একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে যমুনা নদীতে টাঙ্গাইল-২ (ভুঞাপুর- গোপালপুর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির ও ভুঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ গ্রুপের পাল্টাপাল্টি নৌকা বাইচের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলেও জানান স্থানীয়রা। তবে সংঘর্ষ এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আগামী ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর গোবিন্দাসী নৌকা ঘাটের যমুনা নদীতে ছোট মনির এমপির উদ্যোগে এবং ১৯-২৩ সেপ্টেম্বর একই স্থানে পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদের উদ্যোগে নৌকা বাইচ হওয়ার কথা রয়েছে। এ লক্ষ্যে উভয়পক্ষই নৌকা বাইচের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোবিন্দাসী টি-রোড এলাকার এমপি গ্রুপের লোকজন অস্থায়ী তোরণ নির্মাণকালে মেয়র গ্রুপের নৌকা বাইচ কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন এমপি পক্ষের লোকজন।
অপরদিকে, একইদিন সন্ধ্যায় মেয়র পক্ষের নৌকা বাইচ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও গোবিন্দাসী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিনের নেতৃত্বে গোবিন্দাসী বাজারে এমপি গ্রুপের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, মিছিল এবং সমাবেশ করে। উভয় গ্রুপের কোন্দলে গোবিন্দাসী এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এমপি ছোট মনির গ্রুপের নৌকা বাইচ পরিচালনা কমিটির সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম খোকা জানান, এমপি ছোট মনির মহোদয়ের উদ্যোগে আমরা অনেক আগেই ১৯-২০ সেপ্টেম্বর নৌকা বাইচের আয়োজন করেছি এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। উল্লেখিত তারিখেই নৌকা বাইচ হবে।
মেয়র গ্রুপের নৌকা বাইচ কমিটির সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, পূর্ব নির্ধারিত ২২-২৩ সেপ্টেম্বর এমপি মনোনয়নপ্রত্যাশী মেয়র মহোদয়ের উদ্যোগে আমরা নৌকা বাইচের আয়োজন করি। নৌকা বাইচ যাতে সফল না হয় সে কারণে এমপি গ্রুপও ১৯-২০ সেপ্টেম্বর নৌকা বাইচের ঘোষণা দিয়েছে।
নৌকা বাইচে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ভুঞাপুর থানার অফিসার (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, দুপক্ষের নৌকা বাইচে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেন জানান, নৌকা বাইচে উভয়পক্ষের লিখিত আবেদন পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠালে তিনি এমপি গ্রুপকে ১৯-২০ এবং ২২-২৩ সেপ্টেম্বর মেয়র গ্রুপকে অনুমতি দিয়েছেন। এছাড়া বিশৃঙ্খলা এড়াতে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।