একতার কণ্ঠঃ রাত পোহালেই ঈদ। কর্মস্থল ছুটি হওয়ায় নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এতে করে মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষের চাপে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় উত্তরবঙ্গমুখী লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ভোর রাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আশেকপুর বাইপাস পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সকালে মহাসড়কের ঘারিন্দা, রাবনা, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পৌলি ও এলেঙ্গা এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। মাঝে মাঝে ঢাকামুখী লেনে গাড়ি চললেও উত্তরবঙ্গমুখী গাড়ি আটকে রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে। গণপরিবহন চললেও অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছেন। এ ছাড়াও ঘরমুখো মানুষদের তেমন স্বাস্থ্যবিধি মানতেও দেখা যায়নি।
যানজটের কারণে চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ভোগান্তি চরমে । এছাড়াও গরু নিয়ে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করা ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বেকায়দায়। সড়কেই কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
এলেঙ্গা গ্যাস পাম্পে কথা হয় শ্যামলী পরিবহনের চালক মিজানুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের চার কিলোমিটার আসতে আমাকে আড়াই ঘণ্টা যাবত বসে থাকতে হচ্ছে।
ট্রাক চালক হায়দার আলী বলেন, সোমবার(১৯ জুলাই) সন্ধা সাড়ে ৭ টায় গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে রওনাহয়েছেন। টাঙ্গাইলের পৌলি পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার আসতে ১২ ঘণ্টা লেগেছে তার।
মাইক্রোবাস চালক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এলেঙ্গাতে পৌনে দুই ঘণ্টা যাবত আটকে আছি। শুনতেছি সেতু পর্যন্ত জ্যাম। খাওয়া নাই, ঘুম নাই— সব মিলে খুব কষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইয়াসির আরাফাত ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা ওসি শফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদেরসাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
জেলা পুলিশ বিভাগ সূত্র জানায়, ঈদে যানজট নিরসনে মহাসড়কে ৬০৩ জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়া দুই শতাধিক হাইওয়ে পুলিশও রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃদেশে লকডাউন শিথিল হওয়ায় মহাসড়কে বেড়েছে পরিবহন চলাচল। এতে দেশের বৃহৎ বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেকর্ড পরিমাণ পরিবহন পারাপার হয়েছে। শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত সেতু দিয়ে প্রায় ৩৪ হাজার পরিবহন পারাপার হয়েছে। এ সময় টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৯২ লাখ ৭৪ হাজার ৮০০ টাকা।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে বাস, ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহন মিলে ৩৩ হাজার ৯১২টি পরিবহন পারাপার হয়েছে। এতে সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৯২ লাখ ৭৪ হাজার ৮০০ টাকা।
এর মধ্যে সেতুর পূর্বপাড়ে ১৭ হাজার ৫১৩টি পরিবহনের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৫ হাজার ১১০ টাকা এবং সেতুর পশ্চিমে ১৬ হাজার ৩৯৯টি পরিবহনের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯০ টাকা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দিয়ে রেকর্ড পরিমাণ পরিবহন পারাপার হয়েছে। শনিবার(১৭ জুলাই) যে পরিমাণ গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহন সেতু পারাপার হয়েছে তাতে আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও বেশি হবে টোল আদায় হবে।
একতার কন্ঠঃ প্রমত্ত্বা যমুনা বর্ষার শুরুতেই টাঙ্গাইলের চার উপজেলায় হানা দিয়ে শতাধিক বাড়িঘর, রাস্তা, হাট, তাঁত ফ্যাক্টরি, স’মিল ও ফসলি জমি গিলে ফেলেছে।ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরিভাবে ফেলা জিওব্যাগও যমুনার করাল থাবা থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে। যমুনার প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিতে এক রাতেই শতাধিক স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে।
জানাগেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, কালিহাতী, নাগরপুর ও ভূঞাপুর উপজেলায় বর্ষার শুরুতেই যমুনার ভাঙন শুরু হয়েছে। যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর গত এক সপ্তাহ ধরে ভাঙন শুরু হলেও গত বুধবার(৭ জুলাই) থেকে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার(৮ জুলাই) এক রাতে শুধুমাত্র সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের শতাধিক বাড়িঘর, তাঁত ফ্যাক্টরি, স’মিল ও হাট যমুনার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।এ সময় তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের সাথে বঙ্গবন্ধুসেতুর যোগাযোগের সংযোগের অসমাপ্ত শেখ হাসিনা সড়কের একাংশ যমুনার পেটে চলে গেছে।মাহমুদ নগর ইউনিয়নের মাকরকোল, কেশবমাইঝাইল, তিতুলিয়া, নয়াপাড়া, কুকুরিয়া, বারবাড়িয়া; কাতুলী ইউনিয়নের দেওরগাছা, রশিদপুর, ইছাপাশা, খোশালিয়া, চানপাশা ও নন্দপাশা; হুগড়া ইউনিয়নের মসপুর, বারবেলা, চকগোপাল ও কচুয়া।
কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের আলীপুর, ভৈরববাড়ী। নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকশা মাইঝাইল, খাস ঘুণি পাড়া, খাস তেবাড়িয়া,চর সলিমাবাদ, ভূতের মোড়; ভারড়া ইউনিয়নের শাহজানি, ভারড়া, পাঁচতারা, আগদিঘলীয়া। ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়া এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা বেশি।
সরেজমিনে সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের উত্তর চরপৌলী, দশখাদা, হাটখোলা, পানিকোড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চরপৌলী হাটখোলা সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড হাটখোলাটি রক্ষার জন্য জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে ৩০০মিটার এলাকায় জিওব্যাগ ফেলে।জিওব্যাগগুলোও যমুনার তীব্র ঘূর্ণাবর্ত স্রোতে তলিয়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বার বার জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
টাঙ্গাইল সদর ও কালিহাতী উপজেলার সীমান্ত এলাকা উত্তর চরপৌলী ও আলীপুর গ্রামের অংশে অসমাপ্ত শেখ হাসিনা সড়ক(নর্দান প্রজেক্ট) রক্ষার জন্য ১০০মিটার এলাকায় ফেলা জিওব্যাগ তলিয়ে গিয়ে ভাঙনে সড়কটির ৫০০-৬০০মিটার নদীগর্ভে চলে গেছে।
কাকুয়া ইউনিয়নের উত্তর চরপৌলীর নুরুল ইসলামের দেড় একর জায়গায় স্থাপিত তাঁত ফ্যাক্টরি, ঠান্ডু মিস্ত্রির স’মিল, একই এলাকার আ. জলিল, আ. বাতেন, আব্দুস সামাদ, মো. ইসমাইল, মোতালেব হোসেন, আব্দুল খালেক প্রামাণিক, আব্দুল আলিম, আব্দুর রহিম,বাবুল মোল্লা, নুর আলম মোল্লা, আব্দুল্লাহ, আবু বকর, আব্দুল মান্নান, লালচান মিয়া, মেকাম্মেল হক, শামসুল আলম, শাহ আলম, নজরুল ইসলাম; দশখাদা ও হাটখোলা এলাকার নুরুন্নাহার বেগম, মিনা আক্তার, সোনা খা, শিবলু তালুকদার, আলেয়া বেগম;পানকোড়া ও কবরস্থানপাড়ার মন্টু শেখ, মো. রোশনাই মিয়া, আব্দুস ছবুর, আনছের মন্ডল, গোলাপ খা, আব্দুল গফুর মন্ডল ও আজিজ মন্ডল সহ শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলি জমি ভাঙনের শিকার হয়ে যমুনা গর্ভে চলে গেছে।
উত্তর চরপৌলী গ্রামের নুরুল ইসলাম জানান, দেড় একর জায়গায় তার তাঁত ফ্যাক্টরি ছিল। ফ্যাক্টরিতে ৫০টি পাওয়ারলোম চালু অবস্থায় ছিল।বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) রাতে যমুনার ভাঙনের কবলে পড়ে। তিনি শ্রমিকদের নিয়ে ফ্যাক্টরির তাঁতগুলো কোন রকমে সরিয়ে নিতে পারলেও ঘরটি নদীর পেটে চলে গেছে।
হাটখোলা এলাকার গৃহবধূ মিনা আক্তার জানান, তাদের ৬০ শতাংশের বসতবাড়ি ছিল। সাম্প্রতিক ভাঙনের শিকার হয়ে এখন ১২-১৩ শতাংশ ভূমির উপর মাত্র একটি ঘর টিকে আছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে সেটাও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।তারা বর্তমানে চরপৌলী খামার পাড়া এলাকায় সরকারি খাস জমিতে বসবাসের জন্য ঘর নির্মাণ করছেন।
কবরস্থান পাড়ার আব্দুল গফুর মন্ডল ও আজিজ মন্ডল জানান, বুধবার(৭ জুলাই) বিকালে হঠাৎ যমুনা বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রলয়ঙ্করী তান্ডব চালিয়ে মাত্র ৩০মিনিটের মধ্যে ৬০ শতাংশের বাড়িঘর নদীর পেটে চলে গেছে।তারা পাশের হাটে বাজার সদাই করাবস্থায় চিৎকার-চেচাঁমেচি শুনে দৌঁড়ে এসে দেখেন তাদের বাড়িঘর নেই। মুহুর্তের মধ্যে যমুনা গ্রাস করে নিয়েছে।
কাকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, ভাঙনের শিকার হয়ে তার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত ৩-৪দিনের ভাঙনে ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় গ্রাম চরপৌলীর বহু স্থাপনা ও বাড়িঘর যমুনার যমুনা গিলে খেয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেললেও তা কোন কাজে আসছে না। তারা সদর উপজেলার মাহমুদ নগর ইউনিয়নের গোলচত্তর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইলের চরাঞ্চলের বিশাল এলাকা প্রতিবছরই যমুনার ভাঙনের শিকার হয়। এ ভাঙনরোধে তিন বছর আগে একটি স্থায়ী বাঁধের প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।দীর্ঘ তিন বছরেও প্রকল্পটি অনুমোদন না হওয়ায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
একতার কণ্ঠঃ বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়কের টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া নামক স্থানে অ্যাম্বুলেন্স ও মাছবাহী পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংর্ঘষে একজন নারীসহ ৫ জন নিহত হয়েছে।শনিবার(৩ জুলাই) সকালে এই দূর্ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন ।বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, অ্যাম্বুলেন্সটিতে ক্যান্সার আক্রান্ত রুগী নিয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে যাচ্ছিল। মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতদিক থেকে আসা ঢাকাগামী মাছবাহী একটি পিকআপ ভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে অ্যাম্বুলেন্সটি দুমরে-মুচরে যায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। দূর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স ও পিকআপ ভ্যানে থাকা আরও সাতজন যাত্রী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে এক জন নারী সহ দুই জনের মৃত্যু হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হতাহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।’
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৩০০ পিস ইয়াবাসহ রুবেল ফকির (২৩) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার (২ জুলাই) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মীরহামজানি গ্রামের বাংলালিংক টাওয়ারের পূর্ব পাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
রুবেল ফকির কালিহাতী উপজেলার সল্লা খামার পাড়া গ্রামের আব্দুল বাছেদের ছেলে। লকডাউনের সুযোগে সে নিয়মিত ইয়াবা বিক্রি করে আসছিলো।
র্যাব-১২, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান জানান, রুবেল দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে কালিহাতীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সরবরাহ করে আসছিলো। শুক্রবার (২ জুলাই) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মীরহামজানি গ্রামের বাংলালিংক টাওয়ারের পূর্ব পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
একতার কণ্ঠঃ বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়কে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাথাইলকান্দি নামকস্থানে(২ নং ব্রিজ) রবিবার (২৭ জুন) ভোরে দুই পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এলেঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ারম্যান রুবেল রানা জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহ গামী আম বোঝাই একটি পিকআপভ্যান মহাসড়কে পাথাইলকান্দি ২ নম্বর ব্রিজের কাছে পৌঁছলে উত্তরবঙ্গগামী অপর একটি পিকআপভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ময়মনসিংহগামী পিকআপভ্যানটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে আম বোঝাই পিকআপভ্যানের হেলপার ঘটনস্থলেই মারা যান। পিকআপ চালকসহ পাঁচজনকে গুরুতর আহতাবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় মঙ্গলবার(২২ জুন) ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শহরের নতুন বাসটার্মিনাল থেকে মঙ্গলবার ভোরে দূর পাল্লার কিছু যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে গেছে। কঠোর বিধি নিষেধের কারণে শহরের মার্কেট ও বিপণি বিতানগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু কিছু ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করছে। একই সাথে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্টে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কাজ করছে।
এদিকে, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দশকের ঘর পেরিয়ে ১০১- এ দাঁড়াল।
সরেজমিনে টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্র নিরালা মোড়, বটতলা মোড়, শান্তিকুঞ্জ মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, কুমুদিনী কলেজ মোড়, নতুন বাস টার্মিনাল, বেবীস্ট্যান্ড ঘুরে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। কোথাও জনসমাগম লক্ষ করা যায়নি। তবে মঙ্গলবার সকালে নতুন বাসটার্মিনাল থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন গন্তব্যে দূর পাল্লারর বাস ছেড়ে যায়। পরিবহন কর্মীরা জানান, বাস বন্ধ করার কোন নির্দেশনা তারা পাননি, তাই গাড়ি চালাচ্ছেন।
জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস জানান, জেলা প্রশাসনের অনুমতিতে রাবনা বাইপাস থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। কোন বাস শহরে প্রবেশ করছে না। প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে যানবাহন চালানো হচ্ছে।
এছাড়া শহরের প্রবেশমুখ আশেকপুর বাইপাস রোড, বিলঘারিন্দা রোড, এলজিইডি রোড, ধুলেরচর মাদ্রাসা রোড, কাগমারী কলেজ রোড, বেড়াডোমা-বাঘিল রোড, বাজিতপুর-দেলদুয়ার রোডে পুলিশি ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। শহরের সড়কগুলো ফাঁকা পেয়ে স্থানীয় কতিপয় কিশোর-যুবক বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
শহরের পাইকারী কাঁচা বাজার পার্ক বাজার, বটতলা, ছয়আনী, বেবীস্ট্যান্ড, সাবালিয়া, আমিন বাজার, বউ বাজার সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতা কাউকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। উন্মুক্তস্থানে কাঁচা বাজার বসানোর নির্দেশনা থাকলেও কোন বাজারেই তা করা হয়নি। এ বিষয়ে স্ব স্ব বাজার কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
উন্মুক্ত স্থানে কাঁচা বাজার বসানো প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) রানুয়ারা বেগম জানান, জেলার সর্ববৃহৎ পার্ক বাজারটি পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে। এ বিষয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, দ্রুতই তারা পার্ক বাজারের পাশে কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে সাময়িকভাবে স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহন করবে। কাঁচা বাজার সাময়িক স্থানান্তরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম জানান, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের জন্য টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় পুলিশের ১৩টি চেকপোস্ট ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় পাঁচটি চেকপোস্টের মাধ্যমে তদারকি করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি নাগরিক সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সহায়তা প্রত্যাশা করেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অতীতের রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪২ দশমিক ৮৫ শতাংশ করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিন ৩৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৬৫জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ক্রমাগত করোনা শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ায় টাঙ্গাইল পৌরসভা ও কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভা এলাকায় মঙ্গলবার(২২ জুন) ভোর ৬টা থেকে আগামি ২৮ জুন(সোমবার) রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান সোমবার(২১ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইল জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় রোববার(২০ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌরসভা এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ডক্টর মো. আতাউল গনি সাক্ষরিত ৯ দফা নির্দেশনা সহ একটি বিধিনিষেধ জারি করা হয়।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে গৃহীত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সোমবার(২১ জুন) দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা তথ্য অফিস, জেলা পুলিশ এবং বিভিন্ন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্টে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্টে পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করায় শহরে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা, এটিএম বুথ, কাঁচা বাজার, শপিংমল ও বিপনী বিতানগুলোতে উপচেপড়া ভীর দেখা গেছে। শহরের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৯৯জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক ১৬৫ জনের কোরোনা শনাক্ত হয়েছে।
তিনি জানান, একমাস ধরে জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে গত এক সপ্তায় গাণিতিক হারে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে- যা জেলার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনস্বার্থে টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌরসভায় ২২ জুন(মঙ্গলবার) থেকে ২৮ জুন(সোমবার) পর্যন্ত সাতদিনের কঠোরবিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের পাকুটিয়া গ্রামে সোমবার(২১ জুন) দুপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে নাজমুল(১৬) নামে এক প্রতিবন্ধী কিশোরে মৃত্যু হয়েছে।
নিহত নাজমুল ওই গ্রামে জয়নুদ্দিনের ছেলে। নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান সিদ্দিকী মিল্টন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুপুরে নাজমুল নামে ওই কিশোর বন্ধুদের সঙ্গে একই গ্রামের সামাদের পুকুরে গোসল করতে যায়। গোসলের এক পর্যায়ে নাজমুল পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা প্রায় একঘণ্টা চেষ্টা করে পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পাকুটিয়া সামাজিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গাইল পৌরসভা ও কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌর এলাকায় মঙ্গলবার(২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন। রবিবার (২০ জুন) দুপুরে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি এ ঘোষণা করেন ।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে টাঙ্গাইল শহর ও কালিহাতীর এলেঙ্গা পৌর এলাকায় ২২ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত সাত দিনের সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। এসব এলাকার কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া হোটেল ও মার্কেটসহ সবই বন্ধ থাকবে। এ সময় সকল ধরণের গণপরিবহন, রিকশা, ইজিবাইক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালানো যাবেনা। এক সপ্তাহ পরে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে, টাঙ্গাইল জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল পর্যন্ত ১৫৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
জেলায় আক্রান্তের হার ৩০দশমিক ৭১শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ জন, কালিহাতীতে ১৭ জন, ঘাটাইলে ৯ জন, সখীপুরে ৪ জন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ছয় হাজার ১০৯ জন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে চার হাজার ৩৯৬ জন। করোনাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ৯৮ জন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। যা শতকরা ৪৩ দশমিক ২৮শতাংশ । এ ছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউপি চেয়্যারম্যন মৃত্যু বরণ করেছেন ।টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য মতে, আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৮২ জন, কালিহাতীতে ৩৪ জন, মির্জাপুরে ৯ জন, দেলদুয়ারে ৪ জন, ধনবাড়িতে ১৪ জন ও ভূঞাপুরে ২ জন রয়েছেন।
এ নিয়ে শুক্রবার( ১৮ জুন) সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৫৯৭০ জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ৪৩৮৬ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৪৮ জন। মোট কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৫১৬৪ জন।এ পর্যন্ত সর্বমোট মৃত্যু ৯৬ জন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোঃ শাহাবুদ্দিন জানান, গত একমাসে জেলায় করোনা ভাইরাসের প্রকপ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহ যাবৎ ৩০ ভাগের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আমরা কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। আগামী রবিবার( ২০ জুন) মিটিং এর মাধ্যমে লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, ঘাটাইল উপজেলার নাটশালা নিবাসী ৬ নং দিঘলকান্দী ইউনিয়নের দুইবারের সফল বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শুক্রবার বেলা আনুমানিক ১১টার সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলায়।গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন আক্রান্ত ১১৩ জনের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৫৪ জন, কালিহাতী ২০ জন, মির্জাপুরে ১০ জন, দেলদুয়ারে ছয় জন, সখীপুরেএক জন, বাসাইলে আটজন, ঘাটাইলে আট জন, মধুপুরে একজন, ভূঞাপুরে তিন জন ও গোপালপুরে দুই জন রয়েছেন। জেলায় করোনা শনাক্তের হার শতকরা ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ।
এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়াল পাঁচ হাজার ৮২৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে চার হাজার ৩৭১জন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৯৬জন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন জানান, গত একমাসে জেলায় করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে গেছে।বিশেষ করে গত এক সপ্তাহ যাবৎ ৩০ ভাগের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। জেলায় কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
আগামি শনিবার(১৯ জুন) মিটিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি জানান, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে।একই সাথে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা তাদের বিরদ্ধে জরিমানা করা হলেও কাঙ্খিত মাত্রার ফল পাওয়া যাচ্ছেনা।
প্রতিদিনই করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই আগামি শনিবার ‘জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি’র সভা শেষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জেলার অধিক সংক্রমিত টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী ও মির্জাপুর এই তিনটি উপজেলায় লকডাউনের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।