হাসপাতাল কক্ষে মিলল টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল কর্মকর্তার মরদেহ


১১:৫০ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২১
হাসপাতাল কক্ষে মিলল  টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল কর্মকর্তার মরদেহ - Ekotar Kantho

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল কর্মকর্তা খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মির্জাপুর কুমুদিনি হাসপাতালের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দীপংকর বলেন, গত সোমবার (২২ মার্চ) রেদওয়ানা ইসলাম প্রসব ব্যথা নিয়ে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই তিনি একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। এরপর থেকে সন্তানটি আইসিওতে (নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে) রাখা হলেও চারদিন আগে রেদওয়ানা ইসলামকে চিকিৎসকরা ছুটি দিয়ে দেন। কিন্তু নবজাতক হাসপাতালে থাকার কারণে রেদওয়ানা হাসপাতালের একটি কক্ষ নিয়ে থেকে যান।

শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে তার স্বামী মিজান হাসপাতালে রেদওয়ানার সাথে দেখা করতে আসেন। বিকেলে হাসপাতালের নার্স রেদওয়ানার কক্ষ বাইরে থেকে লক (তালা) দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে হাসপাতালের লোকজন কক্ষের ডুব্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে ভেতরে রেদওয়ানার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত রেদওয়ানা ইসলামের মামী খোদেজা বেগম ও মর্জিনা বেগম বলেন, ‘শিশুটিকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর পর যখন আমরা বের হই তখন তার স্বামী কেবিনেই ছিলেন। ফিরে এসে তারা ওই কক্ষ বন্ধ দেখেতে পাই।’

তারা আরও বলেন, ‘প্রায় দুই বছর আগে রেদওয়ানা ইসলাম টাঙ্গাইলে বদলী হয়ে আসেন। তার স্বামী টাঙ্গাইলের একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তিনি অন্যত্র বদলী হয়ে যান। স্বামী-স্ত্রী দুইজন জেলা প্রশাসনের কোয়ার্টারে বসবাস করতেন।’

কুমুদিনী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. আলী হোসেন বলেন, ‘প্রসবজনিত কারণে খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম গত সোমাবার (২২ মার্চ) সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই দিন সিজার অপারেশনের মধ্যেমে কন্যা সন্তান প্রসব করেন তনি। বাচ্চা অসুস্থ থাকায় তিন তলায় ভর্তি রাখা হয়। মা সুস্থ হয়ে উঠায় শুক্রবার রেফার্ড করা হয়েছিল।’


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।