/ হোম / গোপালপুর
টাঙ্গাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে আটকে রেখে মনোনয়ন বাতিলের অভিযোগ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে আটকে রেখে মনোনয়ন বাতিলের অভিযোগ

একতার কণ্ঠঃ সমর্থককে আটকে রেখে মনোনয়ন বাতিলের অভিযোগ তুলেছেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু।

ঘটনার সত্যতা যাচাই ও তদন্ত চেয়ে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। তবে লিখিত অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে না দেখে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে তার মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

জানা যায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১২ (৩ ক) দফা ২ এর উপদফা (ক) অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষর যুক্ত তালিকা সংযুক্ত করার বিধান রয়েছে। টাঙ্গাইল-২ নির্বাচনী আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩,৯৫,২৪৮। যার ১ শতাংশ ভোটার ৩৯৫২ এবং তিনি উক্ত তালিকা দাখিল করেছেন।

তার মনোনয়ন পত্রের সাথে সংযুক্ত ভোটারের স্বাক্ষর যুক্ত তালিকা হতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এর স্মারক নং ১১৭০০০০০০৩৪৩৬০১৮২৩৭৩৮, তারিখ- ২০ নভেম্বর ২০২৩ এর পত্র অনুযায়ী দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০ জন ভোটারের স্বাক্ষর সম্বলিত তালিকা সরজমিনে যাচাই বাছাই করা হয়েছে। যাচাই বাছাই ও তদন্তকালে ৩৯৫২ ভোটারের মধ্যে দাখিলকৃত সমর্থনযুক্ত তালিকার ক্রমিক নং যথাক্রমে ২১১৫, ৩২২৩, ৮৭২, ২২৮৬, ১৫৭৪, ৭৫১, ৫৪৩, ২১৫৩, ২৩৮৮ মোট নয় জনের স্বাক্ষরের বিষয়টি সত্যতা পাওয়া গেলেও ৩৪২৬ ক্রমিকে অন্তর্ভূক্ত ভোটার আরফান আলী শেখ, পিতা- খোরশেদ আলী, ভোটার নম্বর- ৯৩১৩১৩৭৯০৬৯৪, গ্রাম- মাদারিয়া ভূঞাপুর টাঙ্গাইলের বাড়িতে বিগত ১ ডিসেম্বর আনুমানিক সকাল সাড়ে ১১টার সময় তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, মো. আরফান আলী শেখ সমর্থন সম্বলিত তালিকায় প্রদত্ত টিপসহি নিজের নয় বলে উল্লেখ করেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১২ (৩ ক) দফা ২ এর উপদফা (ক) এর শর্ত লঙ্ঘিত হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী (প্রার্থীতার পক্ষে সমর্থন যাচাই) বিধিমালা ২০১১ এর ৫ বিধির আলোকে এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১৪ (৩) (গ) এর বিধান অনুসারে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদারের দাখিলকৃত মনোনয়ন পত্রটি বাতিল যোগ্য হওয়ায় বাতিল ঘোষনা করা হয়।

অন্যদিকে, গত ১ ডিসেম্বর প্রার্থীর সমর্থক ভূঞাপুরের মাদারিয়া গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে তালিকার ৩৪২৬ ক্রমিকে অন্তর্ভূক্ত ভোটার আরফান আলী শেখের নিখোঁজের বিষয়টি উল্লেখ করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়।

নিখোঁজ সমর্থককে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন ভূঞাপুরের ফলদা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াররম্যান মো. সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদুর ব্যক্তিগত গাড়িতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসা যাওয়ার বিষয়টি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সত্যতা যাচাই ও নির্বাচনের পরিবেশ অবাধ ও সুষ্ঠু রাখতে জেলা প্রশাসনের অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।

নিখোঁজ আরফান আলী শেখ বলেন, আমি কারো পক্ষে কোথাও কোন স্বাক্ষর দেইনি। এছাড়া নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

ফলদা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদু বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোন সমর্থক নিখোঁজের বিষয়টি জানেন না। আরফান আমার প্রতিবেশী ও আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা। সেই হিসেবে আমি তাকে সাথে নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েছিলাম।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু বলেন, আমি ১ ডিসেম্বর সমর্থক নিখোঁজের বিষয়টি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। অভিযোগের কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি, আমার বিশ্বাস আমি ন্যায় বিচার পাবো।

এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম জানান, সমর্থক নিখোঁজের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর একজন ভোটার স্বাক্ষর দেননি বলে দাবি করায় নিয়মানুযায়ী ওই মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. ডিসেম্বর ২০২৩ ০২:২১:এএম ১ বছর আগে
টাঙ্গাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঠান্ডুর মনোনয়নপত্র বাতিল - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঠান্ডুর মনোনয়নপত্র বাতিল

একতার কণ্ঠঃ ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতি করার অভিযোগে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও পদত্যাগকারী উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

জানা যায়, ঠান্ডু মনোনয়নপত্রে ভোটারের স্বাক্ষরে ভূঞাপুর উপজেলার মাদারিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের আরফান আলী সেকের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তবে আরফান আলী সেক স্বাক্ষরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু বলেন, ওই ব্যক্তি স্বাক্ষর দেওয়ার পর অস্বীকার করছেন। তবে তার বাড়িতে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি আপিল করবো।

আরফান আলী সেক বলেন, আমি কোথাও স্বাক্ষর দেই নাই। তবে আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। আমি এটার সুষ্ঠু বিচার চাই।

জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম জানান, ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর আবেদনে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর করে জমা দিয়েছেন। সেখান থেকে ১০ ভোটারের স্বাক্ষর ও তথ্য যাচাই বাছাই করার জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। সেখানে ৯টি ভোটারের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, তবে একটি ভোটারের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থন যাচাই বিধিমালা ২০১১ এর ৫ বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। পরে আইন অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:৩০:এএম ১ বছর আগে
টাঙ্গাইলে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের গতি; প্রাণ গেল আরও এক যুবকের - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের গতি; প্রাণ গেল আরও এক যুবকের

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কা লেগে আশিক মিয়া (২০) নামে এক যুবককের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গোপালপুর পৌর শহরের ভূঞারপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আশিক পৌর শহরের উত্তর গোপালপুর এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আশিক মোটরসাইকেলটি দ্রুত গতিতে চালিয়ে নবগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছে পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি হাইড্রোলিক ট্রাকের পেছনে ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়েন ও গুরুতর আঘাত পায়। এরপর স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

পরে ঢাকা নেয়ার পথে আশিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে পথিমধ্যে রোগীর স্বজনরা টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলিম আল রাজী জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় আশিক নামে এক আরোহীকে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. নভেম্বর ২০২৩ ০২:৩১:এএম ১ বছর আগে
গোপালপুরে আ’লীগের উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত - Ekotar Kantho

গোপালপুরে আ’লীগের উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত

একতার কণ্ঠঃ:টাঙ্গাইলের গোপালপুরে সরকারের উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর)বিকালে গোপালপুরের সূতি ভি.এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

একই সাথে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর প্রমুখ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মোমিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রউফ চান মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় এতোটা উন্নয়ন হয়েছে যে সাধারণ মানুষ এখন আবার শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় চায় হরতাল অবরোধের নামে বিএনপি ও জামায়াত দেশ জুড়ে অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও পোড়াও, নৈরাজ্য এবং খুনখারাপি শুরু করেছে। সরকার গণতন্ত্র তথা নির্বাচন কার্যক্রমকে যেমন এগিয়ে নিয়ে যাবে তেমনি এ সব অপশক্তিকে শক্ত হাতে দমন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আবার সরকার গঠন করবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. নভেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৭:পিএম ১ বছর আগে
টাঙ্গাইলে মেধা যাচাইয়ে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিল শিশুসহ সাড়ে ১২’শ শিক্ষার্থী - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মেধা যাচাইয়ে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিল শিশুসহ সাড়ে ১২’শ শিক্ষার্থী

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে মেধা যাচাইয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নেন- জেলার ভূঞাপুর, গোপালপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার ১৩০টি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রথম শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ১ হাজার ২৬০ জন শিক্ষার্থী। এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত হাজারো শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করেন- সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘প্রতিভা ছাত্র সংগঠন’। ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও ভূঞাপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে এ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরু হয় সকাল ১০ টায় এবং বেলা ১২ টায় শেষ হয়।

বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মোছা: রওশনরা খাতুন বলেন, আমি এবারই প্রথম এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। বৃত্তি পাওয়াটা বড় কথা নয়, অংশ গ্রহণ করাটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। আশা করছি পরীক্ষা ভালো হলে সফলতা অর্জন করতে পারব। আয়োজনকদের ধন্যবাদ।

৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন, মর্জিনা আক্তার, রুবেল মিয়া ও তৌহিদ হাসান বলেন, আমরা এবারই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। করোনার কারণে এরআগে অংশ নিতে পারেনি। প্রতিভা ছাত্র সংগঠন বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভাল লাগছে। প্রতি বছরই সংগঠনটি এমন আয়োজন করুক এমনটাই প্রত্যাশা।

এসময় পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন- ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহীউদ্দিন, ভূঞাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বাবু, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম প্রামাণিক, ফলদা শরিফুননেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার দত্ত প্রমুখ।

প্রতিভা ছাত্র সংগঠনের সভাপতি মো: রেজওয়ানুল করিম রানা বলেন, প্রতিভা ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হয় ২০১৯ সালে। করোনার প্রকোপ কাটিয়ে দুই বছর পর ফের পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। এবার ভূঞাপুরসহ পাশ্ববর্তী তিন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশুসহ ১ হাজার ২৬০ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. অক্টোবর ২০২৩ ০২:৫৫:এএম ১ বছর আগে
টাঙ্গাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে খলিল মন্ডল (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের কুমুল্লী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খলিল মন্ডল একই গ্রামের আব্দুল খালেক মন্ডলের ছেলে।

স্থানীয় ও স্বজনরা জানায়, খলিল কৃষিকাজ করতে গিয়ে দুপুরের দিকে ক্লান্ত হয়ে পড়লে মাঠের একটি সেচপাম্প ঘরের একপাশে ছায়ায় গিয়ে বসে। তার কিছুক্ষণ পর ওই ঘরের টিনের বেড়ার সাথে গা লাগিয়ে হেলান দেওয়ার সাথে সাথে তার শরীর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। বিষয়টি স্থানীয়রা দেখে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়াউল মোর্শেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে ওই ব্যক্তির মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. অক্টোবর ২০২৩ ০২:৪৭:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে পালালেন স্ত্রী - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে পালালেন স্ত্রী

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার দক্ষিণ বিলডগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগির নাম হায়দার আলী খান। তিনি উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বিলডগা গ্রামের মৃত ইদ্রিস খানের ছেলে।

হায়দার আলীর চাচা হাতেম আলী খান বলেন, প্রতিবন্ধী হায়দার আলী রেলওয়ে চাকরি নিয়ে জয়দেবপুরে কর্মরত ছিলেন। এরআগে বেলুয়ার একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা ও উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বড়শিলার একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। প্রথম স্ত্রী থাকা পরও হায়দার আলী আবার বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকতেন। উভয় সংসারে একটি করে ছেলে হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে একটি গরু কিনে বাড়িতে আসলে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে পুরো ঘরে রক্ত ছিটিয়ে থাকতে দেখে তিনি চিৎকার শুরু করেন। প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে তাকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এদিকে ঘটনার পর রাতেই প্রথম স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।

গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজি জানান, রক্তক্ষরণের কারণে রোগীর অবস্থা গুরুতর। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বিশেষ অঙ্গটি সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তের মা ও ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. অক্টোবর ২০২৩ ০১:১৮:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে বিএনপি’র ৪০ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বিএনপি’র ৪০ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

একতার কণ্ঠঃ উপজেলা আওয়ামীলীগের উপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় টাঙ্গাইল বিএনপির ৪০ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান নূর তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত পরিদর্শক তানবীর আহমেদ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কারাবন্দীরা হলেন, গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু হানিফ কিসলু, ইউনিয়র সেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক আলম খান, যুবদলের সদস্য সচিব হারুন, শ্রমিকদলের সদস্য সচিব জাফর মিয়া ও উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক বদিউজ্জামান বাদলসহ বিভিন্ন স্তরের ৪০ নেতাকর্মী।

আদালত পরিদর্শক তানবীর জানান, বৃহস্পতিবার সকালে গোপালপুর উপজেলা বিএনপি’র ৪০ নেতাকর্মী টাঙ্গাইল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জামিন নিতে আসেন। আদালতের বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল জানান, গায়েবী ও মিথ্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন ওই নেতাকর্মীরা। উচ্চ আদালতের নির্দেশে অনুসারে বৃহস্পতিবার সকালে গোপালপুর উপজেলার বিএনপি’র ওই ৪০ নেতাকর্মী টাঙ্গাইল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নিতে আসেন। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে তাদের অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরও জানান, নিপীড়ন-নির্যাতনের নীতি অবলম্বন করে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিশ্চিহ্ন করার পায়তারা চলছে। বিএনপির কর্মসূচিগুলোতে বিপুল জনসমাগম দেখে সরকার দিশেহারা বলেই জামিন বাতিলের হিড়িক পড়েছে। গ্রেফতার, জামিন বাতিল ও নির্যাতন করে আন্দোলনকে দমানো যাবে না। অবিলম্বে কারাবন্দী সকল নেতাকর্মীদের মুক্তির জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিক উদযাপন অনুষ্ঠানে গোপলপুর উপজেলা বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর ৬১জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে ২৮ দিনের জামিন পান ওই মামলার আসামীরা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৩. অক্টোবর ২০২৩ ০২:৫৩:এএম ২ বছর আগে
এমপি নির্বাচন করতে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ঠান্ডু - Ekotar Kantho

এমপি নির্বাচন করতে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ঠান্ডু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্বাক্ষরিত কাগজে বলা আছে- আমি গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে চেয়ারম্যানের পদের দায়িত্ব পালন করতে পারছি না বিধায় আমি উক্ত পদ হতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক। আমাকে গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ হতে পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

জানা যায়, ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি টাঙ্গাইল-২ (ভুঞাপুর-গোপালপুর) আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের বরাবর আবেদন করেন। পরে ৩ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করেন।

সদ্য পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল-২ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু গণমাধ্যমকে বলেন, আমি গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম কিন্তু চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। আমি তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ভূঞাপুর-গোপালপুরের জনগণ আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান। জনগণের চাপের কারণে তফসিল ঘোষণার আগেই চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।

তিনি আরও বলেন, আমার দীর্ঘ বিশ্বাস জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার আমাকে মনোনয়ন দিবেন। গোপালপুর-ভূঞাপুর আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা উপহার দিব। এই দুই উপজেলাকে স্মার্ট, মডেল ও সন্ত্রাসমুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শামীম আরা রিনি গণমাধ্যমকে জানান, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদত্যাগের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের বরাবর আবেদন করেন। পরে মন্ত্রণালয় পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মীর রেজাউল হক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক গণমাধ্যমকে জানান, আমি ভাররপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি । আমি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পাালনের চেষ্টা করবো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২. অক্টোবর ২০২৩ ০৩:৩৮:এএম ২ বছর আগে
পুত্র সন্তানের পিতা হলেন এমপি ছোট মনির - Ekotar Kantho

পুত্র সন্তানের পিতা হলেন এমপি ছোট মনির

একতার কণ্ঠঃ পুত্র সন্তানের পিতা হয়েছেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির ।

রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. তৃপ্তি রানী জান্নাত ও ডা. জান্নাতুল ফেরদৌসীর তত্ত্বাবধানে সিজারের মাধ্যমে নবজাতকের জন্ম হয়। ডাক্তার জানান বর্তমানে মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ আছেন।

নবজাতকের আগমনের খবর পেয়েই শ্বশুর সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এমপিকে মিষ্টি মুখ করান জামাতা ছোট মনির।

জানা যায়, দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছোট মনির ও ঐশী খান দম্পতির প্রথম সন্তানের নাম রাখা হবে।

তানভীর হাসান ওরফে এমপি ছোট মনির জানান, পৃথিবীতে এর থেকে আর কোন বড় পাওয়া নেই, ঘর আলোকিত হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। সন্তানের জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করছি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০. অক্টোবর ২০২৩ ০২:২৪:এএম ২ বছর আগে
ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেল, শিশুটির জৈবিক পিতা আ’লীগ নেতা বড় মনির নন - Ekotar Kantho

ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেল, শিশুটির জৈবিক পিতা আ’লীগ নেতা বড় মনির নন

একতার কণ্ঠঃ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা কিশোরীর জন্ম দেওয়া শিশুটির জৈবিক (বায়োলজিক্যাল) পিতা টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির নন। শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে এ তথ্য এসেছে।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের পর সোমবার (৯ অক্টোবর) শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ গোলাম কিবরিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদেশের পর গোলাম কিবরিয়ার আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, কিশোরীর জন্ম দেওয়া শিশুটির জৈবিক পিতা গোলাম কিবরিয়া নন বলে ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে এসেছে। আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে গোলাম কিবরিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রইল। এখন তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

মামলাটিতে গত ১১ জুলাই হাইকোর্ট রুল দিয়ে গোলাম কিবরিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল।

আবেদনটি গত ১২ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত গোলাম কিবরিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন। ধর্ষণের মামলা করা কিশোরীর জন্ম দেওয়া শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ২১ আগস্ট আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।

ধার্য তারিখে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আপিল বিভাগ ডিএনএ পরীক্ষাসংক্রান্ত ১২ জুলাই চেম্বার বিচারপতির দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি ৯ অক্টোবর শুনানির জন্য তারিখ রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার শুনানি হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পি। গোলাম কিবরিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন, গোলাম সারোয়ার ও তারেক মো. বিন আসাদ।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পি গণমাধ্যমকে বলেন, আপিল বিভাগের আদেশের পর শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে আসে। পরে প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করা হয়।

গোলাম কিবরিয়া টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। তিনি (গোলাম কিবরিয়া) জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতিরও মহাসচিব।

উল্লেখ্য, এক কিশোরী বাদী হয়ে গত ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে। গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও মামলায় আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে কিশোরী উল্লেখ করে, গোলাম কিবরিয়া তার আত্মীয় ও পূর্বপরিচিত। সম্প্রতি পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে কিশোরীর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের বিষয়টি গোলাম কিবরিয়াকে জানানোর পর তিনি সমাধানের আশ্বাস দেন।

মামলায় কিশোরী অভিযোগ করে, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর গোলাম কিবরিয়া শহরের আদালতপাড়ায় নিজের বাড়ির পাশের একটি ভবনে তাকে (কিশোরী) ডেকে নেন। সেখানে তার মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন গোলাম কিবরিয়া। পরে তাকে ধর্ষণ করে তার আপত্তিকর ছবি তুলে রাখা হয়। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য গোলাম কিবরিয়া তাকে ভয়ভীতি দেখান। আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে কিশোরী মামলায় অভিযোগ করে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০. অক্টোবর ২০২৩ ০১:২৫:এএম ২ বছর আগে
সংবর্ধিত হলেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক সিবিএ’র নির্বাচিত টাঙ্গাইলের ৩ কৃতি সন্তান - Ekotar Kantho

সংবর্ধিত হলেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক সিবিএ’র নির্বাচিত টাঙ্গাইলের ৩ কৃতি সন্তান

একতার কণ্ঠঃ পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মচারী(সিবিএ) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি, সহ-সভাপতি ও অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় টাঙ্গাইলের ৩ কৃতি সন্তান মো. এনামুল হক, মো. জাহিদুল ইসলাম ও শহিদুজ্জামানকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে টাঙ্গাইল পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

টাঙ্গাইল জেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের আঞ্চলিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী। অনুষ্ঠানে বরেণ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসান বিন-মুহাম্মদ আলী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা নবীন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ প্রমুখ।

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মচারী সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি ও অর্থ সম্পাদককে সংবর্ধনা প্রদান করায় টাঙ্গাইলবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, সিবিএ’র নব-নির্বাচিত সভাপতি মো. এনামুল হক।

তিনি বলেন, আমি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সন্তান। আমি কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় আপনারা যে সংবর্ধনা প্রদান করলেন এতে আমি কৃতজ্ঞ ও সন্মানিত বোধ করছি। এই সংবর্ধনা ভবিষ্যতে আমাকে কাজ করতে আরও উৎসাহিত করবে। বিশেষকরে ধন্যবাদ ও কতৃজ্ঞতা জানাতে চাই পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সকল সদস্যকে।

তিনি আরও বলেন, এই প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যেও আপনাদের এই বিপুল উপস্থিতি আমাকে কাজের অনুপ্রেরনা জোগাবে।

সকাল থেকে প্রতিকুল আবহাওয়া সত্বেও সংবর্ধনা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক টাঙ্গাইল জেলা শাখার বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. অক্টোবর ২০২৩ ০১:৫৫:এএম ২ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।