/ হোম / গোপালপুর
মেয়ে জন্মের খবরে উপহার দেয়া সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে সম্মাননা - Ekotar Kantho

মেয়ে জন্মের খবরে উপহার দেয়া সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে সম্মাননা

একতার কণ্ঠঃ কমিউনিটি পুলিশিং এবং সমাজসেবামূলক কাজে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি কর্তৃক ‘এসএম আহসান স্মৃতি পুরস্কার পেলেন টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন। শনিবার (২৪ডিসেম্বর) সকালে রাজারবাগস্থ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে সমিতির ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম তাঁর হাতে এ সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন।

পুলিশের এআইজি (কমিউনিটি এন্ড বিট পুলিশিং) আফরিদা রুবাই, পিপিএম জানান, কমিউনিটি পুলিশিং এবং সমাজসেবামূলক কাজে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি কর্তৃক বাংলাদেশের তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাকে চুড়ান্তভাবে এ পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাঁরা হলেন-টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন, খুলনার খালিশপুর থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার এসআই হাবিবুর রহমান। এছাড়াও নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু অধিকার সুরক্ষার লক্ষে ভিকটিম সাপোর্ট এবং সমাজসেবামূলক কাজে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ঢাকার আশুলিয়া থানার এসআই নাছরিন আফরোজকে প্রফেসর অনামিকা হক লিলি-ড.এম এনামুল হক পুরস্কার প্রদান করা হয়।

ওসি মোশারফ হোসেন গোপালপুর থানায় যোগদানের পূর্বে টাঙ্গাইলের কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্বপালন করেছেন। গ্রামটি বিস্তীর্ণ চর এলাকা। গ্রামের পরিবারগুলোতে কন্যাসন্তান জন্ম নিলে বোঝা মনে করা হত। কিন্তু কন্যাসন্তান বোঝা নয়; বরং আশীর্বাদ এই বিষয়টি প্রচার করে তিনি ঘোষণা দেন, ‘কন্যাসন্তান জন্ম হলে ফোন করুন, উপহার পৌঁছে যাবে সঙ্গে সঙ্গে। পুলিশ কর্মকর্তার এই ঘোষণার বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চার কন্যাসন্তানের মা-বাবা তাঁর কাছে গিয়ে উপহার নেন। তখন তিনি একটি ফেস্টুন টাঙিয়ে লিখেন, ‘কন্যাসন্তান বোঝা নয়, আশীর্বাদ। কন্যাসন্তান আল্লাহ তা-আলার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। কন্যাসন্তান মা-বাবার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ নিয়ে দুনিয়ায় আগমন করে। কন্যাসন্তান জন্ম হলে ফোন করুন, উপহার পৌঁছে যাবে সঙ্গে সঙ্গে। তাঁর এই ফেস্টুন ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

ফেসবুকে বিষয়টি জানতে পেরে উপহার নেন মাসুদা খাতুন নামের এক নারী। তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম কন্যাসন্তান হয়েছে। উপহার পেয়ে আমি ও আমার স্বামী দু’জনই খুশি হয়েছি। ’

এ বিষয়ে মো. মোশারফ হোসেন বলেন, যে কোনো পুরস্কার কাজের গতি বৃদ্ধি করে। আজ থেকে আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। আমি সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী। পুলিশের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমি লক্ষ করেছি মেয়ে সন্তান হলে মা-বাবা মন খারাপ করেন। তাই এলাকার মানুষকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহিত করতে পরিকল্পনা করি। আমার উদ্দেশ্য, মেয়ে ও ছেলে উভয়ই সমান। মা-বাবা যেন কন্যাসন্তানকেও উচ্চশিক্ষা দেয় এবং ছেলে সন্তানের মতোই মনে করে, এটাই বোঝাতে চাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, “আমার ও আমার স্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে কন্যাশিশুর জন্য ‘লাভ টোকেন’ স্বরূপ ছোট উপহার নিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করি। একটা ক্রেস্টের সঙ্গে শিশুর জন্য ডায়াপার, লোশনজাতীয় সামান্য কিছু উপহার দেই। সাধ আছে, সাধ্য নেই। এ জন্য নিজের সাধ্যের মধ্যেই চেষ্টা করা। বড় কোনো গিফ্ট দিতে না পারলেও আমরা পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করি, এতে তারা অনেক খুশি হয়। আমি চাই আমার দেখাদেখি সবাই যেন এগিয়ে আসে। কন্যাসন্তান বোঝা নয়, আশীর্বাদ এটাই জানাতে চাই।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৩৩:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে মায়ের উপর অভিমানে নববধুর আত্মহত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মায়ের উপর অভিমানে নববধুর আত্মহত্যা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে মায়ের উপর অভিমান করে কীটনাশক পানে মেরি আক্তার ফাতেমা (১৮) নামে এক নববধুর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপালপুর থানা পুলিশ নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত নববধু পৌরশহরের সওদাগর পাড়ার আলমগীর হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মারফত থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর পূর্বে উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের মজিদপুর সওদাগর পাড়ার মারফতের মেয়ে মেরি আক্তার ফাতেমার সাথে শফিকুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে স্বামীর বাড়ী পাঠানো হয়নি। সেজন্য ফাতেমা বাবার বাড়ীতে বসবাস করত।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে সাংসারিক কাজ করা নিয়ে ফাতেমাকে তার মা রুনা বেগম বকাঝকা করে। এতে সে মায়ের উপর অভিমান করে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে। ঘটনা টের পেয়ে বাড়ীর লোকজন প্রথমে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মামুন ভূঞা জানান, নিহতের লাশ রবিবার ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে গোপালপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. ডিসেম্বর ২০২২ ০১:১০:এএম ২ বছর আগে
গোপালপুরে নাশকতার অভিযোগে  বিএনপি’র ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

গোপালপুরে নাশকতার অভিযোগে বিএনপি’র ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নাশকতার অভিযোগে বিএনপি’র পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও ৬ টি ককটেল উদ্ধার করেছে গোপালপুর থানা পুলিশ।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাতে গোপালপুর পৌরশহরের আভঙ্গি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোহাম্মদ রহমান, তোফাজ্জল হোসেন, ইসমাইল হোসেন, আব্দুল লতিফ ডান্ডু এবং মোহাম্মদ লতিফ। এরা সবাই ধোপাকান্দি ও ঝাওয়াইল ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য ও ওয়ার্ড কমিটির নেতা।

গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, এরা সবাই নাশকতার উদ্দেশ্যে পৌরশহরের আভঙ্গি এলাকায় সমবেত হলে পুলিশ ৬টি ককটেলসহ এদের গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরো জানান, বিএনপির ২০ নেতাকর্মীসহ শতাধিক অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে থানায় নাশকতা ও দাঙ্গা-মারামারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

অপরদিকে উপজেলা বিএনপি এক বিবৃতিতে জানান, এটা গায়েবী মামলা। আভঙ্গী এলাকায় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বুধবার রাতে কোন ধরনের ঘটনা ঘটায়নি। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশেকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. ডিসেম্বর ২০২২ ০২:৩০:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে অনশনরত প্রেমিকাকে পেটালো প্রেমিকের পরিবার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে অনশনরত প্রেমিকাকে পেটালো প্রেমিকের পরিবার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক শিমুলের বাড়িতে অনশনরত অবস্থায় শ্লীলতাহানি ও অমানুষিক নিযার্তনের শিকার হয়েছেন প্রেমিকা।

স্থানীয়রা অসুস্থ প্রেমিকাকে উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেছেন। চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সূতি নয়াপাড়া গ্রামে।

গত ২৯শে সেপ্টেম্বর থেকে বিয়ের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করে ওই তরুণী। সে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় কেশবপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে ফৌজিয়া আক্তার তানিয়া।

জানা যায়, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে ফৌজিয়া আক্তার তানিয়ার সাথে গোপালপুর উপজেলার সূতি নয়াপাড়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার পুত্র বরাতুল ইসলাম শিমুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরা উভয়ে গাজীপুরের একটি গার্মেন্টে চাকরি করতো। পরিনয়কে বিয়েতে রুপান্তরিত করার উদ্দেশ্যে বাবা-মা’র মতামত নেয়ার জন্য শিমুল গত ২৯শে সেপ্টেম্বর তানিয়াকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে। কিন্তু বাবা-মা রাজি না হওয়ায় তাদের বিয়ে হয়নি। তানিয়া শিমুলের বাড়িতে অবস্থান করতে থাকে। গত ১লা অক্টোবর গ্রামে একটি সালিশি বৈঠকে শিমুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বাবা-মাসহ বাড়ি থেকে গাঢাকা দেয়।

কিন্তু তানিয়া বিয়ে না করে কর্মস্থলে ফিরে যেতে অস্বীকার করেন এবং ওই বাড়িতে অনশন শুরু করে।

সূতি নয়াপাড়া গ্রামের হাবেল উদ্দিন জানান, এক সপ্তাহ ধরে খেয়ে না খেয়ে তানিয়া নামের মেয়েটি ওই বাড়িতে অবস্থান করছিল। মঙ্গলবার ( ১১ অক্টোবর) সকাল নয়টায় গোপালপুর থানা পুলিশ তানিয়ার খোঁজখবর নেয়ার জন্য ওই বাড়িতে গেলে শিমুলের মামা এরশাদ আলী, মামাতো ভাই শাকিল, দুই খালা জল্পনা খাতুন ও আল্পনা খাতুন মিলে তানিয়াকে বেদম মারপিট করে এবং চুলের মুঠি ধরে ঘর থেকে বের করে আনে। এতে তার পরনের কাপড়ও ছিঁড়ে যায়।

পৌর কাউন্সিলর মো. শামছুল আলম জানান, তানিয়ার ডাকচিৎকারে এলাকাবাসীরা ছুটে আসে। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করেন। এ মারপিট ও নির্যাতনের ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে উঠে। পরে সহস্রাধিক গ্রামবাসি এ নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা আহত তানিয়াকে একটি রিকশাভ্যানে উঠিয়ে বিক্ষোভ মিছিলসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও করেন।

সূতি নয়াপাড়া গ্রামের রাসেল মিয়া অভিযোগ করেন, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক ছেলের পক্ষ নিয়ে প্রশাসনিক পর্যায়ে নানাভাবে দেনদরবার করায় ছেলেপক্ষ আপোষ রফায় না গিয়ে উগ্র হয়ে উঠে। পরিণতিতে মঙ্গলবার এ নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। তিনি এ নির্যাতনের দায় এড়াতে পারেন না।

তবে অভিযোগের বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক জানান, তিনি বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ছেলেপক্ষ রাজি না হওয়ায় সমাধান হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক জানান, মেয়েটি প্রেমঘটিত কারণে ওই বাড়িতে আসেন। পরে মীমাংসার নামে কালক্ষেপণ করে। একপর্যায়ে মেয়েটির উপর অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনার কথা তিনি জানতে পারেন। নির্যাতনে কাবু মেয়েটিকে এলাকাবাসি অফিস প্রাঙ্গণে নিয়ে এলে তাকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। একজন নারীর উপর এধরনের নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। ভিক্টিমকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তাপস সাহা জানান, ভিক্টিমের শরীরে নির্যাতনের অনেক চিহ্ন রয়েছে। তার শরীর খুবই দুর্বল। তবে আশঙ্কামুক্ত।

এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারী নির্যাতন আইনে গোপালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৩. অক্টোবর ২০২২ ০১:১৮:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে অজ্ঞাত যুবকের লাশের পরিচয় সনাক্ত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে অজ্ঞাত যুবকের লাশের পরিচয় সনাক্ত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বৈরাণ নদীতে ভাসমান অজ্ঞাতনামা সেই লাশের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা পুলিশের সহযোগিতায় পরিচয় সনাক্ত করেন।

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

এর আগে রোববার বিকালে পৌরসভার সূতি বলাটা ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন নদী থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করে।

নিহত মিজানুর রহমান (২৬) পৌর শহরের নন্দনপুরের ভূঞারচক এলাকার মৃত শহীর উদ্দিনের ছেলে।

জানা যায়, নিহত মিজানুর রহমান শনিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি। পরিবারের লোকেরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি। রোববার বিকালে সূতি বলাটা ঈদগাহ সংলগ্ন বৈরাণ নদীতে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহত যুবকের গলায় রূপার চেইন, পড়নে শর্টপ্যান্ট ও ডান পায়ে আগুনে পোড়ার মত দাগ ছিল।

পরে লাশের ছবি ও শারীরিক গঠনের বর্ণনা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। খবর পেয়ে নিহত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন লাশের পরিচয় সনাক্ত করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. অক্টোবর ২০২২ ০৪:৩৩:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে নদী থেকে যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নদী থেকে যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বৈরান নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার ( ৯ অক্টোবর ) দুপুরে পৌরসভার সুতি ঈদগাঁ মাঠের পাশে বৈরান নদী থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুর ২ ঘটিকায় বৈরান নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশকে খবর দিলে তাৎক্ষণিকভাবে গোপালপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে।

গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, যুবকটির বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। তার পরনে একটি কালো শর্ট ও কালো প্যান্ট রয়েছে। তার বাম পায়ে পাতার উপরে একটি সাদা দাগ রয়েছে।

তিনি আরো জানান,লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে লাশটি শনাক্তকরণ ও মৃত্যুরহস্য উদঘাটন করা যাবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০. অক্টোবর ২০২২ ০১:৩০:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে জুয়ার উপকরণসহ ৪ জুয়াড়ি আটক - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে জুয়ার উপকরণসহ ৪ জুয়াড়ি আটক

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে জুয়ার আসর থেকে ৪ জুয়াড়িকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার(২৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের রামজীবনপুর গ্রামে জুয়া খেলার সময় তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- ওই গ্রামের আবু হানিফের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৫), মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে মমিনুল ইসলাম, (২৮), আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে সুমন (৩২), মৃত আ. হাইয়ের ছেলে আইয়ুব আলী (৪৫)।

গোপালপুর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম জানায়, রাত্রিকালীন জরুরী ডিউটি করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রামজীবনপুর গ্রামের আ. হালিমের দোকানের পিছনে ধান ভাঙ্গার মিলের ভিতর জুয়ার আসর থেকে প্রথমে তাদের আটক করা হয়। পরে নগদ টাকাসহ জুয়া খেলার উপকরণ জব্দ করা হয়।

গোপালপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ১৮৬৭ সালের জুয়া আইনে জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। জুয়াসহ সকল প্রকার সামাজিক অপরাধ দমনে গোপালপুর থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:৫৪:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলায় নিহত ১; গ্রেপ্তার ১ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলায় নিহত ১; গ্রেপ্তার ১

একতার কণ্ঠঃ  টাঙ্গাইলের গোপালপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গোলাম মোস্তফা (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের বালোবাড়ী গ্রামে হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় মারাত্বকভাবে আহত হয়েছে নিহতের বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন বাদল।

নিহত মোস্তফা হেমনগর ইউনিয়নের বালোবাড়ী গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বাদশার ছেলে।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে শনিবার রাতেই গোপালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ইতিমধ্যে রানা রাজা নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

জানা যায়, নিহত গোলাম মোস্তফা ও প্রতিবেশি তানভীর ইসলাম রাজের মধ্যকার দুই পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। শনিবার সকাল দশটার দিকে বিষয়টি মিমাংসার উদ্দেশে উভয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেলোয়ার হোসেন বাদশার বাড়ীতে গ্রাম্য সালিশি বৈঠক বসে। সালিশে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আলোচনার মাধ্যমে তাদের বিরোধ সমাধান করে দেন।

সদ্য মিমাংসার পর বিকালে তোফাজ্জল হোসেন বাদল গ্রামের রাস্তায় গেলে প্রতিপক্ষের লোকেরা তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। খবর পেয়ে তার ভাই গোলাম মোস্তফা প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে মারাত্বক ভাবে আহত হন।

পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা এসে প্রথমে বাদলকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করান। গোলাম মোস্তফাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গোলাম মোস্তফাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ইতিমধ্যে মামলার এক আসামী নিহতের ভাতিজা রানা রাজাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিহতের লাশ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:০৪:এএম ৩ বছর আগে
খেলা দেখতে পারেননি কৃষ্ণার মা “নমিতা রাণী” - Ekotar Kantho

খেলা দেখতে পারেননি কৃষ্ণার মা “নমিতা রাণী”

একতার কণ্ঠঃ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তাদের জয়ে উল্লাসে মেতে উঠেছে গোটা বাংলাদেশ। টাঙ্গাইলের গোপালপুরের নিভৃত গ্রামে বসে সে উল্লাস সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছেন নমিতা রাণী সরকার। তিনি জাতীয় নারী ফুটবল দলের স্ট্রাইকার কৃষ্ণা রাণী সরকারের মা।

বাংলাদেশের জয়ে জোড়া গোল করেন কৃষ্ণা।

তবে দুঃখের বিষয় বিদ্যুৎ না থাকায় খেলা দেখতে পারেননি কৃষ্ণার মা। খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রতিবেশীদের মুখ থেকে শুনেছেন মেয়েদের হিমালয় জয়ের কথা।

যোগাযোগ করা হলে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কৃষ্ণর মা বলেন , সারদিন উদ্বিগ্ন ছিলাম। বিদ্যুৎ না থাকায় খেলা দেখতে পারি নাই। তবে পরে জানতে পারি আমার মেয়েরা জিতেছে। আমি দেশবাসীর কাছে তাদের জন্য দোয়া চাই।

নমিতা রাণী সরকার আরো বলেন, আমার মেয়ের ফুটবল খেলা নিয়ে যারা একসময় কটাক্ষ করত, তারাই এখন এসেছে অভিনন্দন জানাতে। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।

সোমবার কৃষ্ণা রাণী সরকারের জোড়া গোলে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে সাফে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। হিমালয় কন্যাদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনাল জিতে ইতিহাস গড়েন সাবিনা-শামসুন্নাহাররা।

উল্লেখ্য, কৃষ্ণা রাণীর জন্ম টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ১ জানুয়ারী ২০০১ সালে। তিনি  বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা  ফুটবল দলের নিয়মিত খেলোয়ার। কৃষ্ণা বসুন্ধরা কিংস মহিলা দল ও বাংলাদশ মহিলা জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে ফরোয়ার্ড হিসাবে খেলেন। পূর্বে, তিনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল এবং গোপালপুর সুতি ভি এম. পাইলট মডেল হাইস্কুল ও টাঙ্গাইল জেলা দলের হয়ে খেলেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৩:৪০:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষিকা নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষিকা নিহত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় প্রশিক্ষণ ও আলোচনা শেষে স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে হাফ ট্রাকের ধাক্কায় ছানোয়ারা খাতুন (৩৫) নামে এক স্কুল শিক্ষিকা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন তার স্বামী স্বপন তালুকদার।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের কামাড়পাড়া বাজার সংলগ্ন মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ছানোয়ারা খাতুন গোপালপুর উপজেলার মাহমুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন ।

তিনি ও তার স্বামী স্বপন তালুকদার উপজেলার কেন্দুয়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

এ ব্যাপারে উপজেলার মাহমুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান জানান, ছানোয়ারা খাতুন হেমনগর শশীমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ পান। এ জন্য সোমবার বিকালে গোপালপুর সরকারি কলেজে কক্ষ পরিদর্শক প্রশিক্ষণ ও আলোচনা শেষে তার স্বামীর মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি রওনা হন। পথিমধ্যে ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের কামাড়পাড়া বাজার সংলগ্ন মোড়ে পৌঁছলে হাফ ট্রাকের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায় ছানোয়ারা খাতুন। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয় এবং তার স্বামী আহত হয়।

স্বামী স্বপন তালুকদার জানান, দুর্ঘটনায় সময় ছানোয়ারা খাতুন মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গিয়ে তার মাথা ট্রাকের সাথে প্রচন্ড জোরে ধাক্কা খায়। ফলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. চাঁন মিয়া সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৩. সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:১০:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে রাই‌স মি‌লের ছাদ ভে‌ঙে পড়ে প্রাণ গেল ৩ শ্রমি‌কের - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে রাই‌স মি‌লের ছাদ ভে‌ঙে পড়ে প্রাণ গেল ৩ শ্রমি‌কের

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপু‌রে একতা রাইস মি‌লের ছাদ ভে‌ঙে পড়ে তিন শ্রমি‌কের মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে। রোববার (৪ সে‌প্টেম্বর) রা‌ত ১০টার দি‌কে গোপালপুর পৌরসভার ডুবাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘ‌টে।

নিহতরা হ‌লেন- কু‌ড়িগ্রামের পাঁচগা‌ছি ইউনিয়‌নের বাচ্চু মিয়ার ছে‌লে আরিফ (২৭), একই জেলার গোরুহাড়া গ্রা‌মের ক‌রিম মোল্লার ছে‌লে নুরুল ইসলাম (৩৫) ও নুর মোহাম্ম‌দের ছে‌লে নাঈমুল ইসলাম। তারা সবাই ওই রাইস মি‌লে শ্রমিক হি‌সে‌বে কাজ কর‌তেন।

গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ‌্য ও প‌রিবার প‌রিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজী জানান, দুইজন হাসপাতা‌লে আনার আগেই মারা গেছেন। অপরজন হাসপাতা‌লে আনার সঙ্গে সঙ্গে মারা গেছেন।

গোপালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হো‌সেন জানান, একতা রাইস মি‌লে শ্রমিকরা কাজ করার সময় মিলের ছাদ ভে‌ঙে প‌ড়ে। এতে তিনজ‌নের মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:০৪:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে পুকুর থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পুকুর থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় হাসনা বেগম (৮৫) নামে এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের এক পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

তিনি ওই গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের স্ত্রী।

জানা যায়, স্বামী মারা যাওয়ার পর বয়সের ভারে ন্যুজ হাসনা বেগমের ঠাঁই হয় ছেলের রান্না ঘরে। তিনি একা চলতে পারতেন না। তারপরেও রান্নাঘরে একাই রাত্রিযাপন করতেন। মাঝে মাঝে মেয়ের জামাই বাড়ী গিয়েও থাকতেন তিনি।

নিহতের মেয়ে শামছুন্নাহার জানান, বৃদ্ধ মায়ের কষ্টের কথা ভেবে ভাইয়ের বাড়ী থেকে মাকে নিয়ে তার স্বামীর বাড়ী রেখেছিলেন। কিছুদিন আগে ভাই জোর করে মাকে নিজের বাড়ি নিয়ে যায়। রবিবার ছেলের বাড়ির পাশের পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।

গোপালপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরো জানান,তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, উচ্চ রক্তচাপ জনিত কারণে তিনি পুকুরে পড়ে ডুবে মারা যেতে পারেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৫৬:পিএম ৩ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।