একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন আবার না মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ নিয়ে ছয় বার তার জামিন আবেদন না মঞ্জুল হলো।
মঙ্গলবার (৪ মে) টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়িত্বে থাকা দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাউদ হাসান এ জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী মনিরুল ইসলাম খান জানান, গত ২ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের পর আদালত মুক্তির জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার পক্ষে আইনজীবী আব্দুল বাকী মঙ্গলবার (৪ মে) ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আদালতে জামিন আবেদন করেন। তারা যে কোনো শর্তে মুক্তির জামিন মঞ্জুরের দাবি জানান। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। পরে আদালত জামিন না মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজ পাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।ফারুক হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিছুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামক দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এ হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাই তৎকালীন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। তারপর তারা আত্মগোপনে চলে যান। তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ এ মামলায় আমানুর ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন। ছয় বছরেরও বেশি সময় আত্মগোপনে থাকার পর মুক্তি গত ২ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।