একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী ও গোপালপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে ধনবাড়ী উপজেলার কয়রাপাড়া এবং বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারী) রাতে গোপালপুর উপজেলার পৌরশহরের ভূয়ারপাড়ায় এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
ধনবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম জানান, সকালে ধনবাড়ীর কয়াপাড়া নামক স্থানে জামালপুর থেকে ঢাকাগামী ইট বোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে ধনবাড়ীগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন ট্রাকের চালক ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার টাকুরিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সোহেল মিয়া (৩২) এবং কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার চরআদ্রারা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে সুমন মিয়া (২৬)। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, কাঠ শ্রমিক বাবু গোপালপুরের হেমনগর ইউনিয়নের বেলুয়া গ্রাম থেকে গাছের গুঁড়ি বোঝাই নছিমনের ওপর বসে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভূয়ারপাড়ার সড়কে নছিমন উল্টে গেলে গুরুতর আহত হন তিনি। এ অবস্থায় স্থানীয়রা বাবুকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি গোপালপুরের ডুবাইল ঘটকবাড়ীর নূরুল ইসলামের ছেলে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় ৮৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৩৪১ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান,আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৫২জন, দেলদুয়ার উপজেলায় জন ১, সখীপুর ৪ জন, মির্জাপুরে ৭জন, কালিহাতী ৬ জন, ঘাটাইল ১২ জন ও গোপালপুর উপজেলায় ৩ জন নিয়ে মোট ৮৫ জন। জেলায় শনাক্তের হার শতকরা ২৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
তিনি আরো জানান, এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তে রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩০১ জন। আক্রান্তের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ১৬ হাজার ৬৮৮ জন। জেলায় সর্বমোট মারা গেছে ২৬০ জন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি।
অপরদিকে, টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের তিনজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় গত সোমবার থেকে দুইদিন ধরে নারী ও শিশু আদালতের সকল বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আলী আহমেদ জানান, আদালতের তিনজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার গত দুইদিন সকল বিচারিক কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৭৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ২১৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ৭৩ জনের করোনা সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শতকরা ৩৩ দশমিক ৯৫ ভাগ।সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২১৬ জন।আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৫৮ জন, দেলদুয়ার উপজেলায় ৩ জন, সখীপুর ২ জন, কালিহাতী ৩জন , মধুপুর ৪জন, ভূঞাপুর ২ জন ও গোপালপুর উপজেলায় ১ জন নিয়ে মোট ৭৩ জন।
তিনি আরো জানান, আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছে ১৬ হাজার ৬৭৫ জন।তবে ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি। জেলায় সর্বমোট করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬০ জন।
অপরদিকে, টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের তিনজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সোমবার নারী ও শিশু আদালতের সকল বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আদালতে তালা ঝুলছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আলী আহমেদ জানান, আদালতের তিনজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারনে সকল বিচারিক কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গোপালপুরে মারধর করে হ্যান্ডকাপসহ পুলিশের কাছ থেকে আসামী ছিনতাই করা হয়। হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন ও শফিকুল এবং পুলিশ সদস্য মাখন সূত্রধর। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের ভুটিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে হ্যান্ডকাপসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী রিপন (৩৮) চিলাবাড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং মিজানুর রহমান (৪০) ভুটিয়া গ্রামের মৃত ইনতাজ আলীর ছেলে। শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুইজনকে টাঙ্গাইলে কোর্টে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।
জানা যায়, আসামী রিপনের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও অপহরণ মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। পরে গোপালপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন ও শফিকুল ও পুলিশ সদস্য মাখন আসামী ধরতে শুক্রবার রাতে ধোপাকান্দি ইউনিয়নের ভুটিয়া এলাকায় যান। এসময় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী রিপনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় ধোপাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের ভাই মিজানুর রহমান তার লোকজন নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এসময় পুলিশদের মারধর করে হ্যান্ডকাপসহ আসামী ছিনিয়ে নেয় তারা।
পরে পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পুনরায় হ্যান্ডকাপসহ আসামী রিপনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় হামলায় নেতৃত্ব দেয়া মিজানুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে হামলায় আহত ৩ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গোপালপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসার সময় মিজানুর ও তার লোকজন পুলিশের উপর হামলা চালায়। এসময় হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে হ্যান্ডকাপসহ আসামী রিপন ও মিজানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিজান ধোপাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের ভাই। সে মাদকসেবী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ৩৬ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ হাজার ৮৩ জনে। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান ওই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ১৩ জন, বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ২৮ জন, বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ২৯ জন দেহে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, জেলায় বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র আরো জানায় ,বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ভোর ৬ টা থেকে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ভোর ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৮১ শতাংশ। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৭জন, সখীপুর, ঘাটাইল ও বাসাইল উপজেলায় ২ জন করে, দেলদুয়ার, ভূঞাপুর ও গোপালপুর উপজেলায় ১ জন করে রয়েছেন।
এ পর্যন্ত জেলায় সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৬৩৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় কোন রোগী মারা যায়নি। জেলায় এই যাবদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬০ জন।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, গণপরিবহনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বেশি ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ভ্রমণ করা ব্যক্তিরাই করোনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, করোনা প্রতিরোধে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির ১১২ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে।মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নগদা শিমলা বাজারের চাল ব্যবসায়ী বিপ্লব হোসেনের বাড়ি ও আয়নাল হকের দোকান থেকে বস্তাগুলো উদ্ধার করেন।
জানা যায়, চাল ব্যবসায়ী বিপ্লব হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে ৩০ কেজি ওজনের ৭০ বস্তা ও ৫০ কেজি ওজনের ১৬ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। পরে একই বাজারের আরেক চাল ব্যবসায়ী আয়নাল হোসেনের দোকানে অভিযান চালিয়ে ৫০ কেজি ওজনের আরও ২৬ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বিপুল পরিমাণ চাল জব্দ করেছি। নিয়মিত মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিচালিত উদ্ধার অভিযানে পুলিশ সদস্য, প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ হাজার বিনামূল্যের পাঠ্যবই গায়েব হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে অনেক শিক্ষার্থী পহেলা জানুয়ারি ‘বই উৎসব’ থেকে বঞ্চিত হবেন বলে শিক্ষকরা মনে করছেন।
পাঠ্যপুস্তক গায়েব হওয়ার অভিযোগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মর্জিনা পারভীনকে গত ২৩ ডিসেম্বর শো’কজ করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল আজিজ।
জানা যায়, উপজেলার ৬১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেনি পর্যন্ত ৩৫ হাজার পাঠ্যবইয়ের চাহিদা পাঠানো হয়। গত ৮ ডিসেম্বর পরিবহন ঠিকাদার সোহেল রানা গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মর্জিনা পারভীনকে চালানমূলে ওই সব বই বুঝিয়ে দেন। কিন্তু শিক্ষা অফিসার গ্রহনকৃত বই উপজেলা পরিষদের স্টোর রুমে না রেখে নিজ দায়িত্বে স্থানীয় সূতি সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে রেখে দেন।
সেখানে রাতের বেলা কোনো পাহারার ব্যবস্থা ছিলনা। গত ২২ ডিসেম্বর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বই বুঝিয়ে দেওয়ার সময় বই গায়েব হওয়ার ঘটনাটি ধরা পড়ে। দেখা যায় পঞ্চম শ্রেনির প্রাথমিক বিজ্ঞান ৪ হাজার ৯৫০ কপি এবং ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ৫ হাজার ৫০ সহ মোট ১০ হাজার কপি বই গায়েব হয়ে গেছে।
গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল করিম জানান, সকল পাঠ্যবই চালানমূলে ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মর্জিনা পারভীন। বই সংরক্ষণ রাখার কক্ষের চাবিও ছিল তার নিকট। তাহলে এসব পাঠ্য বই কিভাবে হাওয়া হয়ে গেলো তা নিয়ে তিনি এখন ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছেন। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ এমনকি থানা পুলিশকেও জানানো হয়নি।
পাঠ্যসপুস্তক গায়েব হওয়া নিয়ে পরিবহন ঠিকাদার সোহেল রানাজানান, চালানে স্বাক্ষর নিয়ে সকল পাঠ্যবই উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজেরা বই গায়েব করে এখন তাকে দোষারোপ করা হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মর্জিনা পারভীন জানান, ঠিকাদার বই কম দিয়েছে। অতগুলো বই এক সঙ্গে গুণে নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিলনা। চালান বুঝে নেওয়ার সময় তিনি তড়িঘড়ি দস্তখত করেছেন। জানতেন না ঠিকাদার ফাঁকি দিচ্ছেন। এখন বিকল্পভাবে নানাস্থান থেকে এসব বই সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন ।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, বই গায়েব হওয়ার মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা অফিস তাদের কিছুই জানায়নি। পুলিশ নিজ উদ্যোগে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ মল্লিক জানান, বই গায়েব হওয়ার খবরটি তিনি সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) শুনেছেন। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।রোববার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নুসরাত জাহান নিশি (১৯) নামের ওই গৃহবধূ উপজেলার ছয়ানি বকশিয়া গ্রামের আব্দুল আলিমের স্ত্রী।
নিহতের মায়ের দাবি, পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে হত্যার পর বোরকা পরে পালাতে চেয়েছিল আলিম। কিন্তু তার আগেই তারা গিয়ে ধরে ফেলেন। পরে এ ঘটনায় রাতেই নিহতের বাবা খোরশেদ আলম বাদি হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং আলিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় বছর আগে ছয়ানি বকশিয়া গ্রামের আলাল তালুকদারের ছেলে আব্দুল আলিমের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গোপালপুর উপজেলার কুরমোশিয়া গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে নুসরাত জাহান নিশির বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা যৌতুক নেয় আলিম। তারপরও বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতেন আলিম। টাকা নিয়ে আসতে অস্বীকৃতি জানালে নিশির ওপর চলত অমানবিক শারীরিক নির্যাতন।
নিহতের মা সুফিয়া বেগম বলেন, মেয়ে আমার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে সে ফোন করে জানায় তাকে আর লেখাপড়া করতে দেবে না তার স্বামী। তার স্বামী পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছিঁড়ে ফেলছে। মেয়ে আমার লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল।
এদিকে আলিমের পরিবার জানায়, নিশি রাগি ও জেদি প্রকৃতির মেয়ে ছিল। আমরা তাকে অনেক বুঝিয়েছি। সংসার করতে হলে অনেক কিছু ত্যাগ স্বীকার করে করতে হবে।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার আসামি আলিম ও তার বাবা-মাকে আটক করে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ সোহানুর রহমান সোহানকে সভাপতি ও ইলিয়াস হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এই কমিটির ঘোষণা করেন।নব ঘোষিত ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে জেলায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দলীয় প্যাডে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী এক বছরের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক শফিউল আলম মুকুলকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য করা হয়।
সোহানুর রহমান সোহান জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত আহবায়ক কমিটির সদস্য ও গোপালপুর উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক। তার বাড়ি গোপালপুর পৌরসভার সুন্দর গ্রামে। ইলিয়াস হাসান জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত আহবায়ক কমিটির সদস্য ও করটিয়া সাদত কলেজের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। তার বাড়ি সখিপুর উপজেলার বহেড়াতৈল গ্রামে।
প্রসঙ্গত, নব ঘোষিত ছাত্রলীগের এই কমিটি নিয়ে জেলায় ছাত্রলীগ নেতাদের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে। বিশেষ করে জেলা সদরের কোন ছাত্রলীগ নেতা এই কমিটিতে না থাকায় কমী-সমর্থদের মাঝে ওই ক্ষোভের সৃস্টি হয়। তাদের দাবী দ্রুত এই কমিটি পরিবর্তন করে জেলা শহর থেকে সভাপতি অথবা সাধারন সম্পাদক নির্বাচন করা হোক। দীর্ঘ প্রায় একযুগ পর টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হলেও ছাত্রলীগের আন্দোলন সংগ্রমে পরিক্ষীত নেতারা তাদের কাঙ্খিত পদ পায়নি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নির্মাণাধীন একটি দ্বিতল ভবনের নিচতলায় একটি রিমোট কন্ট্রোল বোমা রেখে খামে ভরে একটি চিঠি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সাথে ১০ টাকার একটি নোটও দেয়া হয়েছে। বুধবার(২৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার নন্দনপুর এলাকার প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বাসায় ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ওই চিঠি দেয়া হয়। গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. মাসুম ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত। তার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম প্রথম চিঠিটি দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসাটি ঘিরে রেখেছে।
চিঠিতে লেখা রয়েছে, এক লাখ টাকা নিয়ে রাস্তায় হেঁটে কিছু দূর গিয়ে একটি চালতা গাছের নিচে চিপসের হলুদ প্যাকেটে রাত দশটার মধ্যে রাখতে বলা হয়েছে। তা না হলে রাত সাড়ে দশটায় ভবনে রাখা রিমোট কন্ট্রোল বোমাটি ফাটিয়ে দেয়া হবে।
চিঠিতে আরো লেখা রয়েছে রিমোট কন্ট্রোল বোমাটিতে হাত না দিতে এবং পুলিশকে না জানাতে। পুলিশকে জানালে তার ছেলে এবং মেয়ে কে গুলি করে মেরে ফেলা হবে।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. মাসুম ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বোমা সাদৃশ্য একটি বস্তু দেখেছি। বাড়িটি পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে বোম ডিসপোজাল ইউনিট আসলে বোমার মতো সাদৃশ্য বস্তুটি আসলে কি তা বলতে পারা যাবে ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে লাভলী আক্তার (১৫)। এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী তিনি। কিন্তু হঠ্যাৎ করেই লিঙ্গ পরিবর্তন হয়ে তিনি মেয়ে থেকে ছেলেতে পরিণত হলেন। এমনকি নিজের নাম লাভলী থেকে পরিবর্তন করে রেখেছেন আব্দুল্লাহ জিসান।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের নঠুরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামে। তাকে এক নজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করেছেন বিভিন্ন এলাকার উৎসুক জনতা। শনিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হালিমুজ্জামান তালুকদার।
লাভলী আক্তার (আব্দুল্লাহ জিসান) নঠুরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের লাভলু মিয়ার বড় মেয়ে ও মির্জাপুর বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
হালিমুজ্জামান তালুকদার জানান, প্রায় কয়েক মাস আগে লাভলী আক্তারের মধ্যে ছেলেদের মতো ভাব আসে। একবার তার বিয়েও ঠিক হয়েছিলো। লিঙ্গ পরিবর্তনের কারণে সে বিয়েতে মত দেয়নি। কিন্তু ওই সময়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি তার পরিবার। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বিষয়টি জানাজানি হলে লাভলী আক্তারের বাড়িতে উৎসুক জনতার ভীড় জমে। তাকে এক নজর দেখতে দূর দুরান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে লোকজন আসছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রানা খান জানান, প্রতিদিন লাভলী আক্তারের (আব্দুল্লাহ জিসান) বাড়িতে কয়েক হাজার মানুষ আসে তাকে দেখতে। সবাই কৌতুহল নিয়ে তাকে দেখছে।
লাভলী আক্তারের (আব্দুল্লাহ জিসান) বাবা লাভলু মিয়া বলেন, তিনি তার স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর দিনরাত মানুষ ভিড় করছে তাকে দেখার জন্য। এখন তার শারীরিক গঠন পুরুষের মতো। এছাড়া চেহারাতেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। মেয়ে থেকে ছেলেতে পরিণত হওয়ার পর তার নাম রাখেন আব্দুলাহ জিসান।
তিনি আরো বলেন, শনিবার দুপুরে তার মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। মাথার চুল কেটে দেয়া হয়েছে। পায়জামা, পাঞ্জাবি কিনে দেওয়া হয়েছে।
তার মা পারভিন আক্তার বলেন, ছয় মাস আগে লাভনী আক্তারের (আব্দুল্লাহ জিসান) বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ে করতে অসন্মতি প্রকাশ করে সে সময় লাভলী আক্তার তার মাকে লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়টি জানান। কিন্তু তার মা ঘটনাটি বিশ্বাস করেননি। পরে তিনি সবকিছু জেনে শুনে বিশ্বাস করেন।
লাভলী আক্তার (আব্দুল্লাহ জিসান) বলেন, সাত মাস আগে থেকেই তিনি বিষয়টি বুঝছেন। প্রথমে তিনি তার চাচীকে জানান। এরপর তার বাবা মা বিষয়টি জানে। এসএসসি পরীক্ষার পর বিষয়টি প্রকাশ করার তার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু তার আগেই প্রকাশ পেয়েছে।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজি জানান, ‘স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমাদের দেশে মাঝে-মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এটা সাধারণত হরমোন জনিত সমস্যার কারনে হয়ে থাকে। আমি এই বিষয়েরই ডাক্তার। রোববার (১০ অক্টোবর) পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হবে। সেখানে টিউমার থাকতে পারে।’
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নূরুল ইসলাম নূরু’র (৫৭) মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার(৭ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে টাঙ্গাইলের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি। নূরুল ইসলাম নূরু উপজেলার বাশকাইলের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে। তিনি নগদাশিমলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বাইশকাইল পূর্বপাড়া কেন্দ্রীয় ঈদ গাঁ মাঠে নূরুল ইসলাম নূরু’র জানাজা নামাজ শেষে সামাজিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। মরহুমের জানাজা নামাজে হাজারো মানুষের ঢল নামে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে তিনি দীর্ঘদিন ধরে দিন-রাত জনসেবা ও গণসংযোগ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।বৃহস্পতিবার জোহর নামাজ আদায় করে থানাব্রীজ সংলগ্ম চা স্টলে স্থানীয়দের সাথে নির্বাচনী আলোচনা করেন তিনি। বিকাল ৪টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে পাশেই নিজস্ব মালিকানায় পরিচালিত আলিফ ডিজিটাল ক্লিনিকে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাকে টাঙ্গাইলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে স্থানান্তর করেন। সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির সেখানে যান। তিনি বলেন,নুরুল ইসলাম একজন সৎ ও ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি।