একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে নসু মন্ডলকে (৬৫) নামে একজন বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে এই দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নসু মন্ডল উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের মালতী গ্রামের মৃত আব্দুল মন্ডলের ছেলে। আহত শিশুটিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভূক্তভোগী শিশুটি সাথীদের নিয়ে মসজিদ প্রাঙ্গণে খেলছিল। খেলার সাথীরা চলে গেলে একা পেয়ে নসু মন্ডল ওই শিশুকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি শারীরিক যন্ত্রণায় চিৎকার করলে তার পরিবার ও স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি স্থানীয় মাতাব্বরা ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়।
অপরদিকে, অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। সেইসাথে তার শাস্তি দাবী করেছেন।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদ বলেন, স্থানীয় মাদ্রাসার সেক্রেটারী বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। অভিযুক্ত নসু মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। আমি বিষয়টি থানায় অবগত করেছি। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে সার্কেল এএসপি রাসেল মনির বলেন, মালতী গ্রামের এক বৃদ্ধ ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ করে। স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে এবং নসু মন্ডলকে আটকে রেখে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। থানায় মামলা হয়েছে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ পবিত্র রমজান মাসে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পঁচা খেজুর বিক্রির অপরাধে ৫ জনকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার(২৮ এপ্রিল) বিকেল ৫ টায় উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে টাঙ্গাইল র্যাব-১২ এর সহযোগীতায় ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন কালিহাতী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হাসান।
এ সময় র্যাব-১২, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ এরশাদুর রহমান সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিল।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হাসান জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী মাহে রমজান মাসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পঁচা খেজুর বিক্রির অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের দোকান ব্যবস্যায়ী সবুজকে ৩০ হাজার, ফয়সালকে ৩০ হাজার, খুশি মোহন দাসকে ৩০ হাজার, সাইফুলকে ২০ হাজার ও দ্বীপকে ৫০ হাজার টাকা সহ মোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পবিত্র রমজান মাসে প্রশাসন সার্বক্ষনিকভাবে বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে মনিটরিং করে থাকে। তারই অংশ হিসাবে এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হলো।
একতার কণ্ঠ ডেস্ক :টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এলেংজানি নদীতে গোসল করতে নেমে ৯ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের আনালিয়া বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম নিশ্চিত করেছেন।নিহত মীম আক্তার (১৫) আনালিয়াবাড়ী গ্রামের মো. আব্দুল্লাহর মেয়ে।
জানাগেছে, স্কুল ছাত্রী প্রতিবেশীদের সাথে নদীতে গোসল করতে গিয়ে হঠাৎ তলিয়ে যায়।অনেক খোঁজাখোজি করে তাকে পাওয়া না গেলে ডুবরী দলকে খবর দেয়্ হয় ।খবর পেয়ে টাংগাইল জেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরী দল ঘটনা স্থলে পৌঁছে নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া মীম আক্তার (১৫) কে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে ।পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মো. শফিকুল ইসলামের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয় ।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, শুক্রবার দুপুরে মীম আক্তার গোসল করতে এলেংজানি নদীতে নামেন। এক পর্যায়ে তিনি পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। পরে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ি ইউনিয়নের কদিম খশিল্লা গ্রামে মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত এক স্কুলশিক্ষক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন।মঙ্গলবার(২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান শিক্ষক মিজানুর রহমান বাবুল।
এই হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।আহতদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
নিহত মিজানুর রহমান নাগবাড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদ মাতাব্বরের ছেলে । তিনি বেহালাবাড়ি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
রক্তক্ষয়ী হামলার ঘটনা ঘটেছে রবিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আট জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের চাচা জিয়াউর রহমান।
মামলায় বিবরণে জানা যায়, মিজানুর রহমানের দাদি উপজেলার নাগবাড়ি ইউনিয়নে কদিম খশিল্লা গ্রামে মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি দান করেন। মসজিদ ঘর নির্মাণ হলে স্থানীয় কোরবান আলী ও তার পরিবারের লোকজন আপত্তি জানান।
তারা মসজিদের ভেতরে নিজেদের জমি আছে বলে দাবি করেন। যদিও নির্মাণের আগে জমি পরিমাপের সময় তারা সম্মতি দেন।
গেল রবিবার মিজানুরের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় কোরবান আলীর। এক পর্যায়ে কোরবান ও তার গোষ্ঠীর লোকজন হামলা করেন। সাবল দিয়ে আঘাত করেন মিজানুরের মাথায়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন লাবু ও জাহিদ নামের দুইজন।
আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে মিজানুরকে নেয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখানে মৃত্যু হয় তার।
কালিহাতী থানার (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন , ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করছেন নিহতের চাচা জিয়াউর রহমান। তারা সবাই পলাতক। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ছাত্রনেতা আলী আজগর টাঙ্গাইলের কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডে তৎকালীন ঢাকাইয়া হোটেলে (গ্রীন হোটেল) অবস্থান করছিলেন। এ অবস্থায় পাকিস্তানি হানাদাররা আচমকা এসে গুলি করলে তিনি শাহাদৎ বরণ করেন। পরে শহীদ আলী আজগরকে কালিহাতীর ঝগড়মান কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শহীদ আলী আজগর টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভার সাতুটিয়ায় ১৯৫০ সালের ৩১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুন্সী আলীম উদ্দিন এবং মাতার নাম হালিমা বেগম। ছোটবেলা থেকেই আলী আজগর ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও মিশুক স্বভাবের। তিনি ১৯৬৬ সালে কালিহাতী রামগতি শ্রীগোবিন্দ (আরএস) পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন টাঙ্গাইলের কাগমারীর মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে। নিজ দক্ষতায় ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন তুখোড় ছাত্রনেতা। আলী আজগর ১৯৬৮-৬৯ কার্যসালে কাগমারী কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে তিনি তৎকালীন সময়ে সরকার বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন- সংগ্রামে সাহসের সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। কালিহাতী তথা টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠক হিসেবে কাজ করতেন।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আলী আজগরের বিশেষ গেজেট নং- ১৫৬৫, শহীদ নং- ০২, মুক্তিবার্তা লালবই নং- ০১১৮০২০৫৩৬, বাংলাদেশ গেজেট নং- ২৪১০। শহীদ আলী আজগরের তিন ভাই কছিম উদ্দিন, আব্দুল করিম ও আব্দুল হামিদ এবং চার বোন ফুলজান নেছা, শামছুন্নাহার বেগম, আয়েশা বেগম ও আমেনা বেগম।
শহীদ আলী আজগরকে আজও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন তার এলাকাবাসী। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে আলী আজগরের স্মৃতি সংরক্ষণে কালিহাতীতে গঠণ করা হয়েছে শহীদ আলঅ আজগর নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশে ১৯৯০ সালে ১০/১৫ ফিটের একখন্ড জমি ১ টাকার বিনিময়ে কালিহাতী কলেজ কর্তৃপক্ষ সংঘটির নামে বরাদ্দ করে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃবঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার আনালিয়াবাড়ি নামক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার( ১৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মহাসড়কের ৮ এবং ৯ নম্বর ব্রীজের মাঝখানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে একটি মোটরসাইকেল ও দুইজনের মরদেহ পড়েছিল। ধারনা করা হচ্ছে ,মোটরসাইকেলটিকে অজ্ঞাত কোন ট্রাক পিছন থেকে চাপা দিয়ে চলে গেছে। এ কারনেই হয়তো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। লাশ দুটি উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু সেতু পুর্ব থানায় রাখা হয়েছে।
একতার কণ্ঠ ডেস্ক ঃ টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় শতাধিক ধান কাটা শ্রমিককে রাতভর আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাতে কৃষি অফিসের অনুমতিপত্র নিয়ে ওই শ্রমিকরা দুটি ট্রাকে করে পাবনা থেকে হবিগঞ্জে ধান কাটতে যাচ্ছিলেন। তবে পুলিশের দাবি কঠোর বিধিনিষেধ মানাতেই শ্রমিকদের ট্রাক আটকে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, পাবনার আতাইকুলা এলাকা থেকে জীবিকার তাগিদে ধান কাটা শ্রমিক হিসেবে হবিগঞ্জে যাচ্ছিলেন শতাধিক ব্যক্তি। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ তাদের বহন করা দুটি ট্রাক আটকে দেয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন তারা।
রবিউল ইসলাম নামে ৬৫ বছর বয়সী এক শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, এই বয়সে শুধুমাত্র পেটের দায়ে অন্য জেলায় ধান কাটতে যাচ্ছি। যদি আটকেই দেবে তবে এলাকাতেই আটকে দিত। প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই তো আমরা ধান কাটতে যাচ্ছি। এই বয়সে কয় বেলা না খেয়ে থাকা যায়? এখন জীবন নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারলেই বাঁচি। সেখানেই না হয় পরিবারের সঙ্গে না খেয়ে মরবো।
শ্রমিকরা বলেন, পাবনা থেকে এলেঙ্গা পর্যরাত আসতে কোনো সমস্যা হয়নি। এলেঙ্গা আসার পর পুলিশ তাদের ট্রাক আটকে দেয়। এ সময় টাকা দাবি করে পুলিশ। টাকা দিতে না পারায় ট্রাক দুটি ফাঁড়ির সামনে নিয়ে যায়। রাতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে। না খেয়ে রাত থেকে কষ্ট করতে হচ্ছে। পায়খানা-প্রসাবের জায়গা না থাকায় কষ্ট আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।
তারা আরও বলেন, কাজ না থাকায় আমরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছিলাম। তাই আমাদের উপজেলা কৃষি অফিসার ও চেয়ারম্যানের প্রত্যায়নপত্র নিয়ে ধান কাটতে হবিগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলাম। পুলিশ আমাদের অনুমতিপত্র জব্দ করে রেখেছে।
ট্রাকচালক উজ্জল মিয়া বলেন, শুক্রবার বিকেলে পাবনা থেকে রওনা দিয়েছি। রাত ১১টার দিকে এলেঙ্গা আসলে পুলিশের এক অফিসার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা ট্রাকের সব শ্রমিককে নামিয়ে দিতে বলেন। শ্রমিকদের বাসে যেতে বলেন। পরে অপর এক পুলিশ অফিসার এসে শ্রমিকসহ ট্রাক ফাঁড়িতে নিয়ে যান। গাড়ির কাগজপত্রও পুলিশ জব্দ করেছে।
পাবনা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার হাসান রশিদ হোসাইনী বলেন, তাদের অনুমতিপত্র দেওয়া আছে। তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছি। পুলিশ হয়তো আইনগত ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু মানবিক দৃষ্টিতে কাজটি তেমন ভালো হয়নি। আরেকটি বাসের ব্যবস্থা করে পুলিশ তাদের গন্তব্য পৌঁছাতে সহযোগিতা করতে পারত।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, টাকা দাবির বিষয়টি মিথ্যা। একটি ট্রাকে ৪৮ ও অপর ট্রাকে ৭২ জন শ্রমিক ছিল। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে তারা গন্তব্য যাচ্ছিলেন। এছাড়াও গতকাল মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সব কিছু মিলিয়ে সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ পরিপন্থী কাজ করায় তাদের ট্রাক আটক করা হয়েছে। পরে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পুলিশের পক্ষ থেকে দু’টি বাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এতে শ্রমিকদের কোনো বাস ভাড়া দিতে হবে না। এছাড়া বাসটি যাতে কোথায় না আটকায় সেজন্য একটি প্রত্যয়ন পত্র দেওয়া হয়েছে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ ঢাকা-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে কালিহাতী উপজেলার চর বাবলা নামক স্থানে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে আরও দুইজন। শুক্রবার(১৬ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাৎক্ষণিক ভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, উত্তরবঙ্গগামী একটি টিন বোঝাই ট্রাক চর বাবলা স্থানে দাড়িয়ে থাকা অপর একটি ট্রাককে পিছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হয়। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত দুইজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহত ও আহতদের কারো পরিচয় জানা যায়নি।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার(নিউ ধলেশ্বরী-পুংলী-বংশাই-তুরাগ-বুড়িগঙ্গা রিভার সিস্টেম) প্রকল্পের কাজ দীর্ঘ এগার বছরেও শেষ না হওয়ায় প্রতি বছর স্থানীয়দের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। যমুনায় প্রতিদিন ১ থেকে ২ সেণ্টিমিটার করে পানি বাড়ায় প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানাগেছে, বিগত ২০১০ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে সম্পন্ন করার নিমিত্তে ৯৪৪ কোটি ৯ লাখ ৭ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়(মূল ডিপিপি অনুযায়ী) ধরে বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্পটি গ্রহন করা হয়। পরে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। দ্বিতীয় বার সময় বর্ধিত করা হলেও প্রকল্পটি অসমাপ্ত থেকে যায়। বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়ায় ডিপিপিতে সংশোধনী আনা হয়। সংশোধনীর কারণে প্রকল্পের ব্যয় ১৮১ কোটি ৫০ লাখ ২৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত বাড়িয়ে এক হাজার ১২৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা করা হয় এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
২০২০ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের টাঙ্গাইল অংশের(২০.৫ কি.মি.) নদী খননের কাজ ধলেশ্বরী ও পুংলি নদী এলাকার ১৪.৫ কিলোমিটারে ড্রেজারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। এতে টাঙ্গাইল অংশের ৬৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোপূর্বে ড্রেজারের মাধ্যমে নদী খনন করা হলেও পরের বর্ষায় পলি জমে নদী ভরাট হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে আবার নদী খনন করে পলি সরাতে হয়। এ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় আবারও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। বার বার সময় ও ব্যয় বাড়ানো হলেও প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে জনভোগান্তির অবসান ঘটছেনা।
সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক অন্যতম বৃহৎ এ প্রকল্প এলাকা পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবীর বিন আনোয়ার, পাউবো’র প্রধান প্রকৌশলী(ডিজাইন) মো. হারুন অর রশিদ, ময়মনসিংহ অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকেীশলী মো. শাজাহান সিরাজ এবং পওর কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মতিন সরকার সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন, সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কাজ শেষ করার পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়েছেন।
সরেজমিনে যমুনা, ধলেশ^রী ও পুংলি নদী তীরবর্তী বিয়ারামারুয়া, বেলটিয়া, হাট আলিপুর, ভৈরববাড়ি, আলিপুর, কুর্শাবেনু, বেনুকুর্শা, গোবিন্দপুর, জোকার চর, সল্লা, মীরহামজানী, আনালিয়াবাড়ী, হাতিয়া, ধলাডেঙ্গর ও এলেঙ্গা এলাকার লোকজন জানায়, পাউবো খননের নামে প্রতি বছর বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও বিক্রির মহোৎসব চালাচ্ছে। পাউবো নিযুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন দিনরাত অবৈধ বাংলা ড্রেজার বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। চলতি বছর পাউবো নদী খনন না করলেও বালু খেকোরা অবৈধ বাংলা ড্রেজার দিয়ে নদীতীরে খনন করছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকায় বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের আশঙ্কা প্রবলতর হচ্ছে।
তারা জানায়, বর্তমানে যমুনায় ১-২ সেন্টিমিটার করে প্রতিদিন পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে যমুনার এ পানি বৃদ্ধি স্থায়ী নয়, চৈত্র-বৈশাখে আবার পানি কমবে। দ্রুত কাজ না করলে প্রকল্পের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা আরও জানায়, পাউবো’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে এসে যমুনায় স্পীডবোট নিয়ে ঘোরাফেরা করেন আর পানির গভীরতা পরিমাপ করেন। এলাকার মানুষের সাথে কোন কথা বলেন না। নদীতীরের মানুষই তাদের সুখ-দুঃখের কথা ভালো বুঝেন। এলাকার মানুষের সাথে কথা বললে তারা স্থানীয় মানুষের অভিব্যক্তি অনুভব করতে পারতেন।
টাঙ্গাইল পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, তারা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন। যমুনায় পানি একটু একটু বাড়লেও এটা স্থায়ী নয়, পানি আবার কমে যাবে।
পাউবো কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী ও বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্পের পরিচালক(পিডি) আব্দুল মতিন সরকার বলেন, পাউবো’র কর্মকর্তাদের তদারকিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো যে গতিতে কাজ করছে তাতে চলতি বছরই বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। আগামি বর্ষা মৌসুম থেকে এর সুফল স্থানীয়রা পেতে শুরু করবে।
প্রকাশ, খনন কাজে টাঙ্গাইলের ২০.৫ কিলোমিটারের মধ্যে ধলেশ্বরী ও পুংলি নদীর কুর্শাবেনু, বেনুকুশা, গোবিন্দপুর, জোকার চর, মীরহামজানী, আনালিয়াবাড়ী, ধলাডেঙ্গর ও এলেঙ্গা এলাকার ১৪.৫ কিলোমিটারে ড্রেজারের মাধ্যমে উত্তোলিত ১৬ লাখ ৬ হাজার ২০০ঘনমিটার ড্রেজড বালু টেন্ডারের মাধ্যমে ২০ লাখ ৮৮ হাজার ৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কালোবাজারে বিক্রির সময় ৪৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় চাল বিক্রির সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার(২৫ মার্চ) সকালে উপজেলার নাগবাড়ি ইউনিয়নের আওলাতুল এলাকার ডিলার ইয়াসিন আলীর গোডাউন থেকে ওই চাল উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নাগবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জিন্নাহ মিয়ার বড় ভাইয়ের নামে ডিলারশীপ থাকলেও সবকিছু দেখভাল করেন তিনিই। জিন্নাহ মিয়া রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেই ডিলারশীপ নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। এর আগেও কালো বাজারে চাল বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান সিদ্দিকী মিল্টন বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রিকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
কালিহাতী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান জানান, সরকারি চাল বিক্রির উদ্দেশ্যে ২টি অটো রিক্সায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে দ্রুত অভিযান চালানো হয়। চালগুলো পাটের বস্তা থেকে প্লাস্টিকের বস্তায় তোলা ছিল। পরে গুদাম কর্মকর্তা চালগুলো সরকারি এটা নিশ্চিত করেন।
কালিহাতী থানা অফিসার ইনচার্জ সওগাতুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ৪৮ বস্তা সরকারি চালসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে ডিলারকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাকিলা শারমিন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শনিবার(২০ মার্চ) সন্ধ্যায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৮জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ৬-৭টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে কালিহাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানাগেছে, সল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের জন্য আগামি ৩০ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মেলনকে সামনে রেখে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি আব্দুল আলীম ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কেরামত আলী তালুকদার প্রার্থী হয়েছেন। সেলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ইউনিয়নের কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের মন জয় করতে উঠে-পড়ে লেগেছেন, দিনরাত গণসংযোগ ও মিছিল-শোডাউন করছেন। এরই অংশ হিসেবে ২০ মার্চ(শনিবার) বিকালে দেউপুর পুরাতন বাজারে কেরামত আলী তালুকদারের পক্ষে সমাবেশ আহ্বান করা হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে একই স্থানে একই সময়ে অপর প্রার্থী আব্দুল আলীমের পক্ষেও সমাবেশ ডাকা হয়। উভয় গ্রুপ একই স্থান ও সময়ে সমাবেশ আহ্বান করায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। শনিবার সকালে উভয় পক্ষই ওই স্থানের সমাবেশ বাতিল করে। ওইদিন সন্ধ্যায় কেরামত আলী তালুকদার ও চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি সাহানুজ্জামান তালুকদার রঞ্জুর নেতৃত্বে একটি মোটরসাইকেল শোডাউন দেউপুর পুরাতন বাজারের দিকে যাওয়ার পথে ফটিক মন্ডলের মোড় পৌঁছলে সেখানে অবস্থানরত আব্দুল আলীমের কর্মী-সমর্থকরা শোডাউনে অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় কেরামত আলী তালুকদারের কর্মী পারভেজ আহাম্মেদ ফরিদ, লাভলু মিয়া, রুহুল আমিন তালুকদার, বাবলু মিয়া, বাবর আলী, অনিক, হুমায়ুন, আব্দুল মজিদ সহ ১০-১২জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে পারভেজ আহাম্মেদ ফরিদ, লাভলু মিয়া, রুহুল আমিন তালুকদারকে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয়। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পারভেজ আহাম্মেদ ফরিদকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি সাহানুজ্জামান তালুকদার রঞ্জু জানান, পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ স্থগিত করায় তারা সন্ধ্যায় একটি মোটরসাইকেল শোডাউন করছিলেন। শোডাউনটি দেউপুর ফটিক মন্ডলের মোড়ে পৌঁছলে সেখানে অবস্থানরত আব্দুল আলীমের কর্মী-সমর্থকরা তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
এ বিষয়ে সল্লা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি প্রার্থী কেরামত আলী তালুকদার জানান, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবেই। তাই বলে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে হামলা চালানো মধ্যযুগীয় বর্বরতার সামিল। তিনি ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
অপর সভাপতি প্রার্থী ও সল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জানান, তিনি অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় রয়েছেন। তিনি জেনেছেন স্থানীয় ছাত্রলীগের সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে- এটা তেমন বড় কিছু নয়।