একতার কণ্ঠঃ বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ করতে প্রচারণা চালাচ্ছে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ। তিন চাকার গাড়ি চলাচল বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে ১২টি থ্রি হুইলার (তিন চাকার গাড়ি) আটক করে মামলা দিয়েছে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ।
জানাগেছে, মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। তারপরও মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল অব্যাহত থাকায় হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ে অভিযানে নামে হাইওয়ে পুলিশ।
অভিযানের পাশাপাশি সড়ক পরিবহন আইনে অপরাধ ও শাস্তির পরিমাণ সম্পর্কে অবগত করার জন্য থ্রি হুইলার চালক ও মালিকদের সাথে মতবিনিময় করা হয়। এছাড়া পথসভা, মাইকিং, সেমিনার ও লিফলেট বিতরণ করার মধ্য দিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ ইয়াছির আরাফাত জানান, গত দেড় মাসে শতাধিক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজি, নসিমন/ভটভটি আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এলেঙ্গা থেকে টাঙ্গাইল শহর পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশেই সার্ভিস লেন রয়েছে। মহাসড়কের মূল ডিভাইডারের পাশে ডব্লিউ বিম বসানোর কাজ শেষ হয়নি। তাই এখনও কোন কোন থ্রি হুলার চালক সার্ভিস লেন থেকে সুযোগ বুঝে মহাসড়কে উঠে পড়ছে। এজন্য মহাসড়কে অভিযান চালানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কের এক পাশে সার্ভিস লেনের কাজ শেষ হলেও অপর পাশে কাজ চলছে। এ কারণে এখনও একপাশে থ্রি হুইলার চললেও অপর পাশে মহাসড়কে উঠে পড়ছে। এছাড়া এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে সার্ভিস লেন না থাকায় মহাসড়কে অবাধে থ্রি-হুইলার চলছে।
প্রকাশ, দেশের সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে দেশের ২২টি মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, অটোরিকশা, অটোটেম্পো ও অযান্ত্রিক যানবাহনের চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি মোজাম্মেল হক হিরো গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সময়ে দায়েরকৃত একটি নাশকতামূলক কর্মকান্ডের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সোমবার(১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এলেঙ্গা পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, একটি নাশকতামূলক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানামূলে মোজাম্মেল হক হিরোকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিখোঁজের ৩দিন পর ফাহিম (১০) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার(৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের বিলছাইয়া এলাকার একটি বিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফাহিম উপজেলার দেউপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের শরীফুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয বিলছাইয়া আল মারকাযুদ্দীনিয্যাহ মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় ,ফাহিম স্থানীয় ‘বিলছাইয়া আল মারকাযুদ্দীনিয্যাহ মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসায়’ হেফজ খানায় পড়াশোনা করতো। সে গত সোমবার ভোর থেকে নিখোঁজ ছিলো । পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিলের মধ্যে ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা । পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলে যমুনাসহ প্রধান নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ, শ্রেনীকক্ষ আর রাস্তাঘাট পানির নীচে সেসব শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ফলে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর তা খোলার সিদ্ধান্ত হলেও স্কুলে যাবার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে পারে পানিবন্দি এসব বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের অয়নাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গিয়ে দেখা যায় স্কুলের মাঠে এখনো পানি প্রবাহিত হচ্ছে। স্কুলে যাতায়াতের রাস্তাটি পানির নীচে। আর বিদ্যালয়ের তিনটি ভবনের মধ্যে দুটির শ্রেনীকক্ষে পানি ঢুকেছে। ব্রেঞ্চগুলো বলতে গেলে পানির নীচে রয়েছে। সদর উপজেলার চর গালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা একই অবস্থা। এ বিদ্যালয়ের মাঠে এখনো হাটু পানি রয়েছে। পশ্চিম দিকে একটি ভবনের প্রায় অর্ধেকটা রয়েছে পানির নীচে।
এ সময় স্থানীয় বেশ কয়েকজন লোকের সাথে কথা হয়। তারা জানান, বন্যার পানি নেমে না গেলে ছোট ছোট শিশুদের স্কুলে পাঠানো ঠিক হবেনা। কারন মাঠে এখনো পানি রয়েছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পানি নেমে যাবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
সদর উপজেলার ১৩ নং মগড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠেও পানি জমে রয়েছে। সেখানে অবস্থিত মগড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের মুল ভবনের সামনে জাল দিয়ে মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত দেখা যায় স্থানীয়দের। বিদ্যালয়ের পুরো মাঠটি পানির নিচে রয়েছে।
এদিকে কালিহাতি উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়নের ১৪ নং সরকারী হাতিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের মাঠ থেকে পানি নেমে গেলেও কাদায় পরিপুর্ন হয়ে রয়েছে।
এ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ পারভিন বলেন, স্কুলের মাঠ থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। কিন্ত এখানকার বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা নদী পার হয়ে স্কুলে আসে। এছাড়াও স্কুলে আসার যে রাস্তাটি রয়েছে তা এখনো পানি নিচে রয়েছে। তার পরেও স্কুল খোলার সকল প্রস্তুতি নিয়ে তারা। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও শতভাগ আশা করছে স্কুল কতৃপক্ষ।
এসব স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পানির মধ্যেই ক্লাসে ফিরতে আগ্রহী। এতদিন পর স্কুলে যাবার জন্যে পুরো প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র রাজন জানায়, অনেকদিন ধরে স্কুলের বন্ধুদের সাথে দেখা হয়না। তাই যত কষ্ট হোক ১২ সেপ্টেম্বর থেকে তা স্কুলে যাবে। জানা গেছে, জেলার চরাঞ্চল ও নীচু এলাকার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিত্র প্রায় একই রকম।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, জেলার তিনশ’ ৬৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এরমধ্যে ৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষে এখনো পানি রয়েছে। অপরদিকে ৮৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু বিদ্যালয়ের পানি নেমে গেলেও রাস্তাঘাট ও বসতবাড়িতে এখনো পানি থাকার কারনে শিক্ষার্থীদের একটা অংশ ক্লাসে না ফেরার শংশয় রয়েছে।
এ ব্যাপারে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আহসান জানান, সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সকল প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। বন্যা কবলিত স্কুলগুলো নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও স্থানীয় ব্যাক্তিদের নিয়ে সমস্যা সমধানের চেষ্টা করা হবে। অর্থাৎ যে কোন উপায়ে ১২ সেপ্টেম্বর শতভাগ স্কুল খোলার নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাজাহান আনসারী জানান, বন্যা কবলিত স্কুলগুলোর পানি নামতে শুরু করেছে। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে যাতে সবগুলো স্কুল খোলা যায় তার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বন্যার পানিতে ডুবে তানহা নামের দেড় বছরের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের খিলগাতি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান সিদ্দিকী মিল্টন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মর্মান্তিক ঘটনার শিকার শিশু তানহা নাগবাড়ী ইউনিয়নের খিলগাতি গ্রামের বাবুল মিঞার মেয়ে।
নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান সিদ্দিকী মিল্টন জানান, নিহত শিশু তানহার মা বাড়ির পাশে পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছিল। সেখান থেকে ২০ গজ দূরে রাস্তায় তানহা তার বড় বোনের সঙ্গে খেলছিল। খেলতে খেলতে তানহা রাস্তার পাশের একটি জমিতে বন্যার পানিতে পড়ে গিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছিল। পরে তানহার চাচাতো ভাই তাকে পানি থেকে উদ্ধার করে দ্রুত কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানহাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শিশু তানহার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিষিদ্ধ চায়না জালের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য অফিস।সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কালিহাতী পৌরসভার সিলিমপুর, নিশ্চিন্তপুর, বাংড়া ইউনিয়নের দয়থা ও কোকডহরা ইউনিয়নের মহিষজোড়ায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৫০০ মিটার চায়না জাল জব্দ করেন কালিহাতী সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান। পরে জব্দকৃত চায়না জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। বর্ষাকালে দেশীয় মাছের প্রজনন মৌসুম। এই মৌসুমে অবৈধ চায়না জাল ব্যবহার করে ছোট মাছ ও ডিমওয়ালা মা মাছ নিধন করা হচ্ছে। ছোট মাছ রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী এ ধরনের অবৈধ জালের ব্যবহার বন্ধে নিয়মিতভাবে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ সময় উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন ও কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার ও তার ছেলে ওবায়দুর তালুকদারকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার(৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কালিহাতী) আমলী আদালতের বিচারক শামসুল আলম একটি মারামারী মামলায় তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, একটি মারামারি মামলায় মেডিকেল রিপোর্টের(এমসি) ভিত্তিতে গত বছরের ১৩ অক্টোবর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার জামিনে ছিলেন।সোমবার আদালতে হাজির হলে তার ও তার ছেলের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। পরে তাদের টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রকাশ, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে বাসেক’র ভূমিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে ট্রাকে মালামাল লোড-আনলোড করা হতো। ওই অস্থায়ী স্টেশনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুলি সর্দার আকবর আলীর সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদারের বিরোধ চলছিল।
ওই বিরোধের জের ধরে গত বছরের ৬ অক্টোবর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কুলি সর্দার আকবর আলীকে মারধর করা হয়। পরে ওই দিন বিকালে কুলি সর্দার আকবর আলীর ছোট ভাই আবু বক্কর বাদি হয়ে কালিহাতী থানায় ইউপি চেয়ারম্যান সহ ২০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
একতার কণ্ঠঃ কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের চরহামজানী গ্রামের সাংবাদিক আব্বাস আলীর বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। রবিবার( ৫ সেপ্টেম্বর) সকালে চরহামজানী গ্রামের সাত্তার মাষ্টারের বাড়ীর রাস্তার পাশে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী।মানববন্ধন শেষে আব্বাস আলীর বিচারের দাবীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সোলায়মানসহ দুর্গাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সাধারন লোক অংশ গ্রহন করেন।
মানববন্ধনে ইউপি সদস্য সোলায়মান, আব্দুল মোতালেব,তপন পাল বলেন, বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভয় দেখিয়ে আব্বাস আলী বেশ কয়েক জন গ্রামবাসীর কাছ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অসহায় গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলে তাদেরও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
বক্তরা আরো বলেন, স্থানীয়দের বিভিন্ন ভাবে হয়রানির পাশাপাশি অন্যের জমি দখল করে বাংলা ডেজার বসিয়ে সাধারণ মানুষের চাষের জমির ক্ষতি করছে,এ ছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে কথিত সাংবাদিক আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে।মানববন্ধন থেকে বক্তারা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আব্বাস আলীর বিচার দাবি করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, এলাকায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে পানি ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলের কাঁচা-পাকা রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকে পাহাড়িয়া এলাকায় আত্মীয়ের বাড়ি ও উঁচু সড়কের পাশে আশ্রয় নিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। অধিকাংশ এলাকায় পানীয় জল ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় মাত্র ৪০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দিয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, জেলার ভূঞাপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন, কালিহাতী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের ৭টি, নাগরপুর উপজেলার ৯টি, বাসাইল পৌরসভা সহ সবকটি(৬টি) ইউনিয়ন, মির্জাপুর ৪টি ও দেলদুয়ার উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে খাল, বিল, নদী ও বাড়ির আঙিনা পানিতে থই থই করছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধের উত্তর-পূর্বাংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাছ বেথইর এলাকায় বাঁধের ১০০মিটারে ভাঙনের কবলে পড়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। ওই এলাকা দিয়ে পানি প্রবেশ করলে টাঙ্গাইল শহরে পানি ঢুকে পড়বে। এছাড়া যমুনায় ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর ও নাগরপুর অংশে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বন্যার পানিতে টাঙ্গাইল-পটলবাজার, টাঙ্গাইল-কাকুয়া, এলেঙ্গা-মগড়া, ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী বাজার থেকে ভালকুটিয়া পর্যন্ত পাকা সড়ক, বাসাইল পৌরসভার একটি ব্রিজ ও কাঞ্চনপুরের গ্রোথ সেণ্টার-কাজিরাপাড়া সড়কে কালভার্ট প্রবল স্রোতে ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এসব এলাকার কাঁচা-পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওইসব এলাকায় এখনও লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এবার ৮৯ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়। এরমধ্যে ৭৯০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
এদিকে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও ধলেশ্বরী, ঝিনাই সহ অভ্যন্তরীণ সব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৭ সেণ্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৮ সেণ্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৯২ সেণ্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা জানান, জেলার ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর ও নাগরপুর এ চারটি উপজেলার বন্যা দুর্গতদের জন্য ৪০ মে.টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের জন্য প্রতিটি উপজেলায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তালিকা পেলে যথাস্থানে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাশার জানান, চলতি বন্যার পানি এক সপ্তাহের মধ্যে নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত ৭৯০ হেক্টর জমির রোপাআমনের ৫০-৬০ ভাগ ধান রক্ষা পেতে পারে। তিনি জানান, পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে নাভি জাতের আমন রোপনের জন্য তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রণোদনার পাশাপাশি আগাম রবিশস্য চাষে সহায়তা দিয়ে তারা ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, বন্যায় পানি বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জেলার ৮০ কিলোমিটার নদী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তুলনামূলকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পানি কমে গেলে স্থায়ীভাবে নদী তীর সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের ঘোনাবাড়ী বিলে সোমবার ( ৩০ আগস্ট) দুপুরে শাপলা তুলতে গিয়ে শিফাত(১২) নামে এক শিশুর বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তানভীর (১২) নামে আরেক শিশু আহত হয়। নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান সিদ্দিকী মিল্টন ওই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত ওই শিশু ঘোনাবাড়ি গ্রামের মোঃ মোশারফের ছেলে শিফাত ও আহত তানভীর একই গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান সিদ্দিকী মিল্টন জানান, শিফাত ও তানভীর দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে ঘোনাবাড়ি বিলে শাপলা তুলতে যায়। ওই সময় তাদের পাশে বজ্রপাত হয়। এতে তারা আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিফাতকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত তানভীরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে তাৎক্ষণিকভাবে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গণি ও কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা তানজিন অন্তরার নির্দেশনা অনুযায়ী নিহত শিফাতের পরিবারকে ১০ হাজার ও আহত তানভীরের পরিবারকে ৫ হাজার টাকা নগদ অর্থসহায়তা দেওয়া হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে রোববার(২৯ আগস্ট) ভোরে অভিযান চালিয়ে ২৪৪ গ্রাম হেরোইন সহ দুই বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার খালেদপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. সেন্টু মিয়া(৫৫) ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. সাইদুর রহমান(৬৫)।
র্যাব-১২ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্পেশাল কোম্পানীর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এএসপি মি. জন রানার নেতৃত্বে র্যাবের একটি চৌকষ দল বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে অভিযান চালায়। অভিযানে উল্লেখিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ২৪৪ গ্রাম হেরোইন, দুইটি মোবাইল ফোন ও নগদ ২০০০ টাকা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর সারণীর ৮(গ) ধারায় মামলা দায়ের করে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জনতা ব্যাংক লিমিটেড এর উদ্যেগে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক শ্যামল কৃষ্ণ সাহার মাধ্যমে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ি ইউনিয়নের অসহায়, দরিদ্র, কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংক লিমিটেড টাঙ্গাইল কর্পোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম, নাগবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মিল্টন সিদ্দিকী, জনতা ব্যাংক টাঙ্গাইল কর্পোরেট শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউপি সদস্য আয়নাল হক ও আঃ হামিদ, স্থানীয় মন্দির কমিটিরসাধারন সম্পাদক স্বপন পাল সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জনতা ব্যাংকের এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বক্তাগণ নাগবাড়ি ইউনিয়নের কৃতিসন্তান জনতা ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক শ্যামল কৃষ্ণ সাহার প্রতি কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বিতরণ কার্য সম্পাদিত হওয়ায় জনতা ব্যাংক লিমিটেড টাঙ্গাইল কর্পোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাগবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপস্থিত সুধীজনকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামীদিনে জনতা ব্যাংকের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ পচাত্তরের ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।