একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার স্ত্রীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের সদর উপজেলার রাবনা বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ঘাটাইল উপজেলার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা ও কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনের স্ত্রী নুসরাত জাহান হিমু (৩০) ও গোপালপুর উপজেলার চরচতিলা মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও উত্তর বিলডোবা গ্রামের মৃত নঈম আলী মন্ডলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হিমু তার শাশুড়ি ফরিদা বেগমকে চিকিৎসক দেখানোর জন্য ঘাটাইল থেকে অটোরিকশাযোগে টাঙ্গাইল যাচ্ছিলেন। অপরদিকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সাইফুল ইসলামও চিকিৎসক দেখাতে যাচ্ছিলেন। তাদের অটোরিকশাটি ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহসড়কের রাবনা বাইপাস এলাকায় পৌঁছালে উত্তরবঙ্গগামী একটি যাত্রীবাহী বাস সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাইফুলের মৃত্যু হয়।
এ সময় গুরুতর আহত হন হিমু ও তার শাশুড়ি ফরিদাসহ তিনজন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হিমুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে ঢাকার নেওয়ার পথে হিমুর মৃত্যু হয়।
নিহত হিমুর চাচা আলতাব হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার(১ সেপ্টেম্বর) হিমু পাকুন্দিয়া থেকে তার শ্বশুর বাড়িতে এসেছে। শুক্রবার শাশুড়িকে চিকিৎসক দেখাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলো।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. নবীন জানান, ঘাটাইল থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে টাঙ্গাইল যাচ্ছিল। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গাইবান্ধাগামী বাসের সঙ্গে অটোরিকশাটির ধাক্কা লাগে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশে একটি খেলা এখন সময়ের অপেক্ষা। আর সেই খেলা হবে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক শক্তির এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির। একাত্তর, পঁচাত্তর এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার খুনিরা সবাই এক। ওরা দেশে আবার খুনোখুনির খেলা শুরু করেছে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যার টাঙ্গাইলের গোপালপুরে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্থানীয় সরকারি সূতি ভিএম পাইলট হাই স্কুল মাঠে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সৈনিকরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তারাও খেলায় নামবে। সেই চূড়ান্ত খেলায় খুনিরা পরাস্ত হবে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আবারও জয়লাভ করবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা শুধু দেশের সম্পদ নয়, আগামী প্রজন্মের জন্য আইডল। তিনি হেরে গেলে বাংলাদেশ পথ হারাবে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি হবে আফগানিস্তানের চেয়েও ভয়াবহ। আমাদের সামনে এই যে মরণপণ খেলা অপেক্ষা করছে সেটির জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সবাইকে মাঠে নেমে খেলতে হবে। আর খেলায় খুনিরা নিশ্চিত হেরে যাবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আব্দুল মোমেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি।
বক্তৃতা করেন স্থানীয় এমপি ছোট মনির, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ, আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নিখোঁজের ৭ দিনে পর বাঁশ ঝাড়ের পাশে ডোবায় মিলল হৃদয় (১৩) নামে এক স্কুল ছাত্রের লাশ।
রবিবার(২৮ আগস্ট) সকালে উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের পলশিয়া গ্রামের ওই ডোবায় তার অর্ধগলিত লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।
হৃদয় ওই গ্রামের মোস্তফা মিঞার ছেলে ও স্থানীয় শিমলা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হৃদয় গত ৭দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। গত সোমবার ( ২২ আগস্ট) সকালে শিমলা বাজারে যাওয়ার কথা বলে সে বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি। হৃদয়ের বাবা মোস্তফা দরিদ্র ভ্যান চালক। নিখোঁজের পর থেকে আত্বীয়স্বজন ও ছেলের বন্ধুবান্ধবসহ সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ খবর নেন তিনি। কোথাও ছেলের সন্ধান না পেয়ে গত বুধবার (২৪ আগস্ট) গোপালপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন।
রবিবার সকালে বাঁশের পাতা আনতে স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই ঝাড়ে গিয়ে ডোবায় একটি লাশ ভাসতে দেখেন। পরে তার ডাকচিৎকারে লোকজন এসে লাশটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে হৃদয়ের স্বজনরা লাশ সনাক্ত করেন।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হৃদয়ের বাবা থানায় নিখোঁজ ডায়রী করার পর পুলিশ সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ নিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান,লাশের ময়না তদন্তের প্রতিবেদন ও অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গােপালপুরে নিখোঁজের একদিন পর নদীতে মিলল মিতু (৮) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীর লাশ।
বৃহস্পতিবার(১৮ আগস্ট) সকালে ঝাওয়াইল বেইলী ব্রীজের নিচে ঝিনাই নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
মিতু উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের দড়িসয়া গ্রামের নয়ন দত্তের মেয়ে ও স্থানীয় পাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, বুধবার বিকালে মিতু নদীতে গােসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজির পর ডুবুরিদের খবর দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে ডুবুরির দল নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
গোপালপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাে. মােশারফ হােসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিবারের কারাে কোন অভিযােগ না থাকায় বিনা ময়না তদন্তে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বৈরান নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় রামেশ্বর চন্দ্র সূত্রধর (৭০) নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃত রামেশ্বর চন্দ্র সূত্রধর পৌর এলাকার হাটবৈরান গ্রামের বাসিন্দা ।
পরিবার সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকাল থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন । নিখোঁজ থাকায় পরিবারের পক্ষ থেকে গোপালপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছিল।
এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাতে বৈরান নদে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন এলাকাবাসী।গোপালপুর থানার পুলিশ বুধবার (৩ আগস্ট) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে।এসময় রামেশ্বর চন্দ্র সূত্রধরের স্বজনরা লাশটি শনাক্ত করেন ।
স্থানীয় হাটবৈরান গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল বাসেত জানান, বিগত দুইদিন থেকে এলাকাবাসী বৈরান নদের মাঝখানে ভাসমান বস্তু দেখতে পায়, মরদেহ দৃশ্যমান হলে লোকজন পুলিশে খবর দেয়।
রামেশ্বরের ছেলে সাধন চন্দ্র সুত্রধর জানান, গত বৃহস্পতিবার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় তার বাবা নিখোঁজ হন, লাশ ফুলে যাওয়ায় শনাক্ত করতে অসুবিধা হলেও হাতেের আংটি ও হাত পায়ের গড়ন দেখে সবাই মিলে শনাক্ত করেছি এটাই বাবার লাশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযোগ জানাবেন।
এ বিষয়ে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, রামেশ্বর চন্দ্র সুত্রধর নিখোঁজ হওয়ার পর তার স্বজনরা এসে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি টাঙ্গাইলের তৃতীয় পর্যায় দ্বিতীয় ধাপে ৩৪৯ জন গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমিসহ বাড়ির কবুলিয়ত দলিল হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গোপালপুর উপজেলায় মোট ১৯৪টি পরিবারকে ভূমিহীন ও গৃহহীন (‘ক’ শ্রেণির পরিবার হিসাবে) চিহ্নিত করা হয়। এদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৬৮টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৯০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। কিন্তু এদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে বরাদ্দ পাওয়া ১০টি পরিবার জীবিকার তাগিদে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যাওয়ায় ১০টি বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করে পূর্বের তালিকাভুক্ত পরিবার থেকে নতুন করে ১০টি পরিবারকে বাছাই করা হয়। বাছাইকৃত ওই পরিবারগুলোকে খালি বাড়িগুলোতে পুনর্বসন করা হয়েছে।
এছাড়া অত্র উপজেলায় ‘ক’ শ্রেণির ভূমি ও গৃহহীন ছিল ২৬টি পরিবার। সর্বশেষ তৃতীয় পর্যায়ে ওই ২৬টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সেহেতু অত্র উপজেলায় কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন অর্থাৎ ‘ক’ শ্রেণির পরিবার অবশিষ্ট নেই।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তরের সময় টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শামীম আরা রিনি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি জানান, জেলায় তিন হাজার ২০৬টি ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবার চিহ্নিত করা হয়। এদের মধ্যে দুই হাজার ৯৯৩টি পরিবারকে বাড়ি দেওয়া হয়েছে। এ জেলায় অবৈধ দখলে থাকা ১৫০ বিঘা খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এই জমির মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। উদ্ধার করা জমিতে আশ্রয় প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছে সারা বাংলাদেশে একজন মানুষও ভূমি ও গৃহহীন থাকবে না। তারই অংশ হিসেবে সারা বাংলাদেশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। ইতোপূর্বে যে সব গৃহহীনদের মধ্যে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সব আশ্রয়ণে বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ, বৃক্ষরোপন করা হয়েছে। এছাড়াও গৃহহীনদের স্বাবলম্বী করতে সেলাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। বন্যায় ভাঙনের শিকার হয়ে যে সব মানুষ গৃহহীন ও ভূমিহীন হয়েছে তাদেরও তালিকা প্রস্তুত করে বাড়ি নির্মাণ করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় আব্দুল্লাহ (৭) নামে এক মাদ্রাসাছাত্র নিহত হয়েছে।
রোববার (৩ জুন) দুপুরের উপজেলার আলমনগর বাজার এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল্লাহ আলমনগর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। সে আলমনগর দাখিল মাদরাসার নুরানী শাখার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আলমনগর দাখিল মাদরাসার সুপার আমিনুল ইসলাম মারুফি জানান, আব্দুল্লাহ মাদ্রাসা ছুটির পর সড়কের পাশ দিয়ে সহপাঠী বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে বাজার এলাকায় একটি অটোরিকশা আসতে দেখে সহপাঠী ও আব্দুল্লাহ দু’দিকে দৌড় দেয়।
তিনি আরো জানান, এ সময় অটোরিকশার চালক একজনকে বাঁচাতে গাড়ি ঘোরানোর সময় আবদুল্লাহকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আহতাবস্থায় স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে মাঠ থেকে ছাগল আনতে গিয়ে বজ্রপাতে সোনালী নামে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।শুক্রবার (১জুলাই)সন্ধ্যায় হাদিরা ইউনিয়নের বন্দে হাদিরা গ্রামে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সোনালী ওই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, ভাদুরী চর মহিলা মাদরাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সোনালী তার বান্ধবী রিমার সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ির পাশের ক্ষেতে ছাগল আনতে যায়। এমন সময় বজ্রপাত হয়। রিমা দৌড়ে বাড়ি ফিরতে পারলেও সোনালী মাটিতে পড়ে যায়। বজ্রপাতে তার গলা থেকে নাভি পর্যন্ত পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে।
বৃষ্টির পর রিমার মা বাড়ির পাশে গেলে সোনালীকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করে। পরে স্থানীয়রা এসে তার লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।
গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি )মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের বাড়ি গিয়ে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল করেন এবং কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পুকুরে গোসল করার সময় বজ্রপাতে হামিদা বেগম (৭২) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেলে গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের বেড়া ডাকুড়ী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত বৃদ্ধা ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা থেকে নুরুল ইসলাম ও স্ত্রী হামিদা বেগম বাড়ি ফেরেন। বিকেলে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যান হামিদা। এসময় বৃষ্টিসহ বজ্রপাত শুরু হয়। হামিদা বেগম পুকুর থেকে পাড়ে ওঠার আগেই বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে পুকুর পাড়ে গিয়ে পুকুরে তার মরদেহ ভাসতে দেখেন। তারা মরদেহ উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়।
গোপালপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন ভূঞা বজ্রপাতে বৃদ্ধার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি।
একতার কণ্ঠঃ শেষ মুহূর্তে এসে টাঙ্গাইলের আরও দুটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এ ইউনিয়ন দুটি হচ্ছে গোপালপুর উপজেলার হেমনগর এবং মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা।
নবম ধাপে এই দুটি ইউনিয়নসহ বুধবার(১৫ জুন) জেলার ২২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের কথা ছিল। এর আগে রোববার(১২ জুন) মধুপুরের অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান জানান, গোপালপুরের হেমনগর ইউনিয়নের সীমানাসংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে এক ব্যক্তি উচ্চ আদালতে রিট করেন। ওই রিটের শুনানিতে ইউনিয়ন দুটির নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন আদালত। আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করে। সেই সঙ্গে ভোটার তালিকা নিয়ে কিছু জটিলতা থাকায় স্থগিত করা হয়েছে ফুলবাগচালা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।
বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা নির্বাচন অফিস।
এর আগে আওয়ামী লীগের এক নেতা নৌকায় যাঁরা ভোট দেবেন না, তাঁদের ভোটকেন্দ্রে আসতে নিষেধ করে বক্তৃতা দেওয়ায় এবং নানা হুমকি দেওয়ায় মধুপুরের অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে গণধষর্ণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন। একই মামলায় আরেক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার গোপালপুর উপজেলার ভেঙ্গুলা গ্রামের মৃত নগেন চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী কৃষ্ণ দাস, ধনবাড়ী উপজেলার ইসপিঞ্জাপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে সৌরভ আহমেদ হৃদয় ও একই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান। এছাড়া একই গ্রামের মেহেদী হাসান টিটুকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
টাঙ্গাইল আদালতের পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, ওই স্কুলছাত্রী ২০২১ সালের ২ আগস্ট বাড়ি থেকে নানির বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তাকে কোথাও না পেয়ে ৪ আগস্ট গোপালপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যান বাবা। পরে থানা থেকে তাকে জানানো হয়, মেয়ের একটি ছবি নিয়ে আসতে হবে। এ কথা শুনে ছবি আনতে বাড়ি চলে যান তিনি। ওইদিন ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর যমুনা নদীর পাড়ে বস্তাবন্দি একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্তের পর নিহতের কোনো পরিচয় না পাওয়ায় ওই দিনই বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহটি উপজেলার ছাব্বিশা কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ছবি দেখে স্বজনরা উদ্ধার হওয়া মরদেহটি স্কুলছাত্রীর বলে শনাক্ত করে পরিবারের লোকজন। পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে ৬ আগস্ট ভূঞাপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।
মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। পরে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গণধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত শ্রী কৃষ্ণ দাস, সৌরভ আহমেদ হৃদয়, মিজানুর রহমান ও মেহেদী হাসান টিটুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে তিনজনের ফাঁসি ও একজনকে খালাস দেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
একতার কণ্ঠঃ সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় টাঙ্গাইলের ৩ জন বিশিষ্ট সাংবাদিককে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
বুধবার (০৮ জুন) সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক।
জেলা প্রশাসক আতাউল গণির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আনসারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, সংবর্ধিত অতিথি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, এডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা দুর্লভ বিশ্বাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ৩ জন সংবাদিককে ফুলেল শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করায় দৈনিক সমকালের মির্জাপুর প্রতিনিধি দুর্লভ বিশ্বাস, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতায় দৈনিক ইত্তেফাকের নিজস্ব প্রতিবেদক জয়নাল আবেদীন এবং মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাধিকতায় বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি আতাউর রহমান আজাদকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। প্রথম বারের মতো টাঙ্গাইলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ সংবর্ধনা দেয়া হলো।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গণি জানান, ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ভবিষ্যতেও সাংবাদিকদের এ ধরনের সংবর্ধনা দেয়া অব্যাহত থাকবে। সাংবাদিকদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আমরা যেমন খুশি, তেমনি গর্বিত।