একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ অবশেষে টাঙ্গাইলের যৌনপল্লীতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশ বিপর্যস্ত হলে এবার লকডাউন ঘোষনার পর সরকারী কিম্বা বেসকারী পর্যায়ে টাঙ্গাইলের যৌনপল্লীর ৭০০ সদস্যদের মাঝে শনিবার(২৪ এপ্রিল) পর্যন্ত কোন ধরনের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়নি । বিভিন্ন গণমাধ্যমে যৌনকর্মীদের অধাহারে-অনাহারে জীবন-যাপনের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলো।রবিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় শহরের কান্দাপাড়ায় জেলা প্রশাসন এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও লেডিস ক্লাবের উদ্যোগে শিশুদের মাঝে নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।করোনাভাইরাসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া টাঙ্গাইল যৌন পল্লীর সদস্যদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রীও বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সোহানা নাসরিন, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুন, সহাকারি কমিশনার (ভূমি) মো. খায়রুল ইসলাম, ডেপুটি নেজারত কালেক্টটর (এনডিসি) আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহকারি কমিশনার মোছা. নুর নাহার বেগম, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
এ সময় যৌনপল্লীর ৫৫০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, এক লিটার তেল, এক কেজি ডাল, এক কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি ছোলা, এক কেজি চিনি, এক কেজি লবণ বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও ঈদে নতুন জামা কেনার জন্য ১২০ জন শিশুর মাঝে নগদ ৫০০ টাকা করে বিতরণ করা হয়।
প্রকাশ, টাঙ্গাইল পৌর এলাকার ১১ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ২০০ বছরের পুরোনো কান্দাপাড়া যৌন পল্লীটি ৩০২ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এর ৫৯টি বাড়িতে প্রায় ৭০০ যৌনকর্মী বসবাস করে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত বছরের ২০ মার্চ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি জনকে ৩০ কেজি করে চাল দিয়ে এই পল্লীকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এর পর ঈদুল ফিতরের আগে প্রতি সদস্যকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ৫০০ করে টাকা দেওয়া হয়।