টাঙ্গাইলে সংখ্যালঘু সাইনবোর্ড টাঙিয়ে জমি দখলের চেষ্টা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


০৮:৩২ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
টাঙ্গাইলে সংখ্যালঘু সাইনবোর্ড টাঙিয়ে জমি দখলের চেষ্টা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন - Ekotar Kantho
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. শাওন আল মনসুর।

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌর শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার রেজিনা বেগমের ক্রয়কৃত ৩৪ শতাংশ সম্পত্তি ৭০ বছর ধরে দখলে থাকা জমিতে সংখ্যালঘু সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ভাংচুর করে জমি দখল করার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের ভিআইপি অডিটোরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. শাওন আল মনসুর বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষদের দলিল ও রেকর্ড মুলে প্রাপ্ত হই। ১৯৪০, ১৯৫৩ এবং ১৯৬৪ সনে টাঙ্গাইল সাব রেজিষ্টার অফিস হতে রেজিস্ট্রীকৃত দলিল মুলে রিজিনা বেগম, স্বামী আব্দুর রহিম মিয়া এই জমির মালিকানা‌ প্রাপ্ত হন। বি.এস জরিপ আগত হইতে ১/১নং খতিয়ানে এস.এ ১০৫৪,১০৫৫, ১০৫৬, ১০৫৭নং দাগে ৩৫৬৫, ৩৫৬৬, ৩৫৫৬ দাগে রুপান্তরিত হয়। বর্তমানে ১/১ নং খতিয়ান এসএ দাগ নং ১০৫৪.১০৫৭ যা বিএস নকশাকৃত দাগ ৩৫৬৬। যা রেজিয়া ওয়ারিশগন ভোগ দখলরত আছে। এমত অবস্থায় ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে একদল লোক সংখ্যালঘুর নাম ভাঙিয়ে ভাংচুর ও উক্ত জমি দখলের চেষ্টা করে।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন দখলে থাকা উক্তভুমিটি ১২ বছর পুর্বে কয়েক লাখ টাকা খরচ করিয়া বাউন্ডারী ওয়াল করার জন্য সিসি কলাম করা হয়। ২০২২ সালে সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল্ল্যাহ হেল ওয়ারেজ (হুমায়ন) টাঙ্গাইল পৌরসভার আমীন দ্বারা পরিমাপ করে যার-যার অংশ বুজিয়ে দেন। তারপর আমরা ওয়ারিশগন উক্ত জায়গায় সিসি কলামের উপর টিনের বেড়া দিয়ে জায়গাটি ঘিরে রাখি। এমতঅবস্থায় টিনের বেড়া খুটি, সাইনবোর্ড ঘরের দরজাসহ বিভিন্ন জিনিষ ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। ওইদিন যদি আমরা বাধা দিতাম তাহলে একটি অপ্রীতিকর অস্থার সৃষ্টি হতো এবং হতাহত হতো, যে কারণে আমরা বাধা দেইনি। এই জমিতে আমরা খেলাধুলা করেছি এবং বড় হয়েছি। তখন কেউ এই জমি তাদের বলে দাবি করেনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আইনে বিশ্বাস করি, তারা যদি এই জমির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে তাহলে আমরা এই জমি ছেড়ে দিবো। আর যদি দেখাতে না পারে তাহলে তাদের এই জমির দাবি ছেড়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে ভাঙচুর ও লুটপাট বিষয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। জমির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, পাভেল এ রৌফ, মো. ফরহাদ মিঞা ও মো. আবীর হোসেন।

এসময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।