একতার কণ্ঠ: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় সরকার নির্ধারিত ও প্রস্তাবিত ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ মধুপুরে স্থানান্তরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ঘাটাইল শেখ কামাল আইটি পার্ক রক্ষা কমিটি এ সম্মেলনের আয়োজন করে ঘাটাইল শেখ কামাল আইটি পার্ক রক্ষা কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঘাটাইল শেখ কামাল আইটি পার্ক রক্ষা কমিটি সদস্য সচিব আতিকুর রহমান আতিক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২৫ জুন ঘাটাইল উপজেলার গৌরিশ্বরে ১২.৭৭ একর জমিতে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে জন্য জমির লিজ হিসেবে এক লাখ টাকা নির্ধারণ করেন ভ‚মি মন্ত্রনালয়। পরে ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর জমির নির্ধারিত প্রতিকী মূল্য পরিশোধ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৪ ফেব্রæয়ারি সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক ওই জমিটি হস্তান্তর করেন। লিজ দলিল সম্পাদন প্রক্রিয়ায় গ্রহীতা হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে দলিলে স্বাক্ষর করেন। ঘাটাইলের জনগন মনে করে, এই উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানটি মুজিব বর্ষে তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর একটি উপহার। জেলা প্রশাসন যাচাই-বাছাই করে প্রতিষ্ঠানের জন্য ঘাটাইলের এই স্থানটি নির্ধারণ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ে প্রতিমন্ত্রীর বরারব পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে, তারা ঘাটাইল থেকে মধুপুরের স্থানান্তেরর বিষয়টি অবগত করেন। আইটি সেন্টারটি অন্য উপজেলায় নেওয়ার চেষ্টা করা হলে ঘাটাইলবাসী এর প্রতিবাদ করে মিছিল, মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর করে স্মারকলিপি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় পাঠানো হয়।
তিনি আরো বলেন, পরে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে টাঙ্গাইলের একাধিক উপজেলার জায়গা পরিদর্শন করেন। একই সাথে ঘাটাইল উপজেলার বর্তমান বরাদ্দকৃত জমিটি যথোপোযুক্ত বলে নির্ধারণ করেন। যার ধারাবাহিকতায় জমি হস্তান্ত সংক্রান্ত সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
কিন্তু সম্প্রতি একনেক সভায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের হস্তক্ষেপে আইটি সেন্টারটি ঘাটাইল থেকে মধুপুরে স্থানান্তর করা হয়। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা অতিদ্রæতই পূনরায় ঘাটাইলেই আইটি সেন্টারটি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি। কৃষিমন্ত্রী তার নিজ এলাকায় আলাদাভাবে আইটি সেন্টার স্থাপন করুন, এতে আমাদের কোন বাঁধা নেই। কিন্তু ঘাটাইলের নির্ধারিত আইটি সেন্টার বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে। আগামী রোববার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করা হবে। আমি এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, ঘাটাইল শেখ কামাল আইটি পার্ক রক্ষা কমিটি আহবায়ক জুলফিকার হায়দার, যুগ্ম-আহবায়ক ও জিবিজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ মতিউর রহমান মিয়া, উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান কাজী আরজু, বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন খান, আনেহলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ।