একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে দফায় দফায় পানি বৃদ্ধিতে দিশেহরা চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ। ফলে খেটে-খাওয়া অসংখ্য পরিবারের লোকজন খাদ্য সংকটে পড়ে থাকে। পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়। এসব পানিবন্দি দুঃস্থ ও নদী ভাঙন কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোছা: নার্গিস বেগম। এরআগে তিনি বন্যা ও ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলা চেয়ারম্যান মোছা: নার্গিস বেগমের নিজস্ব অর্থায়নে দিনব্যাপি উপজেলার গোবিন্দাসী, গাবসারা ইউনিয়নের পুংলিপাড়া, মেঘারপটল, রেহাইগাবসারা এবং অর্জুনা ইউনিয়নের বাসুদেবকোল, রামাইল ও গোবিন্দপুর বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে প্রায় দেড় শতাধিক দুঃস্থ ও ভাঙন কবিলতদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।
খাদ্য সামগ্রী চাল পেয়ে বাসুদেবকোল গ্রামের রহিম মোল্লা ও হাজেরা বেগম বলেন, কয়েকদিন ধরে বন্যার পানি বাড়িতে উঠেছে। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। পানিবন্দি অবস্থায় ঘরে খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছিল।
কামকর্ম নেই। মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে। হাতে তেমন টাকা-পয়সাও নেই। চাল উপহার পেয়ে সপ্তাহ চলে যাবে। বন্যার সময় চাল পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে।
চাল খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার, অর্জুনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান মাহবুব, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ফরমান শেখ ও সদস্য আব্দুল লতিফ তালুকদারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোছা: নার্গিস বেগম বলেন, বন্যা মৌসুমে উপজেলার গোবিন্দাসী, গাবসারা, অর্জুনা ও নিকরাইল চরাঞ্চলের অসংখ্য পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করে থাকে। অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়ে। তাই তাদের খোঁজ নেয়ার জন্য চরাঞ্চলে এসে কিছু চাল সহায়তা উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে চরাঞ্চলবাসীর কাছে নৌকায় ভোট প্রার্থনা করেন।