একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রগুলো থেকে বিএনপি’র এজেন্টদের বের করে দেওয়া, মিথ্যা অভিযোগে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেছেন বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হক সানু । তিনি এই নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করে পুন:র্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে
সদ্য অনুষ্ঠিত পৌরসভার নির্বাচনে ভোট কারচুপি, মিথ্যা অভিযোগে আটক দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদুল হক সানু।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় বোমাবাজি করে কেন্দ্র দখল করে নেয়। অপরদিকে, দেওলা কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হামিদসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দিয়ে নৌকা সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকরা জাল ভোট প্রদান করে।
এছাড়াও নির্বচনী এলাকার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আটক হওয়া দেলোয়ার হোসেন, হাসিবুল হাসান, রাকিব সরকার, এহসানুল হক নয়ন, সোহানুর রহমান সোহান, আশরাফুল ইসলামসহ প্রায় ১৯জন বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন তিনি।
মেয়রপ্রার্থী মাহমুদুল হক সানু আরও বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে এবং প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অভিযোগে আটক সকল পর্যায়ের বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কারাগারে বন্দি বিরোধী দলের নেতাদের মা, বাবা, স্ত্রী, মেয়ে, ছেলেসহ স্বজনরা কাঁদছে। কিন্তু তা এই সরকারের হৃদয়ে নাড়া দেবে না। তারা নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জেলে ঢুকাচ্ছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৩০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর ৬৬ হাজার ৬১৭ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছিলেন বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল হক সানু, তিনি পেয়েছেন ২২ হাজার ৯০০ ভোট।