একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ধর্ষণে এক স্কুলছাত্রী (১২) সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। এ ঘটনায় তার দুলাভাই সবুজ মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃত সবুজ মিয়া ঘাটাইল উপজেলার গর্জনা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে।
জানা গেছে, আটককৃত সুবজ প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ে করেন। প্রায় সাত মাস আগে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন তিনি। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ করে সবুজ। পরে ভয় দেখিয়ে এভাবে তাকে আরো চার থেকে পাঁচ বার ধর্ষণ করে। এতে ভুক্তভোগী শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হলেও বাড়ির লোকজন টের পাননি।
এদিকে ভুক্তভোগী শিশুটি অসুস্থ হলে, পরিবারের সদস্যরা অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে দুলাভাই সবুজ তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। পরে পরিবারের লোকজন কৌশলে সবুজকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে আনেন। এর আগে ভুক্তভোগীর বাবা সবুজের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে রাতে পুলিশ শ্বশুরবাড়ি থেকে সবুজকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে সবুজকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শ্যালিকাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। বুধবার সকালে ভুক্তভোগী শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
তিনি আরো জানান,একই সঙ্গে সবুজকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।