলাই ২০২৪ ১১:০০:পিএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

একতার কণ্ঠঃ ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের খরিপ-২/২০২৪-২৫ মৌসুমের উফশী আমন আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার ১ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এ বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।

এই বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. ছানোয়ার হোসেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান-বিন-মুহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুমানা আকতার, করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু, মাহমুদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলাম হোসেন শিকদার, ছিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজায়েত হোসেন প্রমুখ।

প্রকাশ, প্রণোদনা কর্মসূচিতে সদর উপজেলার ১ হাজার কৃষককের মধ্যে রোপা আমন ধানের বীজ ৫ কেজি, ডিএপি সার ১০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি মোট ২৫ কেজি করে বিতরণ করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. জুলাই ২০২৪ ০৩:৫৯:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ঢাকা’র নবনির্বাচিত সভাপতি ইব্রাহীম, সম্পাদক হিরণ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ঢাকা’র নবনির্বাচিত সভাপতি ইব্রাহীম, সম্পাদক হিরণ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ঢাকা’র নির্বাচনে ডক্টর মো. ইব্রাহীম হোসেন খান সভাপতি ও এএফএম রেজাউল কমির হিরণ সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর নিকুঞ্জ সমিতি ভবণে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতীহীনভাবে ৫৭১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফলাফল ঘোষণা করেন।

টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ঢাকা’র জমজমাট ওই নির্বাচনে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন- খন্দকার গোলাম ফারুক, বীর মুক্তিহযোদ্ধা মণি খন্দকার, আলহাজ মো. আনোয়ার হোসেন বাবলু, মো. খোরশেদুজ্জামান মন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল হোসাইন, অধ্যাপক ডা. মো. শাহআলম, মোহা. শওকত আলী খান ও ডক্টর শহিদুল ইসলাম।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন- এমএ মজিদ, দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বাদল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলোয়ার হোসেন খান রাজিব, মো. মনিরুজ্জামান মিয়া, মো. লুৎফর আজম রানা, মো. শরীফ উদ্দীন বুলবুল, মো. শামছুল আলম কমল ও মো. সাইফুল ইসলাম খান।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিতরা হচ্ছেন- মির্জা মাহবুব হোসেন, মো. আব্দুস সাত্তার, ব্যারিস্টার মো. গোলাম নবী, মো. গোলাম মোস্তফা গোলাপ, মো. মাইনুর ইসলাম খোশনবীশ, মো. রুহুল আমিন, মো. রেজাউল ইসলাম ও মো. শরিফ উদ্দিন আরজু।

অর্থ সম্পাদক পদে এসএম আল-আমীন; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামরুল হাসান বুলবুল। শিক্ষা, সাহিত্য ও গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে মো. কায়ছার রহমান; স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ডা. সারাহ বানু; মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সম্পাদক পদে মো. আশরাফুল আলম; পরিবেশ, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক পদে কামরুজ্জামান বাচ্চু; আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. শোয়াইব মিয়া; অভ্যন্তরীণ হিসাব নিরীক্ষা সম্পাদক পদে মো. আব্দুস সবুর তালুকদার; বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আইটি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর নুর রকিব।

নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিতরা হচ্ছেন- আবদুল মান্নান, আব্দুল্লাহ আসিফ খান শেলী, এএমইউ আহমেদ পারভেজ, একেএম আজাদ রহমান, এমএ হাদী, কাজী আশরাফুল হক জুয়েল, খন্দকার আছাব মাহমুদ, জিয়াউল হক শাহীন, নাজমুল রহমান তালুকদার সেলিম, নাজমুল ইসলাম বাপ্পী, পরিতোষ চন্দ্র তালুকদার, মাজেদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান খান, মেহেদী আলী খান, আজিজুর রহমান, মো. আবু হাসান তালুকদার, ডক্টর আবুল কাশেম, মো. জোয়াহেরুল ইসলাম তালুকদার, মো. তোফাজ্জল হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম, মো. নজরুল ইসলাম মন্টু, মো. মাঈন উদ্দিন আহমেদ সুমন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. সুলতান হোসেন, মো. হাদিউর রহমান খান, মো. হাসমত আলী রেজা, মো. রেজাউল ইসলাম, মুহাম্মদ হাবিবুল আনোয়ার, রকিবুল ইসলাম তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, লুৎফুন নাহার, শাহ আলম সৈকত, সৈয়দ ইকবাল হোসেন, সৈয়দা আমেনা ইসলাম ও হেলাল উদ্দিন তালুকদার।

এছাড়া ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে তারেক শামস্ খান হিমু, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. মোজাম্মেল হক মিয়া, সহ-দপ্তর সম্পাদক পদে আরিফ হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে আব্দুল বাতেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক পদে সেলিনা আক্তার, ব্যবসা ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক পদে আবুল কালাম আজাদ খোকন, ছাত্রকল্যাণ ও বৃত্তি সম্পাদক পদে মো. মেহেদী হাসান রনি, ধর্ম সম্পাদক পদে মো. আসাদুজ্জামান আসাদ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনিসুর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. জুলাই ২০২৪ ০৩:৩৬:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে নিখোঁজের ৪ দিন পর প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নিখোঁজের ৪ দিন পর প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে নিখোঁজের ৪ দিন পর এক সিঙ্গাপুর প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২ জুলাই )দুপুরে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার সন্তোষ রথখোলা শান্তিনগর মডেল টাউন পুকুরের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের নাম সোহেল রানা (৩২)। সে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের অলোয়া ভবানি আমতলা এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে। সোহেল সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিল।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানায়, শুক্রবার (২৮ জুন) রাত ১১ টার দিকে বাসা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাহিরে যায় সোহেল। এরপরে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে থানায় একটি জিডি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে এলাকার একটি পুকুরের পাশ থেকে সোহেলের মরদেহ পাওয়া যায়। সোহেল আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আবার সিঙ্গাপুর যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

এ প্রসঙ্গে সাবেক কাউন্সির মোহাম্মদ আলী জানায়, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আমার বাড়ির কাছেই একটি পুকুরের পাশ থেকে অজ্ঞাত একজনের মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে পুলিশকে অবহিত করলে তারা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকান্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে এর রহস্য উদঘাটন করতে করা যাবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. জুলাই ২০২৪ ০২:৫৪:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে একদিনে পানি বাড়ল ৩৩ সেন্টিমিটার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে একদিনে পানি বাড়ল ৩৩ সেন্টিমিটার

একতার কণ্ঠঃ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে একদিনে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩ সেন্টিমিটার। এছাড়াও জেলার ছোট-বড় সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) সকালে টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকাল ৬ টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরআগে বিপদসীমার ১০ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরুল আমিন জানান, দু’দিন আগেও টাঙ্গাইলের যমুনা নদীসহ জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করে। কিন্তু ফের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে যমুনাসহ জেলার সব নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করছে। তবে, বড় ধরণা বড় ধরণের বন্যার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির শুরু থেকে ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে চিতুলিয়াপাড়া, মাটিকাটা ও কোনাবাড়ী এলাকার বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া চরাঞ্চলের অপরিপক্ক তিল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. জুলাই ২০২৪ ০২:২৪:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইল পৌর মেয়রসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল পৌর মেয়রসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বেড়াডোমায় লৌহজং নদীর ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজ ভেঙে হেলে পরার ঘটনায় পৌরসভার মেয়রসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহকারী পরিচালক বিপ্লব হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিক্সস অ্যান্ড ব্রিজেজ লি. এবং দ্য নির্মাতা (জেভি) স্বত্বাধিকারী মোস্তফা মোহাম্মদ মাসুদ, প্রকল্প পরিচালক এ কে এম রশীদ আহমেদ, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশরী শিব্বির আহম্মেদ আজমী, সহকারী প্রকৌশলী রাজীব কুমার গুহ এবং উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম জিন্নাতুল হক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বেড়াডোমা লৌহজং নদীর ওপর এলজিইডির অর্থায়নে নির্মাণাধীন এ সেতুটি বাস্তবায়ন করছিল টাঙ্গাইল পৌরসভা। ব্রিজের নির্মাণ ব্যায় ধরা হয় ৩ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ৪০ মিটার দৈর্ঘ্য আর ৮ মিটার প্রস্থের ব্রিজটি সেতুটি ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ১১ মে।কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ওই বছর ১৬ জুন রাতে পানির স্রোতে নির্মাণাধীন সেতুর পশ্চিমপাশের বাঁশ ও কাঠের খুঁটিগুলো সরে গিয়ে একাংশ ডেবে যায়। পরে দুদকসহ বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত শুরু করে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও কতৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই ৩ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মিত গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি ডেবে যায় বলে দুদকের মামলায় উল্লেখ করা হয়।

টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর দেশের বাহিরে (অস্ট্রেলিয়ায়) থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. জুলাই ২০২৪ ০১:৪১:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে এলেঙ্গা রিসোর্ট থেকে ৩ খদ্দেরসহ ৭ নারী আটক - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে এলেঙ্গা রিসোর্ট থেকে ৩ খদ্দেরসহ ৭ নারী আটক

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ব্রিজ এলেঙ্গা রিসোর্টে  অনৈতিক কার্যক্রম চলছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিন খদ্দেরসহ সাত নারীকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (৩০ জুন) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে রিসোর্টের বিভিন্ন রুম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে এ ঘটনায় মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করে আটককৃতদের আদালতে পাঠিয়েছে কালিহাতী থানা পুলিশ।

কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃত পুরুষরা হলো, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুর গ্রামের মৃত আ. করিমের ছেলে মো. মোজাম্মেল (৫৮), টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ব্রাহ্মণশাসন গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন (৩৫) ও বগুড়া সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে কনক ইসলাম(৩০)।

আটককৃত নারীরা হলো, টাঙ্গাইল শহরের বোয়ালী মধ্যপাড়ার মৃত আবু সাঈদের মেয়ে হাফিজা ওরফে হাবিবা (২৫), একই শহরের অলোয়াভবানী এলাকার আ. করিমের মেয়ে শিউলী (২৪), একই জেলার গোপালপুর উপজেলার নরিল্যা গ্রামের আ. কাদেরের মেয়ে কুলসুম (১৯), টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা (সৃষ্টিস্কুল রোড) এলাকার মো. সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে সারিয়া রহমান জাকিয়া(২১), শহরের বটতলা এলাকার মরহুম ফজলুর রহমানের (ব্রিগেডিয়ার) মেয়ে ফারজানা (৩২), একই জেলার মির্জাপুর উপজেলার কুরণী গ্রামের মৃত কদ্দুছ খানের মেয়ে ঈশা ওরফে শাহনাজ (২৭) ও যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার বাঙালিপুর গ্রামের আশরাফ গাজীর মেয়ে মুক্তা(৩০)।

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের পা‌শেই এলেঙ্গা রি‌সোর্টে রেস্টু‌রেন্টের আড়া‌লে যৌন ব‌্যবসা প‌রিচালনা করা হয়। রি‌সোর্ট কর্তৃপক্ষ খ‌দ্দের সংগ্রহ করে যৌনকর্মী‌দের ভাড়া ক‌রে আনে। যৌন ব‌্যবসা ছাড়াও রিসো‌র্টে মাদকের ব‌্যবসা করা হয় প্রশাসন‌কে ম‌্যা‌নেজ ক‌রে। এর আগেও ক‌য়েকবার খ‌দ্দেরসহ যৌনকর্মী‌দের আটক ক‌রে‌ছিল পু‌লিশ। ত‌বে রি‌সো‌র্টের কাউক আইনের আওতায় আনা হয় না। প্রতিবারই তা‌দের ছাড় দেওয়া হয়।

কালিহাতী থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন জানান, রবিবার গভীর রাতে গোপণে অসামাজিক কার্যকলাপের সংবাদ পেয়ে এলেঙ্গাস্থ বঙ্গবন্ধু ব্রিজ এলেঙ্গা রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় রিসোর্টের মোসলেম উদ্দিন(৫৫), ফাহাদ (৩৫) ও সিরাজুল(৩৫) সহ আরও ৩ থেকে ৪ জন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।

কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে এসআই সাজ্জাদ হোসেন অভিযান পরিচালনা করে তিন খদ্দেরসহ সাত নারীকে আটক করে। পরে পুলিশ বাদি হয়ে ১৩ জনের নামে মানবপাচার আইনের ১২ ও ১৩ ধারায় মামলা দায়ের করে। গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতকদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. জুলাই ২০২৪ ০৩:৩৫:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে মায়ের সাথে অভিমান করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মায়ের সাথে অভিমান করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে মায়ের সাথে অভিমান করে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (৩০ জুন) সকালে পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের প্যাড়াড়াইস পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পরীক্ষার্থীর নাম শুভ ঘোষ(১৭)। সে দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন ইউনিয়নের নয়ার চর গ্রামের লিটন ঘোষের ছেলে। লিটন ঘোষ প্যাড়াড়াইস পাড়া এলাকার প্রবাসী আব্দুল করিমের বাসায় ভাড়া থাকেন।
শুভ ঘোষ এ বছর সন্তোষ মওলানা ভাসানী আদর্শ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে শুভ তার মা আলো ঘোষের কাছে পরীক্ষার খরচ বাবদ ১৫ শত টাকা চায়। এই নিয়ে মা ও ছেলের মধ্যে মনোমালিন্যের তৈরি হয়। পরে আলো ঘোষ সকালের নাস্তা তৈরি করতে রান্না ঘরে চলে যায়। আর শুভ গোসল করতে বাথরুমে ঢুকে। প্রায় আধা ঘন্টা পর শুভ মা আলো ঘোষ রান্না ঘর থেকে এসে শুভর শোবার ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখে, বাইরে থেকে ডাক-চিৎকার শুরু করে। এ সময় শুভর কোন রকম সাড়া-শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে শুভকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। স্থানীয়দের সহায়তায় গামছা কেটে নামিয়ে দ্রুত শুভকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
রবিবার সন্ধ্যায় কাগমারী রানী দীনমনি মহাশ্মশানে শুভর মরদেহ দাহ করা হয়।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিবারের অনুরোধে ও কোন অভিযোগ না থাকায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী শুভ ঘোষের মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুভ ঘোষ এর অকাল মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ইসতিয়াক আহম্মেদ রাজীব ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুন জামান সজল গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. জুলাই ২০২৪ ০৩:২৫:এএম ৩ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।