টাঙ্গাইলে নারীদের বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠান লাপাত্তা


০৭:৫৮ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
টাঙ্গাইলে নারীদের বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠান লাপাত্তা - Ekotar Kantho
গ্রীণ বাংলা ট্রেনিং সেণ্টার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ময়মনসিংহ রোডে অবস্থিত গ্রীণ বাংলা ট্রেনিং সেণ্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে  নারী গ্রাহকদের ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, টাঙ্গাইল পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে জনৈক রাসেল মিয়া নামে এক ব্যক্তি একক মালিকানাধীন গ্রীণ বাংলা ট্রেনিং সেণ্টারটি চলতি বছরের ২৩ আগস্ট ময়মনসিংহ রোডের সরকার হসপিটাল বিল্ডিং এর চতুর্থ তলায় অফিস ভাড়া নেয়।

তারা কর্মী নিয়োগ ও নানা প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় প্রায় দেড়শ’ নারীকে প্রশিক্ষণের নামে প্রথমে ৭০০ ও পরে ২৫০ টাকা হারে টাকা নেয়। সনদপত্র এবং সেলাই মেশিন দেওয়া সহ নানা প্রতিশ্রুতি এবং শর্ত দিয়ে নারীদের প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি করা হয়। জামানত ছাড়া ঋণ দেওয়ার কথা বলেও তারা জনপ্রতি ৪-৫ হাজার টাকা নেয়।


মঙ্গলবার ( ৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হওয়া বিভিন্ন এলাকার ভুক্তভোগী নারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গ্রীণ বাংলা ট্রেনিং সেণ্টার নামে একটি সংস্থা দর্জি, ব্লক, বুটিক ও মাশরুম চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ছিল। তিন মাসের প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির আবেদন ফরম বাবদ প্রথমে তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৭০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। পরে তারা ভর্তি ফি বাবদ আরও ২৫০ টাকা হারে তাদের কাছ থেকে নিয়েছে। তারা প্রায় স্থানীয় দেড়শ’ নারীকে উক্ত প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি করেন। এছাড়া জামানত ছাড়া ঋণ দেওয়ার কথা বলে জনপ্রতি ৪-৫ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। সপ্তাহে শুক্র ও রোববার দু’দিন প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ছিল।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, ১ সেপ্টেম্বর থেকে সংস্থাটির কর্মকর্তারা দু’দিন প্রদশর্নীমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়ান। ওই দুইদিন প্রশিক্ষণের পর থেকে তাদের আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনকি তাদের একাধিক মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে নারীরা দলবেঁধে ওই অফিসে ভিড় করেন।এসময় তাদের সাথে প্রতারণার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

পরে খবর পেয়ে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ ওই অফিসের ৪-৫ কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর জানান, নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করায় ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। নাম-ঠিকানা ও কাজের ধরণ যাচাই-বাছাই না করে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, যদি প্রতারণার কোন অভিযোগ থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম জানান, গ্রীণ বাংলা ট্রেনিং সেণ্টারের মালিক বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। সংস্থাটির কয়েকজন কর্মচারীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।