একতার কণ্ঠঃ ভোক্তা পর্যায়ে সিএনজি ছাড়া সব ধরনের গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
মিটার যুক্ত গ্রাহকের গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা করা হয়েছে। আর মিটার বিহিন এক চুলার জন্য ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা এবং দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৮০ টাকা করা হয়েছে। বর্ধিত গ্যাসের দাম জুন থেকেই গুণতে হবে গ্রাহকদের। রোববার অনলাইনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় কমিশন।
কমিশন জানায়, এবার ভোক্তাদের জন্য ২২ দশমিক ৭৮ ভাগ গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে সার উৎপাদনে সর্বোচ্চ ২৫৯ ভাগ বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম ১২ দশমিক ৮০ ভাগ বা ৪ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫ দশমিক ০২ টাকা বাড়োনো হয়েছে। এতে বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হবে বলে কমিশন শুনানিতে ইঙ্গিত দিয়েছে।
এদিকে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা, সার উৎপাদনে ৪ টাকা ৪৫ পয়সো থেকে ১৬ টাকা, বৃহৎ শিল্পে ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১১ টাকা ৯৮ পয়সা, মাঝারি শিল্পে ১০ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৭৮ পয়সা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে গ্যাসের দাম কমেছে। এখাতে আগে গ্যাসের দাম ছিল ১৭ টাকা ০৪ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৭৮ পয়সা করা হয়েছে। বণিজ্যিক (হোটেল রেস্টুরেন্টে) ২৩ টাকা থেকে ২৬ টাকা, চা শিল্পে ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৯৩ পয়সা করা হয়েছে। সিএনজির গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু ফারুক গ্যাসের এই বর্ধিত দাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, কমিশন আইনের ৩৪ এর ৬ ধারা অনুযায়ী পেট্রোবাংলার সঙ্গে বিতরণ এবং সঞ্চালন কোম্পানি গত জানুয়ারির প্রথম দিকে আবেদন করে। গত ২১ থেকে ২৪ মার্চ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এই শুনানিতে বিইআরসির কারিগরি কমিটি সব ধরনের গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করে। তবে কমিশন আইনের ধারা ২২ (খ) এবং ধারা ৩৪ অনুযায়ী এই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ খাতে ১১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঘাটতি হবে। এই টাকার মধ্যে ৬৮০০ কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে বাজেটে দেবে সরকার। অন্যদিকে জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল এবং কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দেয়া হবে। সরকার উৎপাদন পর্যায়ে কোন ভর্তুকি দেবে না বলেই সারে এতটা দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে সারে ভোক্তা পর্যায়ে এই ভর্তুকি দেবে সরকার।