একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শনিবার(২০ মার্চ) সন্ধ্যায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৮জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ৬-৭টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে কালিহাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানাগেছে, সল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের জন্য আগামি ৩০ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মেলনকে সামনে রেখে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি আব্দুল আলীম ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কেরামত আলী তালুকদার প্রার্থী হয়েছেন। সেলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ইউনিয়নের কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের মন জয় করতে উঠে-পড়ে লেগেছেন, দিনরাত গণসংযোগ ও মিছিল-শোডাউন করছেন। এরই অংশ হিসেবে ২০ মার্চ(শনিবার) বিকালে দেউপুর পুরাতন বাজারে কেরামত আলী তালুকদারের পক্ষে সমাবেশ আহ্বান করা হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে একই স্থানে একই সময়ে অপর প্রার্থী আব্দুল আলীমের পক্ষেও সমাবেশ ডাকা হয়। উভয় গ্রুপ একই স্থান ও সময়ে সমাবেশ আহ্বান করায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। শনিবার সকালে উভয় পক্ষই ওই স্থানের সমাবেশ বাতিল করে। ওইদিন সন্ধ্যায় কেরামত আলী তালুকদার ও চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি সাহানুজ্জামান তালুকদার রঞ্জুর নেতৃত্বে একটি মোটরসাইকেল শোডাউন দেউপুর পুরাতন বাজারের দিকে যাওয়ার পথে ফটিক মন্ডলের মোড় পৌঁছলে সেখানে অবস্থানরত আব্দুল আলীমের কর্মী-সমর্থকরা শোডাউনে অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় কেরামত আলী তালুকদারের কর্মী পারভেজ আহাম্মেদ ফরিদ, লাভলু মিয়া, রুহুল আমিন তালুকদার, বাবলু মিয়া, বাবর আলী, অনিক, হুমায়ুন, আব্দুল মজিদ সহ ১০-১২জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে পারভেজ আহাম্মেদ ফরিদ, লাভলু মিয়া, রুহুল আমিন তালুকদারকে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয়। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পারভেজ আহাম্মেদ ফরিদকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি সাহানুজ্জামান তালুকদার রঞ্জু জানান, পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ স্থগিত করায় তারা সন্ধ্যায় একটি মোটরসাইকেল শোডাউন করছিলেন। শোডাউনটি দেউপুর ফটিক মন্ডলের মোড়ে পৌঁছলে সেখানে অবস্থানরত আব্দুল আলীমের কর্মী-সমর্থকরা তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
এ বিষয়ে সল্লা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি প্রার্থী কেরামত আলী তালুকদার জানান, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবেই। তাই বলে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে হামলা চালানো মধ্যযুগীয় বর্বরতার সামিল। তিনি ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
অপর সভাপতি প্রার্থী ও সল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জানান, তিনি অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় রয়েছেন। তিনি জেনেছেন স্থানীয় ছাত্রলীগের সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে- এটা তেমন বড় কিছু নয়।