টাঙ্গাইলে সন্ত্রাসী হামলায় ডিস ব্যবসায়ি গুরুত্বর আহত


০৩:৪৪ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
টাঙ্গাইলে সন্ত্রাসী হামলায় ডিস ব্যবসায়ি গুরুত্বর আহত - Ekotar Kantho
গুরুত্বর আহত মোমিনুল

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সন্ত্রাসী হামলায় মোমিনুল রহমান(৪২) নামে এক ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী গুরুত্বর আহত হয়ে বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। বুধবার(৯ ফেব্রয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বেড়াডোমা ডাইভারশন সেতুর উপর ওই হামলার শিকার হন তিনি।

মোমিনুল টাঙ্গাইল পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের পার-দিঘুলিয়ার মৃত আজিজুর রহমান চৌধুরীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বেড়াডোমা সাবান ফ্যাক্টরির কাছে অবস্থিত ইউজার চয়েজ ক্যাবল ও ইন্টারনেট অফিস থেকে প্রতিদিনের মতো ব্যবসায়ী মোমিনুল তার পার-দিঘুলিয়ার বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বেড়াডোমা ডাইভারশন ব্রিজের মাঝামাঝি পৌঁছাতেই  কয়েকজন মুখোশধারি সন্ত্রাসী তার উপর বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।


হামলায় তার ডান হাত, মাথা, ডান পা ও নাক গুরুত্বর জখম হয়। তার ডান হাতের তিনটি আগুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া কোপের আঘাতে তার নাক কেটে ঝুলে যায়।তার ডান পায়ের রানের উপর আঘাতও গুরুত্বর । গুরুত্বর আহত অবস্থা তিনি হেঁটে কোন রকমে বেড়াডোমা বেবিস্ট্যান্ডে অবস্থিত বিসমিল্লাহ মেডিসিন সপের সামনে গিয়ে পরে যায়। পরে আহতের ভাই মামুন ও মামুনের বন্ধু আলাউদ্দিন মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অপরেশন থিয়েটারে নিয়ে জরুরী অপারেশন করা হয়। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

মনিমুলের বড়বোন কামরুন্নাহার বলেন, হামলার খবর পেয়ে তার ভাই মামুন ও তার বন্ধু আলাদিন মোমিনুলকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে হামলাকারিরা মুখোশ পরে থাকায় কাউকে চিনতে পারা যায়নি।  ঘটনার পর হামলাকারিরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

মমিনুলের বড় ভাই মাহবুব চৌধুরী মনি বলেন, ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে বুধবার রাতেই মোমিনুলের জরুরি অপারেশন করা হয়েছে।তিনি বর্তমানে হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রয়েছে।মমিনুলের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তাই তারা আইনগত কোন ব্যবস্থার দিকে যায়নি। অবস্থার উন্নতি হলে তারা আইনগত প্রক্রিয়া যাবেন।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার-ইন-চার্জ( ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, বুধবার রাতেই ঘটনাটি জেনে ঘটনাস্থল ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছেন। তবে আহতের পরিবার থেকে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।