টাঙ্গাইলে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ;অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী


০৮:৪৯ পিএম, ৪ জুন ২০২২
টাঙ্গাইলে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ;অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী - Ekotar Kantho
প্রতীকী ছবি

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জোরপূর্বক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের জনক সোহেল খানের (৩০) বিরুদ্ধে।শনিবার (০৪ জুন) সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীসহ তার বাবা সোহেল খানের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর  থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রী বর্তমানে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ধর্ষিতা স্থানীয় একটি স্কুলের অস্টম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযুক্ত সোহেল উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাদারিয়া গ্রামের গোলাপ খানের ছেলে।

ধর্ষণের ওই ঘটনায় স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির বাড়িতে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সেখানে কোন সমাধান না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দরিদ্র ধর্ষিতার পরিবার।


ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী জানায়, প্রতিবেশি দুই সন্তানের জনক সোহেল স্কুলে যাওয়া-আসার সময় নানাভাবে উত্ত্যক্ত আর কু-প্রস্তাব দিত। একদিন সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশে এক দোকানে জিনিস (পন্য) কিনে ফেরার পথে একা পেয়ে সোহেল রাস্তা থেকে পাশের এক বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের চিত্র ভিডিও করেন। এরপর ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ধর্ষণের ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় হুমকি দেন। এরপর বিয়ের কথা বলে মাঝে মধ্যেই ধর্ষণ করতো। তার ধর্ষণের ফলে আমি এখন অন্তঃসত্ত্বা। এখন বিয়ের কথা বললেই তিনি আমাকে মারধর করেন। এছাড়াও গর্ভের সন্তান ফেলে না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। তারা এলাকায় প্রভাবশালী।

স্কুল ছাত্রীর বাবা জানান, দিনমজুরের কাজ করে সংসার চলে। ঠিকমতো বাড়িতেও থাকা হয় না জীবিকার তাগিদে। মেয়ের মা কানে কম শুনে। সোহেল বাড়িতে বিভিন্ন সময় আসা-যাওয়া করতো। এনিয়ে তাকে বহুবার নিষেধ করেছি। কিন্তু সে মানেনি। পরে জানতে পারি আমার মেয়ের সাথে তার শারীরিক সর্ম্পকের কথা। এনিয়ে তার পরিবারকে জানালে উল্টো আমার মেয়েকে সোহেল মারধর করতো। এছাড়া সোহেল প্রভাবশালী হওয়ায় হুমকি দিয়ে আসছে নানাভাবে। যার কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

অভিযুক্ত সোহেল খানের মুঠোফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলার ফলদায় ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদু জানান, মেয়ের অভিযোগে সম্প্রতি ভূঞাপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আল-আমিন, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধার ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল জলিল খান, সাবেক ইউনিয়ন কমান্ডার আবুল কাশেম আজাদ, ইউপি সদস্য খাইয়ুল ইসলামসহ এলাকার মাতাব্বরদের নিয়ে গ্রাম্য সালিশে বৈঠক হয়। পরে সালিশে সোহেল ধর্ষণ ও বিয়ের প্রলোভনের কথা অস্বীকার করায় আমরা ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেই।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, শনিবার (০৪ জুন) সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীসহ তার বাবা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আসামী গ্রেফতার চেষ্টাও শুরু করেছে পুলিশ।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।