একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক নারীসহ মানবপাচারকারী চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঘাটাইল থানার পুলিশ।
রবিবার(৪ জুন) দিনগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলা সদরের ঝড়কা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করার অপরাধে সক্রিয় মানব পাচারকারী চক্রের ওই চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পৌরসভার চান্দশী গ্রামের আতাব আলীর ছেলে সোহেল মিয়া (৩২) ও আবু সাইদের ছেলে গোলাপ মিয়া (৩০), বীরঘাটাইল গ্রামের শাহজাহান সরকারের ছেলে সজিব মিয়া (৩৫) ও দেউপাড়া ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের জিটু মিয়ার স্ত্রী শিল্পী আক্তার (৩৬)।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উপজেলার ঝড়কা বাজারের দক্ষিণ পাশে শিল্পী আক্তারের ভাড়া বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায় দুটি মোটরসাইকেলযোগে কয়েকজন লোকজন চলে যাচ্ছেন। তাদেরকে থামতে বললে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন।পরে অঞ্জনা নামে এক নারীসহ চারজনকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে অঞ্জনা জানান, শিল্পী আক্তার তার পরিচিত। তিন বছর আগে একই কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে তাদের পরিচয় হয়। প্রতিনিয়ত তাদের মোবাইলে যোগাযোগ ছিল।
নতুন চাকরি দেওয়ার কথা বলে ফোন করে রবিবার শিল্পী তাকে ঘাটাইলে ঝড়কা এলাকায় তার বাসায় আসতে বলেন। ওইদিন বিকেলে তিনি ঢাকা থেকে ঝড়কা আসেন। রবিবার দিবাগত রাতে অঞ্জনাকে পতিতাবৃত্তিসহ অসামাজিক কাজে লিপ্ত কারার জন্য সোহেল মিয়া, গোলাপ মিয়া ও সজিব মিয়ার হাতে তুলে দেন শিল্পী। অঞ্জনাকে অসামাজিক কাজ করতে তারা চাপ প্রয়োগ করেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয় আসামিরা একটি মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য।
টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থকে ভাগ্য বিড়ম্বনা অসহায় মেয়েদের কৌশলে ফুসলিয়ে এনে তাদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি করানো হতো। উল্লেখিত আসামিরা মেয়েদের বিভিন্ন প্রলোভনে নিয়ে এসে পতিতাবৃত্তি করাতে বাধ্য করেন।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, ‘এ ঘটানায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।’