একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে মাহিন্দ্রা (পিকআপ) ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী প্রবাসী হেলাল উদ্দিন (৩৫) নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে সখীপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার নলুয়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হেলাল উদ্দিন উপজেলার কালিদাস গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার নলুয়া বাজার এলাকায় মাহিন্দ্রা (পিকআপ) ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুত্বর আহত হন সিঙ্গাপুর প্রবাসী হেলাল উদ্দিন। পরে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের আত্মীয় জাহিদুল ইসলাম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত হেলাল উদ্দিন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃত্যুতে ওই পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পৃথক পৃথক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৫ জন।
শুক্রবার (১৪ জুন) ভোরে কালিহাতী উপজেলার বাগুটিয়া এলাকায় বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল কলেজের সামনে ভোররাতে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাইভেট কারের চালকসহ ২ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার পুংলী এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৫ জন আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্যান্যদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে
একই সময়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, মাঝ রাতের কোন এক সময় কালিহাতী উপজেলার বাগুটিয়া এলাকায় একটি গরু বোঝাই ট্রাকের সাথে একটি প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ৬ জনকে নেওয়া হয়।
এ সময় জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ৬ জনের মধ্যে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন বলে নিশ্চিত করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। এখনো নিহত দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুরুত্বর আহত হয়েছেন আরও একজন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপজেলার কদমতলী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘাটাইল থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কদমতলী বাজারের উত্তর পাশে মেসার্স জামাল কয়েল এন্ড লাকড়ি মিলের পশ্চিম পাশে সড়কের উপর মধুপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি মিনি কাভার্ডভ্যান (ঢাকা মেট্রো ১-১১-৩২০৮) ও কদমতলী থেকে ঘাটাইলের দিকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘাটাইল থানা পুলিশ ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গুরুত্বর আহত মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনের দুইজনকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
এদের মধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলমগীর হোসেন বাদশাকে (৪৮) মৃত ঘোষণা করে।
নিহত বাদশা উপজেলার গারট্ট গ্রামের মৃত জুলহাস উদ্দিনের ছেলে।
মোটরসাইকেলের অপর আরোহী জুয়েলকে (৪৫) কালিহাতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করে।
নিহত জুয়েল ঘাটাইল উপজেলার কাশতলা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে গোপালপুরে কর্মরত ছিলেন।
দুর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত মোটরসাইকেল আরোহী শামসুজ্জামান আদিলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছালাম মিয়া জানান, মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। চালককে আটক করাসহ ঘাতক কাভার্ডভ্যানটি আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
একতার কণ্ঠঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে অজ্ঞাত গাড়ি ওভারটেক করতে গিয়ে মো. বিল্লাল (৩৮) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১০ জুন) সকাল ৮ টার দিকে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপজেলার গোহালিয়া বাড়ি ইউনিয়নের সরাতৈল নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিল্লাল হোসেন ঢাকা জেলার ডেমরা থানার ২৩/১১ বাদশা মিয়া রোডের মুসলিম নগর এলাকার মো. আনিস মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে একটি পালসার মোটরসাইকেল দ্রুত বেগে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মহাসড়কের সরাতৈল এলাকায় মোটরসাইকেলটির উত্তরবঙ্গগামী একটি অজ্ঞাত গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটনাস্থলে আরোহী মারা যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইউসুব আলী জানান, মহাসড়কের সরাতৈল নামক স্থানে একটি দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোটরসাইকেল আরোহী নিহতের মরদেহ ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, রবিবার রাতে ঝড়-বৃষ্টি ও এই দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা এলাকা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮/১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোথাও কোথাও যানজট সৃষ্টি ও থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করে। ফলে অনেকে ভোগান্তি এড়াতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করেন পরিবহন চালকরা।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রেন-অটোরিকশার সংঘর্ষে আবু তালেব নামে এক লিচু ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
রবিবার (৯ জুন)ভোরে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার মসিন্দা রেল ক্রসিংয়ে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে অটো রিক্সার সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু তালেব উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের ছাতীহাটি গ্রামের আসর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুইজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলেঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার বেলাল হোসেন জানান, নিহত আবু তালেব এলেঙ্গা বাজার থেকে লিচু কিনে অটো রিকশাযোগে ছাতীহাটি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে উপজেলার মসিন্দা রেল ক্রসিংয়ে পৌঁছালে ভোর ৬টায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে অটোরিকশাটির সংঘর্ষ হয়।
তিনি আরও বলেন, এতে চালকসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে আবু তালেবের মৃত্যু হয়। বাকি দুইজনকে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুর রহমান জানান , নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে ।আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গ্যাস বিস্ফোরণ হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার(৫ জুন )দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটের সময় এ ঘটনা ঘটে।
এতে আশেপাশের কয়েকটি দোকান ও ভবনে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়।
এবিষয়ে ডিসি অফিস থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। খবর পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট খোরশেদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, শহরের মেইন রোডে রাস্তা ও ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। ঠিকাদারের অসচেতনার কারনে তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন লাইনের প্রধান পাইপ ফেটে যায়। এরপর প্রচন্ড বেগে গ্যাস আওয়ামী লীগের অফিসের দরজার নিচ দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। অফিসবদ্ধ থাকায় গ্যাসের চাপে ৫ টি এসি, ১৬টি ফ্যান, ২টি কম্পিউটার, চেয়ার-টেবিল ও আলমারিসহ অধিকাংশ মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট খোরশেদ আলম বলেন, রাস্তার উন্নয়ন কাজের সময় ভেকুর আঘাতে তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন পাইপ ফেটে গ্যাস মেইন রোডে ছড়িয়ে যায়। বিভিন্ন ভবন ও আমাদের আওয়ামী লীগ অফিসে প্রবেশ করে। গ্যাসের কারনে অফিসের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবহারের উপযোগী করতে অফিস সংস্কার করতে হবে। এর দায় ঠিকাদারকেই নিতে হবে।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন বলেন, গ্যাস বিস্ফোরনের ঘটনায় ঠিকাদারের ত্রুটি আছে কি না সেটা তদন্ত হবে। যদি ক্রটি পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল তিতাস গ্যাসের ম্যানেজার প্রকৌশলী খোরশেদ আলম বলেন, গ্যাস লাইনের ত্রুটির কারনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিস এবং আমাদের টীম গিয়ে লাইন বন্ধ করে দেয়। এবিষয়ে ডিসি অফিস থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রাক-পিকআপের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৫ জুন) রাত ১ টার দিকে
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার আনালিয়াবাড়ী এলাকার ৯নং ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মশাউরা গ্রামের মুনছুর শেখের ছেলে ও পিকআপ চালক শিপন (৪০) এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত শেখ আলিমুদ্দিনের ছেলে ও পিকআপের হেলপার শেখ মুহাম্মদ আসলাম (৫৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে পণ্য নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। পথিমধ্যে ঢাকাগামী অপর আরেকটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চলন্ত অবস্থায় সামনে থাকা ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে পিকআপের চালক ও হেলপার মারা যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুইটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান,আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে গেছে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে নগদাশিমলা ইউনিয়নের বনমালী-জামতৈল সড়কে।
বুধবার (৫ জুন) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার বনমালী এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে পড়ে।
এদিকে সেতুটি ভেঙে পড়ার পর নদীতে জমে থাকা পানার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয়রা হেঁটে নদী পারাপার হচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার নগদাশিমলার বনমালী এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর ১৯৯৬ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪০ মিটার এবং প্রস্থ ৫ ফুট। নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে পানাগুলো একত্রিত হয়ে সেতুর পিলারে জমাট বাঁধে। সেতুর পিলারের নিচে মাটি না থাকায় নদীতে স্রোত ও পানার চাপে সেতুর মাঝ খানের প্রায় ২০ মিটার অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। বাকি অংশটুকুও ঝুঁকিতে রয়েছে।
নগদাশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আয়নাল হক বলেন, নদীতে পানি আসার আগেই সেতুটির নিচে জমে থাকা পানা পরিষ্কার করা হয়। এভাবেই বিগত পাঁচ বছর ধরে করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে বুধবার সেতুর মাঝখানে কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে নদীতে।
তিনি আরও বলেন, সেতু ভেঙে যাওয়ার পর লোকজন নদীতে জমে থাকা পানার ওপর দিয়ে হেঁটে নদী পার হচ্ছে।
উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফাত্তাউর রহমান বলেন, সেতুটি দীর্ঘদিনের পুরাতন। সেতুর প্রস্থ ছিল ৫ ফুট। স্থানীয়দের যাতায়াতের স্বার্থে ঝিনাই নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পুরাতন সেতু হওয়ায় সেটি সংস্কারের উপযোগী ছিল না। সেখানে নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠাবো হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কাভার্ডভ্যান-লরির সংঘর্ষে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৫ মে) ভোরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার পুংলী ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুইজন হলো- কাভার্ডভ্যানের চালক ও হেলপার। নিহত কাভার্ডভ্যানের চালকের নাম আলমগীর হোসেন। তার বাড়ি যশোর জেলায় বলে জানা গেছে।
তবে তাৎক্ষণিক নিহত হেলপারের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ভোরে লরি ও কাভার্ডভ্যানটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পুংলী ব্রিজের কাছে পৌঁছলে কাভার্ডভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরির পিছনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে কাভার্ডভ্যানের চালক ও হেলপার মারা যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর সাজেদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের কাজ করছে পুলিশ ।
অপরদিকে, কালিহাতী উপজেলার ভূঞাপুর লিংক রোডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হানিফ পরিবহনের একটি বাস উল্টে অন্তত ৮জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার(১৮ মে) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, আফজাল হোসেন ও আমির হোসেন। তারা দিনাজপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চকদফরপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহতরা সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।
স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার আউলিয়াবাদ বাজারে ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে থেকে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার কাজ করতো তারা। পরে শনিবার ভোরে বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ী গ্রামের হযরত আলীর ধান ক্ষেতে তাঁরা ৬ জন শ্রমিক ধান কাটতে ব্যস্ত ছিল। এসময় বৃষ্টি শুরু হলে ধান ক্ষেত থেকে দৌঁড়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় আফজাল ও আমীরের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, সকালে কয়েকজন শ্রমিক হযরত আলীর ক্ষেতে ধান কাটতে যান। এসময় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি সাথে বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরো চারজন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কালিহাতী থানার এসআই রাজীব জানান, নিহতের স্বজনরা অপমৃত্যু মামলা দায়ের করলে ওসি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মেহেদী হাসান মিশু (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৭ মে) রাত ১২টার দিকে উপজেলার ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের কষ্টাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মেহেদী উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক রফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে।
সে ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র ছিল।
জানা যায়, মেহেদী হাসান শুক্রবার মধ্যরাতে মোটরসাইকেল যোগে ভূঞাপুর থেকে গ্রামের বাড়ি কয়েড়া ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের কষ্টাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে যায় মেহেদী।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মেহেদী অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি অবগত নন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একদিনের ব্যবধানে সাপের কামড়ে পৃথক স্থানে দুই গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর ও থলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকালে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুর রউফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) ও বুধবার (১৫ মে) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার ফতেপুর গ্রামের ফরিদ মিয়ার স্ত্রী আরিফা বেগম (২২) ও থলপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী রুলিয়া বেগম (৪০)।
জানা গেছে, বুধবার রাতে রুলিয়া বেগম তার বসতঘরের সোফায় বসে খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় একটি বিষধর সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। পরে বিষয়টি পরিবারের লোকজনদের জানালে তারা স্থানীয় এক ওঝাকে দিয়ে ঝাড়ফুঁক করান। এ সময় রুলিয়া বেগম অচেতন হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
এদিকে, মঙ্গলবার বিকালে গৃহবধূ আরিফা তার বাড়ির পাশে বসে তার বাচ্চাকে খাবার খাওয়াচ্ছিলেন। এ সময় একটি বিষধর সাপ এসে তার পায়ে কামড় দেয়। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এ প্রসঙ্গে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুর রউফ বলেন, সাপের কামড়ে এক গৃহবধূ হাসপাতালে নেওয়ার পথে এবং অপরজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। দুই জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।