স্কোয়াশ চাষে সাবলম্বী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শাকিল


০৭:২০ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
স্কোয়াশ চাষে  সাবলম্বী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শাকিল - Ekotar Kantho

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের বন্ধে কিছু একটা করার তাগিদে বাবার জমিতে স্কোয়াশ চাষ শুরু করেন শাকিল। মাত্র ৩২ হাজার টাকা খরচ করে এখন পর্যন্ত ৮৫ হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করেছেন তিনি।

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে স্কোয়াশ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন শাকিল আহমেদ নামে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অলস বসে না থেকে বাবার জমিতে বিদেশি সবজী জাতীয় ফসল স্কোয়াশ চাষ করে সফলতা পান শাকিল। এতে ভীষণ খুশি শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ।

শাকিল দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের গোমজানি গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। তিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গত বছর কৃষিতে বিএসসি পাশ করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্স্টাসে চান্স পেয়েছেন।

এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, “করোনার বন্ধে বাড়িতে এসে অলস সময় কাটাচ্ছিলাম। অলস সময়ে নিজের পিতার জমিতে কিছু একটা চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করি।

ইন্টারনেট ঘেটে বিদেশি সবজী জাতীয় ফসল স্কোয়াশ চাষ করার উদ্যোগ নিই। বাবার ৪০ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশের বীজ রোপণ করি। নিজে কৃষি বিভাগের ছাত্র হওয়ায় এ বিষয়ে আগেই কিছুটা ধারণা ছিল। ইন্টারনেট থেকেই জেনে নেই বিষমুক্ত ফসল আবাদের কৌশল। নিজের কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছি। প্রথম দফাতেই স্কোয়াশের ভালো ফলন পেয়েছি। জমি জুড়ে লম্বা আকৃতির স্কোয়াশ দেখে নিজের মধ্যে আনন্দ লাগছে। স্কোয়াশ চাষে কোনো সমস্যা হলে কৃষি বিভাগের  সহযোগিতা নিয়েছি।”

তিনি বলেন, “চাষে আমার ৩২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত আমি ৮৫ হাজার টাকার স্কোয়াশ  বিক্রি করেছি। আশা করছি, এক লাখ টাকার মতো বিক্রি হবে। বাজারে আগে প্রতি কেজি এর দাম ছিলো ১২ টাকা বর্তমানে দাম ৮ টাকা।”

শাকিল আহমেদ আরো জানান, অক্টোবর ১৫ তারিখ থেকে নভেম্বর ১৫ তারিখ পর্যন্ত স্কোয়াশ চাষ করার উপযুক্ত সময়। ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফুল ধরে। আর ৪১ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফলন ধরা শুরু হয়। ৩০ ইঞ্চি দূরত্ব বজায় রেখে এর চারা লাগাতে হবে। একটি গাছে সর্বোচ্চ ৫টি ফল ধরে।

ছেলের এ সফলতায় খুশি শাকিলের পিতা আব্দুল করিম। তিনি আগামীতে তার ছেলেকে আরও বেশি জমি চাষাবাদের জন্য দেবেন। শিক্ষার্থী শাকিলের পরামর্শে তারই চাচাতো ভাইও স্কোয়াশ চাষ করেছেন। তিনিও ভালো ফলন পেয়েছেন।

নিজেদের এলাকায় অচেনা ফসল স্কোয়াশে চাষের সফলতার কথা জেনে আরও অনেকেই স্কোয়াশ চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

কৃষি বিভাগ এই অঞ্চলে স্কোয়াশ চাষ সম্প্রসারণের কথা ভাবছে জানিয়ে দেলদুয়ার উপজেলা কৃষি অফিসার শোয়েব মাহমুদ বলেন, “চলতি মৌসুমে দেলদুয়ার উজেলায় ১ হেক্টর জমিতে স্কোয়াশের চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে স্কোয়াশ চাষিদের সব ধরনের সহায়তা করছে। টাঙ্গাইল জেলায় স্কোয়াশ চাষ ছড়িয়ে দেওয়া গেলে লাভবান হবেন চাষিরা।”


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।