টাঙ্গাইলে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে হাতুড়ি পেটা 


০৮:৩৯ পিএম, ১৯ জুন ২০২৩
টাঙ্গাইলে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে হাতুড়ি পেটা  - Ekotar Kantho

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় নাছির মিয়া (১৮) নামে এক যুবককে হাতুড়ি পেটা করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। বর্তমানে আহত ওই যুবক উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি আছে।

রোববার(১৮ জুন) দুপুরে উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের আটিয়া চালা গ্রামের কুমের পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার নাছির উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের আটিয়া গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় দেলদুয়ার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


আহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রায় তিন মাস পুর্বে আটিয়া শাহনশাহী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের দিন বিদ্যালয়ের গেটে দাঁড়িয়ে কয়েকজন যুবক ছাত্রীদের ইভটিজিং করছিলো। বিদ্যালয়টি নাছিরের বাড়ির পার্শ্ববর্তী হওয়ায় নাছির ওই যুবকদের চলে যেতে বলে। তারা চলে যেতে না চাইলে একপর্যায়ে যুবকদের তার সাথে বাকবিতন্ডা হয়।

এরই জের ধরে রোববার দুপুরে নাছির মিয়া ওই যুবকদের এলাকায় রাজমিস্ত্রীর সহযোগিতা হিসেবে কাজে গেলে তারা অতর্কিতভাবে হাতুড়ি ,ক্রিকেটস্ট্যাম্প ও লাঠিশোঠা নিয়ে নাছিরের উপর হামলা চালায়। তারা হাতুড়ি দিয়ে নাছিরের পায়ের নখ থেতলে দেয়। এছাড়া নাছিরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। হাতুড়ির আঘাতে নাছিরের ডান হাত ভেঙে গেছে। এ সময় নাছিরের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দেলদুয়ার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

নাছিরের পিতা কালু মিয়া জানান, নাছির রাজ মিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করে। রোববার সকালে নাছির ওই এলাকায় কাজ করতে যায়। দুপুরে লোক মারফত জানতে পারি আটিয়া চালা গ্রামের সাজেদুল ইসলাম (২০), আসিফ(১৭), শিপন মিয়া(১৮) ও হিঙ্গানগর গ্রামের শিহাব(১৮) মিলে আমার ছেলেকে পুর্বের ঘটনার জের ধরে হাতুড়ি ও ক্রিকেটস্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

তিনি আরও বলেন, ওই যুবকেরা ইভটিজিং ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডে জড়িত। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।

আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাত হোসেন জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। ঘটনাটি মীমাংসার জন্য স্থানীয় দুই মেম্বারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হবে।

এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা জানান, আহত নাছির মিয়ার পিতা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভিকটিমকে আমি দেখেছি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপ-পরিদর্শক মনোয়ার হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রির্পোট পাওয়া সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।