একতার কণ্ঠঃ নিবন্ধন পুনর্বহালসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা জামায়াতের উদ্যােগে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশ শেষে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডিসট্রিক্ট হেলিপ্যাড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর আহসান হাবীব মাসুদ, জেলা নায়েবে আমীর খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, জেলা শাখার সেক্রেটারি হুমায়ুন কবীরসহ অন্য নেতাকর্মীরা। এসময় বক্তারা দলের নিবন্ধন পুনর্বহালসহ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবি জানান। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এসময় জেলা ও উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন পযার্য়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সমাবেশের উদ্দেশে জমায়েত হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌর শহরের সাবালিয়া পাঞ্জা পাড়া এলাকায় সড়কের পাশের ড্রেন থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৫৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ড্রেন থেকে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকালে রাস্তার পাশে ড্রেনে অপরিচিত এক ব্যক্তির মরদেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ড্রেন থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহটি উদ্ধার করে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) তানভীর আহাম্মেদ জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ড্রেনের পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে । প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের একটি টিম কাজ করছে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রুবেলকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত, রুবেল পৌর শহরের ১৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ থানাপাড়া এলাকার মৃত মনিরুজ্জামান খানের ছেলে বলে জানা গেছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করেছেন ।জানান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানায় আনা হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, আসাদুজ্জামান রুবেল টাঙ্গাইল সদর থানায় ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর দায়ের করা মামলার (মামলার নং-৮) এজাহার নামীয় আসামি।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সং/১৯) এর ৪/৫ ও দন্ডবিধির ১৪৩/৩৪১/৩০৭/৩২৬/১০৯/১৪৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতকে মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ টাঙ্গাইল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রকাশ, আসাদুজ্জামান খান রুবেল টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। সে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনের পিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে পোষ্ট দিয়ে সক্রিয় ছিল।
আরমান কবীরঃ বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, দেশের মানুষ গত প্রায় দেড় যুগ ধরে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করছে। এ জন্য বিএনপি’র হাজার হাজার নেতাকর্মী জেল-জুলমসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বিএনপি’র ১৭ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলনের সাথে ছাত্রদের আন্দোলন যুক্ত হয়ে স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি হলে ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়। গত ৫ আগষ্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর আবার কেন গণতন্ত্রমনা মানুষের সমাবেশ করতে হচ্ছে। ভোট নিয়ে কোন ধরনের তালবাহানা জনগন মেনে নেবেনা।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পতনের পর এখনো কেন প্রশাসনসহ সকল স্তরে ফ্যাসিষ্টদের দোসররা বহাল তবিয়তে রয়েছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছেনা। বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেয়ার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। কিন্তু ভোট নিয়ে নানা বাহনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে থাকতে রাজি আছে কিন্তু ভোট না দিয়ে থাকতে পারেনা।
তিনি বলেন, দ্রব্যমুল্যের দাম এখনো সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে। আসন্ন রমজানে যেন কোনভাবেই দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি না পায় তার জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেন ড. মঈন খান।
নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মুল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত গনতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবিসহ বিভিন্ন জনদাবিতে টাঙ্গাইলে এই সমাবেশ করে বিএনপি। সমাবেশটি এক পর্যায়ে জনসভায় রুপ নেয়।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি’র শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, বিএনপি’র সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম ওবায়দুল হক নাসির।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।
সমাবেশে বিএনপিসহ এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহন করে। নির্ধারিত সময়ের পুর্বেই সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
আরমান কবীরঃ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় এক ব্যক্তিকে হামলার ঘটনায় রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেনকে (৫৪) তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আরও দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রিমান্ডপ্রাপ্ত অন্য দু’জন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আবু মুসা আনসারী (৫৬) ও ভাটারা থানার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন সালেক ওরফে সালেক ঢালী (৫৮)।
সোমবার সকালে গ্রেপ্তার তিনজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত শনিবার রাতে ভাটারায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের পর রবিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। একই দিন আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাজধানীর ভাটারা থানার এসআই মো. ফরহাদ কালাম সুজন।
রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। পরে তাদের কারাগারে পাঠান এবং রিমান্ড শুনানির জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ভাটারা থানার বারিধারা এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন মিঠুন ফকির। পরে আসামিদের ছোড়া ছিটা গুলিতে আহত হয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ১১ আগস্ট বাসায় ফেরেন তিনি। এ ঘটনায় গত ১৯ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী মিঠুন ফকির ৮৮ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে ভাটারা থানায় মামলা দায়ের করেন।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ছানোয়ার। তিনি ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি। পরে ২০২৪ সালে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সাবেক এমপি ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে টাঙ্গাইলে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়, নিউ মার্কেটসহ আশপাশের এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পরে একটি আনন্দ মিছিল শহরের নিরালা মোড় থেকে বের হয়ে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়।
এই আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের নেতৃত্বদেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দ্যাইনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লাভলু মিয়া লাবু। এসময় দ্যাইনা ইউনিয়নের বিএনপি’র বেশ কিছু নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে।
এ প্রসঙ্গে লাভলু মিয়া লাবু বলেন, টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেন আমার বড় ভাই দ্যাইনা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফারুক চেয়ারম্যানের হত্যাকান্ডের অর্থদাতা। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ফারুক চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডের সমস্ত তথ্য বের হয়ে আসবে বলে মনে করি।
তিনি আরও বলেন, ছানোয়ারের বাহামভূক্ত দ্যাইনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেনের অত্যাচার ও নির্যাতনের কারণে অনেক নিরীহ গ্রামবাসী এলাকা ছাড়া হয়েছিল। অবিলম্বে আফজাল চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তারেরও জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ছানোয়ার হোসেনের গ্রেপ্তারের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই আমারা শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দ্যাইনা ইউনিয়ন থেকে একটি বিশাল আনন্দ মিছিল বের করা হবে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, ছানোয়ার হোসেনের গ্রেপ্তারের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই টাঙ্গাইল শহরসহ সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে ছাত্র-জনতা আনন্দ উল্লাস করেছে।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। লোকটি নিজেকে সাদা মনের মানুষ বলে দাবি করলেও এমন কোন অন্যায় কাজ নেই যেটা সে করেনি। আমি দ্রুত তাকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার ভাটারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন (৫৪) সহ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা পুলিশ।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক- এল এর ১০নং রোডের ২৫০১ নং বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছানোয়ার পেশায় তামাক ব্যবসায়ী, যিনি গত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর ও মির্জাপুর থানায় শিক্ষার্থী মারুফ ও ইমন হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
সরকার পতনের দুদিন আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের কৌশল ঠিক করতে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে স্থানীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছিলেন তিনি।
আরমান কবীরঃ রাজধানী ঢাকার ভাটারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন (৫৪) সহ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা পুলিশ।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক- এল এর ১০নং রোডের ২৫০১ নং বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভাটারা থানা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সকাল ১০টায় ভাটারা থানার জে ব্লকের ৯ নম্বর রোডের সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মিঠুন ফকির (২৮) হামলায় আহত হন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ১৯ ডিসেম্বর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন। তদন্তাধীন এ মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সালাউদ্দিন সালেক ওরফে সালেক ঢালী এ মামলায় এজাহারনামীয় ও এমপি ছানোয়ার হোসেন ও আবু মুসা আনসারী মামলার সন্দেহভাজন আসামি। গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার দুপুরে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত টাঙ্গাইল সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন গ্রেপ্তারের খবরে শহরে আনন্দ উৎসব হচ্ছে। আশা করি, অতি দ্রুত বিচার করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এদিকে, ছানোয়ার হোসেনের গ্রেপ্তারের খবরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ লাবলু মিয়া লাবুর নেতৃত্বে শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
আরমান কবীরঃ বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার নতুন কমিটি শনিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘোষণা করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভা শেষে সাপ্তাহিক প্রযুক্তির সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলাকে সভাপতি ও দৈনিক যুগধারা পত্রিকার সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমানকে (সরকার হাবিব) সাধারণ সম্পাদক করে ওই কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যান্য পদে নির্বাচিত সদস্যরা হচ্ছেন- দৈনিক আজকের টেলিগ্রামের সম্পাদক সাহাব উদ্দিন মানিক ও আলোকিত মধুপুরের সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ (সহ-সভাপতি), টাঙ্গাইল সমাচারের সম্পাদক মো. মাসুদুল হক ও সাপ্তাহিক জাহাজমারার সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান (যুগ্ম সম্পাদক), টাঙ্গাইল প্রতিদিনের সম্পাদক মো. মোস্তাক হোসেন (কোষাধ্যক্ষ), সাপ্তাহিক পাপিয়ার সম্পাদক মো. সেলিম তরফদার (সাংগঠনিক সম্পাদক), সাপ্তাহিক শোষিতের কন্ঠের সম্পাদক কাজী শায়লা ইয়াছমীন (আইন বিষয়ক সম্পাদক), সাপ্তাহিক আমাদের টাঙ্গাইলের সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান (প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক)।
কার্যকরী কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- দৈনিক মজলুমের কন্ঠের সম্পাদক জাফর আহমেদ, সাপ্তাহিক গণবিপ্লবের সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সিদ্দিকী, সাপ্তাহিক ইনতিজারের সম্পাদক এবিএম আব্দুল হাই মিয়া, সাপ্তাহিক সময় তরঙ্গের সম্পাদক কাজী হেমায়েত হোসেন হিমু, সাপ্তাহিক লোকধারার সম্পাদক এনামুল হক দীনা, আজকের দেশবাসীর সম্পাদক অরণ্য ইমতিয়াজ, সাপ্তাহিক কালের স্বরের সম্পাদক শামছুজ্জামান, সাপ্তাহিক সমাজচিত্রের সম্পাদক মামুনুর রহমান, সাপ্তাহিক সামালের সম্পাদক মাহবুবুল আলম আব্বাসী, দৈনিক লোককথার সম্পাদক আবিদা সুলতানা, দৈনিক টাঙ্গাইল সময়ের মো. পারভেজ হাসান, সাপ্তাহিক বারবেলার সম্পাদক হোসনি জোবাইরি।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ মোতাবেক কমিটি পুন:গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জাফর আহমেদ ১৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) কমিটি ঘোষণা করেন।
আরমান কবীরঃ বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি করায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় দোকানে `তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ‘ভালোবাসা বিরোধী’ বিক্ষোভ করেছেন তারা।
শুক্রবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর থানা কাছে কলেজ রোডে ‘মামা গিফট কর্নারে’ এই ভাঙচুর ও বিক্রির জন্য রাখা ফুল রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দোকানদার।
এসময় বিক্ষুদ্ধরা ‘ভালোবাসা দিবস, ভালোবাসা দিবস- চলবে না, চলবে না’, ‘প্রেমিক-প্রেমিকার গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
ফুলের দোকানদার আলম
জানান, “দীর্ঘদিন ধরে দোকানে ফুল বিক্রি করি। এর মধ্যে শুক্রবার বিকালে কিছু লোকজন এসেই দোকানে হঠাৎ আক্রমণ ও ভাঙচুর করে ফুলগুলো রাস্তায় ফেলে দেয়।
“ভালবাসা দিবসে কেন ফুল বিক্রি করছি সেটাই অপরাধ। আরেকটি দোকান ভেঙেছে তাও কিছু বলিনি। আগেরদিন তারা নিষেধ করে গিয়েছিল।”
এদিকে স্থানীয় নিরিবিলি ফুড কর্নারের ম্যানেজার আসাদ খান বলেন, “ ১৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) হুজুররা এসে ফাস্টফুড বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। তখন তারা ফাস্টফুডে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন স্লোগানে দিয়েছিল। ফলে বাধ্য হয়ে শুক্রবার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।”
এদিকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে শনিবার ভূঞাপুরে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ‘বসন্তবরণ অনুষ্ঠান’ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূঞাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, “ভালোবাসা দিবসের বিভিন্ন ঘটনার কারণে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বসন্তবরণের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তীতে বসন্তবরণ অনুষ্ঠান করা হবে।”
তবে ভূঞাপুর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, “ফুল দোকানের ঘটনার বিষয়টি জানা নেই। এছাড়া ভাঙচুরের বিষয়েও কোনো অভিযোগ পাইনি বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যান।
শুক্রবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর থানা কাছে কলেজ রোডে ‘মামা গিফট কর্নারে ভাঙচুর করা হয়।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নারী সমন্বয়ক ফাতেমা রহমান বীথি উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে ভিক্টোরিয়া ফুড জোনের সামনে সমন্বয়ক বীথিসহ তার সঙ্গে থাকা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে চার বখাটে যুবক।
প্রতিবাদ করলে উল্টো ওই নারী সমন্বয়কের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। এ সময় আশে পাশে থাকা লোকজন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করলেও তাকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসেনি বলে জানা গেছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করা গেছে। তাঁদের একজন অমিয় ও অন্যজন মুন্না। বাকি দুজনের পরিচয় এখনও মেলেনি।
ফাতেমা রহমান বীথি টাঙ্গাইল আইন কলেজের শিক্ষার্থী এবং জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থগিত হওয়া কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ছাত্র ফেডারেশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সিসিটিভির ভিডিওতে দেখা গেছে, মোটরসাইকেলের ওপর বসা দুই যুবক সমন্বয়ক বীথির সঙ্গে তর্কাতর্কি করছে। এ সময় ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হয়ে গেলে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে ফাতেমা রহমান বীথি বলেন, ‘শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ওই বখাটেরা অনুসরণ করছিল। পরে সেখান থেকে ভিক্টোরিয়া ফুড জোনে আসার পর তারা উত্ত্যক্ত করে। এ সময় তারা বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করেছে। পরে প্রতিবাদ করলে তারা খারাপ আচরণ করে। একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ওই বখাটেদের শাস্তি দাবি করছি।’
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, ঘটনার পর ফাতেমা রহমান বীথি আমাকে ফোনে জানালে আমি ছুটিতে থাকায় সাব-ইন্সপেক্টর (এস আই) নজরুলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরমান কবীরঃ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, দেশে একটা হতাশা কাজ করছে। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ চলছে না। সামনে মাহে রমজান। এটি সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র মাস। রমজান নিয়ে সাংঘাতিক শঙ্কায় আছে দেশের মানুষ। বাজারে কী অবস্থা হবে, দ্রব্যমূল্য কী হবে—এ সব নিয়ে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. আকলিমা বেগমের আমন্ত্রণে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সাধারণ মানুষ যা চায় সেটাই হওয়া উচিত। সাধারণ মানুষ স্বস্তি চায়, শান্তি চায়, ভালোবাসা চায় এবং ভালোভাবে থাকতে চায়। সেখানে সবাই কষ্টে আছে। মানুষের উপার্জনের সঙ্গে ব্যয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। ভীষণ কষ্টে আছে মানুষ। আবার এটা সাধারণ মানুষ কখনও প্রত্যাশা করে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও বাসাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র রাহাত হাসান টিপু, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান খান, জেলা যুব আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক ইবনে হাসান টিটু, বাসাইল পৌর যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সমির নাগ, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সদস্য রকিবুল ইসলাম মিয়া প্রমুখ।
সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের অসদাচরণের অভিযোগ এনে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে অবস্থান নিয়েছিল আহতরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টা থেকে জেলা শিল্পকলার সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করেছেন তারা। এতে ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও পথচারী।
আহতরা জানায়, সকালে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইলের ২১৭ জন আহতের মাঝে আর্থিক অনুদান দেয়ার জন্য শিল্পকলায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় তিন ক্যাটাগরিতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে চেক দেয়া হয়। এতে আহতদের ৫ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়। এসময় তারা জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কথা না বলে চলে যান।
এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে আহতরা জেলা শিল্পকলার সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দল্লাহ আল মামুন এবং জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আহতরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
এ সময় আহত সোহানুর রহমান সোহান, সাইদুল রহমান, মিজানুর রহমান, খাইরুল ইসলামসহ আন্দোলনে আহত অর্ধশতাধিক আহত উপস্থিত ছিলেন।