টাঙ্গাইলে পরিবারের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যার চেষ্টা 


০৪:৪১ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২১
টাঙ্গাইলে পরিবারের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যার চেষ্টা  - Ekotar Kantho
 একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার ৬ নং ওযার্ডের দক্ষিণ কলেজ পাড়া এলাকার বিমল চৌহানের মেয়ে প্রিয়া চৌহান(১৭)  পরিবারের সাথে অভিমান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।  বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকালে প্রিয়া চৌহান টয়লেট ক্লিনার হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পেয়ে চিকিৎসার জন্য কিশোরী  প্রিয়া চৌহানের বাবা-মা তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
টাঙ্গাইল জেনালের হাসাপাতালের  চিকিৎসক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রিয়া চৌহান এর বর্ণনা অনুসারে সে হারপিক পান করেছে, আমরা সে মোতাবেক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছি।
 পরিবার ও  এলাকায়  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  বিমল চৌহানের মেয়ে প্রিয়া চৌহানের সাথে পাশাপাশি এলাকা  কান্দাপাড়া এলাকার প্রদীপ হরিজনের ছেলে প্রভাত হরিজনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২ এপ্রিল প্রভাত হরিজনের সাথে কিশোরী  প্রিয়া চৌহান পালিয়ে যায়। পরে তারা কোর্টে হলফনামা এফিডেভিট করে এবং  শাঁখা সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করে।  ঘটনা জানাজানি হলে কিশোরী  প্রিয়া চৌহানের বয়স ১৮ বছর না হওয়ায় তার বাবা-মা পুলিশের সহযোগিতায় সামাজিক ভাসব বসে মাতাব্বর নিয়ে একাধিকবার  দেন-দরবার করে  কিশোরী  পিয়া চৌহানকে পরিবারে ফিরিয়ে আনেন ।
 তবে দেন-দরবার করে ফিরিয়ে আনলেও প্রিয়া চৌহান তার বাবা-মায়ের কাছে না থেকে  আবার প্রভাত হরিজনের  সাথে পালিয়ে যায়।  এ বিষয়ে গত  মঙ্গলবার(২৭ এপ্রিল) দুপুরে, দুই পক্ষের মাতাব্বর নিয়ে সামাজিকভাবে বসে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয় ।  সেখানে ছেলের বাবা এবং মেয়ের বাবার মতামতের ভিত্তিতেই কিশোরীকে  প্রভাত হরিজনের বাড়িতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
  ঐদিন বিকেলে পিয়া চৌহানের বাবা ও মা কাজলি চৌহান একজন মানবাধিকার কর্মীর সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ উল্লেখ করে টাঙ্গাইলের সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ খায়রুল ইসলাম কে অবগত করেন৷  মেয়েটির বয়স ১৮ না হওয়ায় এক্সিকিউটিভ  ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ খায়রুল ইসলাম বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মেয়েটিকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিয়ে আসেন।
টাঙ্গাইল সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ খায়রুল ইসলামের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বাল্যবিবাহর খবর পেয়ে আমরা সেখানে দ্রুত চলে যাই এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মেয়েটিকে তার বাবা মায়ের হাতে তুলে দেয়া হয়।
 বাবা বিমল চৌহান বলেন, আমার মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তার মত অনুসারে আমরা তাকে বিয়ে দেব।


নিউজটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।