একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার দায়ের করা চেক ডিজঅনার মামলায় আ’লীগ নেতাকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডিত মিজানুর রহমান লিটন টাঙ্গাইল আ’লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওয়ায়েজ আল করুনী সাক্ষী-প্রমাণ ও শুনানি শেষে এ রায় দেন।
মিজানুরের বিরুদ্ধে সরকারি সা’দত কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মিলন মাহমুদ বাদি হয়ে গত ২৪ মার্চ আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
আদালত পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নয় লাখ টাকা অর্থদন্ড করেছেন। রায় ঘোষনার সময় মিজানুর আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শহীদুল ইসলাম তালুকদার জানান, মিজানুর রহমান ব্যক্তিগত প্রয়োজনে মাওলানা ভাসানী আদর্শ কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মিলন মাহমুদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ১৪ লাখ টাকা ধার নেন। তিনি দুই দফায় নয় লাখ টাকা পরিশোধের জন্য পৃথক দুটি চেক মিলন মাহমুদকে দেন। পরে টাকা পরিশোধে টালবাহানা করতে থাকেন। মিলন মাহমুদ ব্যাংকে চেকটি জমা দেওয়ার পর দেখা যায় সেখানে টাকা জমা নেই। চেকটি ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যাখান হয়। পরে মিলন মাহমুদ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদি মিলন মাহমুদ বলেন, মিজানুর টাকা ধার নিয়ে ফেরত দেয়নি। উল্টো আমাকে বিভিন্ন হামলা-মামলার হুমকি দিয়ে টাকা পরিশোধ না করে নানান টালবাহানা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র ও শহর আ’লীগের সভাপতি এসএম সিরাজুল হক আলমগীর জানান, মিজানুর রহমান লিটন শহর আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। এধরনের অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত থাকলে তার জন্য আমরা ভবিষ্যতে পদপদবির জন্য সুপারিশ করবো না।