একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের সাগরদীঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার পর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকালে উপজেলার সাগরদীঘি চৌরাস্তায় ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধনের আয়োজন করে স্থানীয় এলাকাবাসী। শত শত নারী পুরুষ ওই মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সড়কের একপাশে অবস্থান নেয়। এ সময় চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের নেতৃত্বে তার কিছু লোকজন শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তারা মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারীদের উপর হামলা চালায়।ওই সময় দুই পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পরে।
পুলিশের উপস্থিতেই দুই পক্ষে মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয় পক্ষের দাবী এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। এক পর্যায় উত্তেজিত জনতা ইউপি চেয়ারম্যানকে ধাওয়া করে। তিনি দৌড়ে স্থানীয় এক দোকানে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে। এরপরও দুই পক্ষের লোকজন দুই পাশে অবস্থান নেয়। দুপুরের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষের সময় আতঙ্কে বাজারের সব দোকান বন্ধ করে রাখেন ব্যবসায়ীরা।
এ প্রসঙ্গে সাগরদিঘি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিন্নত আলী জানান, চেয়ারম্যানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে চেয়ারম্যান বহিরাগত লোকজন নিয়ে অর্তকিত হামলা করে। এতে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থির সৃষ্টি হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে ।পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাগরদীঘি ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার জানান, আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ জামায়াত, বিএনপির লোকদের সঙ্গে নিয়ে আমাকে হেয় করার জন্য মাঝে মধ্যেই আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে। ইতিমধ্যে তারা আমার বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। তারা আজকেও মানববন্ধনের আয়োজন করলে আমার লোকজনের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ভাংচুর করা হয় ৫ টি মোটরসাইকেল।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পুলিশ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে । যারা বিশৃঙ্খলা তৈরী করেছে, তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।