একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় মহিলা চোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিকালে তাদের বাসাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, আনজু বেগম (২৯), অনিতা (২০), আকলিমা (১৮), মনিকা (১৮)।আটককৃত সকলেই জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার হারগীললা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, বাসাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকজন মহিলার স্বর্ণালংকার, টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন খোয়া যায়। অপরিচিত চার-পাঁচ জন মহিলার চলাফেরা স্থানীয়দের কাছে সন্দেহজনক মনে হলে তাদেরকে আটক করে তারা। এ সময় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে চুরির সাথে সম্পৃত্তের কথা স্বীকার করে আটককৃত মহিলারা। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে ।
এ প্রসঙ্গে বাসাইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ জানান, গ্রেপ্তারকৃত প্রত্যেকেই পেশাদার চোর। তারা একটি চোর চক্রের সাথে জড়িত। এই চক্রটি হাসপাতাল, বাজার, বাসস্ট্যান্ড এবং জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে চুরি করে থাকে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্ততি চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শককে(এসআই) থাপ্পর দেওয়ার ঘটনায় সাদেকুল ইসলাম নামে এক প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার বহেড়াতৈল গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের গণটিকা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে বহেড়াতৈল গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে গণটিকা কার্যক্রম চলছিল। বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে টিকা দিতে কেন্দ্রে যান। তিনি নিয়ম না মেনে তাদের নিয়ে কেন্দ্রের ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
তবে আগে টিকা নিতে আসা লোকজন এর প্রতিবাদ করে এবং পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনকারী সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সানিউল আলম প্রধান শিক্ষক সাদেকুল ইসলামকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাঁধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই সানিউল আলমকে থাপ্পর দেন প্রধান শিক্ষক।
সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সানিউল আলম জানান, শৃঙ্খলা না মেনে ওই প্রধান শিক্ষক জোর করে কেন্দ্রে যাওয়ার চেষ্টা করায় টিকা নিতে আসা লাইনে দাঁড়ানো উত্তেজিত লোকজন অভিযোগ করায় তিনি কেন্দ্রে ঢুকতে বাঁধা দেন। এ কারণে প্রধান শিক্ষক তাকে থাপ্পর মারেন।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) একে সাইদুল হক ভূঁইয়া জানান, পুলিশের গায়ে হাত তোলায় ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে চেক ডিজঅনার মামলায় আবু সাঈদ তালুকদারের (৪২) পাঁচ বছরের সাজা হয়। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির না হয়ে পালিয়ে থাকেন ১৪ বছর। অবশেষে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পাবনার ভাঙ্গুড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভুঁইয়া গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাঈদ উপজেলার গড়গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত কদ্দুস তালুকদারের ছেলে। গ্রেফতারের ভয়ে তিনি ১৪ বছর পলাতক অবস্থায় ভাঙ্গুড়ার বিভিন্ন সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন বলে জানিয়েছে সখীপুর থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পৌরশহরের কচুয়া সড়কে গাউজ ভাণ্ডারি কাগজ বিতান নামে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে প্রবাসীদের ব্যাংক ড্রাফটের ব্যবসা করতেন আবু সাঈদ। ওই সময় তিনি সখীপুর বাজার বণিক সমিতির বিভিন্ন সদস্যদের কাছ থেকে মাসিক হারে লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেন। পরে এলাকা থেকে পালিয়ে যান। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই বাজারের বণিক সমিতির সদস্য মামুন মিয়া টাঙ্গাইল আদালতে তার বিরুদ্ধে সাড়ে ১৩ লাখ টাকার চেক ডিজঅনারের মামলা করেন। সে বছর আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় ২০০৮ সালে সাঈদ তালুকদারের পাঁচ বছরের সাজা হয়।
সখীপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সানিউল আলম জানান, গ্রেফতারের ভয়ে ২০০৭ সালে পালিয়ে পাবনার ভাঙ্গুড়া চলে যান সাঈদ। সেখানে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন। ১৪ বছর ধরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরে খবর পেয়ে তাকে পাবনার ভাঙ্গুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভুঁইয়া জানান, সাজাপ্রাপ্ত আবু সাঈদের বিরুদ্ধে থানায় দুটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তার সাজা হয়েছে। তিনি থানার তালিকায় পুরাতন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তাকে গ্রেফতার করতে তার মায়ের ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হয়। এরপর তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে আবু সাঈদের ঠিকানা শনাক্ত করা হয়। আবু সাঈদকে ধরতে থানার পুলিশ সদস্যরা ছদ্মবেশে ভাঙ্গুড়ার শরৎনগর এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া করেন। পরে সোমবার ভোরে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া এএসআই সানিউল আলম ও এএসআই এনামুলকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য পুলিশ সদর দফতরে আবেদন করা হবে বলেও জানান ওসি।
একতার কণ্ঠঃ বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে মৃত্যু ঘটানোর দায়ে টাঙ্গাইলে এক বাসচালকের চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ( ২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম রাশেদুল ইসলাম। সে জামালপুর সদর উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে। একই অপরাধে তাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৯ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সরকারি কৌসুঁলি (পিপি) এস আকবর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১ আগস্ট বিকেলে রাশেদুল তাঁর বাস চালিয়ে জামালপুরের তারাকান্দি থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাসাইল উপজেলার গুল্লা এলাকায় একটি যাত্রীবাহি মাইক্রোবাসের সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
পরে বাসাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে রাশেদুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে আবদুস সাত্তার ২০০৯ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে চালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মৃত্যু ঘটানো এবং গুরুতর জখম ও গাড়ির ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।
পিপি এস আকবর খান জানান, মৃত্যু ঘটানোর দায়ে আদালত বাসচালককে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এ ছাড়া গাড়ির ক্ষতিসাধনের অভিযোগে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এই রায়ের সাজা পর্যায়ক্রমে কার্যকর করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, রায় ঘোষণার সময় বাসচালক রাশেদুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাঁকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
একতার কণ্ঠঃ ইভ্যালিসহ প্রতারিত ১২ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের টাকা ফেরত পাওয়া অনিশ্চিত। এসব প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপও নিতে পারছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনও পাওনা আদায়ে কাজ করতে পারছে না। এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা হচ্ছে দেওয়ানি আইনে। নিবন্ধন দেওয়ার পরও রেজিস্ট্রার অব জয়েনস্টক কোম্পানি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪২০ ধারায় মামলা হয়েছে। ধারাটি জামিনযোগ্য। ফলে যে কোনো সময়ে গ্রেফতারকৃতরা বৈধভাবেই জামিনে বেরিয়ে আসতে পারেন। সংশ্লিষ্টদের থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বহুল আলোচিত ইভ্যালি নিবন্ধন নিয়েছে রেজিস্ট্রার অব জয়েনস্টক কোম্পানি (আরজেসি) থেকে। কিন্তু ই-অরেঞ্জ, ধামাকা কোনো নিবন্ধন নেয়নি। এতদিন ব্যবসা পরিচালনা করছে শুধু একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে। বাকি প্রতারক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা একই।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা চাপ সৃষ্টি করতে পারি ইভ্যালির ওপর। প্রকৃত অর্থে আমাদের আইনের কিছু দুর্বলতা আছে। এই আইনে আটকে আছি। তবে নতুনভাবে যাতে ই-কমার্স খাতে এ ধরনের প্রতারণা না হয় এজন্য এ বিষয়ে কাজ হচ্ছে। আইনমন্ত্রীকে বলা হয়েছে। তিনি কাজ করছেন। একটি আইন করে তার বিধিমালা করা হবে। পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকেরও সহায়তা লাগবে। মন্ত্রী আরও বলেন, ইভ্যালি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৪২০ ধারায়। এটি জামিনযোগ্য ধারা। তারা জামিনে বের হতে পারে।
প্রসঙ্গত নীতিমালা এবং আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ই-অরেঞ্জের গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের ১১০০ কোটি টাকা পকেটে ভরেছে। ইভ্যালিও নিয়েছে ১০০০ কোটি টাকা। এছাড়া ধামাকা নিয়েছে ৮০৩ কোটি টাকা, এসপিসি ওয়ার্ল্ড ১৫০ কোটি টাকা, এহসান গ্রুপ ১১০ কোটি টাকা, নিরাপদডটকম ৮ কোটি টাকা, চলন্তিকা ৩১ কোটি টাকা, সুপম প্রডাক্টের ৫০ কোটি টাকা, নিউ নাভানার ৩০ কোটি টাকা এবং কিউ ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং ১৫ কোটি টাকা, সিরাজগঞ্জশপ ৪৭ কোটি, আলাদিনের প্রদীপ ১০০ কোটি টাকা নিয়েছে।
দেশে প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাজারে যাতে কেউ অসুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য কাজ করছে বাংলাদেশ প্রতিযোগী কমিশন। ইতোমধ্যে স্বপ্রণোদিত হয়ে ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটি মামলা করছে। তবে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে পারেনি প্রতিযোগী কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠান চলছে দেওয়ানি আইনের ওপর। এর অধীনে বাজারে প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করার প্রমাণ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে তার বার্ষিক টার্ন ওভারের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান আছে। প্রতিযোগিতা কমিশন কোনো ক্রিমিনাল আইনে পরিচালিত হয় না। তিনি আরও বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই রায় দেওয়া হবে।
টাকা ফেরত পাওয়া প্রসঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, গ্রাহকরা টাকা না পেয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ইভ্যালির বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় মামলা হয়েছে। এখন গ্রাহকদের টাকা ফেরত চেয়ে একটি আবেদন করে আদালতের নজরে আনতে হবে। আবেদনের পর হয়তো আদালত বিবেচনায় নেবে।
জানা গেছে, সিআইডি মোট ১৪টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত করছে। বেশিরভাগ গ্রাহককে পণ্য বা টাকা ফেরত না দেওয়া সংক্রান্ত। বিদ্যমান মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় এনে এর বিচার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়। কারণ এ আইনে ই-কমার্স খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে মানি লন্ডারিং আইনটি সংশোধন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যদি এটি শেষ পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।
জানা গেছে, বর্তমান অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকায় নাম পাওয়া গেছে এক হাজার প্রতিষ্ঠানের।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, চলিত আইন সংশোধনের মাধ্যমে যথাযথ প্রয়োগ করে প্রতারণামূলক ই-কমার্স ব্যবসাগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি আইন প্রয়োগের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এছাড়া দক্ষ জনবল বৃদ্ধিও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়া ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে যেন তারা আরও সতর্কভাবে ই-কমার্স খাতে ব্যবসা করতে পারে এবং প্রতারণামূলক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে সাবধান থাকতে পারে।
সংবাদ সূত্র-যুগান্তর আনলাইন
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় পরকীয়ার সন্দেহ স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার স্বামী আবদুল লতিফ বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার(২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘাটাইলের রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর তেঁতুলতলা গর্জনাপাড় গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। স্ত্রী পরকীয়ার সন্দেহের বহির্প্রকাশে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে ।
নিহতের নাম সবুরা বেগম (৪৫) বেগম। তিনি রসুলপুর তেঁতুলতলা গর্জনা গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই কায়ছার হামিদ বাদী হয়ে রবিবার( ২৬ সেপ্টেম্বর) ঘাটাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন,
মামলার বাদী কায়ছার হামিদ বলেন, তার বোনজামাই কাতার প্রবাসী। তিন মাস আগে দেশে ফেরেন। ফেরার পর থেকে মিথ্যা অপবাদে তার বোনের সঙ্গে ঝগড়া করত। তাকে ভয় দেখিয়ে বলত— ‘আমি যদি আজকে তোকে মেরে ফেলি তবে আজকেই বিদেশ চলে যাব’-এ রকম ভাবে বকাবকি ও নির্যাতন করত।
তিনি আরো বলেন, শনিবার সকাল ১০টার দিকে তার ভাগ্নে সাব্বির স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় যায়। সেখান থেকে দুপুর ১২টার বাড়ি ফিরে ঘরের ভেতরে দেখতে পায় তার বোনের মুখে টেপ পেঁচানো অবস্থায় একখাটে আর বোনজামাই বিষপান করে অন্য খাটে পড়ে রয়েছে।পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার বোনের মুখে টেপ পেঁচানো লাশ দেখতে পাই। আর তার বোনস জামাইকে প্রথমে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে তিনি দাবি করেন।
ঘাটাইল থানা অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে এটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী বিষপানে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কাজ চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে ও অস্ত্র দেখিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে ধর্ষণের অভিযোগ কবির সরকার (২৬) নামের এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার রুলীপাড়া গ্রামের শহিদ জামান সরকারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের চরাঞ্চল রুলীপাড়া এলাকায় গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে স্বামী বাড়িতে না থাকায় গৃহবধূর সিঁধ কেটে ঘরে ঢোকে একই গ্রামের কবির সরকার ও শাহদত। পরে ঘরে ঢুকে ছুড়ি দিয়ে মেয়ে ও ধর্ষিতা গৃহবধূকে গলা কেটে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। পরে ওই গৃহবধূ ডাকচিৎকার করতে থাকলে ধর্ষকরা তাকে মারধর করায় সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। এঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর ভূঞাপুর থানায় ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে দুইজনের নামে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় কবির নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ওই গৃহবধূর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা সদরে অবস্থিত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন সংলগ্ন আমতলা থেকে রাশেদুল ইসলাম ফকির (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, নিহত রাশেদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের মিস্ত্রিগাতি এলাকার রওশন আলী ফকিরের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় রিকশা চালাতেন।
পুলিশ জানায়, রাশেদুলের মাথায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মরদেহ পাশ থেকে একটি রক্তমাখা হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো একসময় ছিনতাইকারী চক্র তাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় এবং মুখে আঘাত করে হত্যা করেছে।
টাঙ্গাইল সদর ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক আরিফ ফয়সাল জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
একতার কণ্ঠঃ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় টাঙ্গাইলে দুটি ক্লিনিককে সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়া আরো দুটি ক্লিনিককে আর্থিক জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রানুয়ারা খাতুন। এ সময় তার সঙ্গে সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তাসহ আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রানুয়ারা খাতুন বলেন, ‘লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও দায়িত্বরত ডাক্তার না থাকায় শহরের শামসুল হক ক্লিনিককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও সোনার বাংলা ক্লিনিকের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্লিনিক দুটি সিলগালা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ছাড়াও ফাতেমা ক্লিনিক ও রোকেয়া আইকেয়ার সেন্টারকে ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করে বৈধ কাগজ পত্র করার জন্য সাত দিনের সময় দেয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন বৃহস্পতিবার( ২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আবার নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এ নিয়ে ১৫ বারের মতো তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলেন আদালত।
সহিদুর রহমান সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খানের ভাই ও টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ আতাউর রহমান খানের ছেলে। ৯ মাস ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন। গত ১৮ আগস্ট সকালে অসুস্থ হওয়ার পর তাঁকে জেলা কারাগার থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান জানান, টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বৃহস্পতিবার ছিল ফারুক হত্যা মামলার ধার্য তারিখ। রাষ্ট্রপক্ষ মামলার সাক্ষী পুলিশের কনস্টেবল হারুন অর রশিদকে হাজির করে। কিন্তু মামলার অন্যতম আসামি সহিদুর রহমান হাসপাতালে থাকায় তাঁকে হাজির করা হয়নি। তাই সাক্ষ্য গ্রহণও হয়নি।
সহিদুরের আইনজীবীরা তাঁর জামিন আবেদন করেছিলেন। তাঁরা যেকোনো শর্তে সহিদুরের জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ আবেদন নামঞ্জুর করেন। আগামী ১১ অক্টোবর এই মামলার সাক্ষী গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুকের ব্যথা নিয়ে সহিদুর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। তাঁর হৃদ্যন্ত্রে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। তবে থাইরয়েড ও কিডনিতে কিছু সমস্যা পাওয়া যায়। হাসপাতালে থাকতেই তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তিন দিন আগে তিনি করোনামুক্ত হন। কোমরে ব্যথার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থেকে গত ২ ডিসেম্বর সহিদুর টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মুক্তি। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। তার পর থেকে তিনি টাঙ্গাইল জেলা কারা হেফাজতে রয়েছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান মোর্শেদের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ বছর আগে স্ত্রী সৈয়দ আমেনা পিংকিকে হত্যা এবং লাশ গুমের অভিযোগে টাঙ্গাইল থানায় মামলা করা হয়েছে।আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন মামলা করার বিষয় নিশ্চিত করে জানান, এ হত্যা মামলায় মোর্শেদকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানোর জন্য বৃহস্পতিবার(২৩ সেপ্টেম্বর) আদালতে আবেদন করা হবে।
মোর্শেদকে পুলিশ গত ১৯ আগস্ট একটি চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার করে। পরে ওই দিনই তার বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে দুইটি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়। তিনি অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলায় বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন।
মোর্শেদ ছাড়াও হত্যা মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মোর্শেদের প্রথম স্ত্রী সোমা ওরফে মনা, মুন্সি তারেক পটন ও তার স্ত্রী লিনা, পারভেজ খান রনি, সোহেল ওরফে বাবু, অনন্ত সুত্রধর, রাফসান ও আয়নাল মিয়া। এরা সবাই শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার বাসিন্দা। মামলায় এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও তিন চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মোর্শেদের দ্বিতীয় স্ত্রী সৈয়দ আমেনা পিংকির বাবা সৈয়দ শরিফ উদ্দিন বাদি হযে গত ২৪ আগস্ট টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০১২ সালের জুন মাসে তার মেয়ে সৈয়দ আমেনাকে মোর্শেদ অপহরণ করে বিয়ে করেন। তাদের ছয় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দুই স্ত্রী থাকায় মোর্শেদের পরিবারে মাঝে মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি রাতে ওই এলাকার এক বাসায় দাওয়াতের কথা বলে মোর্শেদ আমেনাকে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় মোর্শেদ তাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করেন। মোর্শেদের ভয়ে তিনি মামলা করতে সাহস পাননি। পরে মোর্শেদ ১৯ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আদালত এ হত্যার বিষয়ে থানায় কোন মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল কিনা তার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য টাঙ্গাইল সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। কোন মামলা বা জিডি হয়নি বলে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আদালত মামলা করার জন্য টাঙ্গাইল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, এ হত্যা মামলায় মোর্শেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর পর তদন্তের প্রয়োজনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, মোর্শেদ টাঙ্গাইল শহর ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। পরে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে দলীয় পদ না থাকলেও শহর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিয়মিত অংশ নিতেন। পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মোর্শেদের বিরুদ্ধে করা ছাত্রদল নেতা রেজা হত্যা মামলা ২০১৩ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা, ব্যবসায়ী তুহিন হত্যা মামলাসহ চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী এক ডজন মামলা হয়েছে বিভিন্ন সময়। গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে তিনি টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়ার কথা বলে এক নারীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওই নারী টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার(২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ধনবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম ওসমান গণি। তিনি উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও ভুক্তভোগী অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীর বক্তব্য ও মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে ইউপি সদস্য ওসমান গণির কাছে ধর্ণা দেন ওই নারী। ঘর পাইয়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ওসমান। পরে মৌখিক চুক্তির পর ২৭ হাজার টাকা দেন ভুক্তভোগী। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলে ঘর না পাওয়ায় ইউপি সদস্যকে চাপ দেন ওই নারী। এ সময় ওই ইউপি সদস্য নতুন শর্ত জুড়ে দেন। তিনি ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দেন।
কু-প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ওই নারী ঘর পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে নিজের টাকা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি ওসমান গণির কাছ থেকে টাকা ফেরত চান। অবশেষে গত ২৭ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে ওসমান টাকা ফেরত নিতে তার বাড়িতে আসতে বলেন। কথা অনুযায়ী সেখানে গেলে ওই নারীকে যৌন নির্যাতন করেন ওসমান গণি। ঘটনাস্থলে তার স্ত্রী ফাহিমা উপস্থিত হয়ে উল্টো ওই নারীর ওপর পড়াও হন। তারা ওই নারীকে বেধড়ক মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য ওসমান গণি। তিনি বলেন, ‘একটি মহল আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা অভিযোগ ও আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।’
এ ব্যাপারে মুশুদ্দি ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘর প্রদানে টাকা লেদদেনের কথা তিনি শুনেছেন। ইউপি সদস্য ওসমান গণি দুই নারীসহ আরও কয়েকজনের কাছ থেকে ঘর দেওয়ার কথা বলে অর্থ নিয়েছেন বলেও অভিযোগও রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।