একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এক প্রীতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(২৮ মার্চ) দুপুরে কালিহাতী আর এস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ওই প্রীতি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহন করে কালিহাতী থানা দল ও কালিহাতী প্রেস ক্লাব দল।
আরো পড়ুনঃ সংসদে ‘গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০২২’ উত্থাপন
খেলায় টসে জিতে কালিহাতী থানা দল ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। কালিহাতী থানা খেলায় নির্ধারিত ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান তুলতে সমর্থ হয়।
জবাবে কালিহাতী প্রেস ক্লাব ১১৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৮৭ রান করে। ফলে ম্যাচে কালিহাতী থানা দল ২৯ রানে জয় লাভ করে।
খেলায় ম্যান অব দি ম্যাচ নির্বাচিত হন কালিহাতী থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান। খেলা শেষে ম্যান অব দি ম্যাচ এর হাতে ট্রফি তুলে দেন কালিহাতী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন।
বিজয়ী কালিহাতী থানা পুলিশ দলকে জয়ের ট্রফি তুলে দেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকা ও বিজয় টিভির টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মো. আবু জুবায়ের উজ্জ্বল।
এ ছাড়া টুর্নামেন্টে রানার-আপ কালিহাতী প্রেসক্লাবকে ট্রফি তুলে দেন দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ইমরুল হাসান বাবু
উল্লেখ্য, মাঠে শত-শত ক্রিকেট প্রেমী উপস্থিত থেকে খেলাটি উপভোগ করেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে লোটন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস চাপায় জুবায়েল ( ২৮) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মোটরসাইকেল চালক শাহনেওয়াজকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার ( ২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের সল্লা এলাকায় ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন: টাঙ্গাইলে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক নিহত
নিহত জুবায়েল (২৮) বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে।
আহত শাহনেওয়াজ গাইবান্ধা জেলার সেকান্দর আলীর ছেলে। দুজনেই ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্ব থানার এএসআই আব্দুল মজিদ জানান, শনিবার বিকেলে ছুটি শেষে জুবায়েল ও শাহনেওয়াজ মোটরসাইকেলযোগে ঢাকায় কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে তারা বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের সল্লা এলাকায় পৌঁছালে পিছন দিক থেকে লোটন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই জুবায়েলের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত শাহনেওয়াজকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ বাসটিকে আটক করতে পারলেও চালক পলাতক রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের স্কুল ছাত্র রাহাত(১৪) হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব।শনিবার(২৬ মার্চ) দুপুরে র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. এরশাদুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওই হত্যাকান্ডের বিস্তারিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তুলে ধরেন।
র্যাব কমান্ডার মো. এরশাদুর রহমান জানান, বন্ধুকে এতিম বলায় জীবন দিতে হয় স্কুলছাত্র রাহাতকে (১৪)। শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাতে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত রাহাতের বন্ধু বিপ্লব র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়।
তিনি আরো জানান, রাহাত ও বিপ্লব দুই বন্ধু। তাদের বাড়িও পাশাপাশি। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাতে বিপ্লব ও রাহাত কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া বাজারে বসে লুডু খেলছিল। এ সময় বিপব্লকে কয়েকবার রাহাত এতিম বলে সম্বোধন করে। এ কারণে রাহাতের ওপর ক্ষিপ্ত হয় বিপ্লব এবং রাহাতকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় । পরে বিপ্লব বাজারের একটি দোকান থেকে ব্লেড ও সিগারেট কেনে। এরপর সে সিগারেট খাওয়ার কথা বলে রাহাতকে কাগুজিপাড়া এলাকার একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সিগারেট খাওয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপ্লব ব্লেড দিয়ে রাহাতের গলায় পোচ দেয়। এসময় রাহাত চিৎকার দিলে বিপ্লব মুখ চেপে ধরে আরও কয়েকবার পোচ দেয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাদা-মাটির মধ্যে রাহাতের মুখ চেপে ধরে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মরদেহ পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে রাহাতের মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়িতে চলে যায় বিপ্লব। বাড়িতে গিয়ে সে গোসল করে এবং তার রক্তমাখা জামা-কাপড় ধুয়ে ফেলে।
তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের আরো জানান, শুক্রবার (২৫ মার্চ) তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কালিহাতী থেকে বিপ্লবকে আটক করার পর র্যাবের কাছে সে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয়। পরে তার ঘর থেকে তার জামা-কাপড় ও নিহত রাহাতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া এলাকা থেকে রাহাতের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাহাত বানিয়ারা গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। সে বল্লা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র ছিল। আটককৃত বিপ্লব বানিয়ারা গ্রামের নুবু মিয়ার ছেলে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের কার্ড পাঠিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, এনজিওসহ নানা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নে। তবে নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার বলছেন, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান নিয়ে একটি সভা করে উপস্থিত সবার কাছে যথাসাধ্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। চাঁদা দাবির বিষয়টি তিনি অবগত নন।
আরো পড়ুনঃ চাকরিতে যোগদানের আগেই প্রীতির বুক ছিদ্র করে বেরিয়ে গেলো ঘাতক বুলেট!
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২৫ ও ২৬ মার্চ দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের ব্যয়ভার বহনের অজুহাতে চাঁদা আদায়ের ঘটনাটি ঘটেছে।
গত ৬ মার্চ নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদারের নির্দেশে একটি সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভার মাধ্যমে নারান্দিয়া ইউনিয়নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের চাঁদার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। এ অনুসারে প্রাথমিক স্কুলের জন্য তিন হাজার, উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে পাঁচ হাজার আর নারান্দিয়া বাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ধার্য করা হয়। চাঁদা উত্তোলন ও আমন্ত্রণপত্র বিতরণের জন্য কর্মীও মনোনীত করা হয়। মনোনীত কর্মীদের প্রধান হিসেবে কাজ করেন ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পালিমা গ্রামের মো. মানিক মিয়া।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে লুহুরিয়া বি এইচ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুলতান জাগো নিউজকে বলেন, ইউনিয়নের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান উদযাপনের কার্ড দিয়ে পাঁচ হাজার টাকার চাওয়া হয়েছিল। চেয়ারম্যান সাহেবের কথা বলে আমার স্কুলে কার্ড নিয়ে আসেন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পালিমা গ্রামের মো. মানিক মিয়া। পরে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক তাকে দুই হাজার টাকা দিয়েছেন বলে আমাকে জানান।
তবে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এভাবে চাঁদা নেওয়াটা অসম্মানের বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সৈয়দা নুরজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব মিটিং ডেকে আমাদের কাছে সাধ্যানুযায়ী সহযোগিতা চেয়েছিলেন। তবে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিতে আসা ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পালিমা গ্রামের মো. মানিক মিয়া ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। দাবি করা টাকা দেওয়া না হলেও আমরা সহযোগিতা করেছি।
জানতে চাইলে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পালিমা গ্রামের মো. মানিক মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, আমি স্কুলে স্কুলে ইউনিয়নের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান উদযাপনের চিঠি পৌঁছে দিয়েছি। তবে আমি কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি।
এদিকে, নারান্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের সমিতির সদস্য সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিক। অনুষ্ঠান উদযাপনের ব্যয় বহনের জন্য চেয়ারম্যান সাহেব প্রতিটি দোকান থেকে চাঁদা তোলার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। আমাদের বাজার সমিতির সেক্রেটারিকে প্রতি দোকান থেকে টাকা উত্তোলন করতে বলা হয়েছিল। তবে আমরা সেটির সমর্থন দিইনি। তবে এরপরও ছাত্রলীগ নেতা সোলায়মান, সাবেক ইউপি সদস্য সামছুল ও আবু বক্কর নামে তিনজন চেয়ারম্যান সাহেবের পরিচয় দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান উদযাপনের আমন্ত্রণপত্র দিয়ে কয়েকটি দোকান, ব্যাংক, এনজিও এবং স্কুল থেকে টাকা নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢালাওভাবে সব দোকান থেকে চাঁদার টাকা উত্তোলন করতে না পারলেও ইউনিয়নের জনতা ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক, ভূমি অফিস ও কয়েকটি স্কুল থেকে ২ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও পরিষদের যৌথ উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ কারণে আমরা স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে নিয়ে ৬ মার্চ একটি প্রস্তুতি মিটিং করি। ওই মিটিংয়ে উপস্থিত সবাইকে সহযোগিতা করতে বলেছিলাম। তবে অনুষ্ঠানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের কেউ কারও কাছ থেকে কোনো টাকা উত্তোলন করেননি। দল কী করেছে সেটি আমার জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, অনুষ্ঠানের সব ব্যয়ভার বহন করছে ইউনিয়ন পরিষদ। এরপরও যদি কেউ টাকা নেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ আমার কাছে করেন, তাহলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।
এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হুসাইন বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠান উদযাপনের ব্যয়ভার বহন করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। এ ধরনের অনুষ্ঠানের নামে চাঁদাবাজির কোনো সুযোগ নেই। চাঁদাবাজির অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ উপহার বক্সে কাফনের কাপড় আর চিঠি দিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে মসজিদের ইমামকে। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এতে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন নারান্দিয়া বাজার মসজিদের পেশ ইমাম ও মাদ্রাসার সুপার ওসমান গণি (৫৮)। তিনি মধুপুর উপজেলার মেহাবী গ্রামের মৃত. আব্দুল কাদেরের ছেলে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু
থানার জিডি সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ সকালে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নারান্দিয়া মাদ্রাসার সালমান (৬) নামের এক ছাত্রের কাছে জন্য একটি উপহার বক্স পাঠানো হয়। বক্সটি খুলে দেখা গেছে ভিতরে কাফনের কাপড় আর হত্যার হুমকি দেয়া একটি চিঠি। ঘটনাটি কয়েক দিন পরে জানাজানি হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মসজিদের পেশ ইমাম ও মাদ্রাসার সুপার ওসমান গণি জানান বক্সটি খুলে আমি দেখতে পাই ভিতরে কাফনের কাপড় আর হত্যার হুমকি দিয়ে লেখা একটি চিঠি। আমি কালিহাতী থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছি। এরপর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীন ভুগছেন।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে রাহাত (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাহাত বানিয়ারা গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, রাহাত মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাত থেকে নিখোঁজ ছিল। ভোরে নিহতের বাবা শাহাদত হোসেন ছেলেকে খোঁজার জন্য বের হলে বানিয়াপাড়া এলাকায় পুকুরে রাহাতের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। সাথে সাথে স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, রাতের কোন এক সময় রাহাতকে হত্যা করে লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে লাশ পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে রূপা আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলার তেজপুর গ্রামে তার স্বামী মিঠুন তালুকদারের বাড়ির উঠান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর শনিবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তার বাবা ছানোয়ার হোসেনের বাড়ি জেলার বাসাইল উপজেলার কাউলজানী মধ্যপাড়া এলাকায় তাকে দাফন করা হয়।
আরো পড়ুনঃ প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার এই স্বাধীনতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে জেলার বাসাইল উপজেলার কাউলজানী মধ্যপাড়া এলাকার ছানোয়ার হোসেনের মেয়ে রূপা আক্তার ও পাশের উপজেলার কালিহাতীর তেজপুর গ্রামের মোজাম্মেল তালুকদারের ছেলে মিঠুন তালুকদারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ৩-৪ বছর পর মিঠুন বিদেশে যাওয়ার জন্য রূপার পরিবারের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে নেয়। সৌদিতে প্রায় দুই বছর থাকার পর সেখান থেকে আবার দেশে ফিরেন মিঠুন। দেশে ফিরে তিনি ট্যাফি ট্রাক্টর চালানো শুরু করেন। এরমধ্যে তাদের ঘরে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরপর থেকে যৌতুক দাবিতে রূপার পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে মিঠুন। টাকা না দেয়ায় বিভিন্ন সময় রূপাকে মারধর করে আসছিল। মারধরের পাশাপাশি স্বামীর পরকিয়া ও নেশাগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ এনে রূপা তার কাছ থেকে বাবার বাড়িতে চলে আসে। প্রায় এক বছর আগে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। তালাকের ৩-৪ মাস পর রূপাকে ফের বাড়িতে নেওয়ার প্রস্তাব দেয় মিঠুন। সাত বছরের কন্যা সন্তান থাকায় সহজেই রাজি হন রূপা। ফের স্বামীর বাড়িতে গেলে মারধরের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। সব শেষে গত বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায়ও রূপাকে মারধর করা হয়। পরদিন শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুরের দিকে রূপার মৃত্যুর খবর তার বাবার বাড়িতে জানানো হয়।
রূপার মা রুমা বেগম বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার জন্য মিঠুনকে দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়। এছাড়াও আড়াই ভরি স্বর্ণ দেওয়া হয়। বিদেশ থেকে ফিরে মিঠুন আরও যৌতুক দাবিতে রূপাকে মারধর শুরু করে। একবার এসিড দেওয়ার চেষ্টাও করেছিল। এরপর আমরা রূপাকে মিঠুনের কাছ থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু আবার মিঠুন তাকে ফুঁসলিয়ে তার কাছে নেয়। বৃহস্পতিবার রাতেও তাকে মারধর করা হয়। এরপর ওই রাতেই আমার মেয়েকে তার স্বামী ও শ্বশুরসহ কয়েকজনে মিলে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। শুক্রবার দুপুরের দিকে আমাদের ফোন করে জানায়- রূপা মারা গেছে। আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি লাশ উঠানে রাখা আছে। আর রূপার ৭ বছরের মেয়েকে নিয়ে তার স্বামী, শ্বশুরসহ বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছে। এটা আত্মহত্যা নয়, এটা হত্যা। তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি এই হত্যাকারীদের বিচার চাই।’
রূপার দাদি ভানু বেগম বলেন, ‘মিঠুন মদ-গাঁজা খায়। এছাড়াও অন্য এক মহিলার সাথে তার সম্পর্ক ছিল। আর বিদেশ থেকে ফিরে আরও টাকার জন্য রূপাকে মারধর করে আসছিল। এক পর্যায়ে রূপাকে হত্যা করে লাশ তারা ঝুলিয়ে রাখে। তারা হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে।’
রূপার চাচা শুকুর মাহমুদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা বাড়িতে গিয়ে দেখি রূপার ৭ বছরের এক মেয়ে নিয়ে তার বাবা মিঠুনসহ বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছে। আমরা লাশটি বাড়ির উঠানে পেয়েছি। এঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তারা মামলা নিবে।’
কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মনিরুজ্জামান বলেন, ‘শুনেছি মেয়েটিকে তার স্বামী মাঝে মধ্যেই মারধর করতো। বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবি করে আসছিল। পরে শুনেছি তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামী।’
এব্যাপারে জানতে রূপার স্বামী মিঠুন তালুকদারের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কালিহাতী থানার এসআই আল আমিন বলেন, ‘আমরা নিহতের লাশটি তার স্বামীর বাড়ির উঠানে শোয়ানো অবস্থায় পেয়েছি। মেয়েটির হাতে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
একতার কণ্ঠঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বেপরোয়া তিন ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাক চালক নিহত হয়েছেন।রবিবার (১৩ মার্চ) সকালে উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের জোকারচর এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ট্রাক চালক শাহিন আলম(৩০) বগুড়া জেলার শেরপুর থানার মাগুরগাড়ী গ্রামের আব্দুল কদ্দুসের ছেলে।
ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেক ট্রাক চালক।আহত ট্রাক চালকের নাম রফিকুল ইসলাম (৪০)। সে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের গালার গ্রামের দানেশ আলী ছেলে। তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, নিহত ট্রাক চালক সিমেন্ট নিয়ে বগুড়ার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ট্রাকটি জোকারচর পৌঁছলে টাঙ্গাইলগামী বালুবাহী ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে।এসময় গাজীপুরগামী আরেকটি ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে সিমেন্টবাহী ট্রাক চালকের মৃত্যু এবং আহত হয় বালুবাহী অপর ট্রাক চালক রফিকুল।
তিনি আরো জানান, পরে আহত ট্রাক চালকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ থানা হেফাজতে হয়েছে। পরিচয় শনাক্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী প্রেসক্লাবের নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে মীর আনোয়ার হোসেন(সমকাল) ও সাধারণ সম্পাদক পদে দাস পবিত্রকে(বাংলা টিভি) মনোনীত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কালিহাতী উপজেলা পরিষদের হলরুমে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত সভার প্রথম পর্বে কালিহাতী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিতের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় পর্বে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও কালিহাতী প্রেসক্লাবের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী জাকেরুল মওলা নতুন কমিটির সাংগঠনিক কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করেন।
নবগঠিত কমিটির অন্যরা হচ্ছেন- সহ-সভাপতি কামরুল হাসান(পূর্বাকাশ), রাইসুল ইসলাম লিটন(যায়যায়দিন), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা(বাংলাদেশ বুলেটিন), মনির হোসেন(সময়ের কাগজ), কোষাধ্যক্ষ লতিফ তালুকদার(আজকের দর্পন),
ক্রীড়া সম্পাদক নুরুন্নবী রবিন(বাংলাদেশের আলো), সাহিত্য সম্পাদক আনিসুর রহমান শেলী(দৈনিক গণমুক্তি), দপ্তর সম্পাদক মনসুর হেলাল(আজকের পত্রিকা)।
কার্যকরী কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- শাহ আলম(মজলুমের কণ্ঠ), রশিদ আহমদ আব্বাসী(দৈনিক জবাবদিহি), তারেক আহমেদ(যুগান্তর), মুসফিকুর রহমান মিল্টন(মানবকণ্ঠ) ও সুমন ঘোষ(ডেইলি নিউজ মেইল)।
দুই পর্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুল অনুপম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, কালিহাতী প্রেসক্লাবের যুগ্ম-আহ্বায়ক কামরুল হাসান মিয়া।
প্রকাশ, এ কমিটি ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। পরে সভাপতি হিসেবে যুগান্তরের প্রতিনিধি তারেক আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি মুসফিকুর রহমান মোল্লা মিল্টন দায়িত্ব পালন করবে। প্রেসক্লাবের সদস্যদের দ্বিধাবিভক্তি নিরসনে এ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে যমুনা নদী খনন প্রকল্পের কাজ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কালিহাতী থানা পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে।
শনিবার(১২ ফেব্রয়ারি) দুপুরে উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের জোকারচর গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ-নুরুল ইসলাম মেম্বার ও সাবেক মেম্বার সুলতান গ্রুপের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে সুলতান গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাসুদ-নুরুল ইসলামের বালুরঘাটে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে মাসুদ গ্রুপের লোকজনও পাল্টা হামলা চালায়। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সাবেক মেম্বার সুলতান ও তার ভাইয়ের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় মাসুদ গ্রুপের লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পুলিশ দুই গ্রুপের ১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সাবেক মেম্বার সুলতান জানায়, জোকারচর এলাকার মাসুদ সরকার ও নুরুল ইসলাম মেম্বারের লোকজন আমার এবং আমার ভাইয়ের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে। আমার ঘরের ভিতরে থাকা আলমারি ভেঙে নগদ ১৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। আমি সরকারের কাছে এর বিচার চাই।
অপরদিকে মাসুদ সরকার অভিযোগ করে বলেন, বালুর ঘাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সুলতান মেম্বারের লোকজন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা একটি সাজানো নাটক।
কালিহাতীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান,জোকারচর এলাকায় বালুরঘাট দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় দুই গ্রুপের ১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ১ হাজার ৩ পিস ইয়াবাসহ মোঃ জলিল(৩৫) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।রবিবার( ৬ ফেব্রয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর রাজাবাড়ী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার বিকেলে র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত মোঃ জলিল রাজাবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইলের কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন (জি), (পিপিএম), (বিএন) এর নেতৃত্বে কালিহাতী উপজেলার রাজাবাড়ী গ্রামে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রেলক্রসিং এর উত্তর পাশে অভিয়ান চালিয়ে মোঃ জলিল নামের এক মাদকব্যবসায়ীকে ১ হাজার ৩ পিস ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার করা হয়। সে রাজাবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরো জানায়, জব্দকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লাখ ৯ শত টাকা। গ্রেপ্তারকৃত জলিলের বিরুদ্ধের কালিহাতি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পুংলী নদীর অংশে দিন-রাত অবাধে চলছে বালু উত্তোলন।জেলা প্রশাসনের কোন প্রকার বৈধ অনুমোদন না থাকলেও প্রকাশ্যে একটি ভেকু ও ১৪টি ড্রাম ট্রাকের সাহায্য দিন-রাত চলছে ওই অবৈধ বালু উত্তোলন। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধ, স্থানীয় বসতভিটা ,ফসলি জমিসহ সরকারি রাস্তা।অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাগণ কোন ধরনের প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পৌলি দক্ষিন পাড়ার পুংলী নদীর অংশ থেকে একটি ভেকুর মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলনকৃত বালু ১৪টি ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন জায়গায় রশীদের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত বোঝাইকৃত বালু ভর্তি ড্রাম ট্রাক চলাচলের ফলে পৌলি দক্ষিন পাড়া থেকে বঙ্গবন্ধুসেতু-টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কে যাওয়ার ওই এলাকাবাসীর যাতায়াতের একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি বিভিন্ন জায়গায় দেবে গেছে।এ ছাড়া ট্রাক চলাচলের সময় উড়া ধুলা-বালিতে স্থানীয়দের বাড়ী-ঘর ধুলায় ঢেকে গেছে। এই রাস্তাটি টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধের অংশ হওয়ায়, হুমকির মুখে পড়েছে ওই বাঁধ।
স্থানীয়বাসিন্দা জহের আলী, আলেয়া বেগম, শহিদুল্যা সহ বেশ কয়েকজন বলেন, নদী থেকে দিন-রাত বালু উত্তোলনের ফলে তাদের বসতভিটা নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া বালু বোঝাই ট্রাক চলাচলের ফলে এলাকাটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এলেঙ্গা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুকুমার ঘোষ প্রথমে বালু উত্তোলনের বৈধতার কথা বুঝানোর চেষ্টা করলেও পরে আইনগত দিক সর্ম্পকে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি যতদুর জানি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার মো. নজরুল ইসলামের প্রয়োজনে টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধে বালু ফেলার জন্য ওই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় কিছু বাসিন্দা বাঁধে সরবরাহ করার জন্য ওই বালু নদী থেকে তুলছে। বালু উত্তোলনের কোন বৈধ কাগজ পত্র আছে কিনা তা তিনি জানেন না।
এ বিষয়ে,কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোবাশ্বের আলী জানান, কালিহাতীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত চলমান রয়েছে। পুংলি নদীর ওই অংশ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।