একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ছোট ভাইয়ের বউকে হত্যার দায়ে ভাসুরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সেই সাথে দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে দুই মাসের সশ্রম কারাদন্ডও দেয়া হয়।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় দেন।দন্ডিত ব্যক্তি কালিহাতী উপজেলার উত্তর পৌলী গ্রামের মৃত আজমত আলীর ছেলে ফরমান আলী। সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনকারী অতিরিক্ত পিপি সিরাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, উত্তর পৌলী এলাকায় ডিস লাইনের তার চুরির ঘটনায় এলাকায় শালিস বৈঠকে ফরমান আলীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই টাকা সংগ্রহের জন্য তার ছোট ভাই নুর ইসলামের বউ আছিয়া বেগমের কাছে যান এবং বিভিন্ন সময় টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। টাকা না দেওয়ায় ২০০৬ সালের ১ আগস্ট সকালে দন্ডিত আসামী ফরমান আলী তার ছোট ভাইয়ের বউকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে উত্তর পৌলী গ্রামে নিজ বাড়িতে হত্যা করে। পরে নিহতের শ্বশুরবাড়ীর লোকজন পালিয়ে যায়। নিহত আছিয়া বেগমের মামা মো. রজব আলী ঘটনার দিনই কালিহাতী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট মো শামীম চৌধুরী দয়াল।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রাকের চাপায় এক অটোরিক্সার যাত্রী ৭ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে। ওই ঘটনায় আহত হয়েছে আরোও দুইজন।শুক্রবার (৩ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের গোপালদিঘী কে.পি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত স্কুল ছাত্রী হাফিজা আক্তার,উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের কালোহা গ্রামের হাবুল মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় গোপালদিঘী কে.পি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী ছিল।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে উপজেলার বল্লা থেকে ছেড়ে আসা একটি ইট বোঝাই ট্রাক এলেঙ্গা রোডের গোপালদিঘী কে.পি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌছালে বালিয়াটা থেকে ছেড়ে আসা একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সাকে ধাক্কা দেয়। এসময় ওই অটোরিক্সায় থাকা হাফিজা আক্তার ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
এসময় আহত হয় আরো ২জন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। স্থানীয়রা ট্রাকটিকে আটক করলেও চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। চালককে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া নুসরাত জাহান তোয়া (১৩) নামের এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ধলাটেঙ্গর এলাকায় এ দুর্ঘনাটি ঘটে।
নিহত নুসরাত জাহান নাসির উদ্দিন ও শায়লা বেগম দম্পতির বড় মেয়ে। তারা এলেঙ্গা শামসুল হক কলেজের সামনে একটি ভাড়া বাসায় দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুল ড্রেস পড়া একটি মেয়ে ও একটি ছেলে রিক্সায় এসে ধলেটেঙ্গর এলাকায় রেললাইনে বসে থাকতে দেখা যায়। সকাল ৯ টা ১০ মিনিটের দিকে উত্তরবঙ্গগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মেয়েটি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় ছেলেটি লাইনের পাশে থাকায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান। পরে মেয়েটিকে রেখে ছেলেটি পালিয়ে যান।
নুসরাতের মোবাইল চেক করে দেখে যায়, সোহাগ আল হাসান জয় নামের একটি ছেলের সাথে সকালে ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করে দেখা করার জন্য বের হয়।
নুসরাতের মা শায়লা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, সকালে বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার কথা বলে একটু আগেই বের হয় নুসরাত। এজন্য আমি আর আমার ছোট মেয়ে খানিকটা পথ এগিয়েও দিয়ে আসি। বান্ধবীর বাসায় থেকে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার কথা। কিন্তু তোয়া রেললাইনে কিভাবে গেল বুজতে পারছি না।
এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল করিম জানান, নুসরাত জাহান তোয়া আমার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সকালে পুলিশ এবং সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পাই সে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। মঙ্গলবার তার গণিত পরীক্ষা ছিল।
ঘারিন্দা রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই আব্দুস সবুর জানান, সকাল ৯.১০ মিনিটে নীল সাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে নুসরাত জাহান তোয়া নামে এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার গড়মিলের অভিযোগ এনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যে মো. হাছান ইমাম খাঁনের বৈধতা নিয়ে করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দা মোখলেছুর রহমান।
হাছান খাঁনের হলফনমায় শিক্ষাগত যোগ্যতায় গড়মিল আছে উল্লেখ করে তিনি ২৫ জুলাই স্পিকার বরাবরে চিঠি দেন। চিঠিতে বিতর্কের বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর অনুরোধ করেছেন।
কিন্তু সেটি না হওয়ায় তিনি ওই চিঠি নিষ্পতিতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
একতার কণ্ঠঃ ট্রেনের ধাক্কায় রেললাইনের ওপরে আটকে পড়া একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক তিন টুকরা হয়ে ছিটকে পড়েছে। এ ঘটনায় ট্রেনের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ আহত বা নিহত হয়নি।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ভাবলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুম আলী জানান, ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি বুধবার ভোরে রংপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তর বঙ্গের দিকে যাওয়া একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের রেল লাইনে উঠে পড়ে। এ সময় ট্রেনটি ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে ওই ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত হয়নি।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক ট্রেন লাইনের উপরে উঠিয়ে দেন। এতে ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাকটি তিন টুকরা হয়ে যায়। ট্রাকের বডি, চেচিস ও ইঞ্জিন আলাদা হয়ে গেছে। ট্রাকটি উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে। ঘটনার পর থেকে ট্রাকের চালক ও হেলপার পালাতক রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল-৪ আসনের মো. হাসান ইমাম খানের সংসদ সদস্যপদ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তথ্য গোপন করার অভিযোগে স্থানীয় ভোটার মো. মোখলেছুর রহমান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত বলেন, রিট আবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
রিটকারীর আইনজীবী মো. বুরহান খান বলেন, এর আগে হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতায় গরমিল আছে উল্লেখ করে গত ২৫ জুলাই স্পিকার বরাবরে মোখলেছুর রহমান চিঠি দেন। চিঠিতে বিতর্কের বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর অনুরোধ করেন।কিন্তু সেটি নিষ্পত্তি না করায় এবার তিনি হাইকোর্টে রিট করেছেন। রিট আবেদনে ওই আবেদন নিষ্পত্তিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, হাসান ইমাম খান টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের সংসদ সদস্য। এ আসনের সাবেক সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করায় ২০১৪ সালে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত হন ও দল থেকে বহিষ্কৃত হন। তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করার পর উপ-নির্বাচনে হাসান ইমাম খান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো তিনি নির্বাচিত হন।
সংবাদ সূত্র- জাগো নিউজ, আমাদের সময়.কম
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় স্কুলছাত্রী সুমাইয়া হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।রবিবার(৭ নভেম্বর) দুপুরে এলেঙ্গা কলেজ মোড়ে আয়োজিত ওই মানববন্ধনে স্থানীয় পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই সহস্রাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মোল্লা, সরকারি শামসুল হক কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল কবীর, লুৎফর রহমান মতিন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, এলেঙ্গা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল করিম তালুকদার, জিতেন্দ্রবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র সাহা, নিহত সুমাইয়ার চাচা ফিরোজ মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এলেঙ্গায় কিশোর গ্যাং ও বখাটেদের উৎপাত বহুগুনে বেড়েছে। ওরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। পুলিশ ও অভিভাবকসহ সবাইকে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বক্তারা সুমাইয়ার হত্যাকারী সহ সকল অপরাধী ও তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
প্রকাশ, গত ২৭ অক্টোবর এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের(১৫) গলাকাটা লাশ শামসুল হক কলেজের পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। স্কুলছাত্রী সুমাইয়া কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের পালিমা গ্রামের ফেরদৌস রহমানের মেয়ে।
একতার কণ্ঠঃ দেশের বৃহৎ বঙ্গবন্ধু সেতুতে দ্বিতীয় দফায় বেড়েছে যানবাহন থেকে টোল আদায়ের হার। এর আগে ১৯৯৮ সালে সেতুটি চালু হওয়ার পর ২০১১ সালে টোল বৃদ্ধি করা হয়। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বৃদ্ধি নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (উন্নয়ন) মোহাম্মদ আনোয়ারুল নাসের এর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ওই তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপন জারি হলেও বুধবার ৩ (নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু সেতুতে পারাপার হওয়া যানবাহন থেকে পূর্বে ধার্যকৃত রেটে টোল আদায় করছে কর্তৃপক্ষ। তবে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকেই চালকদের অবহিত করতে তাদের হাতে টোল বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বিলি করছেন।
বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সেতু বিভাগের আওতাধীন বঙ্গবন্ধু সেতুর জন্য অনুমোদিত যানবাহনের শ্রেনীবিন্যাস এবং টোল হার ধরা হয়েছে যথাক্রমে মোটরসাইকেল ৫০ টাকা, হাল্কা যানবাহনের মধ্যে কার/জিপ ৫৫০, মাইক্রো, পিকআপ ৬০০, ছোট বাস (৩১ আসন বা এর কম) ৭৫০, বড় বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) ১০০০, ছোট ট্রাক (৫ টন) ১০০০, মাঝারি ট্রাক (৫ টন থেকে ৮ টন) ১২৫০, মাঝারি ট্রাক (৮ টন থেকে ১১ টন) ১৬০০ টাকা, ট্রাক (৩ এক্সেল) ২০০০, ট্রেইলার (৪ এক্সেল) ৩০০০, ট্রেইলার (৪ এক্সেলের অধিক) ৪০০০ টাকা এবং সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য প্রতিবছর ১ কোটি টাকা টোল আদায় করা হবে।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, টোল বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। অতিদ্রুতই নতুন রেটে সেতুতে টোল আদায় শুরু হবে। টোল বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন চালকদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ব্যাপক প্রচারের জন্য সেতু কর্তৃপক্ষ আলাদাভাবে এই সংক্রান্ত লিফলেট ছাপানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেতু টোল বৃদ্ধি নিয়ে চালকদের মাঝে কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পরকীয়ার জেরে তিন খুন হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে র্যাব। এ ছাড়া তিনজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনার কারণ হিসেবে পুরোনো প্রেমকে দায়ী করছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বরত কর্মকর্তাসহ স্থানীয়রা।
টাঙ্গাইলের র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জমেলা, সুমি ও শাহজালাল নামের তিনজনের লাশ বসতঘর থেকে পাওয়া গেছে। এসময় সুমির শিশু সন্তানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের পাশে ছুরি ও হাতুড়ি পাওয়া গেছে। এছাড়া যে ঘরে লাশ পাওয়া গেছে তার দেওয়ালে লেখা আছে, ‘এমনটা হতো না যদি আমার সুমি আমার কাছে থাকতো। এই সব কিছুর জন্য সুমির বাবা দায়ী।’ তাই পরকীয়ার জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাইদ জানান, স্কুলজীবন থেকে শাহজালালের সঙ্গে সুমির প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ৫ বছর আগে সুমির সঙ্গে জয়েনুদ্দিনের বিয়ে হয়। কিছুদিন সংসার করার পর জয়েনুদ্দিন বিদেশ চলে যায়। এ সুযোগে সুমি আবার শাহজালালের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করে। গত ৬ মাস আগে শাহজালালের সঙ্গে সুমি চলে যায়। শাহজালালের সঙ্গে প্রায় দুই মাসের মতো সংসার করে। পরে জয়নুদ্দিন প্রায় তিন মাস আগে দেশে ফিরলে সুমিকে নিয়ে পুনরায় সংসার শুরু করে। আড়াই মাস আগে জয়েনুদ্দিন সৌদি চলে যায়। গতরাতে আবার শাহজালাল সুমির সঙ্গে দেখা করতে আসে। সকালে শুনি জয়নুদ্দিনের ঘরে তিন জনের লাশ পরে আছে।
দিঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুন জানান, ‘শাহজালালের সঙ্গে সুমি অবৈধ সম্পর্ক ছিল। প্রায় ৬ মাস আগে শাহজালালের সঙ্গে সুমি পালিয়ে গিয়েছিল। শুনেছি তারা বিয়েও করেছিল। পরে সুমির স্বামী বিদেশ থেকে ফিরে আবার তাকে বাড়িতে এনেছিল।’
উল্লেখ্য, শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের কাশতলার খামারপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে
মৃত হয়রত আলী স্ত্রী জমেলা বেগম (৬৫), তার প্রবাসী ছেলে জয়েন উদ্দিনের স্ত্রী সুমি বেগম (২৬) ও কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া পূর্বপাড়া এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে শাহজালাল ইসলাম সোহাগের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের পাশে স্থানীয় খোকন ড্রাইভারের একটি নির্মাণাধীন ভবনের সিঁড়িতে স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের রহস্য ছায়া তদন্তের মাধ্যমে উদ্ঘাটন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব-১২)। র্যাবের তদন্তে প্রেমিক মনিরকে ছেড়ে অন্য এক ছেলের সাথে প্রেমে জড়ানোর কারণে স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তারকে গলাকেটে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত প্রেমিক মনির হোসেনকে বুধবার(২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে গ্রেপ্তার দেখায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহত প্রেমিক মনির হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার(২৮ অক্টোবর) ভোরে মৃত্যুবরণ করেছে।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১২ জানায়, ঘটনার আকস্মিকতা ও চাঞ্চল্য বিবেচনায় র্যাবের সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের একটি চৌকষ টিম স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করে।
নিহত স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তার(১৫) কালিহাতী উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌস রহমানের মেয়ে ও এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা এলেঙ্গা পৌরসভার মসিন্দা এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। গুরুতর আহত মনির হোসেন(১৭) এলেঙ্গা পৌরসভার মশাজান এলাকার মেহের আলীর ছেলে। তিনি ট্রাক চালকের সহকারী ছিলেন।
র্যাব-১২ জানায়, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে গঠিত একটি চৌকষ টিম র্যাবের গোয়েন্দা টিমের সহযোগিতায় ঘটনার ১০ ঘণ্টার মধ্যে স্কুলছাত্রী নিহতের রহস্য উন্মোচন করেছে।
র্যাব-১২ আরও জানায়, ভিকটিম সুমাইয়া আক্তারের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং বিভিন্ন লোকজনের সাথে প্রকাশ্য ও গোপনে কথা বলে র্যাবের টিম। তারা জানতে পারে ভিকটিম সুমাইয়ার সাথে ট্রাকের হেলপার মনির হোসেনের দীর্ঘ দুই বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
সম্প্রতি মনির তার প্রেমিকা সুমাইয়ার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য একাধিকবার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় মনির মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। মাদকাসক্ত অবস্থায় ইতোপূর্বে কয়েক দফায় সুমাইয়ার উপর শারীরিক নির্যাতনও করেছে। প্রায় দুই মাস আগে সুমাইয়া তার সাথে সম্পর্ক চ্ছেদ করে অন্য একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এতে মনির অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়। ৫-৭ দিন আগেও ভিকটিম সুমাইয়াকে মনির রাস্তায় একা পেয়ে মারপিট করায় সুমাইয়া আহত হয়ে চিকিৎসা করায়।
ওই চড় থাপ্পরের দৃশ্য মনির ভিডিও করে রেখে তার বন্ধুদের দেখায়। ২৬ অক্টোবর রাতে মনির তার কয়েক বন্ধুকে নিয়ে এলেঙ্গা সামসুল হক কলেজের মাঠে বসে মিটিং করে এবং সুমাইয়া ও তার নতুন প্রেমিকের উপর প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে। এ সময় বন্ধুরা তাকে সুমাইয়ার পথ থেকে সরে যেতে পরামর্শ দেয়। এরপর থেকে মনির পাগলের মত আচরণ করতে থাকে এবং ২০-২৫ মিনিট পর সবাই বাড়ি চলে যায়।
র্যাব জানায়, সংশ্লিষ্ট বিবেচনায় একটি ভিডিও বিশ্লেষন করে দেখা যায়- ট্রাক হেলপার মনির একটি সুইচ গিয়ার সংগ্রহ করে এবং লাইকির জন্য ভিডিও তৈরি করে। বিভিন্ন স্টাইলে মনির ওই সুইচ গিয়ার ছুরির ব্যবহার করার ভিডিও করে। ওই সুইচ গিয়ারটিই ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জব্দ করে। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়ে র্যাবের তদন্ত টিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত মনির হোসেনকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার দেখায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে চিকিৎসাধীন মনিরের মৃত্যু হয়।
এলেঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র সুকুমার ঘোষ জানান, পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মনির হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে মরদেহ মশাজান গ্রামে আনা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় এক কিশোরীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া একই স্থান থেকে গলাকাটা অবস্থায় আহত এক কিশোরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে এলেঙ্গা পৌর এলাকার শামসুল হক কলেজের সামনে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোরীর নাম ছুমাইয়া আক্তার (১৬)।সে কালিহাতী উপজেলার নারন্দিয়া ইউনিয়নের পালিমা গ্রামের ফেরদৌসুর রহমানের মেয়ে। নিহতের পরিবার এলেঙ্গা পৌরসভার রিসোর্ট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ছুমাইয়া স্থানীয় এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিল।
আহত কিশোরের নাম মনির হোসেন (১৭)। সে এলেঙ্গা পৌর সভার মশাজান এলাকার মেহের আলীর ছেলে। সে বাস চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতো।
নিহত কিশোরীর বাবা ফেরদৌসুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৬টায় তার মেয়ে স্থানীয় প্রাইম একাডেমিতে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সকাল ৮ টায় স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পান যে তার মেয়েকে (ছুমাইয়া) কে বা কারা জবাই করে হত্যা করে শামসুল হক কলেজের সামনে লাশ ফেলে রেখেছে। তবে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা ছেলেটিকে তিনি চেনেন না বলে জানান।
আহত মনিরের খালা রোজিনা বেগম জানান, মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাতে বাড়ি থেকে মনির বের হয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে স্থানীয় লোকজনদের কাছে খবর পেয়ে মনিরকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে তার সঙ্গে যে মেয়েটিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে তাকে তিনি চেনেন না।
হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে কালিহাতী থানার অফিসার-ইন-চার্জ(ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন শামসুল হক কলেজের সামনে গলাকাটা এক কিশোরী ও এক কিশোরকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই কিশোর জীবিত ছিল। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ওই কিশোরের ঘাড়সহ বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি আরো জানান, প্রেমঘটিত কোনো কারণে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মোটরসাইকেলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু ও শ্যালক-দুলাভাইসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন।বুধবার(২০অক্টোবর) রাত ৮ টায় ও বৃহস্পতিবার(২১ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতীর এলেঙ্গার পাথালকান্দি ও চর ভাবলাএলাকায় ওই দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, কালিহাতী উপজেলা এলেঙ্গা পৌরসভার হায়েতপুর গ্রামের মৃত হেলাল মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৩) ও কুঁড়িঘড়িয়া গ্রামের আছর উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (২০)। তারা সম্পর্কে বন্ধু ছিলেন।
বুধবার রাতের দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, পাবনা সদর উপজেলার হান্নান মোল্লার ছেলে স্বাধীন (২৪) ও মোস্তাক হোসেন (২৮)। তারা সম্পর্কে শালা-দুলাভাই।
স্বজনরা জানান, নিহত রফিকুল ইসলাম ও সোহেল রানা পাড়াপড়শি বন্ধু।বৃহস্পতিবার দুই বন্ধু বেড়াতে যমুনায় উদ্দেশে মোটরসাইকেলে রওনা হন। পথে পাথারকান্দি এলাকায় গাড়ি চাপায় রফিকুল ঘটনাস্থলেই মারা যায় ও সোহেল রানাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, স্বাধীন ও তার বোনজামাই মুস্তাক দুজনেই ঢাকার একটি কোম্পানিতে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ছুটি শেষে বুধবার বিকেলে পাবনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে মোটরসাইকেলে রওনা হন। পথিমধ্যে মহাসড়কের চরভাবলা নামকস্থানে এসে পৌঁছালে অজ্ঞাত বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয় ।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।