একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে যৌতুকের মামলায় মো: গোলাম মোস্তফা (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার (৩০ আগস্ট ) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে গোলাম মোস্তফাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গোলাম মোস্তফার বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার হবিবপুর গ্রামে। সে ওই এলাকার মো: হাবিবুর রহমানের ছেলে।
টাঙ্গাইলের স্পেশাল সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো: আব্দুর রহিম জানায়, গোলাম মোস্তফা ময়মনসিংগ জেলার মুক্তাগাছা থানার ঘোষবাড়ী এলাকার আব্দুল খালেকের মেয়ে মোছাঃ রায়হানুল জান্নাত পুন্নি (২৭) কে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে পুন্নির বাবা গোলাম মোস্তফাকে মোটর সাইকেল, স্বর্নালংকার ও জায়গা কেনার জন্য অনেক টাকা দিয়েছেন। এরপর পুন্নিকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক বাবদ পাঁচ লাখ টাকা আনতে বলে।
তিনি আরও জানান, এতে পুন্নি অপারগতা প্রকাশ করলে যৌতুকের জন্য গোলাম মোস্তফা অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। পরে পুন্নির বাবা খবর পেয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরবর্তীতে মধুপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে মধুপুর থানার এস আই জুবাইদুল হক তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র প্রেরণ করেন। পরে আদালত মামলার সকল স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন ২০০৩ এর ১১ (গ) ধারায় বুধবার (৩০ আগস্ট) এ রায় দেন।
বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন টাঙ্গাইলের স্পেশাল সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো: আব্দুর রহিম। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন জিয়ারত আলী।
পরে আসামীকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।