একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা এবং পারখী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ১৭ জুলাই সোমবার। এ নির্বাচনে নৌকার গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিক মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বহিষ্কার করা হয়েছে বিদ্রোহী ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে।
এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগে অদৃশ্য বিভক্তি দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর। প্রার্থীরা শেষ সময়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট পেতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে অনেকের শংকাও রয়েছে।
জানা যায়- ২০১১ সালে বীরবসিান্দ ইউনিয়ন ভেঙে পারখী নামের নতুন একটি ইউনিয়ন গঠিত হয়। এবার নির্বাচনে বীরবাসিন্দা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আব্দুল খালেক (নৌকা)। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ইউনিয়নে আরো ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিম শিকদার (আনারস) ও বর্তমান চেয়ারম্যান ছোহরাব আলী (মোটরসাইকেল সাইকেল) এবং মিতু আক্তার (চশমা)।
এদিকে পারখী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান তালুকদার তোতা (নৌকা)। তিনি কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী তালুকদার (মোটর সাইকেল)। এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হয়েছেন আব্দুস সবুর শামীম (গামছা)।
এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বীরবাসিন্দা ইউনিয়নে একাধিক মারামারি ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন এবং লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। এলাকায় বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ছোহরাব আলীর বলেন, আমার নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক আরিফুর রহমান লিটনকে (৫০) কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে নৌকা প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। কস্তুরীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিটন এখন ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়াও নির্বাচনী অফিস ও গাড়ী ভাংচুর করে প্রচারনায় বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের কস্তুরীপাড়া জামে মসজিদের সামনে ও বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজাফৈর বাজার এলাকায় এ ঘটনা দুটি ঘটে।
ছোহরাব আলী আরো বলেন, আমি নির্বাচন অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি আমাকে নিরেপেক্ষ নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছেন।
এছাড়া একই ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার রাতে সিংনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক শরীফ আহমেদ রাজুসহ ৫ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করা হয়েছে।
আহতরা বলেন, হামলাকারীরা বর্তমান চেয়ারম্যান ছোহরাব হোসেনের লোকজন।
কালিহাতী থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলামিন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাতেই রকিবুল ইসলাম সুমন বাদী হয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ছোহরাব হোসেনকে প্রধান আসামী করে ৪৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। হেলাল উদ্দীন নামের এক আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নির্বাচন করায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সেইসাথে চূড়ান্ত বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছোহরাব আলী, একই ইউনিয়নের উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সেলিম সিকদার ও পারখী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী তালুকদার। তাদেরকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল খালেক ও অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান তালুকদার তোতা বলেন, যতই ষড়যন্ত্র হোক উন্নয়নের স্বার্থে জনগণ নৌকাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে।
কালিহাতী উপজেলা নির্বাচন ও ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে ৪ টি অভিযোগ দিয়েছেন। সেগুলো আমরা তদন্ত করছি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা সকল পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা কালিহাতীতে এসে বৃহস্পতিবার মতবিনিময় করেছেন। সেখানে পুলিশ প্রশাসন ও প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে কোন প্রকার শংকা নেই। বীরবাসিন্দা ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৭০৫ এবং পারখী ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৫৮৪ জন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থক এক প্রধান শিক্ষককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে নৌকা পার্থীর কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও ওই স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারনা অফিস ও গাড়ী ভাংচুর করে প্রচারনায় বাঁধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১২ জুলাই ) সন্ধ্যায় উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের কস্তুরী পাড়া জামে মসজিদের সামনে ও বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই ) দুপুরে রাজাফৈর বাজার এলাকায় এ ঘটনা দুটি ঘটে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরিফুর রহমান লিটন (৫০) কস্তুরী পাড়া গ্রামের মজিবর সিকদারের ছেলে। তিনি কস্তুরী পাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেনের (মটরসাইকেল প্রতীক) প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন আরিফুর রহমান লিটন। তিনি বুধবার স্থানীয় কস্তুরী পাড়া বাজার এলাকায় দিনব্যাপী নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেন। এক পর্যায়ে মাগরিবের নামাজের সময় হলে পাশের একটি মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে তিনি বাজারের আবুখার ওষুধের দোকানের সামনে আসলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী মো. হান্নান, আকরব হোসেন, আব্দুল হাই বলেন, আমরা বাজারে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছিলাম। অতর্কিত ভাবে বাজারের উত্তর দিক থেকে এসে অজ্ঞাত ১০/১৫ জন নৌকার সমর্থকরা লিটন মাষ্টারের মাথায় কোপ দিলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে এলোপাথারি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তারা বলেন, শালা নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করার পরিনতি। তার ডাক চিকৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে মাইক নিয়ে একটি ব্যটারি চালিত অটোরিকশা যোগে মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রচারনা চালানোকালে কয়েকজন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গাড়ি ও মাইক ভাংচুর করে।
স্বতন্ত্রপ্রার্থী সোহরাব আলী বলেন, এ ঘটনায় আমি জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি আমাকে নিরেপেক্ষ নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছেন।
বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মো. আব্দুল খালেক মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত রয়েছি, লিটন মাষ্টারের উপর হামলার বিষয়ে আমি পরে কথা বলবো’।
এ বিষয়ে জানতে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমানকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনটি।
এ প্রসঙ্গে কালিহাতী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. শরিফুল হক বলেন, সামনে আমাদের জাতীয় নির্বাচন। আমরা যে কোন নির্বাচনী সহিংসতাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তবে এ বিষয়ে এখনো কেউ কোন প্রকার লিখিত অভিযোগ করেননি।
একতার কণ্ঠঃ প্রমত্তা যমুনা নদীতে নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধনের পর থেকে গত ২৬ বছরে ৭ হাজার ৮৭৯ কোটি ২৯ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
১৯৯৮ সালের জুন মাস থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত যানবাহন পারাপার থেকে এ টোল আদায় করা হয়- যা সেতু নির্মাণে বিনিয়োগের প্রায় দ্বিগুণ। বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, প্রথমে এ সেতুর নাম ছিল ‘যমুনা বহুমুখী সেতু’। পরে এর নামকরণ করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু সেতু’। এ সেতু ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। এর নির্মাণ ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
সেতু নির্মাণকালে ২৫ বছরে বিনিয়োগের টাকা তুলে আনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের ৭ বছর আগেই এর নির্মাণ ব্যয় উঠে আসে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সড়কপথে যোগাযোগের জন্য ১৯৯৪ সালে যমুনা নদীর ওপর এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
সেতুটি যমুনা নদীর পূর্ব তীরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী(যদিও কাগজে-কলমে ভূঞাপুর) এবং পশ্চিম তীরে সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন উদ্বোধনের পর যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পর এবারের ঈদুল আজহায় ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপার হয়েছে। ২৭ জুন রাত ১২টা থেকে ২৮ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ৫৫ হাজার ৪৮৮টি গাড়ি সেতু পারাপারের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হয়। এর আগে ২০২১ সালের ১৩ মে ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৭৫৩টি যানবাহন পারাপারের বিপরীতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ২৪০ টাকা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের(বাসেক) বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ১৯৯৮ সালের জুন মাসে ৯৮ লাখ টাকা টোল আদায় হয়। ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ৬১ কোটি ২৭ লাখ, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে ৬৬ কোটি ৯৪ লাখ, ২০০০-০১ অর্থবছরে ৮২ কোটি ৮৪ লাখ, ২০০১-০২ অর্থবছরে ৯৩ কোটি ৫৮ লাখ, ২০০২-০৩ অর্থবছরে ১০৮ কোটি ৭২ লাখ, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে ১৩১ কোটি ৮ লাখ, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ১৫২ কোটি, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ১৯৭ কোটি ৯৭ লাখ, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ১৭৩ কোটি ৭৬ লাখ, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ২০১ কোটি ৯৬ লাখ, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ২১৪ কোটি ৪২ লাখ, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ২৪২ কোটি ৯৯ লাখ, ২০১০-১১ অর্থবছরে ২৬৭ কোটি ১০ লাখ, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৩০৬ কোটি ২৩ লাখ, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৩২৭ কোটি ৯৮ লাখ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩২৫ কোটি ৩৮ লাখ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩৫১ কোটি ১৪ লাখ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪০৪ কোটি ৮৮ লাখ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৮৬ কোটি ৫২ লাখ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫৪৩ কোটি ৮০ লাখ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৭৫ কোটি ৩৪ লাখ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫৬০ কোটি ২৮ লাখ, ২০-২১ অর্থবছরে ৬৫৪ কোটি ৮২ লাখ, ২১-২২ অর্থবছরে ৭০৪ কোটি ৫৫ লাখ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন ১৮-২০ হাজার যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হয়। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে পরিবহনের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২জন।
শুক্রবার(৭ জুলাই )বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের রাবনা বাইপাস এলাকায় কাভার্ড ভ্যান পিকআপ সংঘর্ষে তিনজন এবং বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় অজ্ঞাত এক নারী ও বাসাইলে এক শিশু নিহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হচ্ছেন জেলার গোপালপুর উপজেলার হযরত আলীর ছেলে শাহ আলম (৪০), সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার গোয়াকড়া গ্রামের হামিদ মিয়ার ছেলে শাহান শাহ (২৫) এবং নুরজাহান (৪৫)। এরা সবাই পিকআপ ভ্যানের যাত্রী।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পুলিশ বক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর মিয়া জানায়, শুক্রবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্য স্বামীর সাথে একটি পিকআপে করে রওনা হোন। পিকআপ ভ্যানটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের রাবনা বাইপাস এলাকায় পৌছালে একই দিক থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান তাদের গাড়িটির উপরে পেছন থেকে তুলে দেয়। এতে পিক-আপে থাকা প্রায় ১৫ জন যাত্রী আহত হয়।
তিনি আরও জানান,পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, একই মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় অজ্ঞাত বাস চাপায় এক নারী ও বাসাইলে মোটরসাইকলে চাপায় ফারজানা (৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
একতার কণ্ঠঃ বগুড়ার শেরপুরের গাড়ীদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রবিবার (২ জুলাই ) রাতে মো. সাদ্দাম হোসেন নামের এক মুঠোফোন ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে। সাদ্দামের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পরিবারের দাবি, বন্ধুরা সাদ্দামকে হত্যার পর মহাসড়কের পাশে লাশ ফেলে যায়। হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তার বন্ধুরা। পুলিশেরও ধারণা সাদ্দামকে হত্যার পর লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাদ্দাম রবিবার বিকালে এলেঙ্গা রাজাবাড়ী এলাকার বন্ধু রাব্বি, অমিত, লিসান, বাপ্পীসহ ছয় বন্ধু ঈদ পরবর্তী ঘুরতে বের হয়। রাতে পরিবারের সদস্যরা খবর পান সাদ্দাম অসুস্থ। তার কিছুক্ষণ পর খবর পান সাদ্দাম সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে।
স্ত্রী রুপা বেগম বলেন, আমি সাদ্দামকে ফোন দেয়ার পর সে আমাকে বলে ‘আমি রাব্বি ও লিসানদের সঙ্গে ঘুরতে আসছি। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। তুমি আমাকে বাঁচাও।’ তারপর ওরা ফোন নিয়ে নেয়। এরপর বার বার ফোন দিয়েও সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ঘটনার পর থেকে রাব্বি, বাপ্পীর ফোন নম্বর বন্ধ।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, গাড়ীদহ বাসস্ট্যান্ডে ফ্লাইওভারের নিচে বিবস্ত্র অবস্থায় যুবকটিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
তিনি আরও জানান, তখন তিনি আল্লাহ অল্লাহ করতেছিলেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ওই যুবককে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে নাকি পরিকল্পিত হত্যা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ঈদে ঘুরতে বের হয়ে বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই বন্ধুসহ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার তিন জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন।
শুক্রবার(৩০ জুন )বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চালক মো. বাবু মিয়া (৩৫)। তিনি টাঙ্গাইল শহরের দক্ষিণ কলেজপাড়া মহিষখোলা এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে। নিহত অপর দুই বন্ধু হচ্ছে, একই এলাকার আতোয়ার মিয়ার ছেলে মো. আওয়াল মিয়া (১৭), আব্দুর রিপনের ছেলে মো. ফকর (১৬)।
নিহত আওয়াল মিয়ার মামা রায়হান মিয়া জানান, ঈদ উপলক্ষে ওরা বন্ধুরা ১১ জন মিলে ঘুরতে বের হয়েছিলো। ওদের অটোরিকশার সাথে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চালকসহ তিন জনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুত্বর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঁচ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের লাশ বাড়িতে আনা হয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদ হাসান জানান, গোপালপুরের দ্রুতগামী পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে গোপালপুরের দিকে যাচ্ছিলো। অপর দিকে ব্যাটারি চালিত একটি অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস পাওয়া যায়নি। তবে অটো রিকশা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ রাত পোহালে ঈদ আজহা। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। ঢাকা-টাঙ্গাইল- বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়ায় মহাসড়কের ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই ২৫ কিলোমিটারজুড়ে থেমে থেমে গাড়ি চলছে।
বুধবার (২৮ জুন) ভোর রাত ৪ টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপার থেকে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার ঘারিন্দা পর্যন্ত এই যানজটের সৃষ্টি হয়।
মহাসড়কে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাসড়কে পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, সেতুর উপরে পরপর দুর্ঘটনা, গাড়ি বিকল হওয়া, দফায় দফায় টোল আদায় বন্ধ এবং চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারনে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
মহাসড়কে যানজটের কারণে বিপাকে পড়েছে ঘরমুখো মানুষ। বিশেষ করে যারা বাস না পেয়ে খোলা ট্রাক ও পিকআপযোগে বাড়ি ফিরছেন বৃষ্টির কারণে তারা বেশি বিপাকে পড়েছেন।
জানা যায়, বুধবার ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর সংঘর্ষ ও এক পিকআপ গাড়ি বিকল হয়। পিকআপটি সরাতে এক ঘন্টার উপরে সময় লাগে। এতে ভোর রাত ৪ টা ১৫ থেকে ৪ টা ৫৩ পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ। এর আগেও কয়েক বার টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এতে যানজট শুরু হয় মহাসড়কে।
খোলা ট্রাকে পরিবার নিয়ে যাওয়া গন্তব্যে যাওয়া জাহিদ হোসেন জানান, বাস না পেয়ে ট্রাকে উঠেছি কিন্তু বৃষ্টি বিপাকে ফেলেছে। এই বৃষ্টি হচ্ছে এই হচ্ছে না। রাতে গাড়িতে উঠেছি কোনাবাড়ি থেকে এখন সকাল ৭টা বাজে এলেঙ্গাতে আছি।
বাসের চালকরা জানান, ঢাকা থেকে যানজট ঠেলে আসতেছি। মহাসড়কের চারলেন হলেও এলেঙ্গার যানজট মহাসড়কে গিয়ে ঠেকেছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি জাহিদ হাসান জানান, সেতুর উপর ও মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণে যানজট শুরু হয়। গাড়ির টান শুরু হয়েছে আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এলেঙ্গা- জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লাকড়ি বোঝাই ট্রাকে পিকআপের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে একজন সহ দুই গার্মেন্টস কর্মী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাত ৯ টার দিকে ওই মহাসড়কের কালিহাতী পৌরসভার বাগুটিয়া চাটিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
নিহত দুই গার্মেন্টস কর্মী হলেন- জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার মাইজবাড়ীচর গ্রামের আব্দুল হকের স্ত্রী নিশি (২০) ও তার মা নাসিমা বেগম (৪৫)।
নিহত নাসিমার ছেলে বিপ্লব জানান, তাঁরা সবাই আশুলিয়া বেরিবাঁধ এলাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করত। ঈদের ছুটিতে বাইপাইল থেকে একটি পিকআপ যোগে তিনি সহ তার মা, ভাই, ভাবী, খালা ও খালু মিলে বাড়ি ফিরতেছিল। পথিমধ্যে এলেঙ্গা-জামালপুর মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার চাটিপাড়া এলাকায় পৌঁছলে সড়কের পাশে বাঁকাভাবে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লাকড়ি বোঝাই ট্রাকে ধাক্কা দেয়। এসময় সাথে সাথেই আমার ভাবী নিশি মারা যায়।
তিনি আরও জানান, ওই পিকআপে আমরা প্রায় ২০ জনের মতো যাত্রী ছিলাম। পরে এখানকার লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে আমার মা মারা যায়।
কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. এলিন আরাফাত অনিক জানান, এই সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন রোগী আহতবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদেরকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে এবং নাসিমা নামের এক নারীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় হাসপাতালে মারা গেছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছুটি দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে এলেঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর সাকিব জানান, কালিহাতী উপজেলার বাগুটিয়া চাটিপাড়া এলাকায় মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি লাকড়ি বোঝাই ট্রাকে ঢাকা বাইপাইল থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী পিকআপ দ্রুত এবং বেপরোয়া গতিতে এসে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় ঘটনাস্থলেই একজন ও কালিহাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন মোট দুইজন পিকআপের যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় ট্রাক ও পিকআপ জব্দ করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, লাশ দুটি আইনগত ব্যবস্থা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে মহাসড়কে কখনো যানজট, ধীরগতি ও স্বস্তি ভোগ করছে ঘরমুখো মানুষ।
এনিয়ে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ২৫ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা টোল আদায় করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। এর বিপরীতে ৪২ হাজার ৫৬০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৬ জুন) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ২৫ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা টোল আদায় করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। এর বিপরীতে ৪২ হাজার ৫৬০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
তারমধ্যে সেতু পূর্ব টাঙ্গাইল অংশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৮১৭টি যানবাহন পারাপার হয়। তার বিপরীতে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৯৪ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে এবং সেতু পশ্চিম সিরাজগঞ্জ অংশে ১৭ হাজার ৭৪৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫০ টাকা।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঈদের সময় স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুণ যানবাহন বেশি পারাপার হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ২৫ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এর বিপরীতে ৪২ হাজার ৫৬০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যানজট এড়াতে উভয়পাড়ে অতিরিক্ত টোল বুথও বসানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সিজারিয়ান ছাড়াই একসঙ্গে তিন কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন শিউলি আক্তার (২৬) নামে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী।
বুধবার(২১ জুন) বিকেলে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে টাঙ্গাইল-ময়মেনসিংহ মহাসড়কের উপজেলার ইছাপুর নামক স্থানে অ্যাম্বুলেন্সে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তার কোলজুড়ে ফুটফুটে তিনটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।
শিউলি আক্তার কালিহাতী পৌরসভার থানা পাড়া এলাকার সৌদি প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। একসঙ্গে তিন তিনটি কন্যা সন্তানের বাবা-মা হতে পেরে খুব খুশি দেলোয়ার-শিউলি দম্পতি। এই দম্পত্তির আগের ৮ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
গৃহবধু শিউলি আক্তারের ছোট বোন মুক্তি আক্তার শিল্পী জানান, শিউলি প্রসব বেদনায় অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে ঐদিন বিকেলেই সেখানে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। পরে আরও দুইটি বাচ্চা পেটে থাকায় ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে শিউলিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নেয়ার টাঙ্গাইল-ময়মেনসিংহ মহাসড়কের পথে ইছাপুর নামক স্থানে অ্যাম্বুলেন্সেই নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে দুইটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
তিনি আরও জানান, গৃহবধু শিউলি আক্তারসহ তিন নবজাতক মোটামুটি সুস্থ রয়েছেন।
কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সাহেদুর রহমান জানান, মাসহ তিন নবজাতকের চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন বিষয় প্রয়োজন হলে স্বাস্থ কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার(২৩ জুন) সকালে উপজেলার আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মোল্লা`র সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র্যালী, পুষ্পমাল্য অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী বি.কম, জেলা আ.লীগের সাবেক সদস্য আবু নাসের,দশকিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মালেক ভূইয়া, কালিহাতী পৌরসভার মেয়র নুরনবী সরকার, কালিহাতী পৌর আ. লীগের সভাপতি মালেক তালুকদার, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন রিন্টু, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক লতিফ মোল্লা, উপজেলা যুব লগের সাধারণ সম্পাদক শাহআলম মোল্লা, উপজেলা শ্রমিক লীগের শেখ জাহিদুল ইসলাম শিপলু, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান মনির প্রমূখ।
এ সময় উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন আ’লীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক হাইওয়ে পুলিশের প্রধান মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, এবারের ঈদে একটু ভিন্নমাত্রা আছে। এ ঈদে পশুবাহী গাড়ির বেশি চলাচল করে। মহাসড়কের সংলগ্ন ও অদূরেই হাট থাকে। এই চ্যালেঞ্জগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি, এর সমাধানের পথ জানি, সেগুলো সমাধানের পথও আমরা চিহ্নিত করেছি। ইজারাদারসহ স্থানীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন সকলে মিলে এবারও স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা হবে। আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গীকারবদ্ধ। সেভাবে আমরা মাঠে আছি ও কাজ করছি।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক পরিদর্শনকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদউত্তীর্ণ যানবাহন নিয়ে যে আমরা শুধু ঈদের আগে কাজ করি তা না। প্রতিনিয়ত এসব যানবাহন নিয়ে আমরা কাজ করে থাকি। প্রতিনিয়ত ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদউত্তীর্ন যানবাহন ডাম্পিং করা হচ্ছে। গত মে মাসে এ রকম যানবাহনের বিরুদ্ধে ২৫ হাজার মামলা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও অনেক গাড়ি আটক করা হয়েছে। এসব ব্যবস্থার কারনে কিন্তু গত ঈদ এ যাবতকালের স্বস্তি দায়ক ঈদ যাত্রা হয়েছে। যানজট ও নিরাপদ ঈদ আমরা উপহার দিতে পেরেছি। ফিটনেসবিহীন, রেজিষ্ট্রেশনবিহীন ও লাইসেন্সসহ নানা অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতা বর্তমানেও অব্যাহত আছে, আশা করছি এর সুফল এবারও পাবো।
অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক হাইওয়ে পুলিশের প্রধান মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, তারপরও ভাল গাড়ি যদি তাৎক্ষনিক বিকল হয় সে গুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সব মহাসড়কের যানবাহন মেরামতের ওয়ার্কশপের মালিকদের নম্বর আমরা রেখেছি। বিকল হওয়া গাড়ি যাতে তাৎক্ষনিক চালু করা যায় সে বিষয় জোরদার করা হয়েছে। যে সব যানবাহন চালু করা যাবে না সেগুলো রেকার দিয়ে অপসারণ করবো।
তিনি আরও বলেন, ঈদ উপলক্ষে সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশের হেড কোয়ার্টার ,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ আমরা সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিয়ে থাকি। আমাদের গুরু দায়িত্ব মনে করি ঈদের সময়ে জন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে, মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে স্বাধচ্ছন্দে স্বজনদের কাছে যাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকি। যখন এলেঙ্গা থেকে উত্তরবঙ্গমুখী গাড়ির চাপ বেশি থাকবে তখন বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ের গোলচত্বর হয়ে ভূঞাপুর দিয়ে এলেঙ্গা দিয়ে ঢাকায় যাবে। গাড়ির চাপ কম বেশির উপর ভিত্তি করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশ গাজীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন, বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল, কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান, বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম, এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হাসান প্রমুখ।