টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে মহাষ্টমীর স্নানে পুণ্যার্থীদের ঢল


০৭:২১ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২২
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে মহাষ্টমীর স্নানে পুণ্যার্থীদের ঢল - Ekotar Kantho

একতার কণ্ঠঃ পাপ-শাপ মোচনে ভোরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে মহাষ্টমীতে স্নান করতে পূণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দেশবাসীর জন্য শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেছেন সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ভক্ত ও পূণ্যার্থীরা।

আরো পড়ুনঃ ইউএনওর বিরুদ্ধে ক‌লেজছাত্রী‌কে ধর্ষণের অভিযোগ

করোনার ভয়াবহতা কাটিয়ে শনিবার (৯ এপ্রিল) সকালে প্রতিবারের মতো এবারো যমুনা নদীর পাড়ে ৩০০ বছরের পুরোনো শ্রী শ্রী কালী মন্দিরে পূণ্যস্নান উৎসব এবং মেলার আয়োজন করেছেন উপজেলার খানুরবাড়ী, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া ও গোবিন্দাসী গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

মেলায় মিষ্টি জাতীয় খাবার, বাশঁ-বেতের আসবাবপত্র, মাটির তৈরি খেলনা, পুতুল, ঘোড়া, ট্রাক গাড়ি, হাড়ি-পাতিল, মাছের দোকান, চিড়া-মুড়ি, দইসহ দোকানিরা তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোর থেকেই পূণ্যস্নানে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ছাড়াও গোপালপুর, কালিহাতী, ঘাটাইলসহ সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার নানা বয়সী হাজারো ভক্ত ও পূণ্যার্থীরা যমুনা নদীর পাড়ে আসছেন।

এ সময় তারা সৃষ্টিকর্তার কাছে বিভিন্ন মানত ও দেশবাসীর জন্য শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেন। সব মিলিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

স্নান করতে আসা ভূঞাপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের সাবেক প্রভাষক সুহাষ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘যমুনায় স্নান তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে পুণ্যার্থীরা স্নান করছে তাদের মনবাসনা পুরণের জন্য।’

সাধন দাস, রঞ্জিত কর্মকর্তা, সুবীরসহ অনেকেই জানান, নদীর পাড়ে নতুন জলে পূণ্যস্নান করেছি ও পূজা দিয়েছেন। মহাষ্টমীতে এখানে স্থানীয় লোকজনসহ দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ মেলা দেখতে আসেন।

পূণ্যস্নান ও মেলার আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষ বলেন, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পাপ মোচনের আশায় যমুনা নদীতে স্নান করতে এসেছেন। প্রশাসনের সহযোগিতায় স্নান উৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।