টাঙ্গাইলের নাগরপুরে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র আরিফ মিয়া (২১) হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকালে উপজেলার মূল ফটকের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন নিহতর পরিবার ও এলাকাবাসী।
আরিফের লাশ সামনে রেখে স্বজনরা খুনি জাহাঙ্গীরসহ যারা জড়িত তাদের ফাঁসির দাবী করেন। মানববন্ধনে নিহতের পিতা হোসেন মিয়া, নিহতের বোন ও সহপাঠীরা বক্তব্য দেন। আরিফের লাশ নিয়ে নাগরপুর সদর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে নাগরপুর সরকারি কলেজ মাঠে নিহত আরিফের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামাজ শেষে সামাজিক কবর স্থানে দাফন সম্পর্ণ করা হয়।
উল্লেখ্যঃ- ০৮ আগস্ট উপজেলার নঙ্গীনা বাড়ি থেকে জাহাঙ্গীর আরিফকে মোটরসাইকেলসহ টাঙ্গাইল নিয়ে যায়। ১৯ আগস্ট মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী ব্রীজের নিচ থেকে আরিফের লাশ উদ্বার করে পুলিশ।
শুধুমাত্র একটি মোটরবাইকের জন্য নিজ চাচাতো ভাইয়ের হাতে নৃশংস ভাবে প্রাণ দিতে হলো অনার্স প্রথম বর্ষের মেধাবি ছাত্র আরিফকে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ভিকটিমের চাচাতো ভাই উপজেলার নঙ্গিনা বাড়ি গ্রামের দারোগ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশের জিজ্ঞাসা বাদে ঘাতক জাহাঙ্গীর হত্যার দায় স্বীকার করে।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিত্বে শুক্রবার বিকেলে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী ব্রীজের নিচ থেকে তার লাশ উদ্বার করা হয়। পরে লাশটি সাটুরিয়া থানায় নেয়া হয়। এদিকে লুন্ঠিত মোটরসাইকেলসহ অপর আসামী দেলদুয়ার উপজেলার দুল্লা গ্রামের মোকছেদুর রহমানের ছেলে হাবিজুর রহমান রনিকে (৩৩) পুলিশ গ্রেফতার করে।
অপর দিকে ছেলে হত্যার খবর শুনে ওই পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজনদের আহাজাড়িতে সেখান কার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। শোকে নির্বাক বাবা মা কোন কথাই বলতে পারছেন না।