একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে দেবরের লাঠির আঘাতে গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রুহুল আমিনকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১ এপ্রিল)গভীর রাতে উপজেলার সুরীরচালা গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার (২ এপ্রিল) সকালে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাঁকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওই গ্রামের গৃহবধূ জরিনা বেগম (৪২) হত্যাকাণ্ডে ইন্ধনদাতা হিসেবে মামলার আসামি হওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রুহুল আমিন কাকড়াজান ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ, মামলার বাদী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার(৩১ মার্চ) সকালে উপজেলার সুরীরচালা গ্রামের প্রবাসী সাহেব আলীর স্ত্রী জরিনা বেগমের সঙ্গে তাঁর দেবর আবদুস ছালাম মিয়ার বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আবদুস ছালাম লাঠি দিয়ে তাঁর ভাবি জরিনার মাথায় আঘাত করেন। এক দিন পর শনিবার জরিনা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে নিহত জরিনার মেয়ে স্বপ্না আক্তার বাদী হয়ে তাঁর চাচা আবদুস ছালাম মিয়াকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নামে সখীপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় ইউপি সদস্য রুহুল আমিনকেও হত্যাকাণ্ডের ইন্ধনদাতা হিসেবে আসামি করা হয়। পুলিশ রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করলেও মামলার প্রধান আসামিসহ ছয়জন পলাতক রয়েছেন।
নিহত জরিনার মেয়ে স্বপ্না আক্তার জানান, ‘ছোট্ট একটি ঘটনায় ওরা সবাই মিলে আমার মাকে মেরে ফেলেছে। রুহুল মেম্বার আমার চাচাকে না থামিয়ে উল্টো উসকে দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম জানান, লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মামলার একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। রবিবার সকালে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে ইউপি সদস্যকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য হওয়ার পর নানাভাবে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া রুহুল আমিন। সম্প্রতি স্থানীয় একটি সমিতির সদস্যরা প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করেছেন।