একতার কণ্ঠঃ গাভি দুধ দেয়—এটা আমাদের সবার জানা আছে। কিন্তু ১০ মাস বয়সের বকনা বাছুর দুধ দেয়, এটা অস্বাভাবিক ঘটনা। ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার গড়গোবিন্দপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের বাড়িতে। বকনা বাছুরটি এখন দিনে তিন লিটার করে দুধ দিচ্ছে। বাছুরটির মা দুধ দিচ্ছে ছয় লিটার। এ ঘটনা শুনে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ভিড় করছে ওই বাড়িতে।
সরেজমিনে খোরশেদ আলমের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, তাঁর স্ত্রী মর্জিনা খাতুন ১০ মাস বয়সের বকনা গরুর ওলান থেকে দুধ সংগ্রহ করছেন। এমন দৃশ্য দেখতে উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় করছে। সংগ্রহ শেষে দেখা গেল, প্রায় দেড় লিটার দুধ জমেছে। তিনি সকালেও দেড় লিটার দুধ সংগ্রহ করেছেন বলে জানান। একটা দিন দুধ সংগ্রহ না করলে ওলান থেকে এমনি এমনি দুধ ঝরে পড়ে। তিনি গত ১৫দিন ধরে এই বাছুর গরু থেকে এভাবে দুধ সংগ্রহ করছেন।
খোরশেদ আলমের স্ত্রী মর্জিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি গাভি পালন করছেন। ১০ মাস আগে তাঁর পালিত গাভির বাছুর হয়। আর সেই বাছুরকে লালন-পালন করে আসছেন তিনি। ১৫ দিন আগে তিনি ১০ মাস বয়সী বাছুরকে গোসল করাতে গেলে গরুটির দুধের বাঁট ফোলা দেখে ধারণা করেন, এর বাঁটে দুধ জমেছে। তিনি তাৎক্ষণিক গরুটির ওলান থেকে দুধ সংগ্রহ করেন। প্রথম কয়েক দিন আধা লিটার দুধ পান তিনি। এখন দুধের পরিমাণ বেড়েছে। পরিবারের সদস্যরা এই দুধ পান করছেন। মাঝেমধ্যে এলাকার লোকজনকেও বিনামূল্যে দিচ্ছেন তিনি।
খোরশেদ আলমের চাচা আবদুল হাই তালুকদার বলেন, সাধারণত যে গাভী বাচ্চা জন্ম দেয়, সেই গাভীই দুধ দিয়ে থাকে। অল্প বয়সী বাছুরটি দুধ দেয় এটা একটা ব্যতিক্রমী ঘটনা। অনেকেই বিষয়টি শুনে আশ্চর্য হয়েছেন। তাই প্রতিবেশীরা এ দৃশ্য দেখতে বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুল জলিল বলেন, হরমনের কারণে এমনটা হয়। ঘটনাটি ভিন্ন রকম মনে হলেও ওই দুধ পুরোপুরি স্বাস্থ্যসম্মত। এ ধরনের ঘটনা দেশে আগেও ঘটেছে। অতএব আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।