একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি টাঙ্গাইলের তৃতীয় পর্যায় দ্বিতীয় ধাপে ৩৪৯ জন গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমিসহ বাড়ির কবুলিয়ত দলিল হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গোপালপুর উপজেলায় মোট ১৯৪টি পরিবারকে ভূমিহীন ও গৃহহীন (‘ক’ শ্রেণির পরিবার হিসাবে) চিহ্নিত করা হয়। এদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৬৮টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৯০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। কিন্তু এদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে বরাদ্দ পাওয়া ১০টি পরিবার জীবিকার তাগিদে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যাওয়ায় ১০টি বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করে পূর্বের তালিকাভুক্ত পরিবার থেকে নতুন করে ১০টি পরিবারকে বাছাই করা হয়। বাছাইকৃত ওই পরিবারগুলোকে খালি বাড়িগুলোতে পুনর্বসন করা হয়েছে।
এছাড়া অত্র উপজেলায় ‘ক’ শ্রেণির ভূমি ও গৃহহীন ছিল ২৬টি পরিবার। সর্বশেষ তৃতীয় পর্যায়ে ওই ২৬টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সেহেতু অত্র উপজেলায় কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন অর্থাৎ ‘ক’ শ্রেণির পরিবার অবশিষ্ট নেই।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তরের সময় টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শামীম আরা রিনি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি জানান, জেলায় তিন হাজার ২০৬টি ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবার চিহ্নিত করা হয়। এদের মধ্যে দুই হাজার ৯৯৩টি পরিবারকে বাড়ি দেওয়া হয়েছে। এ জেলায় অবৈধ দখলে থাকা ১৫০ বিঘা খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এই জমির মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। উদ্ধার করা জমিতে আশ্রয় প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছে সারা বাংলাদেশে একজন মানুষও ভূমি ও গৃহহীন থাকবে না। তারই অংশ হিসেবে সারা বাংলাদেশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। ইতোপূর্বে যে সব গৃহহীনদের মধ্যে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সব আশ্রয়ণে বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ, বৃক্ষরোপন করা হয়েছে। এছাড়াও গৃহহীনদের স্বাবলম্বী করতে সেলাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। বন্যায় ভাঙনের শিকার হয়ে যে সব মানুষ গৃহহীন ও ভূমিহীন হয়েছে তাদেরও তালিকা প্রস্তুত করে বাড়ি নির্মাণ করা হবে।