একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি দক্ষিণ)।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাতে জেলার কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার উত্তর রাজবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নাম মোঃ আব্দুল মান্নান। সে এলেঙ্গা পৌরসভার উত্তর রাজবাড়ী এলাকার মৃত হামিদ সিকদারের ছেলে।
এ প্রসঙ্গে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ দক্ষিণের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার রাত্রে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি দক্ষিণ)পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোঃ নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার উত্তর রাজবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান কালে এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আবুল মান্নানকে নিষিদ্ধ মাদক ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ১০ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, আটককৃত নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। গ্রেফতারকৃত মান্নানের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতেই কালিহাতী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ককে জেরে ডেকে এনে প্রেমিকাকে সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের মূলহোতা মোহাম্মদ আলীকে শুক্রবার ( ১৮ আগস্ট) ভোরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ আলী(২৫) উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার মহেলা এলাকার সেকান্দর আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাযিল ইউনিয়নের এক তরুণীর সঙ্গে কালিহাতী উপজেলার মহেলা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সূত্র ধরে গত সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণীকে বিয়ের কথা বলে নিয়ে আসে। পরে ভুক্তভোগীকে উপজেলার পৌলী এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে প্রেমিক মোহাম্মদ আলী । ধর্ষণের পর তার বন্ধু সোহেলের কাছে ভুক্তভোগী তরুণীকে তুলে দেয়। বন্ধু সোহেলও ওই তরুনীকে ধর্ষণ করে।
এ সময় ভুক্তভোগীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশকে সংবাদ দেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ আরো জানায়,ভুক্তভোগী তরুণীর পিতা থানায় প্রেমিক মোহাম্মদ আলী (২৫) ও বন্ধু সোহেল (৩০)কে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে কালিহাতী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান শেখের নেতৃত্বে এসআই সাজ্জাত হোসেন ও এএসআই রাকিবুল ইসলামের একটি পুলিশী টীম উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার প্রধান আসামী মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বুধবার গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামীর বন্ধু ফটিকজানী গ্রামের শাজাহানের ছেলে সোহেল রানা (৩০) কে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়। ভিকটিম ওই তরুণীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পাঠানো হয়।
একতার কণ্ঠঃ মোবাইলে প্রেম করে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার পৌলি এলাকায়।
সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে পৌলি এলাকায় সড়ক ও জনপথের (সওজ) একটি ইয়ার্ডের পরিত্যক্ত ঘরে ধর্ষণের শিকার হয় ওই তরুণী।
এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে কালিহাতী থানা পুলিশ। এ ঘটনার প্রধান আসামি প্রেমিক মোহাম্মদ আলী (৩০) পলাতক রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত প্রেমিকের বন্ধু মো. সোহেল রানা (২৩) সে এলেঙ্গা পৌরসভার ফটিকজানী এলাকার মো.শাজাহানের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের এক তরুণীর সঙ্গে কালিহাতী উপজেলার মহেলা গ্রামের সেকান্দার আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলীর সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সূত্র ধরে সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণীকে বিয়ের কথা বলে নিয়ে আসে প্রেমিক।
তিনি আরও জানান, পরে ওই তরুণীকে উপজেলার পৌলি এলাকায় সড়ক ও জনপথের (সওজ) ইয়ার্ডের পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে প্রেমিক মোহাম্মদ আলী । ধর্ষণের পর প্রেমিকের বন্ধু সোহেলের কাছে ওই তরুণীকে রেখে চলে যায় সে।
তিনি জানান, পরে সোহেলও ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ভুক্তভোগীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও প্রেমিকের বন্ধু সোহেল রানাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর পিতা সোমবার বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ওই তরুণীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে আটককৃত সোহেল রানাকে বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়কে সিএনজিতে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মো. আসাদ (১৪) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হয়েছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়কের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের পালিমা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান।
নিহত আসাদ মির্জাপুর উপজেলার ওয়ার্সি গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। সে ভূঞাপুর উপজেলার আসাদুজ্জামান খান হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র ছিল।
নিহতের পিতা জাহাঙ্গীরের বন্ধু ওয়াহেদুজ্জামান পলাশ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, নিহতের ফুফু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জাঙ্গাঙ্গীর বুধবার দুপুরে ভূঞাপুর থেকে তার ছোট মেয়ে ও ছেলে আসাদকে সঙ্গে নিয়ে সিএনজি যোগে তার অসুস্থ বোনকে দেখার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার পথে আঞ্চলিক সড়কের পালিমা নামক স্থানে পৌঁছালে একটি পিকআপ ভ্যান পেছন থেকে তাদের বহনকারী সিএনজিকে ধাক্কা দিলে তারা সিএনজি থেকে ছিটকে পড়ে যায়।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আসাদকে মৃত ঘোষণা করে। তার বড় বোন আকসা গুরুতর আহত হয়ে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন সুস্থ্য রয়েছেন।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, আসাদের মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, ঘাতক পিকআপ ভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে গলায় ফাঁস দিয়ে মহিউদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবককে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৬ আগস্ট ) দুপুরে উপজেলার পারখী ইউনিয়নের আউলিয়াবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মহিউদ্দিন ওই গ্রামের মৃত ছোহরাব আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার দুপুরে মহিউদ্দিন পরিবারের সবার অগোচরে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের ধন্নার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজ করে এক পর্যায়ে নিজ কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে ডাক চিকিৎকার করে।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তবে কি কারনে সে আত্মহত্যা করেছে তা পরিবারের সদস্যরা কেউ বলতে পারেনি।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে অটো ভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে প্রাইভেটকার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কালিহাতী-বল্লা আঞ্চলিক সড়কের কালিহাতী পৌর এলাকার কামার্থীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন,মোটরসাইকেল চালক উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের বীর বাসিন্দা গ্রামের দেলোয়ারের ছেলে জাকির (২৮) ও একই গ্রামের আরফান আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান (২০)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে উপজেলার কালিহাতী-বল্লা আঞ্চলিক সড়কের চারান এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটি কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল।একই সময় প্রাইভেটকারটি কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে চারানের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কামার্থী এলাকায় পৌঁছলে মোটরসাইকেলটি একটি অটোভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে প্রাইভেটকারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় মোটরসাইকেলের চালক জাকির ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের আরোহী আসাদুজ্জামান গুরুত্বর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, এঘটনায় মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারটি পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান,এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীর পৌলী গ্রামে নির্মাণাধীন একটি পাকা সড়ক নির্মাণ শেষ না হতেই স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা সড়কটি ব্যবহার করে বালু বিক্রি করায় ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের কোটি টাকার উন্নয়নের এ প্রকল্প।
বালু ব্যবসায়ীরা অতান্ত প্রভাবশালী হওয়ায় ও স্থানীয় কাউন্সিলর এই ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু-টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার পৌলি হতে পৌলি দক্ষিন পাড়া পর্যন্ত পৌরসভার অর্থায়নে সড়কটি পাকা করণ করা হচ্ছে। এই সড়কের (সাবেক মেম্বার আব্দুল বারেকের বাড়ির সামনে) দুই পাশের পতিত জমিতে বলগেট দিয়ে বালু ফেলা হচ্ছে। এই বালু আনলোড করে ওই জমিতে ফেলার জন্য লোহার মোটা পাইপ ব্যবহার করা হচ্ছে।
ওই লোহার পাইপগুলো সড়কের উপর দিয়েই নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জমাকৃত বালু একস্থান থেকে অন্যস্থানে নেওয়ার জন্য রাস্তার উপর দুটি স্যালো মেশিন বসানো হয়েছে। স্তুপকৃত বালু বিক্রি হওয়ার পর পরিবহনের জন্য ড্রামট্রাক লাইন দিয়ে দাড়িয়ে আছে। ভেকু মেশিন দিয়ে অপেক্ষামান ট্রাকগুলোতে বালু তুলে দিচ্ছে। এই বালু ভর্তি ট্রাক চলাচলের ফলে কোটি টাকার নির্মাণাধীন সড়কটি বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া দিনরাত ট্রাক চলাচলের ফলে সড়কের বালু উড়ে গিয়ে পার্শবর্তী বাড়িতে গিয়ে পড়ছে।
স্থানীয়রা জানায়, এই এলাকার কাউন্সিলর সুকুমার ঘোষের যোগসাজসে প্রভাবশালী কিছু লোক বলগেট দিয়ে বালু এনে বিক্রি করছে। এলাকায় বলগেটের বালু আনলোড করায় নদীর পাড়ে দুইটি বাড়ির কিছু অংশ নদীতে ধসে পড়েছে। এছাড়াও দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে হওয়া কোটি টাকায় নবনির্মিত এই সড়কটি ব্যবহার করে দিনে-রাতে বালুবাহী ট্রাক চলাচল করায় ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীর চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়াও বালুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে ধুলোবালি গিয়ে বসত-বাড়িতে পড়ায় বসবাস করা অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ট্রাকের হাইড্রলিক হর্ণের বিকট শব্দে ঘুম থেকে শিশুরা আচমকা চমকে উঠছে। তারা ওই সড়কটি রক্ষার্থে বালু ব্যবসা বন্ধের জোর দাবি জানায়।
বালু ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এলাকার কিছু যুবকরা মিলে সিরাজগঞ্জ থেকে বালু কিনে এনে বিক্রি করছি। নদী থেকে বালু তুলেতো বিক্রি করছি না। তবে নির্মাণাধীন সড়ক ব্যবহার করায় সড়কের যে ক্ষতি হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেন নি।
এলেঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর সুকুমার ঘোষ অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, তিনি কাউন্সিলর হওয়ার পর পৌলি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করেছেন। ফলে বিকল্প হিসেবে স্থানীয় ড্রাম ট্রাক ব্যবসায়ীরা সিরাজগঞ্জ থেকে বলগেট দিয়ে বালু এনে বিক্রি করছে। সড়কটি ব্যবহার করার জন্য বালু ব্যবসায়ীরা পৌরসভায় একটি দরখাস্ত দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, বালু আনলোড করার সময় দু-একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেটা আমি জানি। ওই ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িগুলো মেরামত করার জন্য ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে। তবে তিনি বালু ব্যবসায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ প্রসঙ্গে এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র নুর-এ আলম সিদ্দিকী জানান, নবনির্মিত সড়কটি ব্যবহারের জন্য বালু ব্যবসায়ীরা কোন দরখাস্ত পৌরসভায় দেয়নি। দক্ষিন পৌলিবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সড়কটি পাকাকরণ করা হচ্ছে। সড়কের কোন প্রকার ক্ষয়-ক্ষতি পৌর কর্তৃপক্ষ বরদাস্ত করবেনা।
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইএনও) মো.নাজমুল হুসেইন জানান, বলগেট দিয়ে বালু আনায় আইনগত কোন বাধা নেই। তবে সড়ক ব্যবহারে কোন প্রকার বেরিক্যাড দেওয়া যাবেনা। বেরিক্যাড দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নাঈম মিয়া নামের এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে মোটরসাইকেল আরোহী অপর এক কলেজ ছাত্র।
বৃহস্পতিবার(২৭ জুলাই) দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু- ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গা পৌরসভার চরভাবলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. নাঈম মিয়া (১৭) টাঙ্গাইল পৌরসভার বেড়াবুচনা এলাকার মো. করিম মিয়ার ছেলে। সে টাঙ্গাইল মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
বঙ্গবন্ধু সেতু পুর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নাঈমসহ তিন বন্ধু মোটরসাইকেল যোগে টাঙ্গাইল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তারা মহাসড়কের চরভাবলা এলাকায় পৌঁছালে, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী একটি অজ্ঞাত যাত্রীবাহী বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এত ঘটনাস্থলেই নাঈমের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা মোটরসাইকেলের অপর আরোহী মো. সাগরকে(১৭) গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। মোটরসাইকেলের অপর আরোহী বিপ্লবকে (১৭) অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, পরে আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিহত কলেজ ছাত্র নাঈমের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বজ্রপাতে রমজান আলী (৫২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
(more…)
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাঁচটিতেই নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। এসব ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। মাত্র একটি ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী।
সোমবার (১৭ জুলাই) টাঙ্গাইলের সখিপুরে চারটি ইউপিতে এবং কালিহাতীতে দু’টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সখিপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়নেই চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা।
কালিয়া ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো: জামাল হোসেন এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন সাথী।
বড়চওনা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো: আজহারুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। সেখানে তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হালিম সরকার।
হাতীবন্ধা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী রনি আহমেদকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী রবিন খান।
হতেয়া-রাজাবাড়ি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো: হুমায়ন খান। সেখানে দ্বিতীয় হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন।
একই দিন কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা ও পারখী ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে বীর বাসিন্দা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুল খালেককে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সোরহাব আলী এবং পারখী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান তোতা।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের আকুয়া গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৭ জুলাই) রাতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত গৃহবধু বিথি আক্তার (১৭) উপজেলার লুহুরিয়া গ্রামের মনিরুজ্জামান বাজেলের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্থানীয়রা জানায়, ৭ মাস পুর্বে উপজেলার লুহুরিয়া গ্রামের মনিরুজ্জামান বাজেলের মেয়ে বিথি আক্তারের সাথে একই উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের আকুয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ আনসারীর বড় ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী সুমন আনসারীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ মাস পর সুমন প্রবাসে চলে যান। তারপর থেকেই সৎ শ্বাশুড়ি শাহিনা আক্তার যৌতুকের জন্য নানা অত্যাচার শুরু করে।
তারা আরও জানায় , রবিবার (১৬ জুলাই ) দুপুরে ওই প্রবাসীর স্ত্রী শ্বশুরকে স্থানীয় হাট থেকে শশা কিনে আনতে বলেন। ছেলের বউয়ের কথামত শ্বশুর শশা কিনে আনলে শ্বাশুড়ি ওই শশা বাড়ির বাহিরে ফেলে দেয়। স্বামীকে নানা ধরনের বকাঝকা করতে থাকে। ছেলের বউ শ্বশুরের পক্ষ নিয়ে কথা বললে শ্বাশুড়ির মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সবাই মিলে রাতের খাবার শেষে শ্বাশুড়ি প্রবাসীর স্ত্রীকে একগ্লাস দুধ খেতে দেয়। শ্বাশুড়ির দেওয়া দুধ খেয়ে প্রবাসীর স্ত্রী ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন।
সোমবার (১৭ জুলাই ) সকালে বিথি ঘুম থেকে না উঠলে তার শ্বাশুড়ি তাকে ডাকা-ডাকি করে। তাতেও না উঠলে বিথির বাবার বাড়িতে ফোন দেওয়া হয়। ফোনপেয়ে তার বাবার বাড়ির লোকজন এসে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তারা আরও জানায়, মৃত্যুর পর রাতেই নিহতের বাবার সাথে মীমাংসার জন্য ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম, মেম্বার হযরত আলী, আতোয়ার রহমান, মাহমুদুল হক,মিন্টু মিয়া ও ওহাব আলীসহ একাধিক মাতব্বর মিলে দফায়-দফায় বৈঠক করেন। মীমাংসা না হওয়ায় একপর্যায়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের দাদি হোসনেয়ারা ও ফুপু মর্জিনা আক্তার জানান, বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে সোনার গহনা দেওয়ার কথা ছিল। সেই গহনা দিতে একটু সময় লাগায় তার সৎ শ্বাশুড়ি দুধের সাথে বিষ মিশিয়ে বিথিকে মেরে ফেলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ঘটনার পরপরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে এ ঘটনা ঘটতো না। তাকে উদ্ধার করতে দরজা ভাঙ্গার প্রয়োজন হলে শ্বাশুড়ি বাঁধা দিয়ে বলে, এটা অনেক দামি দরজা এটা ভাঙা যাবে না। অন্যকোন উপায়ে তাকে বের করার কথা বলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম গভীররাতে দফায়-দফায় বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা বৈঠকের কথা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ১১ বোতল বিদেশি মদসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত জাইদুল ইসলাম (২৭) কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার চরবামান এলাকার আব্দুল ছাত্তারের ছেলে। সে মদগুলো নিয়ে টাঙ্গাইলের করটিয়ার উদ্দেশ্য যাচ্ছিলো।
টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মুশফিকুর রহমান জানান, বাংলাদেশ ট্রাভেলস নামের একটি যাত্রীবাহী বাস কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে বাসটিতে তল্লাশি চালিয়ে ১১ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। সেই সাথে জাইদুল ইসলামকে আটক করে কালিহাতী থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।