একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক শহীদ আমিনুল ইসলাম তালুকদার নিক্সন হত্যার বিচার চাইবো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। টাঙ্গাইল-২ আসনের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে হত্যায় জড়িতের বিচার চাইবো।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে গোপালপুর উপজেলা স্বাধীনতা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে শহীদ নিক্সন স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে এ স্মরণ সভার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ওরফে ঠান্ডু।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী ও ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ।
শহীদ নিক্সন স্মৃতি সংসদের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রকিবুল হক ছানা, গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম আক্তার মুক্তা, ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম তরফদার, শহীদ নিক্সনের সহধর্মিণী ও হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিলকিস জাহান, শহীদ নিক্সন স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফেরদৌস ওয়াহিদ রিপন প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা নিক্সন হত্যার বিচারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাবো আমরা গোপালপুর ও ভুঞাপুরের নেতাকর্মীরা। তার কাছে বিচার চাইবো যারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে যাদের নাম বিভিন্ন পত্রিকায় আসছে তাদের বিচার করার জন্য।
এ সময় বক্তারা বলেন, আমিনুল ইসলাম নিক্সন একজন শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা ছিলেন। বক্তারা নিক্সনের হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ ফাঁসি দাবী করেন।
এদিকে সোমবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ আমিনুল ইসলাম তালুকদার নিক্সনের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের আজগড়াতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় আজগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বন্ধ আজগড়া মোড়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শহীদ আমিনুল ইসলাম তালুকদার নিক্সনের সহধর্মিণী ও হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিলকিস জাহান, নিক্সনের ছোট ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদার, ওই ইউপির ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মামুনুর রশিদ, হোসাইন মোহাম্মদ রাসেল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা নিক্সনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিক্সনকে হত্যা করে হাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে দূর্বল করার নীলনকশা যারাই করে থাকেন না কেনো তাদের এ উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ঘাটি। তাই দ্রুত নিক্সন হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে খুনিদের ফাঁসি দাবি জানান এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, লায়ন নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক, আজগড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আজগড়া অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আজগড়া শেখ রাসেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল ইসলাম তালুকদার নিক্সনকে (৪৮) কে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদের আগের দিবাগত রাতে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। শহীদ নিক্সনের বাড়ি হাদিরা ইউনিয়নের আজগড়া গ্রামে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পথসভা করেছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ।
বৃহস্পতিবার (২০জুলাই) রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বরর্শিলা বাজারে এই পথসভার আয়োজন করে ৫নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ।
গোপালপুর উপজেলা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফখরুদ্দিন শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও ভুঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, ভুঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সরন দত্ত, গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি হারুন অর রশিদ তালুকদার গোপালপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক, ভুঞাপুর উপজেলা যুগ্ম সম্পাদক সাহিনুল ইসলাম তরফদার বাদল, জেলা পরিষদের সদস্য খায়রুল ইসলাম তালুকদার বাবলু, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বাছেদ মন্ডল, অজুর্না ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী মোল্লা, আলমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হালিম উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বাক আশরাফুজ্জামান আজাদ, নজরুল ইসলামসহ গোপালপুর ও মির্জাপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।
পথসভায় বক্তারা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদকে মনোনয়ন দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
পরে সরকার উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে তৈরি লিফলেট বিতরণ করা হয় স্থানীয়দের মাঝে।
একতার কণ্ঠঃ ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাত ২টার দিকে গোলপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলার শিকার আহতরা হলেন- ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম মহব্বত, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শরীফ হোসেন, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক বিজয় সরকার, বানিয়াজান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অন্তর হাসান, যদুনাথপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমন, সাধারণ সম্পাদক মামুন খান।
এছাড়াও বলিভদ্র ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ আজিজুর রহমানের ছেলে মির্জা হাবিব হাসান, মুশুদ্দি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি স্বাধীন, বীরতারা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহান হাসান ও মাইক্রোবাসের চালকসহ কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়।
জানা গেছে, ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতকর্মীরা নয়াপল্টনে দলীয় সমাবেশে যোগদানের জন্যে মঙ্গলবার রাতে একটি মাইক্রোবাসযোগে রওনা হয়। রাত আনুমানিক দুইটার দিকে মাইক্রোবাসটি গোপালপুর উপজেলার শিমলা বাজারের কাছে পৌঁছলে দেশীও অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে তাদের উরপর হামলা চালায় দৃস্কৃতকারীরা।
এ ঘটনায় এলোপাথারি কুপিয়ে ও লাঠির আঘাতে ১২ জনকেই আহত করা হয়। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্ককাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাদেরকে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজুর রহমান বলেন, বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গোপালপুর শিমলা বাজারে পৌছলে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা মাইক্রোবাস থামিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় । এতে মাইক্রোবাসের ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্ককাজনক।
এ ঘটনায় গোপালপুর থানার (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে কারা কি কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া কারো অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বৈরান নদী সাঁতরে পার হওয়ার সময় পানিতে ডুবে বারেক (৬৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার নগদা-শিমলা ইউনিয়নের মাকুল্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বারেক গোপালপুর উপজেলার নগদা-শিমলা ইউনিয়নের সেনের মাকুল্যা গ্রামের মৃত বাহাজ আলীর ছেলে।
প্রতিবেশী আব্দুল মালেক জানায়, বারেক হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। ঘটনার দিন বারেক মাকুল্যা গ্রামের কবরস্থান এলাকা থেকে নদী সাঁতরে অপর প্রান্তে যাওয়ার সময় পানিতে ডুবে যায়। এরপর আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, পরে টাঙ্গাইল থেকে ডুবুরির দলের দুইটি ইউনিট এসে নদীর তলদেশ থেকে বারেকের মরদেহ উদ্ধার করে।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য পাঠিয়েছিলাম। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর ট্রেনে কাটা পড়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের মোহাইল গ্রামে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার রাজগোলাবাড়ী গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মোঃ আরজু ( ৫০ ) ও তার স্ত্রী সম্পা বেগম (৪৫ ) ।
ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান জানান, দুপুরে স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মোহাইল গ্রামে যুগীরগোপা নামের একটি দরগায় শিন্নি দিতে যান।সেখান থেকে রেল লাইন দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তারা রেল সেতু পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ভূঞাপুরগামী ৩৭ নম্বর মেইল ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন।এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
তিনি আরোও জানান, খবর পেয়ে নিহতদের লাশ স্বজনরা নিয়ে যায়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ফসলের মাঠ (চক) থেকে গরু আনতে গিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ফজলুল হক (৫০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এতে ফজলুল হকের শরীরের বিভিন্ন অংশ ভষ্মিভুত হয়ে যায়।
বুধবার (২১ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে গোপালপুর উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের বাইশকাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফজলুল হক ওই গ্রামের জহুর আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন।
তিনি জানান, ফজলুল হক দুপুরে মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। হঠাৎ বজ্রপাতের কবলে পড়েন তিনি। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে তার মরদেহ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পথসভা করেছে আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাদুসুল হক মাসুদ।
শনিবার (১০ জুন) বিকেলে উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচার উপলক্ষে এই পথসভার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (ভূঁঞাপুর-গোপালপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক লুৎফুর রহমান, ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সরন দত্ত, যুগ্ম সম্পাদক সাহিনুল ইসলাম তরফদার বাদল, ভূঞাপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল বাছেদ মিঞা, অজুর্না ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী মোল্ল্যা, গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরাম উদ্দিন তারা মৃধা, সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন, গোপালপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান আজাদ প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে উপজেলার আলমনগর, মির্জাপুর ইউনিয়ন ও গোপালপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে সাধারণ মানুষজনের মাঝে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড নিয়ে তৈরি করা লিফলেট বিতরণ করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নিজ ঘর থেকে রিয়া মনি মীম (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন তালুকদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মীম ওই এলাকার গোলাম কিবরিয়া রিপন তালুকদারের মেয়ে। সে স্থানীয় নলিন আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এবছর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নিহত মীমের মা সালমা বেগম (৪০) মেয়েকে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে বাড়িতে প্রায়ই মা-মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া হত। বৃহস্পতিবার ঝগড়ার পর বিকেলে মীমের মা তার বাবার বাড়ি ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রামে চলে যায়। সেখান থেকে তার ছোট বোন শারমিনকে (১৯) সঙ্গে নিয়ে রাতেই বাড়ি ফেরেন। রাত ১২টার দিকে ঘরে মীমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বাবা গোলাম কিবরিয়া রিপন তালুকদার বলেন, গভীর রাতে শ্যালিকা শারমিন আমাকে মোবাইল ফোনে জানায় মীম গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রাতেই মীমের ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়েছে তার মা ও খালা। পরে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তারা মীমের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
গোপালপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে মরদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন এবং নাক-মুখ দিয়ে ফেনা ও রক্ত পড়তে দেখা গেছে। লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের মাকে অসুস্থ অবস্থায় এনে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে সড়কের ওপর অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ মে) দুপুরে উপজেলার গোপালপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক সড়কের গোপালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরে সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিক্ষোভকারীরা। মানববন্ধনে স্থানীয়রা ছাড়াও ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন গোপালপুর পৌর মেয়র রকিবুল হক ছানা, কাউন্সিলর মঈনুদ্দিন বাবু ও নাসিরুদ্দিন শিকদার, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদ হাসান, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শফিকুর রহমান শফিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল রহমান বিমান, ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর রানা ও ইকবাল সোহেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে যাত্রীবাহী বাস না রেখে অবৈধভাবে সড়কের ওপর পার্কিং করে রাখে। এতে প্রতিনিয়ত গোপালপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। গত ২৮ মে ওই সড়কে মোটরসাইকেলে আরোহী এক যুবক নিহত হয়।
বক্তারা আরও বলেন, এ ছাড়া সম্প্রতি কয়েকটি দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। এরপরও সড়কের ওপর পার্কিং করা বন্ধ হচ্ছে না।
গোপালপুর পৌর মেয়র রকিবুল হক ছানা জানান, সড়কে পার্কিং না করতে বারবার শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের অবহিত করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। বিষয়টি একাধিকবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উত্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান,তবু সড়কের ওপর অবৈধ পার্কিং বন্ধ হয় না। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে। অবৈধ পার্কিং বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, অবরোধ তুলে নেয়ার পর সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য মেয়র, পরিবহন শ্রমিক মালিক সমিতির নেতা ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পিকআপভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ (৩২) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৮ মে) সকালে পৌর শহরের গোপালপুর কলেজ রোডের ভূঞারচক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মিরাজ পৌর এলাকার সুন্দর গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী গোপালপুর কলেজের প্রভাষক মোঃ মাইনুর রহমান জানান, গোপালপুর থেকে মোটরসাইকেল যোগে মিরাজ ঘাটাইলের দিকে যাচ্ছিল। কলেজ সংলগ্ম রোডে সারি সারি বাস পার্কিং করার কারণে রাস্তার এক পাশ দিয়ে ঘাটাইল থেকে একটি পিকআপভ্যান দ্রুত গতিতে গোপালপুরের দিকে আসছিল। ওই রোড দিয়েই মোটরসাইকেল আরোহী মিরাজ ঘাটাইলের দিকে যাচ্ছিল। পৌর এলাকার ভূঞারচক নামকস্থানে পিকআপভ্যানের চালক মোটরসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়।
তিনি আরোও জানান, পরে স্থানীয়রা পিকআপভ্যানের চাকার নিচ থেকে মোটরসাইকেলসহ আহত মিরাজকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ছয় জুয়ারিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে গোপালপুর থানা পুলিশ।
বুধবার (১০ মে) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে যাওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন, ঘাটাইল উপজেলার পাঞ্জনা গ্রামের মো. শাহাদৎ খানের ছেলে মো. সিয়াম খান (২৭), গোপালপুর উপজেলার সুন্দর গ্রামের মো. মজিবর রহমানের ছেলে মো. আব্দুল মোমিন (২৮), নন্দনপুর ফকিরবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল সামাদের ছেলে খন্দকার আব্দুল জলিল (৫০), ঝাওয়াইল গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. জহির মিয়া (৩০), ডুবাইল আটাপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল কাশেমের ছেলে মো. মেহেদী হাসান (২৪) ও মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ আলী আহমেদ সোহাগ (২৮)।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার (৯ মে) মধ্য রাতে থানার এসআই মো. শফিকুল ইসলাম ওয়ারেন্ট তামিল ও মাদক উদ্ধার ডিউটি করার সময় খবর পান নন্দনপুর গ্রামের রঞ্জু মিয়ার পতিত জমিতে তাস দিয়ে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা চলছে।
তিনি আরোও জানান, পরে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে ১৮৬৭ সালের প্রকাশ্য জুয়া আইনের চার ধারায় মামলা করা হয়। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হলে বিচারক তাদের টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের কামারকুমুল্লী গ্রামের জয়গন বেগমের অবস্থা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের কাদম্বিনীর মতো । ৬৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা বিধবা ভাতা উঠাতে গেলে উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে তাকে জানানো হয়, ভাতা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ তার জাতীয় পরিচয়পত্রে তিনি মৃত। পরে নির্বাচন অফিসে খোঁজখবর নিলে জানতে পারেন হালনাগাদ ভোটার তালিকায় তাকে মৃত দেখানো হয়েছে। সেই থেকে এই বিধবা নারীর বিধবা ভাতা বন্ধ রয়েছে।
শুধু জয়গনই নন, উপজেলায় নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে হালনাগাদ করা ভোটার তালিকায় বিপুলসংখ্যক জীবিত মানুষকে মৃত হিসেবে দেখানো হয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নানা কাজে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। এ ধরনের ভুলের সঙ্গে সম্পৃক্ত যারা, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এই সব ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে উপজেলার ২৭ জন মৃত ব্যক্তি জীবিত হয়েছেন। আরও ২০৩ জনের প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে!
জয়গনের নাতি রুমা (২৫) আক্তার জানান, নির্বাচন অফিস থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। পরে আলমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সঙ্গে যোগাযোগ করে তার কাছ প্রত্যয়নপত্র নিয়ে দাদিকে সশরীরে নির্বাচন অফিসে গিয়ে প্রমাণ করতে হয় তিনি জীবিত আছেন।
আলমনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রুহুল আমীন জানান, নির্বাচন অফিস থেকে যাদের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা দায়িত্ব অবহেলা করেছেন। ফলে এই ইউনিয়নের অনেক জীবিতকে মৃত হিসেবে দেখানো হয়েছে।
আলমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মোমেন জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্যে ভুলের বিষয়টি আমি জানি। নির্বাচন অফিস থেকে ডেটাবেজে ভুল করেছে। ভুক্তভোগীদের জাতীয় পরিচয়পত্রে এমন ভুলগুলো সংশোধনে সহযোগিতা করছি।
গোপালপুর পৌরসভার মেয়র মো. রকিবুল হক সানা জানান, যাদের ভোটার তালিকায় মৃত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা পৌরসভায় যোগাযোগ করলে আমরা ঠিক করে দিচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য মাঠকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা সবাই ছিলেন স্কুলশিক্ষক-শিক্ষিকা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করেন তারা। তাদের কাজের নিয়মাবলি শিখিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। জীবিতদের মৃত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
তিনি আরও জানান, ২০০৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত উপজেলায় ২৭ জন ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে। যাদের জীবিত অবস্থায় তথ্য হালনাগাদে মৃত দেখানো হয়েছে, তারা জীবিত ফরমে আবেদন করলে সেগুলো সংশোধন করে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান,এ ছাড়া ২০২২ সালের তথ্য হালনাগাদে আরও ২০৩ জনের তথ্যে মৃত উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সংশোধনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। অনুমতি পেলে এদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) আসফিয়া সিরাত জানান, বিষয়টি জেনেছি এবং নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে মোট ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ২৩৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৪ হাজার ২২ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ১৩ হাজার ৭১২ জন।